লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
অজয় বিশ্বাস কলকাতার বিরাটীতে থাকেন। অল্প বয়স থেকেই গল্প, কবিতা, ছড়া লেখার সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত হয়েছে প্রমা প্রকাশনীর সহযোগিতায় তিনটি কাব্যগ্রন্থ। যথাক্রমে - 'হলুদ ঋতুর গল্প', 'ঝিনুকে নিজস্ব ছায়া' ও 'নাবিকের চোখে অরণ্যরেখার স্বপ্ন'। এছাড়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বহু লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
অতীন্দ্র দানিয়াড়ী খুব ছোট থেকেই কবিতা লিখছেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হয়েছে, হচ্ছে। 'তোকে তো যেতেই হবে' নামে একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। কবিতা ছাড়া ছোটো গল্প, রম্য রচনা এবং নাটক লেখেন। লেখা নাটক নিয়ে কয়েকটি গ্রুপ কাজ করছে। অতীন্দ্র নিজেও একজন নাট্যকর্মী, নিয়মিত নাটক করেন এবং নাট্য পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া 'এই সময়' - টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে সাংবাদিকতার কাজ করেন।
শ্রীমতী অতীন্দ্রিলা রায় কল্যাণী ইউনিভার্সিটি থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে প্রায় দুই দশক দিল্লী প্রবাসী। নেশা কবিতা ও প্রবন্ধ লেখা এবং বাংলা সাহিত্যচর্চা। অতীন্দ্রিলা নৃত্যে দক্ষ এবং তাঁর কবিতা আবৃত্তি কবিতা প্রেমিকের কাছে সমাদৃত হয়েছে।
অদিতির বড়ো হয়ে ওঠা কল্যাণী শহরে। স্ট্যাটিস্টিক্স-এর ছাত্রী অদিতির কাছে বই আর অক্সিজেন সমতুল্য। কর্মসূত্রে বছরখানেক আরবদেশে বসবাসের অভিজ্ঞতাও আছে। ভ্রমণ, ছবি তোলা, এমব্রয়ডারির পাশাপাশি ইদানীং লেখালিখিতেও সমান উৎসাহী।
অদ্রিজা ব্যানার্জী কলকাতার একটি কলেজে ইলেকট্রনিক্সের অধ্যাপক। নেশা--বই, বই, আর বই।
অনন্যা দত্ত আই,আই, টি খড়্গপুর ক্যাম্পাসে থাকেন। মানসিক বিকাশ কিছুটা ব্যহত হওয়ায় স্কুলের পড়া হয়নি। ছবি আঁকতে ও গান গাইতে ভালবাসেন।
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)
অনিন্দ্য বসুর পেশা সফট্ওয়্যার। নেশা গান আর বই। উত্তর কলকাতায় কেটেছে প্রথম জীবন। পড়াশুনো আই আই টি খড়গপুর ও পরে আমেরিকায়। গত উনিশ বছর ধরে কলোরাডো বাসী।
অনির্বাণ ভট্টাচার্যর বাড়ি বোলপুর, বীরভূমে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিভাগে গবেষণা করেন।
অঞ্জন আচার্য-র জন্ম বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উপাধি প্রাপ্তির পরে এখন বাংলা একাডেমি, ঢাকায় গবেষক হিসেবে কর্মরত। পেশাগত জীবন শুরু হয় দৈনিক ভোরের কাগজ, প্রথম আলো, ইত্তেফাক পত্রিকায় কাজ করার মধ্য দিয়ে। প্রখ্যাত সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন-এর গবেষণা-সহকারী হিসেবে জেণ্ডার ও উন্নয়ন বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন অনেকদিন। কবিতাই তাঁর কাছে যাবতীয় স্বপ্ন-বুননের ক্ষেত্র; পাশাপাশি গল্প, প্রবন্ধ, ফিচার, সাহিত্য-সমালোচনা, সম্পাদনা-সহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করেন। প্রকাশিত বইঃ
জলের উপর জলচ্ছাপ (কবিতা),
রবীন্দ্রনাথঃ জীবনে মৃত্যুর ছায়া (প্রবন্ধ),
জীবনানন্দ দাশের নির্বাচিত গল্প (সঃ),
পাবলো নেরুদার কবিতা সংগ্রহ (সঃ),
লেনিন কথা (সঃ)।
