সেই না দেখা নদীর তালিকা থেকে আজ দেখলাম এক অপূর্ব নদী। এ নদী সুদূর তিব্বত থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে অনেক পাহাড় জঙ্গল জনপদ লোকালয় দিয়ে বইতে বইতে এসে যে শহরকে আলোকিত করেছে, সেই শহরের নামও "আলো"।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় রাজ্য অরুণাচল। পাহাড়, নদী, গভীর জঙ্গল আর নানান উপজাতির বৈচিত্র্য নিয়ে অরুণাচল খুবই আকর্ষণীয়। পশ্চিম সিয়াং জেলার এক সুন্দর শহর আলং। কিন্তু এখন আর কেউ এই নামে ডাকে না শহরটাকে, সবাই বলে, আলো।
এই আলো শহরকে ছুঁয়ে ইয়মগো বয়ে চলেছে কুলকুল করে। যে কোনও শহরের পাশে একটা নদী থাকা মানেই সেই শহর একটু বিশেষ হয়ে ওঠে। নদীর সৌন্দর্য শহরকে উজ্জ্বল করে। ইয়মগো তেমনই একটা নদী। আলোকে আলোকিত করে দিয়েছে।
আলোয় আসার আগে আমাকে অনেক অন্ধকার পথ পেরোতে হয়েছে। যাত্রা শুরু করেছিলাম ভোরের আলোয়। কিন্তু পথ ফুরোয় নি। লোয়ার সুবুনসিরি জেলার জিরো থেকে দাপোরিজো এসেছি ভয়ংকর সুন্দর এক পথ দিয়ে। এ পথ তৈরি হচ্ছে নতুন করে। পাহাড় ফাটিয়ে, জঙ্গল সাফ করে ঝকঝকে চওড়া হাইওয়ে বানাচ্ছে BRO.
আগামীদিনে এই পথে আসা খুবই আরামদায়ক ও আকর্ষণীয় ভ্রমণ হবে। কিন্তু আমি এখন এলাম ভয়ংকরতম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আপার সুবনসিরি জেলার দাপোরিজোতে। সারাদিনের পথশ্রম ও গাড়ির ঝাঁকুনির ধকলে শরীর একদম পরিশ্রান্ত। একটা হোটেলে আশ্রয় নেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য। শুধু একবার জেনে নিতে চাইলাম, আগামীকাল কখন আলোর গাড়ি পাব। তাহলে টিকিটটা বুক করে নেব। কিন্তু খবর শুনে সব পরিকল্পনা গেল পাল্টে। জানলাম আগামীকাল কোনও গাড়ি আলো যাবে না। সপ্তাহে দুদিন এখন গাড়ি আলোয় যাচ্ছে। পরশুদিন আলোর গাড়ি পাওয়া যাবে। সুতরাং বাড়তি একটা দিন তাহলে দাপোরিজোতে থাকতে হবে। অথচ আমার পরিকল্পনায় দাপোতে একটা দিন। উপায় বাতলে দিল গাড়ির কাউন্টারের ছেলেটি। হঠাৎ পরিষ্কার বাংলায় বলল, "দাদা, আপনি আজ এখনই বাসার চলে যান। কাল সকালে বাসার থেকে আলোর গাড়ি অনেক পেয়ে যাবেন।" আমি ওর দিকে অবাক হয়ে চেয়ে বললাম, "তুমি বাঙালি?"
"হ্যাঁ। আমি আসামের ছেলে। এখানে গাড়ির লাইনে আছি দশ বছর ধরে।"
ছেলেটির নাম দীপু। সে আমাকে বাসারে যাওয়ার গাড়ির টিকিট ও বাসারে রাত কাটাবার হোটেলও ঠিক করে দিল পাঁচ মিনিটের মধ্যে। নশো টাকা দিয়ে বাসারের টিকিট নিলাম। পাঁচ ঘন্টার পথ। রাত দশটা বেজে যাবে নতুন জায়গায় পৌঁছাতে। অচেনা এবং আমার পড়াশোনার বাইরে এমন একটা জায়গায় চলে যাবার দুঃসাহস নিয়ে নিলাম শুধুমাত্র দীপুর কথায় বিশ্বাস করে।
পাহাড়ের গভীর নিঃস্তব্ধতা আর রাতের অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে একটা অচেনা পথে পাঁচ ঘন্টা সফর করে এসে বাসারে পৌঁছলাম এবং রাত্রিবাস করার মতো হোটেলে আশ্রয় নিলাম সেই দীপুর পরিকল্পনা মতো। শরীর এবার একদম ছেড়ে দিয়েছে। বারো ঘন্টা জার্নি হয়েছে আজ। অসম্ভব খারাপ রাস্তা ও অচেনা আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে।
খবর নিয়ে জেনে নিলাম কাল সকাল ছটায় আলোর গাড়ি পেয়ে যাব। তাই রাতটা কাটিয়ে চলে যাওয়াই আমার পরিকল্পনা।
বাসার থেকে আলো আসার রাস্তাটা চমৎকার। এমন কিছু বেশি পথ নয়। চল্লিশ কিমি পাহাড়ি রাস্তা।
জিপ সফরে হুশ করে আলোয় চলে এসে বেশ তৃপ্তি পেলাম। সফরসূচির সাথে আবার নিজেকে জুড়ে নিতে পারলাম। একটু শহর থেকে দূরে থাকব ভেবে কয়েকটা হোটেল খুঁজে নিজের পছন্দ মতো হোটেল "মিন- টা" তে উঠলাম। তিনতলার ঘর থেকে ইয়মগোকে সুন্দর দেখা যাচ্ছে। জানলার পর্দা সরিয়ে দিয়ে বিছানায় শুয়ে বসেও ইয়মগো নদীকে দেখার আনন্দ অপূর্ব।
আলো বেশ ছড়ানো শহর। শহরের পাশেই এই সুন্দর নদী ইয়মগো। আলোয় উপজাতি মানুষজনদের অনেক দেখা গেল। তাঁরা বাজার হাট, স্কুল কলেজ, অফিস করছেন।
আলোয় আজ সারাদিন থাকব। আগামীকাল ভোরের জিপ ধরে চলে যাবে এক দুর্গম উপত্যকা মেচুকায়। আলো থেকে মেচুকার দূরত্ব ১৯৫ কিমি। প্রায় আট ঘন্টার লম্বা জিপ সফর। আটশো টাকা ভাড়া দিয়ে জিপের এক নাম্বার সিটটা পেয়ে গেলাম। একদম সামনে বসে সব কিছু দেখতে দেখতে যাব, ছবি তুলব এটাই আমার আনন্দ।
মেচুকার টিকিট হাতে নিয়ে আজ সারাদিন আলো ভ্রমণের পরিকল্পনা করে নিলাম এক অটোর সাথে চুক্তি করে। অটোর চালক স্থানীয় উপজাতি গালো যুবক রেজম গেমলিন। সে বারোশা টাকার চুক্তিতে আমাকে পাঁচটা দর্শনীয় জায়গায় নিয়ে যাবে। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখাবে। পাঁচটা দর্শনীয় জায়গাগুলো হল, ইয়মগো নদীর ওপর প্রাচীন সেতু পাতুম, শহরের বুকে উপজাতিদের মন্দির ডোনিপোলো, এখানকার বিখ্যাত রামকৃষ্ণ মিশন, পি ও পি এবং কাজে রিসর্ট, ও অনেকটা দূরের গালো উপজাতিদের হেরিটেজ ভিলেজ বেনে।
পাতুম সেতু শহর থেকে সামান্য দূরে। অটোয় করে সহজেই পৌঁছে গেলাম। সেতুটা বেশ পুরানো। সেতুর নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে ইয়মগো। নদীর জলে ভাসছে কয়েকটা জেলে নৌকো। আমার চালক-কাম-গাইড রেজম গেমলিন বলল, এই নদীতে মাছ পাওয়া যায় অনেক। স্থানীয় বাজারে সেগুলো বিক্রি হয়। পাতুম সেতু পার করে ওপারে চলে গেছে যে বড় রাস্তাটা সে রাস্তা দিয়ে অনেক পাহাড়ি গ্রামে পৌঁছে যাওয়া যায়। আমি খানিকটা গিয়ে আবার ফিরে এলাম। পাতুম থেকে ইয়মগোকে সুন্দর দেখলাম। নদীর মাঝে মাঝে কেমন চর জেগে আছে। সেই চরে নুড়ি পাথর ও বুনো ঝোপ। আর ছোট ছোট ডিঙি নৌকো। চোখে দেখার মতো এক অসাধারণ দৃশ্য। মন ভরে যায়। ইয়মগো আমাকে মুগ্ধ করে দিয়েছে।
পাতুম সেতু থেকে এবার আমরা সোজা চলে গেলাম রামকৃষ্ণ মিশন-এর স্কুল দেখতে। পাহাড়ের ওপরে এমন বিরাট একটা স্কুল আছে দেখে বেশ অবাক হলাম। ভালো লাগল দেখে কী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। স্কুলের নিজস্ব খামার রয়েছে। সেখানে সুন্দর চাষ হয়েছে। স্কুল এখন বন্ধ। তাই কিছু সংস্কারের কাজ চলছে। কোনও মহারাজ বা ছাত্রদের দেখা পেলাম না।
রামকৃষ্ণ মিশন ঘুরে দেখে চলে গেলাম আবার ইয়মগোর আরেকটা দিকে। যেখানে পর পর দুটো রিসর্ট। পি ও পি এবং কাজে রিসর্ট। পি ও পি-তে ঢুকে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ইয়মগো একদম হাতের কাছে। স্বচ্ছ জল টলটল নদীর প্রায় বুকের কাছেই এই সরকারি অতিথিভবন। অপূর্ব পরিবেশ। এখানে সারাদিন বসে থাকা যায়। ইয়মগোর সঙ্গসুধা পান করা যায়। একদম মন ভালো হয়ে গেল এখানে এসে। রেজম গেমলিনকে বারবার ধন্যবাদ জানালাম এত সুন্দর একটা জায়গায় নিয়ে আসার জন্য। রেজম অল্পবয়সী যুবক। সরলতা আছে ওর ব্যবহারে। ট্যুরিস্টকে দেখাতে চায় ওর শহরের ভালো ভালো সব কিছু। পি ও পি-র ডাইনিং হলে দুপুরের খাবারও খেয়ে নিলাম চটজলদি। অরুণাচলের এই পথের ভ্রমণে সর্বত্র খাবারের দাম ভীষণ রকমের বেশি। যতটুকু না খেলে নয়, সেইটুকু খেতেও খরচ হয়ে যাচ্ছে অনেক।
পি ও পি-র পাশেই রয়েছে বেসরকারি আরেকটা রিসর্ট কাজে। এখানকার পরিবেশও খুব সুন্দর। নদী ও পাহাড়কে দারুণ উপভোগ করা যায় কাজে রিসর্টের লনে বসে।
এবার আমরা মূল শহর ছেড়ে অপূর্ব এক পাহাড়ি রাস্তা ধরে এগিয়ে চললাম গালো হেরিটেজ ভিলেজ বেনের পথে। এই রাস্তাটি চমৎকার। সুন্দর,পরিচ্ছন্ন এই পথ দিয়ে যেতে বেশ লাগছিল। পথের হিসেবে দশ কিলোমিটার হবে।
গালো হেরিটেজ ভিলেজের সামনেই সুন্দর এক তোরণ। তোরণের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করলাম উপজাতিদের এই গ্রামে। এই গ্রামের প্রত্যেকটা বাড়ি তার সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। বাঁশের খাঁচায় মাটি থেকে অনেকটা উঁচুতে ছড়ানো বড় বড় সব বাড়ি। মাথায় খড়ের ছাউনি। সামনে বড় উঠোন। বাগান। নানান ফুল ও ফলের গাছ। আর প্রায় প্রত্যেক বাড়ির উঠোনে নিজস্ব আধুনিক সব গাড়ি। যা এই বাড়ির সঙ্গে ঠিক যেন মানায় না!... কিন্তু গালো উপজাতির এই গ্রামবাসীরা সচেতন ভাবেই বাড়ির এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে রক্ষা করে চলেছে। তাই প্রাচীন এই বাড়ি ঘরের সাথে আধুনিক গাড়ি রাখতে তাঁদের কোনও অসুবিধা হয় না। নিজের চোখে এমন সুন্দর সহাবস্থান দেখে যেমন আশ্চর্য হয়েছি, তেমন শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁদের সাধুবাদ জানিয়ে বলেছি, আপনাদের ধন্যবাদ জানাতেই হয়। ঐতিহ্যকে এভাবে সম্মান করেন দেখে মুগ্ধ হলাম।
গালো হেরিটেজ ভিলেজ দেখে সামান্য এগিয়ে গিয়ে নতুন বেনে সেতু দেখলাম। ২০২২ সালে বানানো হয়েছে স্টীলের পাত ও রড দিয়ে এই ঝকঝকে সেতু। ইয়মগো নদীর ওপর নবনির্মিত সেতুটা দেখতে খুব সুন্দর। এখান থেকে ইয়মগোকে আরও অন্য রূপে পেলাম। পাহাড়ের ওপর থেকে তীব্র গতিতে ঝরণার মত ঝরে পড়ছে। খুব গর্জন আর খরস্রোত।
