• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৮৩ | জুলাই ২০২১ | গল্প
    Share
  • সন্তান : লুনা রাহনুমা


    ভোরের ঝাপসা আলোর সাথে আকাশ থেকে হু-হু করে ঝরে পড়া দলা দলা কুয়াশারা মিশে চরাচরের তিনদিক ঘোলা করে আছে এই শেষ সকালেও। গতকাল রাতে ঘুম ভেঙেছে কয়েকবার। সারাটি রাত বাইরে সিকামোর গাছের পাতার সাথে বৃষ্টি আর বাতাসের খুব তর্ক হয়েছে থেকে থেকে। ঝগড়ার মাঝে মাঝে আবার অভিমানেরও কয়েকটি পর্ব ছিল। ধরণী তখন থমথমে মুখে গাল ফুলিয়ে বসেছিল নাবালক শিশুটির মতন। প্রকৃতির খেয়ালখুশির টালমাটাল অবুঝ মনের মতন অমন অবোধ একটি মানবশিশু আছে নিরুপমার। নিজের শরীরের ভেতর নয়টি মাস ধারণ করেছে যাকে সে। রক্ত, মাংস, প্রেম, স্নেহ, নিদ্রা, যৌবন, প্রিয়-অবসর সহ অনেক মূল্যবান ত্যাগের বিনিময়ে একটু একটু করে বড় করেছে তাকে নিরুপমা। সে নিরুপমার একমাত্র পুত্র, নূহ সরকার।

    বিছানায় অনেক্ষণ ছটফট করে আর থাকতে না পেরে উঠে বসল। খাট থেকে নেমে ধীর পায়ে বাড়ির বাইরে প্যাটিওতে গিয়ে বসল। পুরোটা প্যাটিও আর বাগানের ঘাসের উপর বিছিয়ে আছে গতরাতে প্রকৃতির বিসংবাদের প্রমাণ। হতে পারে ওদের প্রেম ছিল। কিংবা কার্যত পুরোটাই ছিল কলহমাত্র। উৎকট বিবাদ। ভেজা পাতা, ভাঙা ডাল, উলটে যাওয়া কয়েকটি টব পড়ে আছে চারপাশে। সকলেই নির্বাক। নিরুপমা বিষণ্ণ মুখে মাথাটি তুলে বিশাল আকাশের দিকে তাকায়। হুবহু তার মনের মতোই আকাশটার রং - ছাইরঙা। ছাই আকাশের খোলা বুকের উপর ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে অনেকগুলো পাখি। দিন শেষে পাখিরা কিভাবে নিজেদের বাড়ি খুঁজে পায় ভেবে আশ্চর্য লাগে নিরুপমার। ছোট্ট যে পাখি ওরাও তো এই পৃথিবীর একটি অংশ। মানুষের মতো পাখিদেরও ঘর আছে। বন্ধু আছে, পরিবার, বাবা আর মায়ের আদর সবকিছুই আছে? আছে নিশ্চয়ই।

    নিরুপমার হাতের কাপে চা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। ঠান্ডা চায়ের মতো মনটাও আজ খুব বিস্বাদ ওর। ছেলেকে দেখতে যাবে কিছুক্ষণ পর। প্রায় দুইমাস পর দেখবে আজ প্রিয় সন্তানকে। ছেলের জন্য নিরুপমার মনটা যেন খাঁচার বন্দী পাখির মতো ডানা ঝাপটায় অবিরত। খরখরে নখের আঁচড় জ্বলুনি ছড়ায় ক্রমাগত। বুকের ভেতর রক্তের আঠালো ছোঁয়া। আহ…

    আজ একটি বিশেষ দিন। আজ নূহের জন্মদিন। আঠারোতম জন্মদিনের কেক কিনে আনা হয়েছে কেকবক্স থেকে। নতুন গেঞ্জি, প্যান্ট। ছেলের পছন্দের চিকেন ফ্রাই বানিয়েছে নিরুপমা নিজের হাতে। গরম কড়াইতে ডুবো তেলে বারবিকিউ ফ্লেভারের চিকেনগুলো ভেজেছে আর মনের ভেতর নিরুপমার মা-মনটিও গরম তেলের আগুনে ভেজে মুচমুচে হয়েছে। হতেই থাকে প্রতিনিয়ত। নূহ যে স্পেশাল-কেয়ার হোমে থাকে, আজ তারাও একটা কেক বানাবে ওর জন্য। নূহকে ওর পছন্দের খাবার দিবে। তবু নিরুপমার ইচ্ছে, নিজের হাতে রান্না করা খাবার নিজের হাতে খাইয়ে দিবে ছেলেকে। একটা বড় ব্যাগে সবকিছু গুছিয়ে তুলে রেখেছে নিরুপমা। দুপুর এগারোটার মধ্যে রওনা হবে তারা। ব্যাগের সবকিছু দ্বিতীয়বার চেক করতে মনে পড়ল নূহের জন্য কেনা নতুন আইপ্যাডটি ব্যাগে নেয়া হয়নি। ছেলেটা আইপ্যাডে গেমস খেলতে ভালোবাসে।

