[মিরাটের ধনী ব্যবসায়ীর পুত্র আলি ইমাম নক্ভি (১৯৪৫–২০১৪) আধুনিক উর্দু গদ্য সাহিত্যে একটি পরিচিত নাম। খিলতে হুয়ে বিল গল্পটি লিখে প্রথম পাঠকের নজরে আসেন। ম্যাট্রিকুলেশনের পরে পড়াশুনো না এগোলেও তিনি ইরানি রাষ্ট্রদূতের অফিসে চাকরি করতেন। উনিশ শো আশিতে নয়ে মকান কি দেমাক নামে তাঁর প্রথম গল্প সংগ্রহ প্রকাশিত হয়। তার পরে তাঁর ছোট গল্পের আরও চারটি সংকলন বেরোয়।
এই অনুবাদের জন্য মূল উর্দু গল্পটি নতুন দিল্লির সীমান্ত প্রকাশন থেকে প্রকাশিত (১৯৮০) লেখকের গল্পসংগ্রহ মুবাহ্লা (পৃ ৯-১৫) থেকে সংগৃহীত।]
—অনুবাদক
সেই অসম্ভব ঘটনায় দুজনেই হতচকিত হয়ে গেল। অনিচ্ছায় স্ট্রেচারটা মাটিতে নামিয়ে রেখে স্তম্ভিত হয়ে কিছুক্ষণ লাশটার দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর নিজেরা মুখ চাওয়াচাওয়ি করল। অনেক প্রশ্ন দুজনের চোখেই। বেশ কিছুক্ষণ চোখের তারাগুলো ঘুরেই চলল। দৃষ্টি স্থির হলে দুজনেই না-বোঝার ভঙ্গি করে কাঁধ ঝাঁকালো। তারপরে গলার শিরা ফুলিয়ে, ঘাড় ডাইনে-বাঁয়ে যতটা সম্ভব হেলিয়ে দুজনেই চাইল পারশি সমাধিগৃহের চারপাশের ঘন গাছপালার দিকে।
যত দূর দৃষ্টি যায় একটাও শকুন তো চোখে পড়ে না। এমনটা তো আগে কখনও হয়নি। সতর্কঘণ্টা বেজেছিল। তাও তো প্রায় দুঘণ্টা আগে। আর তার মিনিট পনেরো বাদেই দুনম্বর বগ্লি-র২ কর্মচারীদের কাছ থেকে লাশটা নিয়ে তারা বাওলি৩ এলাকায় সেটা টেনে সরিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিয়েছিল। তারপরে ফিরোজ্ ভাতেনা বড় দরজার ভেতরের খিড়কিটা খুলে বাইরে মৃতের পরিবারের লোকজনদের উপস্থিতির কথা জানতে চেয়ে জিগ্যেস করেছিল —
‘ওরা বখশিশ দিয়েছে নাকি?’
তাতে সমাধিগৃহের লোকেরা হেসে ভাতেনার দিকে কড়কড়ে দুটো দশ টাকার নোট এগিয়ে দিলে সে দ্রুত একটা নোট নিজের ডাগলার (জোব্বা) পকেটে গুঁজে অন্য নোটটা তার সঙ্গী হরমোজ্ এর দিকে বাড়িয়ে ধরে খিড়কি বন্ধ করে দিয়েছিল।
‘হায় খুদা’ – হরমোজ্ ঘাড় উঁচিয়ে বড় গাছের ঘন ডালপালার ফাঁক দিয়ে আকাশের যে অংশটা দেখা যায়, সেদিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর ভাতেনার দিকে চোখের ইশারা করতেই দুজনে ঝুঁকে স্ট্রেচার তুলে বাওলির দিকে এগিয়ে গেল।
‘ফিরোজ্,’ চলতে চলতে হরমোজ্ তার সাথীকে ডাকে।
‘বল্।’
‘আপন কব তলক্.....তুমি আর কতদিন এই কাজ করবে?’
‘চল্, চল্, বাদ দে।‘
‘ইয়ার, আমাদের জন্য কি এই একটাই কাজ রাখা রয়েছে?’
