"আপনি পারেন! নিত্যি নতুন জোক তৈরি করা কি চাট্টিখানি কথা!" বলেছিলাম একদিন।
"ও কিছু না, ও কিছু না।" রবিদা বৈষ্ণববিনয়ে বলেছিলেন, "ও তো মাথায় নিজের থেকেই এসে যায়। স্রেফ পুরোনো জোক রি-সার্কুলেট হলে কি তার দম থাকে?"
"কিন্তু আজকাল তো সোশ্যাল মিডিয়ায় তাই হচ্ছে।"
"শোনো তবে একটা গপ্পো বলি। একটা শহরের লোকেরা খুব রসিক ছিল। ঘন ঘন জোক ছাড়া আড্ডা জমত না। কালক্রমে তাদের জোকের স্টক ফুরিয়ে গেল। কী করে, অগত্যা পুরোনো জোকগুলিই রিপিট। তারপর তারা এক শর্টকাট আবিষ্কার করল। একটা লিস্টি বানিয়ে তারা প্রতিটি জোকের এক একটা নম্বর দিয়ে দিল। সেই জোকটা করতে হলে শুধু সেই নম্বরটা বলতে হবে। যেমন ধরো কেউ বলল, দুশো সাতাশ। অমনি সবাই জোকটা মনে করে হাসতে শুরু করল।
এমন এক আড্ডায় একবার একজন ধরো বলেছে তিনশো নব্বই, আর সবাই খ্যাকখ্যাক হাসতে লেগেছে। কিন্তু দেখা গেল সবার হাসি থেমে গেলেও একজন হেসেই চলেছে।
'কী ব্যাপার, তুমি এখনও হাসছ?'
'আসলে এই জোকটা আমি প্রথম শুনলাম কিনা।'
তাহলে বুঝেছ, নতুন নতুন জোক বানানোর মাহাত্ম্যটা কী?"
রবিদার 'প্র্যাকটিকাল জোক'এর দু-একটা নমুনা দিই। কয়েক বছর আগে একদিন তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখলাম, তিনি এক্সেল শিটে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফর্ম ভরছেন। ভরতে গিয়ে 'সেক্স'এর রেডিও বাটনে 'মেল' বা 'ফিমেল' অপশন সিলেক্ট করতে ভুলে গেছেন, তাই সিস্টেম এরর দিয়েছে।
"কী গেরো, বলছে, সেক্স ইজ ম্যান্ডেটরি!" রবিদা ভালোমানুষের মতো মুখ করে বৌদির দিকে আড়চোখে চেয়ে বললেন, "বলি, বয়সের তো একটা ব্যাপার আছে!"
আবার একদিন বলছিলেন, "জানো তো, সেলুনে পা দিতে আমার খুব অনীহা। নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে নাপিতের কাঁচির সামনে আত্মসমর্পণ করতে খুব অপমান হয়।"
বৌদি পাশ থেকে বললেন, "চুল বড় হয়ে ঝুঁটি বাঁধার মতো হয়ে যায়, তবু সেলুনে যাবে না। একদিন মা দেখে বলেছিলেন – রবি, তুমি চুল কাটো না, তোমার মাথা গরম হয়ে যায় না? অমনি বলল – মা, আপনার কথায় আমার চোখ খুলে গেল। বুঝলাম, মেয়েদের চুল কাটার স্বাধীনতা না থাকলে সংসার শান্তির হবে না।"
হেসে বললাম, "বৌদি, অ্যাদ্দিন ঘর করছেন, জানেনই তো লোকটাকে। তা রবিদা, আজ কিন্তু আপনার মাথাটা বেশ হাল্কা লাগছে।"
"হ্যাঁ, আজ তোমার বৌদির তাড়নায় শেষ অব্দি সেলুনে গিয়ে চুলটুল যথাসাধ্য ফেলে এলাম। কিন্তু বাড়ি ঢুকতে না ঢুকতেই আবার এক ঝামেলা। মোবাইলে মেসেজ এসে হাজির, আপনার হারানো চুল ফিরে পেতে চান? তবে এই নম্বরে ফোন করুন! ব্যাটারা এত তাড়াতাড়ি খবর পেল কীভাবে?"
"আপনি পারেন!" এ ছাড়া কিছু বলার ছিল না।
রক্ত পরীক্ষায় রবিদার কীসব যেন বেশি পাওয়া গেছে। ডাক্তার বলেছেন তৈলাক্ত পদার্থ কম খেতে আর বেশি করে 'ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবলস' খেতে। তা, একদিন বিকেলে গিয়ে দেখি উনি ডাইনিং টেবিলে বসে গপাগপ চিকেন কাটলেট মারছেন। বললাম, "সে কী রবিদা, আপনার ডায়েট?"