অপূর্ব দে উত্তরপাড়া প্যারিমোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। নাট্যকার, নাট্যসমালোচক। প্রকাশিত বই - শিলাইদহ পর্বে রবীন্দ্রসাহিত্য, নাট্যসাহিত্য-নাট্যব্যক্তিত্ত্ব, নাট্য আন্দোলনে নাট্যপত্রিকা ও অন্যান্য।
অমিতাভ (জন্ম ১৯৭৫) ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা এবং তুলনামূলক ভারতীয় সাহিত্য পড়ান। মূলত প্রাবন্ধিক। ইংরেজি এবং বাংলা দুটি ভাষাতেই কবিতা লিখছেন।
অমিতাভ প্রামাণিক রসায়নের ছাত্র। পেটের দায়ে ব্যাঙ্গালোরবাসী; স্বাভাবিকভাবেই প্রিয় গান – এ পরবাসে রবে কে! ছড়া ও সংস্কৃত ছন্দের ব্যাকরণে উৎসাহী বলে ভান করেন। সারাজীবন কবিতাকে অবহেলা করে এসে এখন সে অভাব পুষিয়ে নেওয়ার সামান্য চেষ্টায় রত। সম্প্রতি (২০১৪) ‘হাফ সেঞ্চুরির পর’ নামে এক ছড়ার বই লিখে ছড়িয়েছেন। পাগলকে পাগল বলার বদভ্যাস কাটানোর জন্য আজকাল একবেলা নিরামিষ খাওয়ার চেষ্টা করছেন।
অমিতাভ সেন পরবাস-এর শুরু থেকেই নানা কার্টুন, স্কেচ ও লেখা (ইংরেজিতে, যা বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে) দিয়ে আসছেন। শিকাগোর 'Spinor Capital LLC' নামের আর্থিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে অনেকদিন ধরে একটি সুইস ব্যাংকে কাজ করেছেন। তারও আগে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের উপরে তাঁর গবেষণা কোয়ান্টাম মহাকর্ষের এক মৌলিক তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম বর্ধমানে। পড়াশোনা বর্ধমান, নরেন্দ্রপুর, ও শিবপুর বি,ই কলেজে। কবিতা ছাড়াও বিশেষ ভালোবাসার বিষয় হলো গানঃ রবীন্দ্রসঙ্গীত, হিন্দুস্থানী ও কর্নাটকী ক্লাসিকাল। প্রকাশিত কবিতার বই
আপাত সুখের দৃশ্য।
অরুণ কাঞ্জিলাল-এর জন্ম (১৯৫৪) কলকাতায়। বিজ্ঞানে স্নাতক (১৯৭৫) হওয়ার পর তাঁর কর্মজীবনের শুরু। প্রথমে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, ইণ্ডিয়া (১৯৮১-১৯৮৬), অতঃপর সাহিত্য অকাদেমিতে যোগদান (১৯৮৬)-বিপণন সহায়ক হিসাবে। অসম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আন্দামান সহ ভারতের নানা স্থানে অকাদেমির প্রতিনিধিত্ব করেছেন গ্রন্থপ্রদর্শনী ও বিপননে। বর্তমানে তিনি ঐ সংস্থার বিক্রয় আধিকারিক।
সাহিত্যচর্চা করছেন গত এক দশক ধরে। গল্প লেখেন, পাঠকমহলে যা ইতিমধ্যে আগ্রহের সঞ্চার করেছে। বিশাল বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষকে নানা সময়ে নানা ভাবে খোঁজার চেষ্টা করেছেন অনেক লেখক। এই ধারায় নবতম সংযোজন অরুণ কাঞ্জিলালের গল্প। তাঁর নির্বাচিত প্রথম গল্পের সংকলন সৌহার্দ্য (২০০৫)। ২০০৯-২০১০ বর্ষে তপতী ঘোষ বাংলা ছোটগল্প প্রতিযোগিতায় তিনি শ্রেষ্ঠ গল্পকারের স্বীকৃতি পান। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দিবাকরের ভারতবর্ষ - একুশটি গল্পের সংকলন। আঞ্চলিকতা, সম্প্রদায়গত অন্ধতার বহু ঊর্ধ্বে স্থিত তাঁর গল্পগুলোর পরতে পরতে মেলে ভারতভ্রমণের বিচিত্র স্বাদ।
অরুণিমা ভট্টাচার্য্য-- জন্ম - পাঞ্জাব, বড়ো হওয়া - কলকাতা, পড়াশোনা - তামিলনাডু, কর্মসূত্রে বেশ কিছুদিন - মহারাষ্ট্র। এখন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনাতে। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি। নেশা অনেক--যেগুলো বলা যায় তা হলো বই পড়া, গান শোনা, নাটক ও সিনেমা দেখা। কবিতা লেখা একটা সাম্প্রতিক আকস্মিক দুর্ঘটনা।
