“মোবাইল কানে ড্রাইভিং।”
“রমন শর্মা?”
“মাল খেয়ে ড্রাইভিং।”
“দীপ্ত বসাক?”
“ব্লু হোয়েল।”
“মোনালি দত্ত?”
“টিক টক।”
“কাল্লু মিয়া?”
“গরু চালান কেস।”
“দেবদূত বসু?”
“সেলফি শহিদ।”
“তুনালি মুখার্জি?”
“অনার কিলিং।”
কানে বিড়ি গোঁজা আধবুড়ো লোকটি ডেটা কী-ইন করতে করতে বিরক্ত হাই তুলতে তুলতে বলছিল, “অপঘাত আর অপঘাত! একা হাতে এত কেস আর পারি না। গুপ্তদাকে বলতেই হবে ম্যানপাওয়ার বাড়াতে।”
তারপর সে সমবেত জমায়েতের দিকে ফিরে বলল, “শোনো বাপুরা, আমি হচ্ছি পদাই। গুপ্তদা, মানে ঐ তোমরা যাকে চিত্তিরগুপ্ত বলো, আমি তার অন্যতম অ্যাসিস্ট্যান্ট। আমার কাছে তোমরা এসেছ, কারণ আমি তোমাদের মতো কেসগুলি অর্থাৎ আধুনিকতার ধাক্কায় অপঘাত মৃত্যুগুলি হ্যান্ডল করি। নিশ্চয়ই শুনেছ, অপঘাতিরা না যায় সগ্যে না নরকে। তারা আত্মা, মানে ঐ ভূত হয়ে ঘুরে বেড়ায়।
কিন্তু এটা তো পার্মানেন্ট সলিউশন নয়। ‘টেম্প’দের নিয়মিত ক্লিয়ার করতে না পারলে সাইবার স্পেস মানে আকাশ শিগগিরই ফুল হয়ে মেমরি এরর দেবে। অপঘাতিদের ঐ নাম-কা-ওয়াস্তে চারদিনের ছেরাদ্দে মুক্তি নেই, তাদের জন্যে কষ্ট করে পিণ্ডিফিণ্ডি দিতে হয়। কিন্তু সেসবের টাইম বা ইনক্লিনেশন আজকাল ক’জনের! তাই গুপ্তদা তোমাদের ক্লিয়ারেন্সের জন্য একটা বাই-ল বানিয়েছে। তোমরা প্রত্যেকে যে যে পাপের জন্য টপকোফাই হয়েছ, তার থেকে অন্তত একজন মানুষকে সরিয়ে আনতে পারলে তোমাদের আর একটা করে জম্মের চান্স দেওয়া হবে।”
“পাপ বলতে আপনি কী বোঝাতে চাইছেন? অন্য জাতের মানুষকে ভালোবাসা কি পাপ?” তুনালির তীক্ষ্ণস্বর ঝঙ্কৃত হয়ে উঠল।
“অবশ্যই পাপ। তুমি এখনও প্রাক স্বাধীনতা মেন্টালিটিতে পড়ে আছ। তখন স্বধর্ম, স্বজাতের বাইরে বিয়ে হলে লোকে গাল দিত, কিন্তু ব্রিটিশ শাসনে লাশ পড়ত না। আজ রেনেসাঁর স্বাধীন ভারত প্রবল রভসে গৌরবোজ্জ্বল প্রাক ব্রিটিশ অষ্টাদশ শতাব্দীর দিকে ধেয়ে চলেছে। জাতপাত, ধর্মভেদ, হাঁচিকাশি, টিকটিকি সব হুড়মুড়িয়ে ফিরছে। শিগগিরই সতীদাহ, কুলিন প্রথাও ঢুকে পড়বে। তাই আজ বেধম্মে বিয়ে করা আপ্তঘাতি হওয়ারই সমাত্থক। আর জানো তো, আপ্তঘাত মহাপাপ। কাজেই তক্কো না করে বরং একজনকে ভুজুংভাজুং দিয়ে বেজাত বিয়ের থেকে ফিরিয়ে এনে তার প্রাণটা বাঁচাও।”
“দেখা যাবে।” তুনালি ঠোঁট কামড়ে বলল।
“আর হামি? হামার কী পাপ আছে? হামার তো গরু লিয়ে যাবার কাগজ ছিল। ও লোগ ওসব ফেঁড়ে দিল, তারপর –”
“তুমিও সেই পুরোনো যুগে পড়ে আছ, কাল্লু। ট্রাকে ক’টা গরু তুলেছিলে, মনে আছে?”
