(সনা-খোয়ান-এ-তক়দীস-এ-মশরিক কহাঁ হ্যায়)
এই যে এঁদো পচা গলি
ফুর্তিবাজির নীলাম ঘর
চলছে জীবন দিব্যি হেথা
এই দ্রুত এই বা মন্থর
কেউ পাবে না খুঁজলে পরে
আত্মা আপন কিম্বা পর
প্রাচ্য ধর্ম পুণ্য গীতির
চারণরা কি ছাড়লো ঘর
অ্যাঁকা ব্যাঁকা এ সব পাড়া
নাম নেয় না ভদ্রলোক
এলেও নিজের নাম বলে না
সঙ্গে শুধু টাকার থোক
কৌমার্য্যই পণ্য হেথা
সেটাও দেখো শুষছে জোঁক
স্বদেশ বলে গর্ব করে
আজকে কোথায় সে সব লোক
সবার প্রথম মানবী সেও
এই বাজারের পণ্যা
কার গৃহিণী ভগিনী কার
কার জননী কন্যা
যশোদা জ়ুলেখা সীতা
সর্ব কালেই ধন্যা
প্রাচ্য ধর্ম পুণ্য গীতির
চারণরা আয় শোন না
জানলাটাতে দেখছো আলো
আসছে ভেসে ঠুংরি গান
ফুলের দোকান এই দিকেতে
ঐ ধারেতে বেচছে পান
হাসি তো নেই ভয় মুখে তার
হাত ধরে তাও দিচ্ছে টান
স্বদেশ নিয়ে গর্ব যাদের
পাথর কি আজ তাদের প্রাণ
দিনের বেলা ঝিমোয় পাড়া
ঢললে বিকেল খুলবে চা
এক চিলতে সোনার দোকান
শাঁখা সেথায় মিলবে না
নানা দামের রয়েছে বোতল
কেন গেল আর কোঠায় যা
প্রাচ্য ধর্ম পুণ্য গীতির
চারণ খোঁজে তাদের মা
এ সব পাড়ায় দেখতে পাবে
দোর অনেকের বন্ধ
শুকিয়ে যাওয়া কুঁড়ি কি আর
ছড়াবে সুগন্ধ
গান বাজনা সবই হবে
থাকবে না তাল ছন্দ
কোথায় তারা স্বদেশ যাদের
গৌরব ও আনন্দ
জোয়ান পুত্র বৃদ্ধ পিতা
এক গাড়িতেই আসেন যান
এক সঙ্গে রোজই আসেন
কোটাল কাজী পুরুত খান
আসেন কারণ সবাই মিলে
আরাম ও আনন্দ পান
প্রাচ্য ধর্ম পুণ্য গীতির
চারণরা আয় শুনবি গান
সূর্য্য ডোবার আনন্দ শেষ
এবার বুঝি অন্য কাজ
বছর কয়েক তার পরেতে
নামতে হবে পথের মাঝ
জুটলে কিছু কাটবে রে দিন
না জুটলে তো মাথায় বাজ
পাপ পুণ্যের তত্ত্ব কথা
শুনিয়ে যা না ওদের আজ
মোদের যাঁরা শোনান নীতি
থামেন না বলেন সদাই
মন্দির মসজিদের পাশে
যাঁদের বাণী শুনতে পাই
কোথায় তাঁরা আসুন বারেক
যান দেখে এই দুনিয়াটাই
প্রাচ্য ধর্ম পুণ্য গীতির
চারণদের আজ কোথায় ঠাঁই
(লুধিয়ানার সাহিরের "পিয়াসা"র গজ়ল ও "চাকলে" নাজ়মের যৌথ ও আংশিক ভাবানুবাদ)