‘কী বলতে চাইছিস?’
‘কিছু না। এমনিই জিগ্যেস করছিলাম।’
‘শুধু এটাই?’
‘হ্যাঁ, জরথুশত্রের কসম্।’ হরমোজ্ আকাশের দিকে মাথা তুলে কসম খায়।
দুদণ্ড দুজনেই চুপ। তারপরে ভাতেনা বলে — ‘দেখ হরমোজ্, পারশি পঞ্চায়েত আমাদের খাইয়ে-পরিয়ে রেখেছে। শালা, আমাদের নসিবই খারাপ তো কী হবে। বুঝলি? এবার তুই বল....?’
‘আমারও একই গল্প। খুব একটা তফাত নেই। সত্যি বলতে কি আমার তো অসহ্য লাগে। শালা একদম খাবি খাচ্ছি।’
বাওলির ঘেরাটোপের মধ্যে এসে পড়ায় তাদের কথায় ছেদ পড়ে। হরমোজ়ের পায়ের এক টোকায় বাওলির দরজাটা খুলে যায়। পরমুহূর্তেই তারা দুজন লাশের পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে — একজন মাথার দিকে, অন্য জন পায়ের কাছে।
লাশের মুখে দই মাখানো থাকায় মুখটা একদম সাদা হয়ে আছে। হরমোজ্ লাশের মাথাটা একটু তুলে ধরতেই ভাতেনা তলা থেকে কফনটা (শবাচ্ছাদন বস্ত্র) টেনে সরিয়ে নিল। তারপরে দুজনে পালা করে নিচু হয়ে লাশের পায়ে হাত ছুঁইয়ে সেই হাত চোখ আর বুকে স্পর্শ করে উঠে দাঁড়াল। লাশের নগ্নতা ঢাকার জন্য শুধু একটা রুমাল কুশ্তি৪ দিয়ে কোমরে বাঁধা ছিল। তারা সেই কাপড়ের টুকরোটা যেমন ছিল তেমনই রেখেছিল। নিজেদের কামরায় ফিরে এসে ফিরোজ্ আর তার সঙ্গী টেবিলের চারপাশে রাখা দুটো চেয়ারে বসে পড়ল। কিছুক্ষণ পরে হরমোজ্ একটা মদের বোতল টেবিলের ওপর রাখলে দুজনে নিজেদের গ্লাস ভরে নিল। কচু পাতার বড়ার একটা টুকরো মুখে নিয়ে ফিরোজ্ ভাতেনা বলল, ‘হরমোজ্।’
‘বল।’
‘কী জীবন এটা!’
‘কী হল?’
‘বগ্লি নম্বর ...এক ......দুই.....তিন.....চার....ঘণ্টা.....শালা.......আর......’
‘আর?’
‘হ্যাঁ, আর.....’
‘আর কী?’
‘আর লাশ.....লাশ.....আরও লাশ......’
‘বুঝলাম না।’
‘দেখ, একটা পারশির জীবনের দিকে তাকিয়ে দেখ।‘
‘জীবন?’
‘হ্যাঁ।’
‘কী হয়েছে?’
‘তার যৌবন সুপারফাস্ট দৌড়োয়, আর বার্ধক্য মালগাড়ির মত ধিকিধিকি চলে।’
‘ঠিক বলেছিস্ ভাই, ঠিক বলেছিস্।’
‘হ্যাঁ, একদম সত্যি।’
কিছুক্ষণ দুজনে মাল খেতে খেতে ‘সত্যি, সত্যি’ বলতে থাকে। তারপরে এক সময় দুজনেই কেঁদে ফেলে। ঘণ্টা খানেক পরে বেল বাজে। এবার চার নম্বর বগ্লি থেকে লাশ আসবে।
‘ভগবান জরথুশত্র আবার শরাবের ব্যবস্থা করেছে দেখছি।’
‘আয় বন্ধু, চল্, চল্।’
দুজনে বাওলির সদর দরজার দিকে এগিয়ে যায়। দরজাটা আরও একবার খুলেছিল। একটা খালি স্ট্রেচার বাইরে রাখার জন্য। কিছুক্ষণ পরেই চার নম্বর বগ্লির লাশটা সেই স্ট্রেচারে করে এসে পড়ল তাদের হাতে। বগ্লির কর্মী দু-দুটো দশ টাকার নোট বাড়িয়ে দিল। এবারে হরমোজ্ এগিয়ে গিয়ে নোট দুটো নিলে দরজা বন্ধ হয়ে গেল। স্ট্রেচার উঠিয়ে দুজনে বাওলির দিকে এগিয়ে গেল।
‘হরমোজ্।’
‘বল।’
‘একদিন আমরাও এভাবে চলে যাব, তাই না?’
হরমোজ্ দাঁড়িয়ে গেল। ঘাড় ঘুরিয়ে ফিরোজ্ ভাতেনাকে একবার দেখে নিয়ে কিছুটা রূঢ় স্বরে জিগ্যেস করল, ‘তুই এমন একটা প্রশ্ন করলি কেন?’
‘সবাইকেই তো মরতে হবে।’
‘ঠিক বলেছিস্। কিন্তু আমার এখনই মরার কোনও ইচ্ছে নেই।’
‘ইচ্ছে? কী বলতে চাইছিস্?’
‘চুপ কর শালা! আমরা এখন পর্যন্ত জীবনে দেখেছি কী? খালি লাশ, লাশ.....আরও লাশ। আর শকুন। আমাদের কাছে সবচেয়ে ভালো জিনিসটা হল শালা সিতারা রোডের ওই চোলাই মদ, নিশাদল মেশানো। আর দশ-দশ টাকার নোট। আমি জিজ্ঞেস করছি...এটাকেই কি তুই লাইফ বলিস?’
জবাবে ফিরোজ্ কিছুই না বলে হরমোজ়ের দিকে তাকিয়ে রইল।
‘বল্ ভাই, এটাই কি জীবন?’
‘আমি আর কী বলব? শুধু এটুকুই জানি যে যখন ডাক আসবে তখন যেতেই হবে। আমি গেলে আমার জায়গায় কেউ এসে যাবে, যাবে তো বটেই......’
‘চুপ শালা.....হারামি.....শুয়োর!’ হরমোজ্ চিৎকার করে ওঠে।
‘চিল্লাস্ না ভাই! জীবনের কথা ছাড়। এখন হাতের লাশটার ব্যবস্থা কর।’
এরপর দুজনে চুপচাপ বাওলিতে পৌঁছোল। আর যখন বাওলির দরজা খুলল.....
সেই অসম্ভব ঘটনায় দুজনেই হতচকিত হয়ে গেল। অনিচ্ছায় স্ট্রেচারটা মাটিতে নামিয়ে রেখে স্তম্ভিত হয়ে কিছুক্ষণ লাশটার দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর নিজেরা মুখ চাওয়াচাওয়ি করল। অনেক প্রশ্ন দুজনের চোখেই। বেশ কিছুক্ষণ চোখের তারাগুলো ঘুরেই চলল। দৃষ্টি স্থির হলে দুজনেই না-বোঝার ভঙ্গি করে কাঁধ ঝাঁকালো। তারপরে গলার শিরা ফুলিয়ে, ঘাড় ডাইনে-বাঁয়ে যতটা সম্ভব হেলিয়ে দুজনেই চাইল পারশি সমাধিগৃহের চারপাশের ঘন গাছপালার দিকে। যতদূর দৃষ্টি যায় একটা শকুনও তো চোখে পড়ে না।
আর এই প্রথম বার এমন হল। লাশ মজুদ, কিন্তু শকুনেরা সব গায়েব! নচেৎ সাধারণত তো এমনই হয়ে এসেছে যে লাশ পৌঁছেছে। হরমোজ্ আর ফিরোজ্ বাওলি থেকে ফিরে এসেছে। বিশ-পঁচিশ মিনিটের মধ্যেই লাশটা শকুনের পেটে চলে গেছে। তারা শকুনদের উড়ে যেতে দেখে আবার বাওলিতে ফিরে গিয়ে কঙ্কালের ওপরে অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে। হাড়গোড়গুলো সব ধুলো হয়ে বাওলির গভীরে তলিয়ে গেছে — নিচে, অনেক নিচে, কে জানে কোথায় চলে যায়? আবার কোনও দিন হয়ত কোনও লাশই এল না।
সেই সব দিনে পঞ্চায়েত থেকে ছাগল কিনে হরমোজ্ আর ভাতেনাকে দেওয়া হত। শকুনেরা খিদের জ্বালায় অন্য কোথাও যাতে উড়ে না যায়। কিন্তু এখন যেটা ঘটছে সেটা তো একেবারেই অপ্রত্যাশিত। লাশ মজুদ, শকুন গায়েব! দুজনে চোখ বড় বড় করে একে অন্যের দিকে চেয়ে রইল। বেশ অনেকক্ষণ ওই অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকার পরে তারা দুজনে দ্বিতীয় লাশটিকেও বাওলির জালের মধ্যে রেখে একে অপরের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চাইল।
‘কী ভাবছিস? কাইকোবাদকে বলে আসব?’
‘হ্যাঁ, যা।’
ভাতেনা নিজের ঘরে গিয়ে সতর্কঘণ্টা বাজিয়ে দিল। ডুংগরওয়াড়ির অফিসের দেওয়ালের লাল বাতিটা তখন জ্বলছে-নিভছে। ক্লার্করা বিভ্রান্ত হয়ে অফিস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। বগ্লিতেও একই রকম বাল্ব জ্বলে উঠেছে। পারশি যাজকদের আভেস্তা পাঠ বন্ধ হয়েছে। বগ্লিতে আশ্রয় নেওয়া কুকুরগুলো ভয়ে এদিক-ওদিক দৌড়ে কোনও কোণে আশ্রয় নিচ্ছে। নতুন লাশের সঙ্গে আসা শোকগ্রস্ত আত্মীয়-স্বজন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে বগ্লির বাইরে বেরিয়ে এসেছে। সবারই এক প্রশ্ন। কী হয়েছে?
কাইকোবাদ দৌড়ে এসে একবার আকাশের দিকে তাকিয়ে আবার ভেতরে ঢুকে গেল। সবাই তাকে ঘিরে ধরতেই হট্টগোল লেগে গেল। কাইকোবাদ ঘোষণা করল: ‘শকুনেরা চলে গেছে।’
‘শকুন চলে গেছে?’
‘চলে গেছে?’
‘কিন্তু কেন?’
‘কিছু একটা তো তা হলে ঘটবেই!’
‘কিন্তু কী ঘটবে?’
কাইকোবাদের ফোন পেয়ে পারশি পঞ্চায়েতের সেক্রেটারির কপাল কুঁচকে গেল। সব কথা শুনে তিনি রিসিভারটা ক্রেডলের ওপর রেখে ইণ্টারকমে ডাইরেক্টরকে খবরটা দিলেন। তৎক্ষণাৎ জরুরি মিটিং তলব হল। বিষয়টা বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের কাছে পেশ করা হল। কিন্তু প্রশ্নটা রয়েই গেল।
শকুনগুলো গেল কোথায়?
‘কী বললেন? শকুন পালিয়েছে?’ পুলিশ কমিশনারের গলায় অবাক বিস্ময়।
‘হ্যাঁ, আমাদের শকুনগুলো পালিয়েছে।’ পারশি পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান প্রতিটা শব্দের ওপর যেন জোর দিচ্ছেন। তিনি যখন পুলিশ কমিশনারের কথা গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনছেন, তখন ঘন ঘন তাঁর মুখের রঙ পাল্টাচ্ছে। কথার শেষে টেলিফোনটা রাখতেই দেখলেন অন্য সব ডাইরেক্টররা তাঁর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। চেয়ারম্যান পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের সংক্ষিপ্তসার জানালেন। মিটিংয়ে উপস্থিত সকলে একরাশ উদ্বেগ আর এতটুকু আশ্বাস নিয়ে মিটিং হল থেকে বেরিয়ে এলেন। ডুংগরওয়াড়িতে সেক্রেটারির ফোন এল। কাইকোবাদ চেয়ারম্যান আর পুলিশ কমিশনারের মধ্যে কথোপকথনের সারসংক্ষেপ মহামান্য যাজকসহ অন্যদের জানালেন। যাজকদের কাছ থেকে সে খবর বগ্লির কর্মচারীদের মাধ্যমে ফিরোজ্ ভাতেনা আর হরমোজ্ পর্যন্ত পৌঁছে গেল। ভাতেনা সব কথা মন দিয়ে শুনে আবার আকাশের দিকে চাইল। ঘন গাছের মধ্যে দিয়ে আকাশটাকে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। আকাশে একটা কাকও নেই, চিল নেই, শকুন তো দূরের কথা।
ঘণ্টা আবার বাজতেই ফিরোজ্ ভাতেনা আর হরমোজ্ চমকে উঠল। বগ্লি নম্বর তিন থেকে আবার একটা লাশ আসছে। তারা আবারও দরজায় খাড়া হয়ে গেল। লাশ এল। এবারে কর্মচারী পঞ্চাশ টাকার দুটো নোট ভাতেনার দিকে বাড়িয়ে দিল। লাশ ভেতরে টেনে ঢোকানোর পরে ভাতেনা মুখ বেঁকিয়ে বলল, ‘হরমোজ্!’
‘বল, কী হল?’
‘সব পারশিদের আজই মরতে হচ্ছে কেন?’
হরমোজ্ এ প্রশ্নের উত্তর দিল না। তার নজর আসমানের দিকে।
‘একটা শকুনও তো কোথাও নেই! আর আমাদের কাছে লাশের পর লাশ আসছে।’
‘কিন্তু শকুনগুলো গেল কোথায়?’
‘পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন সব শকুন খারকি, রবিবার পেঠ আর সোমবার পেঠ এলাকায় জড়ো হয়েছে।’
‘কিন্তু কেন?’
‘আরে ওই শালা হিন্দু আর মুসলমানগুলো আবার মারামারি শুরু করেছে। ওদিকে রায়ট হয়েছে। শালা ওরা সব জ্বালিয়ে দিয়েছে: ঘরবাড়ি, দোকানপাট, এমনকী অ্যাম্বুলেন্স। রাস্তাঘাটে লাশ ছড়িয়ে রয়েছে। একটার ওপরে আরেকটা স্তূপ হয়ে আছে। আর আমাদের শকুনগুলোর সেখানে মহাভোজ চলেছে। আর ওই পুলিশ কমিশনার.....সে বলেছে.....শালা রাস্তা পরিষ্কার হয়ে গেলে শকুনগুলো নিজেরাই নাকি আবার এখানে ফিরে আসবে।’
‘রাস্তা সাফ হলেই বা কী? তোর কেন মনে হচ্ছে শকুনগুলো আবার এখানে ফিরে আসবে? এটা ইন্ডিয়া ....শালা, এখানে তো রোজই রায়ট লেগে আছে.....রোজ আগুন লাগছে আর লোক মরছে। তাহলে? আর ওই শালারা বলছে শকুনগুলো আবার ফিরে আসবে? ওই শালা শকুনের দল?’
১. পারশিদের কবরস্থান
২. সেই হলঘর যেখানে লাশকে স্নান করিয়ে কফন পরানো হয়
৩. সেই স্থান যেখানে জাল ঢাকা কুয়োর ওপরে লাশ রেখে দেওয়া হয় আর শকুনের দল এসে সেই লাশ খেয়ে যায়
৪. কোমরে বাঁধার সেই পবিত্র ফিতে যা পারসি বাচ্চাদের সাত বা নবছর বয়সে নভজ্যোৎ অনুষ্ঠানের সময় বাঁধা হয়