“তা, একটু বেশি ছিল।” কাল্লু মাথা চুলকে বলল, “দু-চারটে গরুর জন্য একটা এক্সট্রা ট্রাক লাগালে আমাদের দিয়েথুয়ে পোষাবে, স্যার?”
“তা বল্লে তো চলবে না।” মুচকি হেসে বলল পদাই, “মনে রেখো, এ যুগে গরু শুধু গরু নয়। আজকাল ভারতের মানুষের চেয়ে আমেরিকান কুকুরের বেশি মানবাধিকার আর তাচ্চেয়েও বেশি মানবাধিকার ভারতীয় গরুর। বনগাঁ লোকালে অফিস টাইমে নিত্যযাত্রীরা সার্ডিনের মতো পিণ্ড পাকিয়ে যাত্রা করলে চলবে। কিন্তু ট্রাকে গরুপিছু বর্গফুট, ঘনফুটের আইনি সীমা ভাঙলে তোমার রক্ষে নেই।”
“সেজন্য পুলিশ ইয়ে নিক, তা’বলে –”
পদাই হাত নেড়ে কাল্লুকে থামিয়ে দিল। হতাশ ঘাড় নেড়ে সে একপাশে বসে পড়ল।
পদাই এরপর বাকি কেসগুলি ঝটাপট ক্লিয়ার করল। উদ্বিগ্ন জনতা তার দিকে তাকিয়ে। শুধু ঐ জাহাঁবাজ মেয়ে তুনালি পাবলিককে কী যেন বোঝাবার চেষ্টা করছে। কোনও কিচাইন না বাঁধায়!
পদাই গলা খাঁকারি দিল, “তাহলে সবাই এবার পৃথিবীতে ফিরে যাও। বাহ্যিকভাবে তোমরা যে যার রূপ ফিরে পাবে, কণ্ঠস্বরও। কিন্তু মনে রেখো, তোমাদের বায়বীয় শরীর দিয়ে কাউকে গুঁতো বা কানমলা দিতে পারবে না। সাত দিন পর আবার তোমাদের এখানে টেনে আনব। তখন কাজের রিপোর্ট দেবে।”
সাত দিন পর আবার জমায়েত। পদাই আবার নাম ডাকল, “ছোট্টু সিং?”
নতমুখ ছোট্টু এসে দাঁড়াল।
“পেরেছ?”
“হ্যাঁ, সাব।”
“বলো।”
“আমার ডিউটি ছিল একজন ডেরাইভারকে মোবাইলে বাত করতে করতে একসিডেন্ট করে মরার থেকে বাঁচানো। এক রামলাল ডেরাইভার মোবাইলে বকতে বকতে উল্টোপাল্টা টেক্সি চালাচ্ছিল দেখে আমি তার গাড়িটায় পেসেঞ্জার সেজে উঠলাম। তারপর বললাম – ভাই, চালাবার সময় ফালতু বাতচিত করে তুমি টাইম বরবাদ করছ। আর পাশে মোবাইল থাকলে টেড়চা নজরে ঠিক পিলারে মেরে দিয়ে মরবে। তাচ্চেয়ে মোবাইলটা সামনে একটা এস্ট্যান্ডে সেট করে রাখো আর তাতে ঐ বুলু লাগিয়ে দাও। এতে কোনও রিক্সও নেই, টাইমও মৌজে পাস হবে।”
“ওরে নালায়েক!” পদাই মাথার চুল ছিঁড়তে ছিঁড়তে বলল, “ঐ রামলাল পাশে নয়, সামনে ধাক্কা মেরে তিনটে লোককে মেরেছে। একটা স্কুটারে ধাক্কা আর দুটো পথচারীকে চাপা। এখন বুঝলাম, এসব তোর ফন্দিতে।”
“সাব যা বলেছিলেন হামি তো তাই করেছি। রামলাল তো জিন্দা আছে।” ছোট্টু বিনয়ের অবতার। কথা বাড়িয়ে লাভ নেই বুঝে পদাই এবার ডাকলেন, “রমন শর্মা?”