দূর্গাপুরের বাসিন্দা অর্চনা দত্ত পড়াশুনো করেছেন রসায়নশাস্ত্র নিয়ে। সাহিত্যপ্রেমী এই মহিলা ছোটোবেলা থেকেই ভালোবাসেন কবিতা লিখতে। তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন স্থানীয় পত্রপত্রিকায় এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে। স্বামীর কর্মসূত্রে গত কয়েক বছর ধরে পাড়ি জমিয়েছেন প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে লস এঞ্জেলস । "পরবাসের" দপ্তরে লেখা পাঠাতে পেরে ভীষণ খুশি হয়েছেন।
অশোককুমার মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১০ এপ্রিল ১৯৫৫, কলকাতায়। পেশা জনসংযোগ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অতিথি অধ্যাপক। গত দু'দশক ধরে প্রধানত দেশ-আনন্দবাজারে অপ্রকাশিত-তথ্যনির্ভর প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রাক্-স্বাধীনতা পর্বের সশস্ত্র জাতীয় বিপ্লবীদের কার্যকলাপ, রবীন্দ্রনাথের ছবি এবং কলকাতার সমাজচিত্র নিয়ে ছ'টি গবেষণামূলক বই লিখেছেন। প্রবন্ধের জন্য পেয়েছেন 'আনন্দ-স্নোসেম' পুরস্কার। লেখকের প্রথম উপন্যাস 'অগ্নিপুরুষ' পাঠক-সমালোচক মহলে সমাদৃত। 'আটটা-ন'টার সূর্য' লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে
আটটা-ন'টার সূর্য, অগ্নিপুরুষ, সোজা কথায়, কালি-মায়ের বোমা, The Naxalites through the eyes of the police ইত্যাদি।
অংকুর সাহা: কবিতা শ্রমিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক। গ্রন্থের সংখ্যা সাত।
আইভি চট্টপাধ্যায়--জন্মকর্ম সবই জামশেদপুরে। সৃষ্টিশীল কাজ করতে ও নানা ধরনের বই পড়তে ভালোবাসেন। আকাশবাণী জামশেদপুরের নানা ধরনের অনুষ্ঠানে ও আলোচনায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। প্রকাশিত বই
রাতপাখি (গল্প), অনির্বাণ এবং (গল্প), নিরবলম্ব (উপন্যাস) ও অপারেশন স্বর্গদ্বার (উপন্যাস)।
আকিব শিকদার--কবি ও শিক্ষক; নিবাস--হারুয়া, কিশোরগঞ্জ।
রচিত কাব্য গ্রন্থঃ কবির বিধ্বস্ত কঙ্কাল (২০১৪), দেশদ্রোহীর অগ্নিদগ্ধ মুখ (২০১৫)।
আদিত্য পাল একজন পর্বতপ্রেমী, এবং শৈশব থেকেই ট্রেকিং-এর সঙ্গে যুক্ত। নানান অ্যাডভেঞ্চার তাকে টেনেছে বারবার। কর্মসূত্রে কলিকাতা হাইকোর্টের সঙ্গে যুক্ত হলেও মন পড়ে থাকে ভ্রমণের নেশায়। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেইসব অভিজ্ঞতা। লেখকের প্রকাশিত একটি বই
Unforgettable Footsteps-এ গাড়োয়াল এবং কুমায়ূন এর ১৪টি ট্রেক পথের নির্দেশিকা রয়েছে।
আবুল (মঃ নুঃ) আলম খুলনার বি, এল, কলেজ-এ পদার্থবিদ্যার অধ্যাপনা থেকে অবসর নিয়ে এখন থাকেন মন্ট্রিয়ল, ক্যানাডাতে। মাঝে ইউনেসকো, প্যারিস-এর আইন বিভাগেও কাজ করেছেন। নিজের প্রিয় বাঁশের বাঁশি ও বেহালা বাজানো ছাড়াও এখন সময় কাটান লেখা-পড়ায়, ছবি তোলায়, এবং সমাজসেবাতে।
আমার নাম আরিফ রহমান। থাকি বাংলাদেশে, ঢাকার মিরপুরে। টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি.এস.সি করছি। পড়ালেখা ভালো লাগে না, প্রচুর বই পড়ি আর
টুকটাক লেখালিখি করি। প্রায় ৪ বছর ধরে বাংলা ব্লগিং এর সাথে জড়িত, কবিতা
লিখছি বছরখানেক হয়, ভালো লিখতে পারি না জানি তবু লিখে চলেছি। একটা অনলাইন
বাংলা পত্রিকায়
খণ্ডকালীন সাংবাদিকতায় ঢুকতে যাচ্ছি শীঘ্রই।
আয়ুষ্মান ঘোষের জন্ম ১৬ই শ্রাবণ, ১৪০৮, কলকাতায়। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ। কবিতা আবৃত্তি করতে ভালোবাসে। বেড়ানোর শখ আছে।
ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত আমেরিকায় থাকেন।
