• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৯১ | জুলাই ২০২৩ | গ্রন্থ-সমালোচনা
    Share
  • 'জোয়াই ' – শোষণের অজানা সহজপাঠ : রঞ্জন ভট্টাচার্য

    জোয়াই (মেঘালয়ের অবৈধ কয়লাখনি আখ্যান) — অমিতাভ রায়; দে'জ পাবলিশিং, কলকাতা; প্রথম প্রকাশ- এপ্রিল ২০২২, ISBN: 978-93-94079-75-5

    তখনও লকডাউনে পরিযায়ী লং মার্চের অবর্ণনীয় বিবরণের সাদাকালো ছবি দগদগ করছে মনের মধ্যে। দু- হাজার বাইশের আঠাশে আগস্ট। রবিবার। আনন্দবাজার পত্রিকায় রাজীবাক্ষ চক্রবর্তীর লেখা 'অরুণাচলের জঙ্গলে সতেরো দিন' পড়ে রবিবাসরীয় বাঙালি পাঠক চমকে উঠেছিলেন। মালিক ও কন্ট্রাক্টরের মধ্যযুগীয় শোষণ থেকে বাঁচার জন্য অরুণাচলের দুর্গম পাহাড়ি সুঁড়িপথ, শ্বাপদ সংকুল জঙ্গল পেরিয়ে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় মুমূর্ষু কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিকের পালিয়ে আসার সেই রোমহর্ষক অভিযান কাহিনী উত্তরপূর্ব ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ বাঙালি হৃদয়কে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এই লেখারই তৃতীয় অনুচ্ছেদে লেখক উল্লেখ করেছিলেন উত্তরপূর্ব ভারতের আর একটি রাজ্য, ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির রোমান্টিকতাকে উসকে দেওয়া মেঘালয়ের কসানের কয়লা খনি দুর্ঘটনার কথা। "যেখানে পাথরের দেওয়াল ভেঙে হুড়মুড়িয়ে ঢোকা নদীর জলে ডুবে মরেছিলেন ১৬ জন শ্রমিক।" (অরুণাচলের জঙ্গলে সতেরো দিন — আ: বা: পত্রিকা ২৮ আগস্ট ২০২২)। মূল কাহিনীর টানটান উত্তেজনায় এই খবরটায় অনেকেই হয়তো গুরুত্ব দেননি। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথ, 'শেষের কবিতা', চেরাপুঞ্জি, শিলং পিক আর অসংখ্য ছোটো-বড় মনোলোভা ঝরণার প্রেমে আবিষ্ট প্রকৃতিপ্রেমী বাঙালির কাছে মেঘালয় চিরকালই স্বর্গের আগের স্টেশন। সেই প্রকৃতির স্বর্গরাজ্যে লুকিয়ে থাকা অবৈধ কয়লাখনি, খনি মালিকদের মধ্যযুগীয় শোষণ, অত্যাচার এবং মানুষের মুনাফার লোভের আগুনে ঝলসে যাওয়া শিশু শ্রমিকদের জীবন যন্ত্রণার কথা অবাস্তব মনে করে এড়িয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এ যেন চেনা মেঘালয়ের গহিন প্রদেশে লুকিয়ে থাকা অচেনা এক মেঘালয়।

    অমিতাভ রায়ের লেখা 'জোয়াই' সেই অচেনা মেঘালয়ের অন্ধকার বাস্তবের ওপর থেকে উন্মোচন করেছে অপরিচয়ের অবগুণ্ঠন। প্রচ্ছদেই লেখক মেঘালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আবিষ্ট পাঠককে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর উদ্দেশ্য শিরোনামের নীচে বন্ধনীর মধ্যে 'মেঘালয়ের অবৈধ কয়লাখনি আখ্যান' – এই চার শব্দের সংক্ষিপ্ত অথচ অমোঘ লাইনটি উল্লেখ করে।

    জোয়াই মেঘালয়ের এগারোটি জেলার অন্যতম ওয়েস্ট জয়ন্তীয়া হিলস্ জেলার সদর শহর। শিলং - শিলচর জাতীয় সড়কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই শহর পর্যটন মানচিত্রের মধ্যে পড়ে না। শুধু জোয়াই না, সমগ্র জয়ন্তীয়া হিলস্ই মেঘালয়ের দর্শনীয় স্থানের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি। ফলে জোয়াই-এর নাম, ধাম, ইতিহাস, পরিচয় বাঙালি পাঠকের কাছে আফ্রিকার কোনো প্রত্যন্ত ভুখণ্ডের মতোই অজানা। জোয়াই মেঘালয়ের অবৈধ কয়লা খনি ও কয়লা ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র। এই কারণেই লেখক তাকে স্থান করে দিয়েছেন শিরোনামে। রহস্যময় অভিযান কাহিনীর আদলে বিন্যস্ত এই বইয়ের কথাবস্তুর কেন্দ্রেও রয়েছে জোয়াই।

