কাল রাত থেকেই বৃষ্টির অবস্থান ধর্মঘট চলছে মেঘবাহিনী নিয়ে।
সকাল ১০ .৩০
মেঘলা কাঁদুনে দিবসে দিবসের ভরসায় পাড়ি সারাহান-এর উদ্দেশে। ভেজা আকাশ, ভেজা প্রকৃতি, ভেজা রাস্তা সব সামলে চলছে গাড়ি।
সকাল ১১.৪২
করছম। বর্ষার ছমছম চলছে।
১১.৫০
চোল্লিং-এ চলায় ধাক্কা। সামনে ব্রিজ ভেঙেছে। লাও ঠ্যালা। এবার!!!
পুলিশবাবু সুঝাও দিলেন —ডানদিকে যে প্রায় কাঁচা চড়াই পথটা দেখা যাচ্ছে, সেটা ধরে উর্নি হয়ে পাহাড় টপকে টাপরিতে পৌঁছলেই কেল্লা ফতে। অতএব, নতুন পথের পন্থী হওয়া গেল।
কভু কাঁচা কভু পাকা সরু জঙ্গুলে পথে আঁকন বাঁকন চড়াই।
ঠিক দুপ্পুরবেলা
ছোট উর্নি পৌঁছনো ঘূর্নি পথে।
দুপুর ১২.০৫
দাখানদেন দেখা দিল।
দুপুর ১২.২৭
বড় উর্নি। বেশ বড় গ্রাম। পার করতে ১২. ৪০।
দুপুর ১২.৫০
চঙ্গাও। খুব একটা চাঙ্গা মনে হলো না।
দুপুর ১.২৩
এবার উতরাই। হুই নিচে টাপরির পথ।
দুপুর ১.৩০
পেরোলাম নদী।
দুপুর ১.৪০
আবার মূল পথের টাপরিতে।
দুপুর ১.৪১
নাথপা।
বেলা ১.৫০
ভাবানগর।
বেলা ২.০৫
নিগুলসরিতে সরা থামল কিছুক্ষণের জন্য।
সেটা দেখে বৃষ্টিও থামল। দিবসের ঘাড় ভেঙে চা খাওয়া হলো।
বেলা ২.৩৯
চৌরা ছোড়কে দৌড়া।
বেলা ২.৫০
বাধল কোনও বাধা দিল না।
বেলা ৩টে
জিওরি। এখান থেকেই সারাহান-এর পথ উঠেছে।
বেলা ৩.১০
কোটলা। কার কোট কে আনবে?
বেলা ৩.১৫
ডওয়ারচ। চ আগে বঢ়।
বেলা ৩.২০
বঠারা।
বেলা ৩.২৫
বন্ডা। কিসের বন্ডা? আলুর?
বেলা ৩.৩২
ঘরাট। ঘর আট!কে জানে। বেশি হলে বাধা কিসের?
বেলা ৩.৫৩
ভীমাকালীর আঙিনা ঘেঁষে হোটেল শ্রীখণ্ড। আজকের মতো দিবসের শান্তি, আমাদের শান্তি।
(ক্রমশ)