    প্রায় দেড় ঘন্টার পথ। নিরুপমা আর ওর স্বামী শেহজাদ যাবে। দুপুরটা কাটিয়ে বিকেলে ফিরে আসবে আবার। জন্মদিন উপলক্ষ্যে নূহকে আজ বাড়িতে আনার চিন্তা করেছিল ওরা প্রথমে। কিন্তু কাল খুব ভোরে শেহজাদকে স্কটল্যান্ড যেতে হবে অফিসের কাজে। তাই সেই পরিকল্পনাটি বাদ দিতে হয়েছে। বছর তিনেক আগেও নিরুপমা একাই সামলাতে পারত ছেলেকে। এখন আর পারে না। ছোট্ট ছেলেটি এখন পুরুষ হয়ে গিয়েছে। প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয়বারে বিষয়টি নিরুপমার জন্য খুব শখের প্রেগন্যান্সি ছিল। মেয়ে শম্পার বয়স পাঁচ হবার পর ছেলের জন্ম হয়। দ্বিতীয়বারে অভিজ্ঞতা ও বয়সের পরিপক্কতার কারণে প্রেগন্যান্সি ও ছোট্ট শিশুর লালনপালন সাবলীলভাবেই করতে পারছিল সে। কিন্তু নূহের বয়স বাড়তে থাকলে নিরুপমার কষ্টও বাড়তে থাকে। ছেলেটি এখন আঠারোতে পা দিয়েছে। বাবার মতো দীর্ঘদেহী, সুপুরুষ। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে নূহের বাবার ব্যক্তিত্ব যত নমনীয় হচ্ছিল নূহ ততই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। নিরুপমা ছেলের সাথে গায়ের জোরে পেরে উঠছিল না। তাই অটিস্টিক (অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার) সন্তানটিকে একটা সময় লং টার্ম কেয়ার হোমে পাঠানো ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না ওদের কাছে।

    নূহের অটিজম সম্পর্কে ওরা প্রথম বুঝতে পারে ছেলের জন্মের এগারো মাস পর। তার আগ পর্যন্ত শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি মাফিক রেস্পন্স না করলেও ওরা ভেবেছিল নূহ হয়তো সবকিছু একটু দেরিতে শিখছে। দৃঢ় বিশ্বাস ছিল ছেলেটি নিশ্চয়ই কথা বলবে, প্রথম সন্তানের মতোই সেও স্বাভাবিক শিশু হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে উঠতে থাকে। পরিবারে সবার ভেতর বেড়ে উঠতে থাকলেও নূহের নিজের জগতটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। সেই জগতের সাথে অন্য কারোর জগতের কোনরকম যোগসাজশ নেই। ভাবের আদান-প্রদান করা সম্ভব হয় না কোনভাবেই।

    নিরুপমা প্রাণ দিয়ে যত্ন করেছে ছেলেকে। আগে ওর ইচ্ছে করত মস্ত একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ছেলেটাকে তার নিজস্ব গোলকধাঁধার জগৎ থেকে টেনে বের করে আনে স্বাভাবিক জীবনে। যেখানে সুখ আছে, দুঃখ আছে, হাসি-কান্না ব্যথার আর্তনাদের ভেতর মমতাময়ী মায়ের ভালোবাসার উপলব্ধি আছে। এই যে নিরুপমা সারাটা ক্ষণ ছেলের পাশে পাশে ঘুরছে, এত কথা বলছে, মুখে, গালে, চুলে স্পর্শ করে আদর করে দিচ্ছে বার বার, এসব কিছুই ছুঁতে পারে না নূহকে। কল্পলোকে বসবাসরত দেবশিশুদের মতন নিজের মনেই সে হাসে, ভ্রূকুটি করে, দুই হাতে তালি দিতে দিতে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে একই বৃত্তকে কেন্দ্র করে। কখনো আচমকা অট্টহাসে, আচমকা আর্তনাদ করে উঠে, আচমকাই স্তব্ধ হয়ে পড়ে থাকে। নিরুপমার বুকের ভেতর আরেকটি নিরুপমা গুমরে কাঁদে অবিরত। রাজপুত্রের মতো একটি ছেলে আছে ওর। কিন্তু এই সন্তান কি আসলেই ওর কেউ হয়?