    ।।দুই।।

    'অবৈধ' ও 'মাফিয়া' এই বিশেষণ দুটি আবিশ্ব ছড়িয়ে থাকা খনি এলাকার সঙ্গে চিরকাল আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। এই বাংলায়ও পশ্চিম বর্ধমানের খোলামুখ কয়লাখনি, কয়লা মাফিয়া, চোরাচালান দৈনন্দিন বহুচর্চিত বিষয়। সংবাদপত্রের রিপোর্টাজ থেকে শুরু করে গল্প, উপন্যাস, চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় প্লট। কিন্তু জোয়াইকেন্দ্রিক মেঘালয়ের কয়লাখনি ও তার ব্যবসা সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার। প্রায় মধ্যযুগীয় খনন ব্যবস্থা ও আধুনিক মাফিয়ারাজের মিশ্রণে তৈরি হওয়া আদ্যন্ত বেসরকারি বেআইনি এই কয়লা ব্যবসা শুধু ভারত না সারা পৃথিবীতেই বিরলদৃষ্ট। জীবিকাসূত্রে ভারত সরকারের প্ল্যানিং কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক অমিতাভ রায় কর্মসূত্রে অর্জিত ক্ষমতায় মেঘালয়ের দুর্গম ও পর্যটকের প্রবেশ নিষিদ্ধ এই সব এলাকার বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন এবং জন্মগত সৃজনশীলতায় অত্যন্ত স্বাদু ভঙ্গিতে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন এই অমানবিক অন্ধকার জগতের অন্ধিসন্ধি।

    মেঘালয়ের অনেক জায়গায় বিশেষ করে ইস্ট ও ওয়েস্ট জয়ন্তীয়া জেলার অধিকাংশ এলাকায় মাটির গভীরে রয়েছে কয়লা। "ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের বিধি মেঘালয় রাজ্যে প্রযোজ্য বলে জমির মালিক ওই কয়লার সত্বাধিকারী। কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের পক্ষে কয়লাসমৃদ্ধ এইসব জমি অধিগ্রহণ আইনত সম্ভব নয়। তার ওপর এই কয়লা উন্নত মানের নয় বলে কয়লা উত্তোলনে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগে কোনো নামকরা সংস্থা এগিয়ে আসেনি।" (জোয়াই– পৃ ১৫) এমনকি সরকারি 'কোল ইন্ডিয়া'ও এ বিষয়ে উৎসাহ দেখায়নি। ফলে পুরো ব্যবস্থাটাই বেসরকারি। মাটির তলা থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য যে আর্থিক ক্ষমতা প্রয়োজন তা দরিদ্র জমির মালিকের থাকে না। আর এই দারিদ্রকে মাধ্যম করে প্রবেশ করে দ্বিতীয় পক্ষ – ধনী কন্ট্রাক্টর, মাফিয়া। তাদের মদত যোগায় রাজনৈতিক নেতা- নেত্রী। "তাঁদের অনেকেই নাকি এইসব বেআইনি খনির মালিক।" (জোয়াই – পৃ. ১৮) জমির মালিক কয়লার সত্বাধিকারী হলেও পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে বিরাট মাফিয়া চক্র। "কোন খনির কয়লা কোন ট্রাকে ভর্তি করা হবে থেকে শুরু করে কোন ট্রাক কোথায় যাবে তা ঠিক করে দেয় মাফিয়া চক্রের নিয়োগ করা একদল দালাল।" (জোয়াই- পৃ. ১৮)

    সম্পূর্ণ বেআইনি এই ব্যবসার সবচেয়ে অমানবিক স্তর হলো কয়লা উত্তোলনের প্রাচীন পদ্ধতিটি। মাটির নিচ থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য যে বিপুল অর্থলগ্নি ও সরকারি শিলমোহরের প্রয়োজন কোনোটাই এখানে নেই। ফলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছোট্ট একটা গর্ত খুঁড়ে 'Rat hole mining' পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা হয়। "সবমিলিয়ে ইঁদুরের গর্তের এ এক পরিবর্ধিত সংস্করণ।" (জোয়াই-পৃ. ১৫) গর্তের ভেতর দিয়ে অগভীর অপ্রশস্ত সুড়ঙ্গ পৌঁছে যায় কয়লার স্তর পর্যন্ত।

    অপরিকল্পিতভাবে কয়লা কাটতে কাটতে সুড়ঙ্গ শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে এগিয়ে চলে। গর্তের মুখ ও অপ্রশস্ত সুড়ঙ্গ দিয়ে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ঢোকা সম্ভব নয়। ফলে আসামের মতো পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে বাছাই করে সংগ্রহ করা হয় রোগা বেঁটে শিশু শ্রমিক। গাঁইতি, বেলচা কাঁধে নিয়ে কোনোরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই অপরিসর অন্ধকার খনিতে প্রবেশ করে সুকোমল শৈশব। দুর্ঘটনাও ঘটে নিয়মিত। যার একটির উল্লেখ এই লেখার সূচনায় করা হয়েছে। এই মধ্যযুগীয় শিশু-শোষণ, দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হন শ্রীমতী আগনেস খারসিং ও তাঁর সঙ্গীরা। মাফিয়া সিস্টেমের রীতি অনুযায়ী তাঁরা আক্রান্ত হন। রাজনীতির মদত পুষ্ট প্রবল ক্ষমতাসম্পন্ন মাফিয়াদের বিরুদ্ধে প্রশাসন চিরকাল নীরবই থেকেছে। এ ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। অন্যদিকে আইনব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতায় প্রকৃতির স্বর্গরাজ্যে অবাধে চলতেই থাকে এই বর্বর শোষণ-নিপীড়ন ও বেআইনি কয়লা ব্যবসা।

    ।। তিন ।।

    অত্যধিক বিষয়নিষ্ঠতা ও তথ্য-নির্ভরতা লেখার পাঠযোগ্যতাকে ব্যাহত করে। অ্যাকাডেমিক উদ্দেশ্য সফল হলেও কোনো কোনো বই সাধারণভাবে পাঠকতোষ হয়ে উঠতে পারে না। 'জোয়াই'-এর লেখক অমিতাভ রায় যোগ্যতার সঙ্গে সেই দুর্বলতা থেকে নিজের লেখাকে মুক্ত রাখতে পেরেছেন। বিষয়ের গভীরতা ও তথ্যের পর্যাপ্ত উল্লেখ থাকলেও উপস্থাপনের স্বাদুতায় 'জোয়াই' বারবার পড়লেও পাঠক ক্লান্ত একঘেয়েমির শিকার হবেন না। ইতিহাস ও ভ্রমণকাহিনী পাঠের আকর্ষণ এবং বৈঠকি গল্পের আমেজে বইটি এক সিটিং-এ শেষ না করে পাঠকের মুক্তি নেই।

    মেঘালয়ে খনিজ সম্পদের আবিষ্কর্তা ইংরেজ সরকার। ঐতিহাসিক নথি অনুযায়ী, "১৮১৫ নাগাদ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জনৈক আধিকারিক (মি, স্টার্ক) কর্তৃপক্ষকে জানান যে সিলেটের সীমানার কাছাকাছি কোনও একটা জায়গায় কয়লার স্তর (পরিভাষায়, - সীম) তাঁর নজরে এসেছে। "(জোয়াই- পৃ. ৫৩) শুধু কয়লা নয় ইউরেনিয়ামেরও খোঁজ মেলে। শুরু হয় ইংরেজ আগ্রাসন। এবং বিদ্রোহও। ইউ তিরথ সিং-এর নেতৃত্বে বিভিন্ন উপজাতি সংঘবদ্ধভাবে লড়াই শুরু করে। ব্রিটিশ সাম-দাম-দণ্ড-ভেদের নীতিতে দেশীয় শক্তির হার অবধারিত ছিল। হয়ও তাই। অন্যদিকে খনিজ সম্পদের নিম্নমানের কারণে ইংরেজ ও ১৯৪৭-এর পর স্বাধীন দেশীয় সরকার আগ্রহ হারায়। সেখানে জায়গা করে নেয় বেসরকারি ছোটো পুঁজির বেআইনি উদ্যোগ। অমিতাভ রায় মেঘালয়ের খনি-জগতের এই দীর্ঘ ইতিহাসকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভঙ্গিমায় বর্তমানের চালচিত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এই অংশটি 'জোয়াই' পাঠের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবিভাজ্য পর্ব।

    যে কোনো অভিযান কাহিনীর জনপ্রিয়তার পেছনে থাকে দুটি বিষয়। পরতে পরতে রোমহর্ষক রোমাঞ্চ ও ভ্রমণ কাহিনীর মুগ্ধতা। লেখক 'জোয়াই'-এর কথাবস্তু নির্মাণে দক্ষতার সঙ্গে এই দুটি কৌশলকে ব্যবহার করেছেন। পিঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো ধীরে ধীরে শিলং ভ্রমণের পরিচিত বর্ণনা করতে করতে পাঠককে পৌঁছে দিয়েছেন মূল বিষয়ের দোরগোড়ায়। প্রেমেন্দ্র মিত্রের বিখ্যাত 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার' গল্পের মতো পরোক্ষ ন্যারেটিভের সাহায্যে লেখক পাঠককেও সঙ্গী করে নিয়েছেন তাঁর অভিযানে। সরাসরি লেখক নন, পাঠকই যেন চলেছেন মেঘালয়ের অবৈধ কয়লাখনির রহস্য উন্মোচনে। প্রসঙ্গত কিছুটা অংশ উদ্ধৃত করা যেতে পারে—"নারতিয়াং-এ যখন এসেই গেছেন আর সঙ্গে বৈধ কাগজপত্র মানে পাসপোর্ট-ভিসা থাকলে সরাসরি জেলা সদর জোয়াই-এ চলে আসুন। মেরেকেটে ঘন্টাখানেক।" (জোয়াই- পৃ. ২৩) রোমাঞ্চক ভঙ্গিতে লেখকের 'Rat hole' খনি গহ্বরের বর্ণনা পড়তে পড়তে মনে হয়ে নিজেই চাক্ষুষ করছি দৃশ্যটি, এতটাই জীবন্ত — "হঠাৎ করে দুই পাহাড়ের মাঝের সমভূমিতে বৃত্তাকারে দাঁড়িয়ে আছে তিনটে বা চারটে বাঁশ। বাঁশগুলির গোড়া মাটিতে একটা নির্দিষ্ট দূরত্বে পোঁতা থাকলেও মাথাগুলো কিন্তু ঝুঁকে পড়ে একসূত্রে বাঁধা। আরও ভালো করে নজর করলে দেখা যায় সেই ঝুঁটি বাঁধা বাঁশের খাঁচা থেকে একটা কপিকলের মধ্যে দিয়ে দুটি তারের দড়ি ঝুলছে। কাছে গিয়ে খুঁটিয়ে দেখলে চোখে পড়বে একটি তারের সঙ্গে লটকে রয়েছে একটা ঝুড়ি।" (জোয়াই – পৃ. ১১)

    তবে খনির সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক ও মালিকপক্ষের দু-একজনের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার থাকলে মনে হয় 'জোয়াই' সবদিক থেকে সার্থক স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি অনুসন্ধানমূলক কাহিনী হয়ে উঠতে পারতো।

    ।। চার ।।

    শিলং-এর সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছেন রবীন্দ্রনাথ। ষোলো পাতার ছবি সহ তিরানব্বই পাতার নাতিদীর্ঘ 'জোয়াই'-এর অনেকটা অংশেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথের উল্লেখ। মেঘালয়ের একদিকে অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং তার বিপরীতে কয়লাখনির কঠোর বাস্তবতার দ্বান্দ্বিক সহ-অবস্থানের মতোই রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন ভিন্ন ঘরানার 'শেষের কবিতা' উপন্যাস ও 'রক্তকরবী' নাটক। অমিতাভ রায়ও তাঁর লেখায় মেঘালয়ের এই দ্বৈত রূপকে তুলে ধরতে পেরেছেন সার্থকভাবে।

    _______

    পুনশ্চ — আঠাশে জুন দু-হাজার তেইশ আনন্দবাজার পত্রিকার সাতের পাতায় 'এক নজরে' শীর্ষক কলমে প্রকাশিত হয়েছে একটি ছোট্ট খবর, "মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে চলা অবৈধ কয়লা ব্যবসা রুখতে ও চিহ্নিত পাচারকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল মেঘালয়ের হাইকোর্ট।" 'জোয়াই'-এর লেখক অমিতাভ রায়ও তো এরকমই চেয়েছেন তাঁর লেখার মধ্যে দিয়ে।

  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments