আয়োজনে পরিপাটি ছিল মেঘের গার্হস্থ্যবেলা
বৃষ্টির অঝোর রাগ, মেঘেদের খোলামেলা ঘর--
আকাশ মাতাল করা অন্ত্যমিল যেন
এদিকে উঠোনে আলো পড়ে এলে
আমি দেখি আলো-আঁধারের ফাঁকে তোমাকে জড়িয়ে জেগে আছে
পাগল দুপুর
এসময় মনে হয় নিঝুম তোমাকে
হাত টেনে ধরে বলি, এখানেই থাকো
যেও না কোথাও
তারপর ক্রমে ক্রমে দুপুরে জড়িয়ে যায় মেঘের শরীর
অন্ধকার বেজে ওঠে আদ্যন্ত বেসুরে
তুমি ফিরে যাও নিজস্ব কোটরে, আমি পড়ে থাকি,
মনে পড়ে, আমি তো নিছক প্রতিবেশী!কুয়াশা যাপন - ৪ একমুখী পড়ে ছিল পেরেক শরীর
তুমি কিনা সেখানে টাঙিয়ে দিলে শীতের পোশাক
নমনীয় হবে বলে যতবার সে পেরেক ঝুঁকিয়েছে মাথা
নতুন অতিথি এসে তার কাঁধে হাত রেখে আদর করেছে
ফিরিয়ে দিয়েছে তার নিজস্ব যাপন
তুমি কিনা সেখানে টাঙিয়ে দিলে শীতের পোশাক
পেরেক লাঞ্ছিত হলে, বড় ভয় হয়,
ভয় হয়, কে জানে কোথায় শীর্ষমুখ পড়ে থেকে
সে পেরেক আবার না অসুখ ছড়ায়!কুয়াশা যাপন - ৫ জমা জলে পড়ে আছে মায়ের আকাশ
পড়ে আছে স্নেহের আঁচলে মোড়া আদুরে শাসন
কাছে কয়লা ভাঙার কারু-শব্দ কানে আসে,
কোথায় উনোন? হাতপাখা?
সাদা ভাত – মায়ের প্রিয় স্পর্শ টের পাই
বাসন ধোয়ার শব্দে মনে পড়ে – মা বলত, আজও খিদে নেই।