    কয়েক মাস আগে হেলথ ভিজিটরের কাছে নূহের চেক আপ ছিল। নিরুপমাও গিয়েছিল ডাঃ ক্রিস্টিনা ব্ল্যাকের সাথে দেখা করতে। ভদ্রমহিলা ভীষণ বিনীত একজন মানুষ। অটিস্টিক বাচ্চা ও বাচ্চার পরিবারের সাথে তার সহনশীল ব্যবহারের জন্য তিনি কমিউনিটিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ডাক্তার। ক্রিস্টিনা প্রতিবারের মতো খুব নরম সুরে কথা বলেছে নূহের সাথে। ব্লাড প্রেসার মেপেছে। শরীরের টেম্পারেচার নিয়েছে। এই কাজগুলো করতে ক্রিস্টিনার একঘন্টা সময় লেগেছে। পুরোটা সময় নূহ অস্থিরভাবে ছটফট করছিল। হাতের আইপ্যাডে গেমস খেলছিল আর বিরক্ত হচ্ছিল ওর গায়ে হাত দেয়া হচ্ছে বলে। দূরে একটা চেয়ারে বসে নিরুপমা ছেলেকে দেখেছে আর একটু পরপর হাতের টিস্যুপেপারে চোখ মুছেছে।

    - আমার ছেলেটি আর সবার মতো স্বাভাবিক হলো না কেন ক্রিস্টিনা?

    - আমরা যেটাকে স্বাভাবিক বলি, সেটাই হয়তো ওর কাছে অস্বাভাবিক মিসেস সরকার।

    - আমার ছেলেটা আমাকে মা বলে ডাকল না কোনোদিন। ঝরঝর করে কাঁদে নিরুপমা।

    - জানেন, ওদের জগতে ওরা কিন্তু আনন্দেই থাকে। আমাদের মতো অনেক বেশি বেশি চাহিদা নেই ওদের। যুদ্ধে জয়ী হবার কঠিন প্রতিযোগিতা নেই। নিজের মতো একলা একার জীবনেই খুশি ওরা।

    ছেলেকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে পৌঁছে গেছে ওরা কেয়ার হোমটিতে। শেহজাদের মুখটি খুব নিরংশু দেখায়। নিরুপমার মতো কেঁদে মন হালকা করতে পারে না সে। পুত্রের কষ্টে পিতার বুকের ভেতর হৃৎপিণ্ড ধুকপুক করে না আর। জমে পাথর হয়ে গিয়েছে সবটা।

    রিসেপশনে সাইন ইন করে ওরা ছেলের রুমের দিকে আগায়। কেয়ার হোমটি খুব পরিষ্কার আর গুছানো। মিষ্টি একটা গন্ধ নাকে আসে। গন্ধটি খুবই হালকা। করিডোরের কাছের বেশ কয়েকটি টবে ফুটে থাকা হায়াসিনথ ফুলের গন্ধ। নূহ ওদেরকে দেখে এগিয়ে আসে না। লাজুক চোখে একবার তাকিয়েই দৃষ্টি নামিয়ে নেয় মেঝেতে। তার ঠোঁটের কোণে আলতো হাসির রেখা ফুটেই মিলিয়ে গেল আবার। এছাড়া আচরণে অন্য কোন পরিবর্তন দেখা যায় না। শুধু খাটে বসে পা দুলাতে থাকে ক্রমাগত। নিরুপমা একজন কেয়ারারকে নতুন কাপড়গুলো দিল। নতুন কাপড়ে ছেলেটিকে দেখতে ঠিক ইংল্যান্ডের যুবরাজের মতো লাগছে। চোখ ফেরাতে পারে না নিরুপমা। বুকের ভেতর আর্তনাদের উত্তাল ঢেউ অনুভব করে শুধু।