হেরিটেজ ভিলেজ, ও নতুন সেতু দেখে ফিরে এসে বড় তোরণের সামনে দাঁড়ালাম। এই গ্রামের গালো মহিলারা তাঁদের জমি ক্ষেতির নিজস্ব শাক সব্জি নিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রির জন্য। পথ চলতি মানুষজনরা কিনে নিয়ে যাবেন এই আশায়। আমি ঘুরে ঘুরে এই মহিলাদের টাটকা সব শাকসব্জি দেখলাম। জানলাম এগুলো সব একশো ভাগ জৈব সারে বানানো। তাই খুব উপাদেয় ও উপকারী।
আমি কলকাতা থেকে আসা পর্যটক জেনেও ওরা আবদার করে বলল, "একটু নিয়ে যান আমাদের জিনিস।"
নানান রকম শাক, বেগুন, ঝাল লংকা, মোচার মত দেখতে এক রকমের সব্জি, গাজর, বাঁধাকপি সব রযেছে। আমি কি কিনব আর কিনেই বা কি করব!.. তবু ওদের ছ'জন মহিলার প্রত্যেকের থেকে কুড়ি টাকা করে ভাগার একটা করে সব্জি মনের আনন্দে কিনলাম। ওরা খুব খুশি। কেনার পর ওদের সামনেই আমার গাড়ির চালক ও গাইড গালো যুবক রেজম গেমলিনকে দিয়ে বললাম, "ইয়ে সব তুম ঘর লে যাও।" সে তো অবাক। আর গালো এই মহিলারা তখন ওদের ভাষায় খুব হেসে হেসে রেজমকে কি সব যেন বলল। তাতে রেজমের লাজুক হাসি দেখে বুঝলাম ওরা হয়তো বলছে, "আজ তোর খুব ভালো দিন। কি সুন্দর বিনা পয়সায় কত সব্জি পেয়ে গেলি। নিয়ে যা। নিয়ে যা।"...
আলো শহরে ফিরে এসে ডোনি পোলোর মন্দির দেখতে গেলাম। আজ এখানে বিরাট ভিড়। মপিন ফেস্টিভেল-এর হইচই। মপিন ওদের নতুন ফসল তোলার উৎসব। এই উৎসব সাত দিন ধরে চলে। আজ শেষদিন। শেষ দিন লটারির মাধ্যমে শেষ হবে। অনেকেই টিকিট কেনে। তাই টিকিটধারীরা সবাই ভিড় করেছে। পুরষ্কার খুব আকর্ষণীয়। চার চাকার গাড়ি, বাইক, স্কুটি ও আরো অনেক কিছু।
ডোনি পোলো অর্থাৎ সূর্য ও চন্দ্র। উপজাতিদের উপাস্য দেবতা। এখানকার উপজাতিদের মধ্যে অনেকে ডোনি পোলোর পুজো করেন। অনেকে আবার খ্রিস্টান, চার্চে যান। অনেক বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। গুম্ফায় যান।
দিনের শেষে আলোর বাজারে ঢুকলাম। বড় বাজার। ঘুরে ঘুরে সব দেখলাম। বাজারের অনেক দোকানিদের দেখলাম আসামের লোক। তারা কয়েক পুরুষ ধরে নাকি এখানেই আছেন। ব্যবসা করেন। নানান উপজাতি মানুষজনদের অনেক দেখলাম। তারা ক্রেতা ও বিক্রেতা। মাছের বাজার বসে নদীর ধারে। হাঁটতে হাঁটতে সেখানেও চলে গেলাম। ভাবলাম নদীর স্থানীয় মাছ দেখব। কিন্তু তা দেখতে পেলাম না। স্থানীয় টাটকা মাছ নাকি সকালে পাওয়া যায়। এখন সব আসাম থেকে আসা চালানি বাসি মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
অরুণাচল ভ্রমণে এবার যখন যেখানে গেছি, ঘুরে ঘুরে সব দেখেছি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখেছি পর পর মদের দোকান। একদম আমাদের চায়ের দোকানের মত মদের দোকান। দেদার বিক্রি হয়। পুরুষ, মহিলা সবাই কিনছে। দামও সস্তা।
একটা গোটা দিন আলোয় থাকলাম। ঘুরে ঘুরে অনেক কিছু দেখলাম। সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে এসেছি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হল। দু' একবার বিদুৎও চমকাল। কাল ভোরে চলে যাব ভয়ংকর সুন্দর এক উপত্যকা মেচুকায়। তাই মনে মনে প্রার্থনা করছি, বৃষ্টি যেন বাধা সৃষ্টি না করে আমার ভ্রমণে। জানালার পর্দাগুলো সরিয়ে দিয়ে দূরের উয়মগো নদীর দিকে তাকিয়ে আছি, সন্ধ্যার অন্ধকারেও এ নদীকে কি সুন্দর লাগছে। আলো শহর ও উয়মগো নদী আমাকে বড় মুগ্ধ করেছে।