আমার বাড়ির পাশের অতৃপ্ত নরসুন্দা
যেখানে তোমার নদী ফুলেশ্বরীতে গিয়ে মিশেছে—
সেখানে মাঝে মাঝে ভেসে আসতো গান;
ত্রিসীমানায় সঙ্গীত বলতে কিছুই ছিলো না
তুমি ছিলে— বাউলের গহনে গেরুয়া একতারা
আনন্দভৈরবী—চারুদের জীবনের চিরস্থায়ী ক্ষত।
শেষবার গিয়ে দেখে এসেছি—
মৃত বেড়ালছানা ভেসে চলেছে সমুদ্র সীমান্তে।
পাগলা ঘোড়ার মতো লাথি মেরে খুঁজি টিভির ভেতরে
পাই না হারানো কল্লোল—
নদীর কবন্ধ অন্ধকার জলে সঙ্গীত নামে কিছুই নেই
উদ্দেশ্যবিহীন স্থলদেশে নতজানু মৃত্তিকা
গানহীন—
জলহীন—
আলুথালু চাঁদ বধির কুয়োর কিনারা ছুঁয়ে ঝুঁকিয়েছে মাথা
অলৌকিক বিষাক্ত ছোবলের জোছনায়।
কেউ একজন ডাকছে আমাকেঃ
'এসো, আমার জানালার পাশে এসো
দাঁড়াও কান পেতে—
খোঁজো আমাকে
খোঁজো আমার গান
এসো, আমার জানালার পাশে দাঁড়াও...'
তখন আমার মনে পড়ে চন্দ্রাবতীর একজন কন্যার বেঁচে থাকবার কথা
রোমাঞ্চের প্রহরে তার জন্ম হয়েছে মৈমনসিংহ গীতিকার মাটিতে
আধুনিক রূপকথার আখ্যানে তাকে খুঁজতে আমি ভার্জিনিয়ার রিচমণ্ডেও চলে যেতে পারি
হায়!
ঘুমশিয়রে স্বপ্নের বাংলাদেশে চন্দ্রাবতী নেই!!
রয়ে গেছে তার ডাক—'এসো...'