দীর্ঘ তিরিশ বছর শিক্ষকতার পরে ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য হিমাচল প্রদেশে সিমলা অঞ্চলের একটি স্কুলের অধ্যক্ষপদ থেকে অবসর নিয়ে
বর্তমানে কলকাতায় তাঁর পুরোনো নেশা, লেখালিখি ও অনুবাদ শুরু করেছেন। মাঝে মাঝেই তিনি নবনীতা দেব সেন ও তসলিমা নাসরীন-এর কাছে প্রেরণা পেয়ে থাকেন।
ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় থাকেন পুরুলিয়া জেলায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন। পছন্দের জিনিশ--কবিতা, গান, আবৃত্তি, আর একা একা থাকা।
ঈশিতা চক্রবর্তী -- বিদ্যাসাগর কলেজে পড়ান। কলকাতায় থাকেন।
কবি-প্রাবন্ধিক উত্তম দাশের জন্ম ১১ ডিসেমবর, ১৯৩৯, পূর্ববাংলার নোয়াখালি জেলার হাতিয়া অঞ্চলের চর আলেকজাণ্ডার গ্রামে। খিদিরপুর কলেজের প্রাক্তন বাংলা বিভাগের প্রধান। মূলত কবি, দু'খণ্ড কবিতাসমগ্র সহ কবিতার বই ১৮টি, প্রবন্ধের বই ৯টি। শক্তি চট্টোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৯৫ সালে। 'মহাদিগন্ত' পত্রিকার সম্পাদক।
উদয় চট্টোপাধ্যায় খড়গপুর আই. আই. টি. থেকে মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর স্নাতক এবং ডক্টরেট, এবং সেখানেই বিগত চারদশক অধ্যাপনার পর সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেছেন। ছাত্র এবং কর্মজীবনে তাঁর সাহিত্যচর্চা চলেছে সমান্তরালভাবে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা তিন, এবং একটি রম্যরচনা ও প্রবন্ধ সংকলন। পেশাগত বিষয়ে তাঁর লেখা বই 'Environmental Degradation of Metals' (Marcel Dekker Inc, 2001) এবং সম্প্রতি প্রকাশিত 'ধাতুর কথা'।
ঋতব্রত মিত্রের জন্ম ১৯৭৭-এ। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা শহরে। মা-বাবা দুজনেই ছিলেন অধ্যাপক। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করে এখন 'চেস্ট-মেডিসিন'-এ স্পেশ্যালিস্ট। অবসর সময়ে কবিতার পাশাপাশি গদ্য চেষ্টাও চলে। তবে শখে নয়। শখ--গান শোনা, প্রাচীন মিসরীয় চিত্রলিপি পড়ার চেষ্টা করা। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ
ঘর আছে, ঘর নেই (বাক্প্রতিমা), মাটি ও মোহর (আনন্দ), স্মৃতির ঘরে আলো (কৃত্তিবাস) এবং পরাশান্তি মনপ্রহরা (আনন্দ, ২০১৩)।
কমলিকা চক্রবর্তী কলকাতায় থাকেন। 'পরবাস'-এর পুরোনো পাঠিকা, শখের লেখিকা--পরবাসে এই প্রথম। একটি স্কুলে ইংরেজি পড়ান।
কাজী শামিম রহমান এর জন্ম ১৯৮৬ সালে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ময়দা গ্রামে থাকেন। ২০১০ সালে Birla Institute for Visual & Performig Arts থেকে ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন। ২০১১ সালে Camlin Art Foundation Annual Exhibition, ২০১২ সালে তাজবেঙ্গল-এ একক প্রদর্শনী এবং ২০১৩ সালে গ্রুপ এগজিবিশন করেছেন অ্যাকাদেমি অফ ফাইন আর্টস-এ। বেড়াতে ও গান শুনতে ভালোবাসেন।
কালীকৃষ্ণ গুহ-র জন্ম ১৯৪৩ সাল। পূর্ববঙ্গের (এখন বাংলাদেশ) রাজবাড়ি জেলার ছাইবাড়িয়া গ্রাম। ১৯৫৭ সালে, ছাত্রাবস্থা থেকে, কলকাতা শহরে। সাহিত্য ও আইনে স্নাতক। ১৯৬৫ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাকরি। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ। বাল্যকাল থেকেই সাহিত্যপাঠে উৎসাহী ও কবিতা লেখা শুরু। প্রথম কবিতার বই 'রক্তাক্ত বেদীর পাশে' ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত। তারপর থেকে বহু বই নিজের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি: হস্টেল থেকে লেখা কবিতা ...., পথনাটকের আসরে স্তব্ধতা। তিনটি প্রবন্ধের বই: পাঠবৃত্তে কালযাপন (২০১৩), নির্বাচিত গদ্য ও মলিন পাঠগ্রহণ। উল্লেখযোগ্য কোনো বলার মতো ঘটনা নেই, বিশেষ কোনো গৌরব নেই। ভালোবাসেন শুয়ে থেকে জীবন কাটাতে। শুয়ে শুয়েই বইপড়া, (সামান্য) লেখার চেষ্টা করা, গান শোনা - উচ্চাঙ্গ সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত।
কুন্তল ঘোষ কলকাতার একজন বিশিষ্ট কর্কট-রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এককালে লেখাকেলখির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এখন তার চর্চার খুব একটা সুযোগ হয় না।
কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মানবাধিকার কর্মী। মানবী চেতনার পত্রিকা 'খোঁজ এখন'-এর সম্পাদক।
কৃষ্ণা বসু এই যুগের একজন প্রধান কবি। তাঁর প্রকাশিত কবিতার বই এর সংখ্যা অনেক। তার মধ্যে
সাহসিনী কে রয়েছ, সাজো অন্যতম। সম্প্রতি তাঁর কবিতা সমগ্র বেরিয়েছে।
গৌতম সেনগুপ্ত কলকাতায় থাকেন। একটি প্রকাশনালয়ের সঙ্গে যুক্ত।
গার্গী ঘোষ কলমনামের পিছনে রয়েছেন ‘পরবাস’-এর এক পুরনো বন্ধু; কিন্তু কেন যে তিনি লুকোলেন, বলেননি। তবে আমরা নিশ্চিত, ‘পরবাস’-এর পাঠকের কাছে ধরা পড়ে যাবেন।
গোপা দত্তভৌমিক: জন্ম ১৯৫৬ হাওড়া, শিবপুর। পড়াশোনা - শিবপুর ও যাদবপুর স্কুলে, প্রেসিডেন্সি কলেজ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মজীবন - ১৯৭৯ থেকে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপিকা পরে বিভাগীয় প্রধান। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষা ১৯৯৮ - ২০০৪। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ২০০৪ - ২০০৯। বর্তমানে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
প্রকাশিত গ্রন্থ: কথার অলিন্দে (এবং মুশায়েরা), গল্প উপন্যাসের পাঠপ্রসঙ্গ: অবভাস।
গৌতম দাস-এর জন্ম ১৯৬৮ সালে। 'দেশ' কলকাতা হলেও এখন দিল্লীর বাসিন্দা। একটি বেসরকারি সংস্থানে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়র।
গৌরী দত্ত'র জন্ম বেনারসে, বড়ো হওয়া বিহারে। স্কুল পাটনায়, কলেজ দারভাঙ্গায়। পেশায় মনঃস্তাত্ত্বিক। এখন বাস বস্টনে।
কাজের ফাঁকে লেখা। শখের লেখা শুরু দশ বছর বয়স থেকে। বস্টনে বাড়িতে মাসে একবার বাংলা লেখক গোষ্ঠীর অধিবেশন বসে, গোষ্ঠীর নাম 'লেখনী'। 'রোজালি রোড গ্রুপ' নামে ইংরেজি লেখার অধিবেশন বসে মাসে আর এক দিন। প্রকাশিত বইঃ 'লোভ, পাপ ও তৃষ্ণা' (কবিতা, সমতট প্রকাশনী), 'মৈত্রী' (ছোটো গল্প, সমতট), 'বৈদেহী' (ছোটো গল্প, সমতট), এবং 'অফ আমারান্থ্স অ্যাণ্ড এল্স্' (ইংরেজি কবিতা সংকলন, ভিন্টেজ প্রেস, নিউ ইয়র্ক)।
চিরন্তন কুন্ডূ পুরুলিয়ার ছেলে। পুরুলিয়া, নরেন্দ্রপুর, আইএসআই-এর জল খেয়ে চাট্টি সার্টিফিকেট জোগাড় করেছেন। আপাতত কলকাতায় থাকেন এবং দশটা-পাঁচটা কম্পিউটারের সামনে পোজ দেন। নিজেকে সফ্টওয়্যার জগতে জীবন্ত ভাইরাস হিসেবে দেখতে চান। এমনিতে ঘরকুনো আর কুঁড়ের হদ্দ। তবে বাংলা সাহিত্য গান নাটক সিনেমার কথা হলে চিতায় উঠেও গলা খাঁকারি দেবেন। বাংলা ছাড়া অন্য ভাষা বানান করে পড়তে হয়। লেখালিখির অভ্যেস পৈতৃক উত্তরাধিকার ও সর্বংসহ বন্ধুদের আস্কারার নিদারুণ পরিণাম।
কলকাতা থেকে চিত্ত সাহু।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।
জয়ন্ত নাগ অনেক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করছেন; দেশ, বিভাব, কালি ও কলম, বিচিত্রা ইত্যাদি পত্রিকায় তাঁর প্রবন্ধ, ছোটোগল্প, কবিতা, সিনেমা-সমালোচনা, ভ্রমণকাহিনি ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে। রবিশঙ্কর, ফাল্গুনী মিত্র, পীট সীগার, মৃণাল সেন প্রমুখের তাঁর নেওয়া সাক্ষাৎকারও বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি তাঁর রচিত একটি গীতি-আলেখ্যর সিডি প্রকাশিত হয়েছে। গত ২৫ বছর কানেক্টিকাট-এর একটি কেমিক্যাল কর্পোরেশনে পরিবেশ-বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত।
জাকিয়া আফরিন ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকেন।
জ্যোতির্ময় দাশ দীর্ঘকাল প্রবাসে কাটিয়েছেন। মুলত কবি কিন্তু প্রাবন্ধিক, রম্য রচনাকার, শিশু সাহিত্যিক এবং অনুবাদক হিসেবেও পরিচিত। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩২। সাহিত্য অ্যাকাডেমি, ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতীর স্বীকৃত অনুবাদক ও নিরীক্ষক (রিভিউয়ার)। বাংলাদেশ ও ইউরোপের বিভিন্ন কবিতা পাঠের আসরে কবি হিসেবে যোগদান করেছেন। বর্তমানে ‘পদক্ষেপ’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত আছেন।
ডেভিড সুমন্ত্র হেমব্রম-এর পড়াশোনা বাংলা নিয়ে। বেসরকারি হাউসে চাকরি করেন, ঘুরে বেড়ান এদিক সেদিক, আর আন্তর্জালে কবিতা লেখেন মাঝে-সাঝে।
তথাগত ভট্টাচার্য দিল্লী-নিবাসী রিপোর্টার।
তাপস চক্রবর্তী পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টটেন্ট। তবে কলেজ জীবন থেকেই দেশী বিদেশী ছবি দেখার প্রবল ঝোঁক ছিল। পরবর্তীকালে সিনে ইনিস্টিটিউটের সঙ্গে শুরু থেকেই একজন ছিলেন। প্রত্যেকটি চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মিত ছবি দেখতেন। পৃথিবীর সিনেমা নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছেন। লেখালেখি শুরু ১৯৭২-৭৩ থেকে। মুভি মনতাজ, সিনে টেকনিক, ঘরোয়া, আনন্দলোক, প্রসাদ, আজকাল ইত্যাদি পত্রিকায় লিখেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর সিনেমা বিষয়ক বই 'অভিনয়ের সন্ধানে একটি চরিত্র'।
তাপস মৌলিকের জন্মঃ ১৯৬৮;
হাই স্কুলঃ কালনা, বর্ধমান; কলেজঃ বি ই কলেজ, শিবপুর, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং (১৯৮৯);
বর্তমান নিবাসঃ উত্তরপাড়া।
পেশাঃ ইঞ্জিনিয়ার, এখন দু'বছর হল বিশ্রামে।
প্রধানত ছোটদের জন্য নিয়মিত লিখছেন ২০১১ থেকে। লেখা প্রকাশিত হয়েছে আনন্দমেলা, সন্দেশ, রঙবেরঙ, শিশুমেলা, জয়ঢাক, খামখেয়ালি, ইচ্ছামতী ইত্যাদি পত্রিকায়।
বড়দের লেখা অনিয়মিত, কিছু প্রকাশিত হয়েছে দিশা সাহিত্য, পথ ও প্রান্তর, সমকালিক ইত্যাদি লিটল ম্যাগাজিনে।
নেশাঃ গানবাজনা, বেড়ানো।
তিলোত্তমা মজুমদারের জন্ম ১১ জানুয়ারি, ১৯৬৬, উত্তরবঙ্গে। কালচিনি চা-বাগানে ইউনিয়ন একাডেমি স্কুলে পড়াশোনা। ১৯৮৫-তে স্নাতক স্তরে পড়তে আসেন কলকাতায়, স্কটিশ চার্চ কলেজে। ১৯৯৩ থেকে লিখছেন। পরিবারের সকলেই সাহিত্যচর্চা করেন। সাহিত্যরচনার প্রথম অনুপ্রেরণা দাদা। আনন্দ পাবলিশার্সে সম্পাদনাকর্মের সঙ্গে যুক্ত। ভালবাসেন গান ও ভ্রমণ। 'বসুধারা' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার (১৪০৯)। 'একতারা'-র জন্য পেয়েছেন ডেটল-আনন্দবাজার পত্রিকা শারদ অর্ঘ্য (১৪১৩) শ্রেষ্ঠ উপন্যাস পুরস্কার এবং ভাগলপুরের শরৎস্মৃতি পুরস্কার (২০০৭)। 'রাজপাট' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন, কেরলের কাকানাডন সাহিত্য পুরস্কার (২০১২)। সম্প্রতি বেরিয়েছে 'অর্জুন ও চারকন্যা' উপন্যাস।
