বাচ্যার্থকে অতিক্রম করা কাব্যভাষার সবচেয়ে জরুরি শর্ত । কিন্তু, তা ছাড়িয়ে শুধু যে রূঢ়ি বা প্রয়োজনলক্ষণায় পৌঁছোনো গেল, তাতে কাব্য তৈরি হতে পারে, চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছোনো না-ও ঘটতে পারে । আমাদের প্রয়োজন চিরাচরিত সেই ব্যঙ্গ্যার্থ; শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর সহজাত কাব্যকুশলতায়, অতিশয় আশ্চর্য, সেই ব্যঞ্জনা নামক বস্তুটিকেও একটি সম্ভাবনাময় কৃষ্ণগহ্বর অভিমুখে চালান করে দিয়েছেন । তিনি কি অতীন্দ্রিয় কাব্যদৃষ্টির সন্ধান পেয়েছিলেন ? তাই কি তাঁর কাব্যে একটা পর্বে এতখানি জীবনানন্দ ? প্রশ্ন উঠতে পারে, বাচ্যার্থকে অতিক্রম না-করে পদাবলি কী করে কালজয়ী হল; খুবই সহজ উত্তর : অভিনব গুপ্ত যেটিকে `কাব্যের আত্মা' বলে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, সেই `রস' পদাবলিতে যেভাবে সমৃদ্ধ, সে সমৃদ্ধি চিরস্থায়ী । সমস্ত কাব্যের লক্ষণই যদি `নাট্যাত্মক' হয়, পদাবলির মতোই, শেষ বিচারে, শক্তিরও কাব্যত্ব তাঁর নাট্যগুণে :
জল যায় রে শিলা আমার বক্ষপট দহে২৮ বছর বয়সে, ১৯৬১ সালে, শক্তির প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ `হে প্রেম হে নৈ:শব্দ্য'- তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ । ওই মগ্নতা, মত্ততা, বিষাদ সেই স্বচ্ছন্দপ্রবাহ ও জন্ম-মৃত্যুর রহস্যময় গোলকধাঁধার অনুষঙ্গ - পরবর্তীতে পরিণত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রথম যৌবনের আর্তি আর সেভাবে অধিবাস্তব হয়ে ওঠেনি । `সেভাবে' শব্দটি লক্ষণীয় ।
সলিতালতা রূপসী পোড়ে নিবিড় তরী ভ'রে
ফেরা ভালো ফেরাই ভালো, বাতাসে কত সহে
দহনভার ভস্মভার মরীচিভার মালা ?
এ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের ঠিক দশ-বছর পর কিছু প্রশ্নের উত্তরে শক্তি চট্টোপাধ্যায় একস্থানে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন : "পরোক্ষ কিছু টানটোনের মাধ্যমে আমি প্রত্যক্ষ ত্যাগ করতেই ভালোবাসি ।" সেটা তিনি বরাবর করে এসেছেন বটে, কিন্তু বিচ্যুতি যে ঘটেনি, তাও তো নয় ! একটি বড়ো-কবিতা তাঁর গলায় একাধিকবার শুনে স্তম্ভিত হয়েছি, আবিষ্ট হয়েছি, কিন্তু পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে, কই, প্রত্যক্ষের বিসর্জন তো ঘটল না ! না-ই বা ঘটল, শক্তি তো শক্তিই, সেখানেও তিনি শক্তিমান । `টিলার উপর সেই বাড়িটির কথা' কবিতাটির শেষের দিকের কিছু পঙ্ক্তি শেষপর্যন্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা দু:স্বপ্নকে এক কাব্যময় দর্শনে লিপিবদ্ধ করে :
... শিখার আগুন নেভে, ভবিষ্যত্-ভরাএবং, যথারীতি, শক্তির অজস্র কাব্যপঙ্ক্তি প্রবাদপ্রতিম হয়ে ওঠার প্রবণতাবশত এখানেও দেখা গেল `পতনের শব্দ ওঠে টিলার উপরে'- আমরা সাগ্রহে মনে রাখছি । এরকম আরও কিছু কবিতা ("ভয় আমার পিছু নিয়েছে"; "পাখি আর পোড়া পাতা") শক্তি লিখেছেন পঞ্চাশের কাছাকাছি বয়সে । তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনার কাল সেটি নয় । খুব ভাবনাচিন্তা করে সেরকম যদি একটা সময় চিহ্নিত করি, সেটা গড়পড়তা তাঁর চল্লিশের কোঠা বয়সই হবে । ধর্মে আছো জিরাফেও আছো, সোনার মাছি খুন করেছি, হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান, প্রভু নষ্ট হয়ে যাই - এসব কাব্যগ্রন্থের অধিকাংশ কবিতা `হে প্রেম' পর্যায়ের মতো করে উত্কম্পিত হয়ে ওঠে না । ব্যতিক্রম শুধু বৈশাখ ১৩৭৭-এ প্রকাশিত `চতুর্দশপদী কবিতাবলী' । ১৯৫৬ সালে হুয়ান রামন হিমেনেথ যখন নোবেল পুরস্কার পান, শক্তির বয়স তখন মাত্রই তেইশ । ১৯৫০-দশকের কবিরা তখন `ফুল ফর্ম'-এ, পূর্ণ উদ্যমে তাঁদের কাব্যচর্চা মোটামুটি রবীন্দ্রোত্তর-পর্বের আর একটা অধ্যায় । রবীন্দ্রনাথ মূলত ইংরেজি কাব্যে আসক্ত ছিলেন, ১৯৩০-দশকের কবিরা সেই সঙ্গে যুক্ত করলেন বাকি ইউরোপকেও । ১৯৫০-দশকেই কাব্যের বিশ্বায়ন, বলতে গেলে, সূচিত হল । আমেরিকান কাব্যের তত্কালীন ঝঞ্ঝার সরাসরি অভিঘাত ৫০এর কবিদের আলোড়িত করার ফলে বাংলা কাব্যে `হাংরি-প্রজন্ম'-এর আবির্ভাব ঘটল । শক্তির কাব্য-মানসতা গোড়া থেকেই ছিল বহুরৈখিক, এহেন কাব্যশৈলী, তাঁকেও প্রভাবিত করবে, সন্দেহ নেই । পরে অবশ্য, শক্তি-র `হাংরি' পরিচিতি সংশায়িত হয়, কিন্তু তাঁর কাব্যের আপাতশিথিল বিন্যাসটি অন্তর্নিহিত বন্ধনে একইরকম থেকে যায় ।
কবিতার খাতাখানি ছিঁড়েখুঁড়ে যায়
পতনের শব্দ ওঠে টিলার উপরে-
কে পড়ে, কী পড়ে যায়, ঘরবাড়ি চালা ?
আঁধির দাপট লাগে মানুষের মুখে
মুখ পোড়ে, বুক পোড়ে - জঙ্গলের সানু
আগুনের মালা রাখে - কীসের বিবাহ ?...
ব্রিটিশ-কাব্য ছাড়াও পূর্ব-পশ্চিম ইউরোপও ৫০-এর কবিদের মনোযোগের কেন্দ্র হয়ে ওঠে । `হাংরি'-প্রজন্মের বাইরেও ৫০-এর কবিরা আমেরিকার বিট-কবিদের প্রভাবে তত্পর হয়ে ওঠেন । এ-কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, বিট-কবিদের গভীর দর্শনচিন্তা, ক্লাসিকছন্দের ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে কাব্যের নব্যরীতি প্রণয়নে উন্মুখ হওয়া, চিত্রকলা-আলোকচিত্র-বিবিধ সংগীত-বিবিধ ধর্ম বিচিত্র জীবনযাপন ইত্যাদিতে প্রবল আসক্তি, এসব আত্মস্থ করা হাংরিদের পক্ষে সম্ভব হয়নি । দেশীয় আবহ, অনুষঙ্গ, পরিবেশ, পরিস্থিতিতে পশ্চিমবাংলা আর আমেরিকা দুই মেরু; ফলে বিট-আন্দোলন আজ ইতিহাস । কিন্তু এ-কথা বলতেই হয়, ৫০-এর প্রধান কবিরা বিদেশি-কবিতায় কতটা বিজড়িত হয়েছেন, তা একটা ব্যাপারে প্রমাণিত হয় - প্রত্যেকের বিদেশি কাব্যানুবাদে অনুরক্তি : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (অন্য দেশের কবিতা); শঙ্খ ঘোষ (বহুল দেবতা বহু স্বর); অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত (গুন্টার গ্রাসের কবিতা; সারা কির্শ-এর কবিতা) ইত্যাদি ইত্যাদি ।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় নিশ্চয়ই ব্যতিক্রম নন; লরকার কবিতা বা আমেরিকান ইন্ডিয়ান শ্রেষ্ঠ কবিতা - এসব বই তার সাক্ষী । কিন্তু, যে প্রসঙ্গ শুরু করেছিলাম - `চতুর্দশপদী কবিতাবলী'- যখন প্রকাশিত হয়, তখন তিনি চল্লিশ-অনূর্ধ্ব । আর যে প্রসঙ্গে এ-প্রসঙ্গ উল্লিখিত হচ্ছে, হুয়ান রামন হিমেনেথের কালজয়ী কাব্যের সেই গাধাটি শক্তিকেও তাড়িত করেছিল :
(১) প্লাতেরো, তোমারে প্রিয় ঈর্ষা করি, তুমি বহুদিন
আমার বুকের পাশে ঘুমায়েছো, পিঠের উপরে ।
(২) প্লাতেরো আমারে ভালোবাসিয়াছে, আমি বাসিয়াছিকিন্তু, `হে প্রেম হে নৈ:শব্দ্য' গ্রন্থে গ্রথিত প্রতিটি কবিতাই যেমন কোনো-না-কোনোভাবে কবিতার চৌকাঠ মাড়িয়েছে, অন্যান্য কাব্যগ্রন্থে তা-না- হলেও বহু অবিস্মরণীয় কবিতা শক্তিকে চিহ্নিত করে রেখেছে; কীভাবে ? সেই যে তিনি লিখেছিলেন : "অবসাদ আর নামে না আমার সন্ধে থেকে," তাই দিয়ে । গোটা পাঁচেক কবিতার কথা তো এক নিশ্বাসে মনে পড়ে : অবনী বাড়ি আছো (ধর্মে আছো জিরাফেও আছো); আমি স্বেচ্ছাচারী (ধর্মে আছো জিরাফেও আছো); সে বড়ো সুখের সময় নয়, সে বড়ো আনন্দের সময় নয় (সোনার মাছি খুন করেছি); এক অসুখে দুজন অন্ধ (হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান); ... ... । তাহলে শক্তির শ্রেষ্ঠ কাব্যের কাল দেখা যায়, শেষ বয়স অবধি থেকেছে অংশত !
আমাদের দিনগুলি রাত্রি নয়, রাত্রি নয় দিন
যথাযথভাবে সূর্য পূর্ব হতে পশ্চিমে গড়ান
তাঁর লাল বল হতে আলতা ও পায়ের মতো ঝরে
আমাদের- প্লাতেরোর, আমার, নি:শব্দ ভালোবাসা ।
কলাবৃত্তের সাতমাত্রার পর্বে বিভক্ত ছন্দের রীতিটি সংস্কৃত মন্দ্রাক্রান্তা উদ্ভূত হলেও আমরা সাধারণত প্রথম পর্বটি ৮ মাত্রার হিসাবে রাখি না (সত্যেন্দ্রনাথ রেখেছিলেন)। আমরা ৭+৭+৭+৫ এভাবে লিখি । শক্তির বয়স তখন চল্লিশ -অনূর্ধ্ব; তিনি করলেন কী - `এবার আমি ফিরি'- এই ১৬ লাইনের কবিতাটির প্রতি লাইনে ৭+৭ ব্যবহার করে কোনো উদ্বৃত্তমাত্রা না রেখে চমত্কার উদাহরণ তৈরি করলেন । `অস্ত্রের গৌরবহীন একা' কাব্যগ্রন্থের (বৈশাখ ১৩৮২; কবির ৪২ বছর বয়সে প্রকাশিত অন্তর্ভুক্ত সে কবিতা :
"এবার আমি ফিরি ফেরার কুতুহলেআমরা আগে ভাবতাম, দলবৃত্তের ব্যবহারে সার্থক ছড়া যতটা হতে পারে, কাব্য ততটা নয় । শক্তিই একমাত্র পাগলা কবি, নির্বিচারে দলবৃত্তের চারমাত্রাকে কবিতায় ঢুকিয়ে দিয়ে গেছেন । এর উদাহরণ দিতে গেলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা অতিক্রম করে যেতে হবে আমাদের । কিন্তু যেটা লক্ষণীয়, আমাদের কম বয়সে আমরা প্রথমটায় ধরতেই পারতাম না যে এটা আসলে ছড়ার ছন্দে লেখা :
এবার আমি ফিরি ফেরার কামনায়
অনেক হলো দিন অনেক হলো বলে
এবার আমি ফিরি ফেরার কুতুহলে ...."
(১) অবশ্য রোদ্দুরে তাকে রাখবো না আরআর, নব্য-প্রজন্মের কবি যাঁরা ছন্দ না-জেনেই গদ্যে লিখছেন এবং-ছন্দের মূলসূত্রটিও অবহিত না-হয়ে বলছেন ছন্দের দিন শেষ, তাঁদের জন্য শক্তির অন্তত দুটি গদ্যকবিতা উচিতশিক্ষার মতো চিরকাল জ্বলজ্বল করবে : `জরাসন্ধ'; `সুবর্ণরেখার জন্ম' । এ-কথা উল্লেখ থাকুক, কোনো গবেষক কখনও বাংলা-কাব্যে ছন্দপ্রয়োগের বৈচিত্র্য নিয়ে কাজকর্ম করতে উদ্বুদ্ধ হন কোনোদিন, তাঁকে শক্তির দ্বারস্থ হতেই হবে । শক্তি বহুপ্রসবী হতে পারেন, আলফাল বহু কবিতা হয়তো লিখে গেছেন, কিন্তু সহজকবিত্বকে কীভাবে কাব্যের মেধার দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটা প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন ।
ভিনদেশি গাছপালার ছায়ায় ঢাকবো না আর
তাকে শুধুই বইবো বুকের গোপন ঘরে
তার পরিচয় ? মনে পড়ে মনেই পড়ে । (প্রেম)
(২) হলুদ পর্দা ছিঁড়ে ফেলতে এক মুহূর্ত সময় লাগবে -
তার পরে লুট-প্রভুর পায়ের কাছেই কি বাতাসা পড়ছে ?
(পাখি আমার একলা পাখি)
(৩) উরুত্, বাহু, পদ্মনাভি এবং নকল স্তম্ভ খিলান
জঙ্ঘা, মোচড় - গর্তগুহার পার্শ্ববর্তী দীর্ঘ টিলার
মাথার উপর দাঁড়িয়ে আছে - সমগ্রকে করছে গুঁড়ো
সাধের নারী নষ্ট করে পুরুষ, যেন পাহাড়চুড়ো ।
(বিরহ তার পাত্র থেকে আগুন ঢালছে)
খুবই আশ্চর্যের, দুই বিপরীত মানসতা-চিন্তাভাবনা ও মেধামননযুক্ত (শেষোক্ত বিশেষণটি শক্তির ক্ষেত্রে কতটা প্রযোজ্য, বলা শক্ত) কবির নাম প্রায়শ একসঙ্গে উচ্চারিত হয় । এ-প্রবণতা খুবই দোষের । শক্তির কাব্যে অবসাদ ও বিষাদ, বিষণ্ণতা ও বেদনা যে আসলে মৃত্যুচেতনারই নামান্তর, আমরা জানি । সুনীল লিখেছিলেন : "মৃতুচেতনা তার কবিতার বিশেষত্ব হতে পারে, মৃত্যু বাসনা তার কখনো ছিল না ।" আর, শক্তি কেমন কবি ? সুনীলের ভাষায় : "ও যাই বলুক, ওর সব কবিতাই ভীষণভাবে কবিতা এবং মহৎ কবিতা ।" শক্তির তিনটি মন্তব্য দিয়ে এ-রচনা শেষ করি, যেগুলি খুব বেশি প্রকট নয়, অন্তত সাধারণ্যে -
(১) কবিতা মানুষের মুখের ভাষার কাছে যাবে, এমন কড়ার করে কেউ কবিতা লিখতে বসবেন, এ-ব্যাপারে আমার বিশ্বাস নেই ।
(২) কবিতা যদি কোনোদিন জনসাধারণের ভাষা হয়ে দাঁড়ায়, তা হতে পারে । কিন্তু হতে শুনিনি ।
(৩) খবরকাগজ সাধারণ সাহিত্যের চিরদিনই ক্ষতি করে আসছে ।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে `অ্যাকাডেমিক' মূল্যায়নের ভাষাটি কেমন হবে ? এ-ব্যাপারে বিখ্যাত কাব্য আলোচক অশ্রুকুমার সিকদারের উদ্ধৃতি শ্রেষ্ঠ উল্লেখ হতে পারে : "শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতায় একাকিত্বের কথা আছে, কিন্তু তাঁর নি:সঙ্গতা ফলবান ও ইতিবাচক । (তাঁর কবিতায়) চিত্র ও সংগীতময় পঙ্ক্তি যেমন উঠে আসে, তেমনি (তিনি) সাজিয়ে পরাবাস্তব পদ্ধতিতে কবিতা লিখতে ভালোবাসেন । অনেকসময় সেইসব কবিতায় ঘটে যায় `ক্ষিপ্ত বিকেন্দ্রীকরণ' ।... আস্তিক্যবোধেই তাঁর কবিতায় আসে এক নিজস্ব ঈশ্বরের কথা ।... একদিকে মৃত্যুর হাতছানিতে, অন্যদিকে জীবনের প্রতি ভালোবাসায় মগ্ন হয়ে লেখা তাঁর প্রতিটি চরণ কবিত্বের দুর্লভ সত্তাসারে স্পন্দিত ।"
মন্তব্য ও ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন । ওদিকে, ১৯৫০-এর কবিদের মধ্যে একমাত্র সুনীল ও শক্তিই যে নির্বিকারে `স্ল্যাং' প্রয়োগ করে গেলেন, তার কী হবে ?
(পরবাস, জানুয়ারি, ২০১১)