মুখে এক অনাবিল হাসি ফুটিয়ে দাদা বললেন, "যা ভেজে টেবলে রাখা হয় তাই তো ভেজেটেবল।"
আরেক দিন রান্নাঘর থেকে বৈকালিক চা আসতে একটু দেরি হচ্ছে দেখে রবিদা হাঁক পেড়েছেন, "কই গো, হল?"
রান্নাঘরের গরমে উষ্ণ বৌদি একটু তেড়িয়া হয়ে উত্তর দিলেন, "দিচ্ছি। আমি তো একা হাতে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সব করি, তাই একটু সময় লাগে।"
"মানছি ডিয়ার, তোমরা গৃহবধূরা দুই হাতে দশভূজা।" রবিদা মৃদু হেসে বললেন, "কিন্তু উপমাটা ঠিক হল না। জুতো সেলাই বা চণ্ডীপাঠ, কোনোটাই তোমরা করো না। বরং বলতে পারো কিচেন থেকে কী-চেন অর্থাৎ রান্নাঘর থেকে গৃহস্থালী সব দায় তোমরা সামলাও।"
ভালোই চলছিল। কিন্তু ইদানিং মুস্কিল হয়েছে, রবিদার রসবোধ রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। একদিন খুব ভাবগম্ভীর ভাবে বলছিলেন, "একটা গপ্পো শোনো। একদিন রবীন্দ্রনাথদের বাড়িতে পারিবারিক আড্ডা বসেছে। অবনীন্দ্রনাথ ছিলেন খুব রসিক মানুষ। তিনি অনবরত মজার মজার কথা বলে সবাইকে হাসাচ্ছেন। এমনকি অমন যে রাশভারি গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, তিনিও মাঝে মাঝে গাম্ভীর্য ভুলে ফিক করে হেসে ফেলছেন। তাই দেখে রবীন্দ্রনাথ তক্ষুণি মনে মনে কবিতা বানিয়ে ফেললেন,
'হেরো হেরো অবনীর রঙ্গতবে জাত কবি তো। তাই পরে লাইনগুলির আগেপিছে কথা যোগ করে বানিয়ে ফেললেন এক লা-জবাব গান।"
গগনের করে তপোভঙ্গ।
হাসির আঘাতে তার
মৌন রহে না আর
কেঁপে কেঁপে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।'
হাই তুলে বললাম, "এটা বছর পঁচিশ ধরে নানা সার্কিটে ঘুরতে ঘুরতে অ্যাদ্দিনে ঠোঙা হয়ে গেছে। এরপর নিশ্চয়ই বলবেন, রবীন্দ্রনাথের একদিন গায়ে খুব ব্যথা। ডাক্তার এসে বললেন, দেখি, আপনার কীসের ব্যথা? তখন রবীন্দ্রনাথ গান বাঁধলেন, যদি জানতেম আমার কীসের ব্যথা তোমায় জানাতাম।"
"ওটাও শুনে ফেলেছ!" রবিদা দুঃখিতভাবে মাথা নাড়লেন।
এও একরকম ছিল। কিন্তু এরপর উনি শুরু করলেন রবীন্দ্রনাথকে পুনরাবিষ্কার বা 'রি-ইনভেন্ট' করা। যেমন, "জ্বালব না মোর বাতায়নে" বলতে যুগদ্রষ্টা কবি নাকি আসলে বলতে চেয়েছেন "জাল বোনা মোর বাতায়নে" অর্থাৎ আমার বাতায়ন বা উইন্ডোতে জাল, মানে আন্তর্জাল বা ইন্টারনেট লাগানো।
এটা যদি বা হজম হচ্ছিল, একদিন "দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে"কে বদলে "দাড়ি হে, আছ তুমি আমার গালের ওপরে" গাইতে শুনে আমি আর থাকতে না পেরে বললাম, "দাদা, এটা কি ঠিক হচ্ছে – রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে পিজে?"
"পিজে কোথায়? দেখিসনি রবি ঠাকুরের গালভর্তি দাড়ি? আরে, মহৎ সাহিত্যের তো এটাই লক্ষণ – তার নানা ভার্সন, নানা ব্যাখ্যা-অপব্যাখ্যা হবে। রামায়ণের দেখিস না কত ভার্সন?"
বৌদির মুখে শুনলাম, এই রবি কেত্তন নাকি সকালবেলার থেকেই শুরু হয়। ডাক্তারের নির্দেশ মোতাবেক বৌদি রবিদার ব্রেকফাস্টে ডিম-পাঁউরুটি বন্ধ করে রুটি-তরকারির ব্যবস্থা করেছেন। রবিদা নাকি তাই প্রায়ই ব্রেকফাস্টের মেনু দেখে 'আনমনা গো আনমনা'র সুরে গেয়ে ওঠেন, "তরকারি গো তরকারি, সকালবেলা উঠে তোমার খাওয়াটা কি দরকারি?"
আবার একদিন সকালে রবিদার ঘুম ভেঙে গেছে আর খিদে পেয়েছে অথচ বৌদির তখনও ঘুম ভাঙেনি। তা, 'গৃহকর্মনিপুণ' রবিদা কি তাতে দমে যাওয়ার পাত্র? তিনি নিজহাতে আটা মেখে রুটি বেলতে শুরু করেছেন, এমন সময় বৌদির ঘুম ভাঙল। তাড়াতাড়ি রান্নাঘরে এসে রবিদাকে রুটি বেলতে দেখে বললেন, "ইস, আমাকে আগে ডাকলে না? তোমার রুটি বেলাও হয়ে গেল!"
"ওভাবে নয় ডিয়ার!" রবিদা বললেন, "বলো – কেন যামিনী না যেতে জাগালে না? বেলা হল, মরি লাজে।"
একদিন অবশ্য আমার একটু ধৈর্যচ্যুতি হল। সেদিন সন্ধেয় এক দমকা ঝড় ছেড়েছে আর রবিদাদের পুরোনো বাড়ির কার্নিশ থেকে পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। তখন রবিদা হেঁড়ে গলায় কিন্তু র-ড়'র নির্ভুল উচ্চারণে গান ধরলেন, "আজ বাড়ি ঝড়ে ঝরোঝরো…"
বললাম, "রবিদা, কবিগুরুর গান, কবিতার লাইন নিয়ে মস্করা করছেন, এর পরিণতি কি ভালো হবে?"
"কী হবে?" রবিদা একটু বেপরোয়া ভঙ্গীতে উত্তর দিলেন, "ওঁর কপিরাইট তো ২০০১ সালেই শেষ, ধরুক দেখি পুলিশে!"
"পুলিশে নয়, দাদা। রবীন্দ্রনাথের অগুনতি ভক্তের দল জানতে পারলে আপনার জান কয়লা করে দেবে। হাতে মারতে না পারলে মারবে সোশ্যাল মিডিয়ায়।"
মুখটা দুঃখু দুঃখু করে রবিদা বললেন, "এটাই তো আজকালকার জেনারেশনের দোষ – তারা বড্ড একবগগা। আমাদের সময় এমনটা ছিল না। তখন মানুষ প্যারোডি, ব্যঙ্গকৌতুকের কদর করতে জানত। বড় বড় মানুষের গানের প্যারোডি হয়েছে, তাঁরা সেসব সকৌতুকে উপভোগ করেছেন। ডি এল রায় রবি ঠাকুরের 'আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি, তুমি অবসরমতো বাসিও'র প্যারোডি লিখেছিলেন,
'আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি, তুমি লেজার মাফিক বাসিও।আবার ডি এল রায়ের 'আইকনিক সং' 'ধনধান্য পুষ্প ভরা'র প্যারোডি হয়েছিল 'ক্যালকাটা সুইমিং ক্লাব'কে নিয়ে,
আমি নিশিদিন রেঁধে বসিয়ে আছি, তুমি যখন হয় খেতে আসিও।
আমি সারাদিন তব লাগিয়া রব চটিয়া মটিয়া রাগিয়া
তুমি নিমেষের তরে প্রভাতে এসে দাঁত বের করে হাসিও।'
'রংবেরঙের সঙের বাসা আমাদের এই শহর খাসা।নজরুলও রবীন্দ্রনাথকে ছাড়েননি। তাঁর 'একদা তুমি প্রিয়ে আমারই এ তরুমূলে'কে নকল করে ছড়া বেঁধেছিলেন,
তাহার মাঝে আছে ক্লাব এক সকল ক্লাবের সেরা।
পুকুরজলে তৈরি, সে যে ঝাঁঝির জলে ঘেরা।'
'একদা তুমি আগা দৌড়কে ভাগা মুর্গি লেকে।এসব সবাই সানন্দে উপভোগ করেছে, কোনো ভক্তের ভাবাবেগ এর ফলে ক্ষুণ্ণ হয়নি। আসলে আমাদের সময় লোকে বিখ্যাত মানুষ অথবা দেবতা কাউকেই ভয় পেত না, ভালোবাসত। তাদের ঘরের মানুষ বলে মনে করত। তাই এমনকি দেবতাকেও তুইতোকারি করতে বা অপশব্দে সম্ভাষিত করতে দ্বিধা করত না। এটাই বাঙালির সংস্কৃতি, যা আজকাল কিছু কাঠগোঁয়ারের পাল্লায় পড়ে ধ্বংস হতে বসেছে।"
তোমারে ফেলিনু চিনে চাঁদবদনে জমকালো চাপদাড়ি দেখে।'
দাদার তেজোদৃপ্ত মুখ দেখে জিগ্যেস করতে গিয়েও করলাম না রবীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রলালের আমলে তাঁর বয়স কত ছিল।
রবিদার 'রবিরোগ' সেরেছে। তবে তার কারণ পুলিশ বা রবিভক্তকুল নয়, আর এক প্যারোডিশিল্পী।
রবিদা মাঝে মাঝে মোড়ের দোকান থেকে পান খান। সেদিন গিয়ে যখন পানের অর্ডার দিলেন, ছোকরা পানওয়ালা গণেশ মোবাইলে কী যেন শুনছিল আর ফিকফিক হাসছিল। পানে গোটাদুই চিবুনি দিয়েই রবিদা বুঝলেন, অন্যমনস্ক গণেশ ভুল করে তাতে কী একটা নোনতা মশলা দিয়ে ফেলেছে।
কিন্তু রবিদা তো! তাই সরাসরি সেটা না বলে তিনি গেয়ে উঠলেন, "এ কী লবণে পূর্ণ পান এ, গণেশ ওহে?"
গণেশ কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকার পর বলল, "দাদা, এই রোদ্দুরগীতিটা তো আগে শুনিনি। আমার ওয়াটস্যাপ নম্বরটা দিচ্ছি, লিঙ্কটা ফরোয়ার্ড করে দেবেন?"
হতভম্ব রবিদা "রোদ্দুরগীতি নয়, এটা আমার ছোটবেলায় শোনা গান" বলে তাড়াতাড়ি কেটে পড়লেন।
"এই রোদ্দুরগীতি ব্যাপারটা কী, বলো তো?" রবিদা অসহায়ের মতো আমাকেই জিগ্যেস করলান।
বললাম, "আপনি তো সেই আমলের লোক, রোদ্দুর রায়কে চেনেন না। ইনি, ইয়ে, আপনার মতোই একজন প্যারোডিশিল্পী। অনেকে ভাঁড় বা ভাটও বলে থাকে। রবীন্দ্রসঙ্গীতের এখানে সেখানে – মানে, ঐ অপশব্দ গুঁজে তিনি বিখ্যাত। আধুনিক প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে তাঁর ব্যাপক পপুলেশন – ইয়ে, পপুলারিটি। তাঁর লক্ষ লক্ষ – থুড়ি, মিলিয়ন মিলিয়ন ভক্ত সমবেত কণ্ঠে আওয়াজ তোলে – জেল কা তালা টুটে গা, রোদ্দুর রায় ছুটে গা।"
রবিদা সন্দিগ্ধ ভঙ্গীতে জিগ্যেস করলেন, "তুমি না বললে কৌতুকশিল্পী? তাহলে জেল, তালা, ঐসব –"
কিছুক্ষণ ভেবে বললাম, "বোধহয় জানেন, বাংলা ভাষায় একটা বোকাত্মক শব্দ আছে, যা এককালে ঐ অপশব্দ ছিল কিন্তু কালক্রমে অতিব্যবহারে জীর্ণ হয়ে আজকাল কথার লব্জ হয়ে গেছে?"
মুখ লাল করে রবিদা বললেন, "বোধহয় জানি।"
"রোদ্দুর বাবু ঐ শব্দটার লিঙ্গ পরিবর্তন করতে গিয়ে কেস খেয়ে গেলেন।"
রবিদা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন দেখে বললাম, "বাকিটা ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন। একটু তাড়া আছে, আজ উঠি।"
ক'দিন পর রবিদার বাড়িতে গিয়ে বেল মারলে চিন্তিতমুখ বৌদি দরজা খুললেন। বললেন, "দ্যাখো তো, তোমাদের দাদার কী যেন হয়েছে। আর রবি ঠাকুরের ছড়া কাটছে না। নিজের মনেই কী যেন বকছে আর মাঝে মাঝেই মাথা গরম করে ফেলছে।"
ভেতরে গিয়ে দেখি, দাদা আইস ব্যাগ মাথায় দিয়ে বসে আছেন। কাছে গেলে শুনলাম তিনি বিড়বিড় করে বলছেন, "হায় অমলকান্তি, তুমি কি এইজন্যেই রোদ্দুর হতে চেয়েছিলে?"