তোফায়েল তফাজ্জল-এর লেখালেখি ৯০ দশক থেকে। প্রকাশিত কবিতার বই একটি, নাম 'জলাশয়ে দগ্ধ দিন।' এটি ১৯৯৭-এ বাংলা একাডেমীর 'তরুণ লেখক প্রকল্প' থেকে প্রকাশিত। এ ছাড়া, সামনের বছর ছোটদের উপযোগী একটি কবিতার বই প্রকাশ করার ইচ্ছে রয়েছে। বর্তমানে লিবিয়ায় বসনা-এস অয়েল এন্ড গ্যাস কোম্পানির হিসাব রক্ষণ অধিকর্তা হিসেবে কর্মরত।
তৃষ্ণা বসাক-- জন্ম কলকাতায়, ১৯৭০ সালে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. ই. এবং এম. টেক। সরকারি সংস্থায় প্রশাসনিক পদ, উপদেষ্টা বৃত্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শী অধ্যাপনায় বিস্তৃত, বিচিত্র কর্মজীবন। বর্তমানে সাহিত্য অকাদেমি, কলকাতায় দ্বিভাষিক অভিধান প্রকল্পের সহ সমন্বয়সাধক। লেখার শুরু শৈশবে নাটক দিয়ে। পরে কবিতা ও গল্পে প্রবেশ। প্রথম প্রকাশিত কবিতা 'সামগন্ধ রক্তের ভেতরে'। দেশ, ১৯৯২।
প্রথম প্রকাশিত গল্প 'আবার অমল', রবিবাসরীয় আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৯৯৫।
প্রকাশিত কবিতা সংকলন 'বেড়াল না নীলঘন্টা'। গল্প সংকলন 'ছায়াযাপন','দশটি গল্প'। প্রবন্ধ গ্রন্থ 'প্রযুক্তি ও নারী বিবর্তনের প্রতি-ইতিহাস'। উপন্যাস 'বাড়িঘর'। ছোটদের জন্যে কল্পবিজ্ঞান লিখে থাকেন নিয়মিত। মৈথিলী থেকে বাংলা অনুবাদে সমান ক্রিয়াশীল।
দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি।
দিব্যেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের ছাত্র। স্নাতকোত্তর পড়াশোনার পরে Jerzy Grotowski-র "Theatre of Sources" প্রোজেক্ট-এ "co-realisator" হিসেবে পোল্যাণ্ড ও ইটালি-তে আমন্ত্রিত। দেশে ফিরে সাংবাদিক ও নাট্যসমালোচক হিসেবে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন। বর্তমানে সুইডেন-এ ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত। স্টকহোল্ম-এ বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন ও ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন-এ কর্মকর্তা। অনুবাদক ও ইন্টারপ্রিটর হিসেবেও নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।
পেশার সঙ্গে কোনও মিল না থাকলেও কাজের ফাঁকে ফাঁকে গল্প লেখা এখন দিলীপ ঘোষের নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণিতে ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিঙে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত দিলীপের যন্ত্রবিদ মন এখন সাহিত্যের আঙ্গিনায় ঘোরাফেরা করে। জন্মসূত্রে কলকাতার হলেও এখন সিঙ্গাপুরবাসী দিলীপের মাতৃভাষার প্রতি টান প্রকাশ পায় শখের সাহিত্য চর্চায়।
দূর্বা বসু শান্তিনিকেতনের পাঠভবন ও শিক্ষাভবনের প্রাক্তন ছাত্রী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টগ্র্যাজুয়েট করেছেন। পরে আমেরিকায় লিবারেল আর্টস-এ মাস্টার্স--তখন বিশেষ বিষয় ছিল জেণ্ডার স্টাডিজ। সামাজিক নানা সমস্যার উপরে আগ্রহী এবং এ-বিষয়ে লেখালেখি করে থাকেন।
দেবদত্ত জোয়ারদার কোলকাতায় থাকেন। সাহিত্যে উৎসাহী।