“জী, আমার ওপর ভার ছিল এক বেওড়া ড্রাইভারকে অ্যাকসিডেন্ট করে মরার থেকে বাঁচানো। আমি এক মিত্তির সাবকে ধরেছিলাম। উনি মনের দুঃখে বেওড়া হয়ে খুব স্পীডে গাড়ি চালাচ্ছিলেন, যে কোনও দিন অক্কা পেতেন। একদিন গাড়িটায় একটু ঠোকা লেগেছিল। আমি মিস্তিরিদের মধ্যে মিশে গিয়ে আলাপ জমালাম। একটু একলা পেতেই ওনাকে বললাম – সাব, এভাবে চালাচ্ছেন কেন? কবে মরে যাবেন। উনি বললেন, বেঁচে কী লাভ? তুই জানিস না, আমার অনেক দুখ। একটু জিগ্যেস করে জানলাম, ওর বৌ ও বেরিয়ে গেলে ওর বন্ধুর সঙ্গে শোয়। বললাম, তবে আপনি কেন মরবেন? তক্কে তক্কে থাকুন। যেদিন ঐ ব্যাটা আসবে বলে খবর পাবেন, দারুতে লুকিয়ে বিষ মিশিয়ে রেখে যাবেন। তাহলে এক ঢিলে দুই পাখি –”
পদাই আবার উত্তেজিত হয়ে বলল, “ওঃ, ঐ শম্ভু চক্কোত্তির মার্ডারটা তবে তোর বদ মতলবে! সুরঞ্জন মিত্তিরের বৌ লিপিকাকে তো পুলিশ মদে বিষ দিয়ে প্রাক্তন প্রেমিককে চুপ করিয়ে দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার করেছে।”
“তবু বেগুনা মিত্তির সাবের জানটা তো বেঁচে গেল!” কাঁচুমাচু ভঙ্গীতে বলল রমন।
“তোরা এক অপঘাত বাঁচাতে একের বেশি অপঘাত তৈরি করে বসে আছিস! এতে আমাদের কেস কমার বদলে তো বেড়ে যাচ্ছে।”
“এসব বাত তো আপনি আগে বলেননি।” রমন সবিনয়ে বলল।
হতাশ পদাই এবার ডাকল, “আর কাল্লু মিয়া?”
কাল্লু নতমস্তকে বলল, “ছোট মুখে বড় কথা, তবু বলছি – আমি আপনার জুরিসডিকশনে পড়লাম কী করে, সাব? আমার তো বেহেস্ত বা দোজখে যাওয়ার কথা।”
“আরে, তুমি হিণ্ডিয়ার নাগরিক। তারপর কোতলও হয়েছ উচ্চবংশীয়দের হাতে। কাজেই আমার আন্ডারে না এসে উপায় কী? এখন তোমার প্রাশ্চিত্তির যদি ঠিকঠাক হয়ে থাকে তবে হয়তো এবার ভালো ঘরে জম্মে চালান কর্মী না হয়ে মাংস এক্সপোর্টার হয়ে যাবে। আচ্ছা, এবার বলো তোমার কীর্তি।”
উজ্জ্বল মুখে কাল্লু বলল, “আমার ডিউটি ছিল গরু চালান করতে গিয়ে মার্ডার হওয়ার থেকে একজনকে বাঁচানো। পাশের গাঁয়ের ফিরোজ আমার খবর জেনেও রিক্স নিয়ে গরু ট্রাকে তুলছিল। ওর নাকি কাগজপত্তর সব ঠিক আছে। আমি ট্রাক খালাসি সেজে ওকে বলেছি – জানের মায়া থাকলে ওসব ধান্দা ছাড়ো। রাস্তায় নিশ্চয়ই গৌরক্ষকরা ওঁত পেতে আছে, কিলিয়ে মণ্ড পাকিয়ে দেবে। তা বলল – সে আছে বা না আছে, একটু রিক্স না নিলে খাব কী? বললাম – গরু পাচার ছেড়ে মানুষ পাচার ধরো। মানে, মেয়েমানুষ। পদাইদাদা বলেছে ইন্ডিয়ায় মানুষের দাম আজ গরুর চেয়ে কম, তাই এ বেওসায় রিক্সও খুব কম। তা, কথাটা লোকটার মনে ধরল। বলল, বেড়ে বলেছিস তো। ঠিক আছে, আজকের অপারেশন ক্যানসেলড। কাল থেকে নতুন ধান্দার তোড়জোড়।”
“ছিঃ, এক পাপ থেকে বাঁচাতে একটা মানুষকে আরও বড় পাপের পথে পাঠালি!” পদাই মাথায় করাঘাত করল।
এভাবে একের পর এক কেস আসছে আর পদাইয়ের হতাশা গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। একসময় বলল, “সত্যি, এমন উনপাঁজুড়ে ব্যাচ আমি আগে পাইনি। আজ ফিরে গিয়ে গুপ্তদাকে কী কৈফিয়ত দেব, কে জানে!” তারপর হঠাৎ সন্দিগ্ধ হয়ে বলল, “আচ্ছা, আর কে যেন বাকি রইল?”
“আজ্ঞে, আমি।”
পদাই ফিরে দেখল, তুনালি। তার ঠোঁটে এক হাড় হিম করা হাসি। কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থাকার পর পদাই বলল, “তা তুনালি দেবী, আপনি কিছু বলবেন?”
বাঁকা হেসে তুনালি বলল, “অবশ্যই। আমার ওপর ভার ছিল একজনকে অনার কিলিং থেকে বাঁচানোর। তা, সরিতা সিং বলে এক ক্ষত্রিয়ের মেয়ে এক দলিত ছেলেকে ভালোবেসেছিল। রাতের অন্ধকারে একটা গাছের তলায় দাঁড়িয়েছিল ছেলেটি এলেই তার সঙ্গে পালাবে বলে। আমি তার সামনে এসে বললাম – ও কাজটি কোরো না, খুকি।”
“আপনার কথায় সে কান দিল?”
“না দিয়ে উপায় কী? আমি তো মানুষ সেজে নয়, নিজমূর্তি ধরেই গিয়েছিলাম। প্রথমে অবশ্য একটু ভড়কাল। তারপর বুক ঠুকে বলল – কী মতলবে আমায় ভয় দেখাতে এসেছ? বললাম – দেখছিস তো, তোর মতো ইলোপ করতে গিয়ে আমি মরে ভূত। তাই তোকে সাবধান করতে এলাম। তা সে বলল, আমাদের ধরতেই পারবে না। বললাম – ওরে গাধা, তোর বাপের ব্যাপক ইনফ্লুয়েন্স। যেখানেই যাস, মোবাইল টাওয়ার ট্রেস করে ধরে ফেলবে। তা বুদ্ধুটা বলে কিনা, ঐ সিম ফেলে নতুন সিম লাগাব। বললাম – বাচ্চু, তোর ব্যাঙ্ক-আধার ঐ নম্বরে লিঙ্কড না? টাকা তুলতে বা হোটেলে আইডেন্টিটি চেক করাতে ওটিপির জন্য তোর ঐ সিমটাই লাগবে। পালাবি কোথায়? শুনে তো বেচারার মুখ চুন। বলল, তাহলে এখন ওসব থাক। আগে আধার, ব্যাঙ্কের মোবাইল লিঙ্ক চুপিচুপি পাল্টাই। বললাম, ভালো কাজ ফেলে রাখতে নেই। তোর বাড়িতে এখন কে কে আছে?
“কেউ নেই, শুধু বেওড়া বাপ মাল টেনে পড়ে আছে। সেই সুযোগেই তো পালাচ্ছিলাম।”
“তবে বাড়ি ফিরে যা আর বাবার গাড়ি থেকে পেট্রোল নিয়ে বাড়িটায় আগুন ধরিয়ে দে। তাহলেই তোকে ধরবার লোক ফিনিশ। আবার সবাই ভাববে তুইও পুড়ে মরেছিস, তাই কেসও খাবি না। তা, কথাটা মনে ধরল। গুটি গুটি ফিরে গেল।”
“কী সর্বনাশ, দেখি!” বলে পদাই পৃথিবীতে ভিডিও কল করে পরমুহূর্তে আঁতকে উঠে বলল, “কী করেছিস, হতভাগী! শুধু সিংবাড়ি নয়, আর পাঁচটা বাড়িও ঐ আগুনে পুড়ে গেছে। ছি ছি, এ যে মহাপাপ!”
কিছুক্ষণ পর ধাতস্থ হয়ে পদাই বলল, “এক-আধটা মিশটেক আগেও হয়নি তা নয়। কিন্তু এভাবে ব্যাচ কে ব্যাচ ভুষ্টিনাশ – নাঃ, এর পেছনে কোনও মাথা আছে। কে তোদের উশকেছে, বল?”
সবাই এ-ওর মুখের দিকে তাকাচ্ছে। তখন তুনালি বলল, “ভয় পাওয়ার কী আছে – সবাইকে আমিই বুদ্ধি দিয়েছি। আরও আমাকে শুধুমুধু পাপী বলো! আর আমরা যা করেছি তা মিসটেক নয়, ওয়ার্ক টু রুল।”
পদাই মাথার চুল ছিঁড়ছে। বলল, “কিন্তু তোরা ঐ ইয়ে মেয়েমানুষটার কথায় নেচে নিজেদের কী ক্ষেতি কল্লি, জানিস? এখন আর মানুষ হতে পারবি না। চিরটা কাল ভূত হয়েই বেড়াতে হবে।”
হঠাৎ একটা সম্মিলিত খিক-খিক, খ্যাক-খ্যাক ভৌতিক হাসির ঐকতান ঘর কাঁপিয়ে তুলল। সেসব থামলে তুনালি বলল, “তাই তো চাইছিলাম, সেইজন্যেই তো এতসব ফন্দি! সত্যিই, পৃথিবীতে মানুষের আর কদর নেই। আজ জম্মো নিলে যদ্দিনে বড় হব তদ্দিনে না থাকবে জমি, না শুদ্ধ বাতাস, না চাকরিবাকরি। কিন্তু ভূতেদের জল, অক্সিজেন, ফ্ল্যাট কিস্যু লাগে না। আর আমি এই ক’দিনে খোঁজ নিয়েছি, পৃথিবীতে এখন সবচেয়ে ভালো জব প্রস্পেক্ট ভূতেদের।”
“ভূ-তেদের?”
“হ্যাঁ। ভুতুড়ে কোম্পানি আর তার ভূতুড়ে স্টাফ। ভূতুড়ে জমির মালিক। ভূতুড়ে রেশন-প্যান-আধার কার্ড আর তাদের যাবতীয় হোল্ডার। ভূতুড়ে ভোটার। ভূতুড়ে লেখক, মানে ঘোস্ট রাইটার। আর সবসে বড়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূতুড়ে অ্যাকাউন্ট, ভূতুড়ে ট্রল। সব মিলিয়ে আমাদের আজ হে-ব্বি ডিম্যান্ড। আমি তো ফেসবুক-ওয়াটসঅ্যাপে গোটা দশেক করে অ্যাকাউন্ট খুলে যদৃচ্ছ খিল্লি করে যাচ্ছি। এমন মজা ছেড়ে মানুষ হয় কোন উজবুক – আমাদের কি ভূতে থাকতে সুখে কিলোয়?”