    মনের অশান্ত ভারসাম্যহীনতার এমন নাজুক সময়গুলোতে একজনের কথা সবসময় মনের পড়ে তার। ডাঃ ক্রিস্টিনা। কানে বাজে ভদ্রমহিলার সাহসী আওয়াজ। কী ভীষণ এক প্রশান্তি সেই কণ্ঠে! সেইবার, নূহের চেক আপ শেষ করে নিরুপমার সাথে টুকটাক গল্প করছিলেন তিনি। তারা কিছুক্ষণের জন্য ভুলে গিয়েছিল নূহের কথা। ঘরের কোণে চেয়ারে বসে গেমস খেলছিল সে। যখন নূহকে দেখতে ঘুরে তাকায় নিরুপমা, নূহ তখন একটি চেয়ারের উপর উঠে দাঁড়িয়েছে। ওর হিসু পেয়েছিল। ডাক্তারের সামনেই খুলে ফেলেছিল পুরো প্যান্ট। লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিল নিরুপমা। দৌড়ে যেতে যেতে নূহ চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে মেঝে ভিজিয়ে ফেলেছে। লজ্জিত মা ভর্ৎসনা করেছে, বকেছে সতেরো বছরের শিশুটিকে।

    ডাঃ ক্রিস্টিনা কিচ্ছু মনে করেনি। বরং খুব নিচু গলায় শান্ত হতে বলেছে নিরূপমাকে।

    - আপনার লজ্জা পাবার কিছু নেই মিসেস সরকার। আমার মেয়েটিও আপনার ছেলের বয়সী হবে। আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের হাতে ওকে গোসল করাই, খাওয়াই, চুল বেঁধে দেই। তারপর মেয়েকে আয়ার কাছে রেখে এখানে আসি। এখানে আমার মেয়ের মতো আরো অনেক নিষ্পাপ শিশুদের চিকিৎসা করি। এখানে যতক্ষণ থাকি, নূহকে দেখি, এ রকম আরো অনেক বাচ্চাদেরকে দেখি, আমার মনে হয় পৃথিবীতে ওরা আসলে আমাদের জন্য এক টুকরো বেহেস্ত। ওদের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখুন এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর খারাপ কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি ওদেরকে। ওরা খুব পবিত্র।

    নিরুপমার বাড়িয়ে দেয়া টিস্যুপেপারে নিজের চোখ দুটি মুছে ডাঃ ক্রিস্টিনা বলেছিলো, কেউ ভালো না বাসুক, আমাদের সন্তানকে আমরাই ভালোবাসব। অটিস্টিক হলেও ওরা তো আমাদেরই সন্তান মিসেস সরকার। বাবা-মায়ের কাছের নিজের সন্তান সবচেয়ে দামি। সে সুস্থ হউক অথবা না হউক।

    দামামা বাজিয়ে বজ্রপাত করা রাতের আকাশ আর গলা ফাটিয়ে হাঙ্গামা বাঁধানো তুমুল বাতাস নিশ্চিহ্ন হয়েছে পুরোপুরি। এখন বিকেলের আলো ম্লান হবার পথে। তবুও সূর্যের রক্তিম আভা ছুঁয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সব সৃষ্টিকে সমানভাবে। সবাই আতিপাঁতি গোছগাছ করছে। মানুষ ছুটছে ঘরের দিকে। কীট-পতঙ্গ আর পাখিরা ডানা ঝাপটায় নীড়ের গন্তব্যে। একটি দিনের পরিসমাপ্তি হবে সহসা। নূহকে ডায়াজিপাম ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে কেয়ার হোমের ডিউটি ডাক্তার। আজ এই হোমে ১৮ বছরের একটি মেয়ে ভর্তি হয়েছে। নতুন মেয়েটিকে দেখে নূহ খুব ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল। হাতের কাছে যা পেয়েছে ছুঁড়ে মারতে চেষ্টা করছিল। নূহকে কিছুতেই শান্ত করা যাচ্ছিল না। তাই ওকে ঘুমিয়ে পড়তে হয়েছে।

    ডায়াজিপামের কেমিক্যাল যখন আচ্ছন্ন করে রেখেছে নুহের শারীরিক অনুভুতি, তখন অন্যরকম আরেকটি আচ্ছন্নতা নিয়ে শেহজাদ ও নিরুপমা গাড়িতে উঠে বসেছে। ওদের এবার ঘরে যাবার পালা। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। কেটে ফেলে না দিলেও বুকের একপাশে ক্ষতটাকে সাবধানে আগলে রেখেই বাকিটা পথ চলার চেষ্টা করবে ওরা। হয়তো অনেকেই এমন করে বেঁচে থাকে শেষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।



    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণঃ রাহুল মজুমদার
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments