এক
"চিরকালই মানুষের সভ্যতায় একদল অখ্যাত লোক থাকে, তাদেরই সংখ্যা বেশি, তারাই বাহন; তাদের মানুষ হবার সময় নেই; দেশের সম্পদের উচ্ছিষ্টে তারা পালিত।...কথায় কথায় তারা রোগে মরে, উপোসে মরে, উপরওয়ালাদের লাথি ঝাঁটা খেয়ে মরে—জীবনযাত্রার জন্য যত-কিছু সুযোগ সুবিধে সব-কিছুর থেকেই তারা বঞ্চিত।"[১]
রক্তকরবী আসলে এক "থাকা"র গল্প। যাসব কিছু কেবলই "মরে", যাদের মরতে হয়, তাদেরই বেঁচে থাকার গল্প। রক্তকরবীতে আমরা তিনরকম থাকার কথা পাই -- বেঁচে থাকা, টিকে থাকা, মৃত্যুর পরবর্তী বেঁচে থাকা। প্রথম শ্রেণীতে যদি ফেলি কিশোর আর বিশুকে, দ্বিতীয় শ্রেণী নিয়ে ভাবতে গেলেই অবশ্যম্ভাবী মনে আসবে যক্ষপুরীর মতোই অন্ধকারে, পাথরের কোটরবন্দী, রাজার হাতের সেই মরা ব্যাঙটিকে। আর তৃতীয় শ্রেণীতে কে স্থান পাবে? রঞ্জন না নন্দিনী না কি রক্তকরবী?
ভেবে দেখি, একজন নাট্যকার একটি নাটকের দশ দশটি পান্ডুলিপি লেখেন তুমুল বদল ঘটিয়ে। আমূল বদলে যায় প্রতিটি পান্ডুলিপির সূচনা, শেষ এবং সংলাপ। অন্তিম পান্ডুলিপিটি প্রবাসীতে (আশ্বিন, ১৩৩১) প্রকাশিত হবার পরেও এমনকি, একাদশতম খসড়া প্রস্তুত করার কথা ভাবেন রবীন্দ্রনাথ।[২] যে নাটকটির উপর এতবার তুলি বোলাতে হয় লেখককে, নামকরণের পরিবর্তন তাতে স্বাভাবিক। রক্তকরবী নিয়ে এর আগে অনেক আলোচনা হয়েছে। বা বলা ভালো, "রক্তকরবী"ই কেন, এ নিয়ে। একটি উল্লেখযোগ্য আলোচনা অবশ্যই করেছেন শঙ্খ ঘোষ। যে আলোচনার নামকরণ দেখে আপাত মনে হতে পারে তা বস্তুত August Strindberg এর "A Dream Play" নাটকটির সঙ্গে তুলনা। যদিও, মূলত তা একটি সমালোচনা, বহুরূপীর 'রক্তকরবী' অভিনয় প্রসঙ্গে।[৩]
নামকরণ প্রসঙ্গে, যে ধারণাটি প্রচলিত তা হলো, প্রথমে যক্ষপুরী, পরে নন্দিনী এবং সর্বশেষ পরিবর্তন হিসেবে রবীন্দ্রনাথ বেছে নেন 'রক্তকরবী' নামটিকে। সে ধারণা কতখানি যথার্থ, সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। যক্ষপুরী নামকরণের পরিকল্পনা একেবারে প্রাথমিক ধরে নিলে, আমাদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে নন্দিনী থেকে রক্তকরবী বদলের ছবি। যে রক্তকরবীর, "সমস্ত পালাটি 'নন্দিনী' বলে একটি মানবীর ছবি।"[৪] তাহলে কী আমরা ভাবতে পারি, রক্তকরবী আসলে নন্দিনীরই একটি বিশেষ চিহ্ন? এবং চন্দ্রাকে অনুসরণ করে বলা যায়, যক্ষপুরীর সবাইকেই 'নন্দিনীতে পেয়েছে'? রক্তকরবী, খেয়াল করব, বিষয়টিই দ্বিতীয় এবং পঞ্চম খসড়ায়[৫] মাত্র দুবার উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে রাজাকে কুঁদ ফুলের মালা গেঁথে দিয়ে নন্দিনী বলে, "আমাকে মানাবে না, আমি পরেছি রক্তকরবী"। আর রাজা বলেন, "তোমার ঐ রক্তকরবীর মালা দাও আমাকে পরিয়ে।" অষ্টম খসড়ায় যে সংলাপ বদলে হয়, "তোমার ঐ রক্তকরবীর মালা দেবে আমাকে?" এবং শেষ পর্যন্ত রক্তকরবীর মালা আদৌ রাজা পান না। রক্তকরবীর মঞ্জরী পায় রঞ্জন। যার বাহক হয়ে অনিবার্যভাবে নাটকে আচমকা যোগ দেয় কিশোর। আর নন্দিনীর মালাটি পায় বিশু। প্রথম পান্ডুলিপির মাতাল যে বিশু পরে হয়ে ওঠে শুধুই পাগল।
ফেরা যাক পুরোনো প্রসঙ্গে, যক্ষপুরী থেকে নন্দিনী এই বদলের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কতখানি?
দুই
ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে, যক্ষপুরী এবং নন্দিনী এই দুটি নামই প্রায় সমান্তরালে এসেছে, রবীন্দ্রনাথের ভাবনায়। প্রবাসীর সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি লিখছেন, "যক্ষপুরী নাটকটি প্রবাসীর পূজার সংখ্যায় প্রকাশ না করিয়া ফাল্গুন বা চৈত্র মাসে প্রকাশের যদি ব্যবস্থা করেন তবে ভালো হয়।" (১৯ ভাদ্র, ১৩৩০)[৬]
আর এর একমাস পর, অমিয় চক্রবর্তীকে চিঠিতে লিখছেন, "নন্দিনী নাটকটার উপর ক্ষণে ক্ষণে প্রায়ই তুলি বুলচ্চি--" (২৪ আশ্বিন, ১৩৩০)[৭]
এবং উল্লেখযোগ্য বিষয় এই যে, চিঠি ব্যতীত অন্যত্র কোথাওই রবীন্দ্রনাথ যক্ষপুরী নামটি একবারও উল্লেখ করেননি। পঞ্চম খসড়ায় প্রথম নিজে হাতে তিনি 'নন্দিনী' নামটি লেখেন।
যক্ষপুরী সূত্রে পুরাণের প্রসঙ্গ মনে পড়া স্বাভাবিক। পদ্মপুরাণে লেখা হচ্ছে, প্রজা সৃষ্টিকালে ক্ষুধিত অবস্থায় ব্রহ্মা অন্ধকারে বিকৃত এবং ক্ষুধার্ত প্রজার সৃষ্টি করতে থাকেন। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ ক্ষুধায় ব্রহ্মাকেই খেতে যান এবং এঁরাই পরিচিত হন যক্ষ নামে।
গ্রহণলাগা পুরী অথবা মরা ধনের শবসাধনা এবং মকররাজের অনুষঙ্গ তাই অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে এ নাটকে। একইসঙ্গে, "আধুনিক সমস্যা বলে কোনো পদার্থ নেই, মানুষের সব গুরুতর সমস্যাই চিরকালের"[৮] নিজের এই উক্তিকেই রবীন্দ্রনাথ ভেঙেচুরে দেন একভাবে। সম্ভব হয়ে ওঠে, মার্কসীয় দর্শনে রক্তকরবীর একটি পাঠ। সেখানে, যক্ষ অথবা মরা ধন আগলে রাখার থেকে অধিক সত্যি হয়ে ওঠে, অন্ধকারের তাৎপর্যটাই। আমাদের চেনা পরিচিত চরিত্রগুলোর যে সীমাবদ্ধতা তাকে টপকে অনেক সম্ভাবনা খুলে দেয়, মিথ সমাবেশ। উঠে আসে, রামায়ণ প্রসঙ্গও। রক্তকরবীর প্রথম সংস্করণের প্রস্তাবনায় এ বিষয়ে নাট্যকারের নিজস্ব মতামত বহুল ঊদ্ধৃত। আমরা বরং খেয়াল করি আর এক আশ্চর্য় সংলাপ। সংলাপ বিশু আর নন্দিনীর। মকররাজকে সে জালের ভিতরে গিয়ে কেমন দেখেছে, সেই প্রসঙ্গে বলে—
"— আমার মনে হল যেন রামায়ণ মহাভারতের কেউ— যেন যুগযুগান্তরের মানুষ, যেন ভীষ্ম পিতামহ।
— বল কি? ভীষ্ম পিতামহ?
— সেই রকমের একলা, ভয়ানক একলা।"
এ অংশ দশম সংস্করণ অবধি ঠাঁই দেননি রবীন্দ্রনাথ। এ একেবারেই প্রাথমিক খসড়ার ছবি। কিন্তু, তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে ঐ 'ভয়ানক একলা' টুকু। রাজা প্রসঙ্গে, সেই বিশালত্ব নয় কেবল, 'একলা' শব্দটিই মনে পড়ে নন্দিনীর।
মনে আসবে, কেননা সৃষ্টির আগে ব্রহ্মা যেমন নিঃসঙ্গ, সৃষ্টি পরবর্তীকালে তিনিও কখনো একা হয়ে যান। যক্ষপুরীতে তেমনই একা রাজা। তাঁরই সর্দারদের খিদে, ঠকিয়ে নেয় তাকে। আর এখানেই সম্ভাবনাকে প্রসারিত করে, যক্ষপুরীর শ্রেণীবিভাজন তার অন্ধকার দিকটিকে স্পষ্ট করে তোলে। আমাদের মনে পড়ে, সমাজবিজ্ঞানীদের ভাগ অনুসারে মানব সম্পর্ক দুরকম — Primary Group এবং Secondary Group। যক্ষপুরীর সম্পর্কগুলি secondary group এর দিকেই ঝুঁকে থাকে। যেখানে, ".. অনেক মানুষ একসঙ্গে থাকে বটে, কিন্তু যেথেতু তারা কোনো আবেগনির্ভর ব্যক্তিগত সম্পর্কে আবদ্ধ নয়, মানবিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেমন, কাজের সঙ্গেও তারা মনে মনে বিচ্ছিন্ন, তাই এই গোষ্ঠীর মানুষ প্রত্যেকেই ভেতরে ভেতরে একা হয়ে যান।"[৯]
যে একাকিত্ব জালের আড়ালে রাজার মধ্যে প্রকট ভাবে প্রকাশিত, বিচ্ছিন্নতার সেই বোধই গোপনে গোপনে ছড়িয়ে থাকে সর্বত্র। আর আধুনিকতার সেই সঙ্কটটিকেই, বৃহৎ ব্যঞ্জনায় ধরে রাখতে পারত যক্ষপুরী।
তাহলে, কেন প্রয়োজন হল, ''নন্দিনী''র?
তিন
এ নাটকের দ্বিতীয় পান্ডুলিপি থেকেই নাটকের শ্রেণীবিচার করেন রবীন্দ্রনাথ — ".. এ নাটকটি একেবারেই পৌরাণিক কালের নয়, একে রূপকও বলা যায় না।"
পুরাণ অনুষঙ্গ যক্ষপুরীকে বাস্তবতা অতিক্রান্ত করে যতটা, যতটা পাঠককে আক্রমণ করে তার বীভৎসতা এবং কেবল সংখ্যায় পরিণত হওয়া মানুষদের দেখিয়ে, বিপরীতে ততটাই বাস্তব, প্রাণোচ্ছ্বল নন্দিনী। যক্ষপুরী অন্ধকারের। আর নন্দিনী যক্ষপুরের আচমকা আলো। যক্ষপুরীর যাবতীয় প্রতাপ এবং শ্রেণীবৈষম্যের বিপরীতে প্রেমের প্রতীক। একগুচ্ছ সংখ্যার উল্টো দিকে, এক 'হয়ে ওঠা' মানুষ। মাটির উপরেই পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণের ইঙ্গিত। নন্দিনী তাই সর্বোতভাবেই মাটির তলার যক্ষপুরীর প্রতিস্পর্ধী।
বাস্তবের কোনো একটি বিশেষ স্থানে, মানবসভ্যতার অন্ধকারকে সীমাবদ্ধ করতে চাননি বলেই তাঁকে বাছতে হয়েছিল, যক্ষপুরী নামটি। সে একান্তই স্থান হিসাবে। যক্ষপুরী, তার অনন্ত সম্ভাবনা বিস্তার করেই টিকে ছিল, টিকে আছে। এর মাঝে প্রয়োজন ছিল, বেঁচে থাকার। নন্দিনী প্রথমেই বাঁচার কথাই বলে, থাকার আনন্দ চুঁইয়ে পড়ে তার আচরণে। তাকে দেখে বিস্মিত হয় সবাই। কারণ নন্দিনী বেমানান, নিয়মের এই ছকে। যা কিছু বেমানান, তার প্রতি আমাদের আলাদা আগ্রহ থাকে বৈ কী।
বাকি যে দুটি চরিত্র, বাঁচার কথা ঘোষণা করে, তাদের একজন নন্দিনীকে নতুনরকম দুঃখের কথা শোনায়। আর একজন, 'মারের মুখের উপর দিয়ে' এনে দেয় ফুলের গুচ্ছ। রঞ্জন, কিশোর বা বিশু যেন সূর্যের রশ্মির মতো নন্দিনীকেই ফুটিয়ে তোলে আরো, এক একটি করে পরত খুলে দিয়ে তাকে একরকম করে পৌঁছে দেয় পূর্ণতায়। নন্দিনীর পক্ষে বিশুকে বলা সম্ভব হয়, "মিলনে আমার সুখ হবে না। এ কথা কোনোদিন ভুলতে পারব না যে, তোমাকে শূন্য হাতে বিদায় দিয়েছি। আর, ঐ-যে বালক কিশোর, ও আমার কাছ থেকে কীই বা পেলে!"[১০]
নন্দিনী বাঁচার কথা জানতো। রঞ্জনের মৃত্যু কেবল নয়, নন্দিনীকে মৃত্যুর প্রতিস্পর্ধার খবর জানিয়ে যায়, কিশোরও। সন্দেহ নেই যে, নন্দিনী সবচাইতে ভালোবাসে রঞ্জনকেই। তার ভালোবাসার রঙ রাঙা মনে হওয়াতেই সেই রঙের রক্তকরবীতেই সেজে ওঠে সে।
"কিন্তু নন্দিনীকে সবচাইতে ভালোবাসে কে? রঞ্জন নয়, সে আপনাকেই ভালোবাসে, প্রাণের নেশায় প্রাণকেই বিলিয়ে বিলিয়ে যায়, হারিয়ে হারিয়ে যায়। বিশু নয়। তার চাওয়া অসামান্য চাওয়া, এই চাওয়াকেই সে ভালোবাসে, এরই মর্যাদা রাখবে বলে সে যেটুকু পায় নেয় না।
নন্দিনীকে সবার চেয়ে ভালোবাসে কিশোর। তারই প্রেমে পথে চলার সুরটি বাজে, সে সুর চিরকালের চিরনতুন সুর।"[১১]
নন্দিনী, এই ব্যক্তিনামটি অতিক্রম করে, চিরকালীন এবং চিরনতুন সুরটির প্রয়োজন ছিল কোথাও।
চার
কিশোরকে আমরা প্রথমবার পাই দশম পান্ডুলিপিতেই। কিশোর প্রয়োজনে কিশোরকে নয়, 'রক্তকরবী'র প্রয়োজনেই কিশোরের আবির্ভাব। নন্দিনীকে রক্তকরবী যুগিয়ে দেয় সে। তারই হাত দিয়ে রঞ্জনের কাছে পৌঁছায় রক্তকরবীর মঞ্জরী নিয়ে। একদিন সেসব আবর্জনা সরিয়ে সে হঠাৎ মাথা তুলে উঠল একটি লাল ফুল নিয়ে — "সে বললে ভাই মরিনি তো, আমাকে মারতে পারলে কই?"[১২] এইটা দেখার পরই, বলছেন নাটকটাকে আর "যক্ষপুরী নন্দিনী প্রভৃতি বলে আমার তৃপ্তি হয়নি। তাই নাম দিলাম রক্তকরবী।"[১৩]
যক্ষপুরীকে অতিক্রম করে বেরিয়ে আসার একটি প্রয়াস ছিল 'নন্দিনী'। শীতল এবং মৃত অন্ধকারের মধ্যে নন্দিনী ছিল আচমকা আলো। আলোর সঙ্গে উত্তাপ এবং প্রাণের সম্পর্ক নিবিড় অবশ্যই। যে প্রাণ, 'থাকা'র কথা ঘোষণা করে দৃপ্তভাবে। আমি আছি— এটুকুই কেবল হয়ে উঠতে পারে আনন্দের দ্যোতক। আবার এরকমও শুনতে পাই —
"নন্দিনী : থাকতেই হবে? মানুষ হয়ে থাকবার জন্যে যদি মরতেই হয় তাতেই বা দোষ কী!
অধ্যাপক : আবার সেই রাগ? সেই রক্তকরবীর ঝংকার? খুব মধুর, তবুও যা সত্য তা সত্য। থাকবার জন্যে মরতে হবে, এ কথা বলে সুখ পাও তো বলো। কিন্তু, থাকবার জন্যে মারতে হবে এ কথা যারা বলে তারাই থাকে।"[১৪]
থাকা নয়, মানুষ হয়ে থাকাই ছিল নন্দিনীর উদ্দিষ্ট। যা ব্যক্তিমানুষ নন্দিনীকেও ছাপিয়ে যায়। সর্দারের বর্শার কুন্দ ফুলের মালাকে বুকের রক্তে সে রাঙিয়ে দিতে চায় রক্তকরবীর রঙে। ''আমার সেই মরা তোমাকে মারবে" —এই যে লড়াইয়ের ডাক দেয় নন্দিনী, তা প্রতিধ্বনিত হতে থাকে রক্তকরবীতে। লড়াইয়ের যে ব্যাপ্ত চেতনা একা নন্দিনীতে ফুরিয়ে যেত, বেঁচে থাকার সেই মরণপণ লড়াই সার্থকভাবে ধারণ করে রক্তকরবী। বারবার। মৃত্যু তার পরিণতি নয়, কখনোই।
তথ্য ও উৎসনির্দেশ:
[১] রাশিয়ার চিঠি (১), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[২] রবীন্দ্রবীক্ষা, রবীন্দ্রচর্চা প্রকল্পের ষান্মাষিক সংকলন ; সংখ্যা ১৬। পৃষ্ঠা: ২৯।
[ "রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত প্রবাসীর উল্লিখিত 'রক্তকরবী' মুদ্রিত খসড়ায় দেখা যায়, কিছু কিছু অংশে রবীন্দ্রনাথ পেন্সিলের দাগে চিহ্নিত করেছেন। তাতে মনে হয়, প্রবাসীতে মুদ্রিত হবার পরেও তিনি নাটকটির আরো পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন।"]
[৩] "রক্তকরবী, ক্রিসেন্থিমাম"; কালের মাত্রা ও রবীন্দ্রনাটক, শঙ্খ ঘোষ।
[৪] অভিভাষণ -- রক্তকরবী, প্রবাসী, বৈশাখ, ১৩৩২।
[৫] রক্তকরবীর যাবতীয় পান্ডুলিপি সূত্র - "Bichitra: Online Tagore Variorum : School of Cultural Texts and Records" এবং,পান্ডুলিপির নির্দিষ্ট ক্রমসূত্র - "রক্তকরবী, পান্ডুলিপি সংবলিত সংস্করণ", সংকলন ও সম্পাদনা : শ্রীপ্রণয়কুমার কুন্ডু।