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য-এর জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা - উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। স্ট্যাটিসটিকস-এর ছাত্র। এখন কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করেন।
প্রকাশিত বই -
ইলাটিন বিলাটিন (ছড়া), বনপাহাড়ি গল্পকথা, কল্পলোকের গল্পকথা, দোর্দোবুরুর বাক্স, ঈশ্বরী। জয়ঢাক নামে ছোটোদের জন্য একটি পত্রিকা (ত্রৈমাসিক) চালান বন্ধুদের সঙ্গে মিলে। চাকরিসূত্রে ভূপাল, মধ্যপ্রদেশে কয়েক বছর কাটিয়ে এখন কলকাতায়।
দেবর্ষি সারগী-এর জন্ম ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশের কুষ্ঠিয়ায়। কর্মজীবন শুরু একটি বাংলা দৈনিকে সাংবাদিক হিসাবে। পরে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসাবে কলেজে যোগদান। গত ২০ বছরে অজস্র ছোটগল্প, বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধ নানা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত। ২০০৬ সালে পেয়েছেন ভারত সরকার প্রদত্ত সাহিত্য পুরস্কার 'ভাষা-ভারতী সম্মান'। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ - রাজার জ্ঞানতৃষ্ণা, দেবর্ষি সারগীর ছোটগল্প, নির্বাচিত গল্প। প্রকাশিত উপন্যাস - পাঁচপুরুষ, গরীবগুর্বোদের উপকথা, গল্পকার ইত্যাদি।
নক্ষত্র চক্রবর্তী আপাতত দ্বাদশশ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষার শেষে মুক্তবিহঙ্গ-অবতার। বাবা-মায়ের সাথে শারজা-প্রবাসী, কিন্তু পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর উচ্চশিক্ষার জন্য দ্বিতীয়বার দেশত্যাগী হবার অপেক্ষায়।বিজ্ঞান-বিভাগের ছাত্র হলেও চতুর্থ বিষয় ফাইন-আর্টস। পরবাসের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত।
নভোনীল চট্টোপাধ্যায় শূন্য দশকের কবি। উনি দুর্গাপুরের বাসিন্দা।
নিগার সুলতানা সাহিত্য ও লেখার জগতে দীর্ঘদিন।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে মাস্টার্স ( এম,এ ) শেষ করে তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেন। এ ছাড়া রেডিও বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিন গ্রন্থনা, পান্ডুলিপি গঠন পঠন, কথিকা লেখা ও আলোচনায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছেন। তিনি একজন সক্রিয় সাংগঠনিক কর্মী।
বর্তমানে ঢাকা লেডিজ ক্লাবের নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ। সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডের পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিশুদের জন্য আরলি চাইল্ড এডুকেশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রকাশিত বই ৫টি (প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ছোট গল্প)।
জন্ম ১১ নভেম্বর করাচি।
নিবেদিতা দত্তঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম,এ,। লেখালিখি, সেতার বাজানো এবং ছবি আঁকায় শখ। আই,আই,টি, খড়গপুরে থাকেন।
নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন, সম্প্রতি প্রবাসে দুবছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন সমাপ্ত করে আপাতত তিনি স্বস্থানে স্থিত। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ--
নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়।
নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় - জন্ম ১৯৮২। স্নাতোকত্তর প্রথম শ্রেণীতে প্রথম (বাংলা)। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমী শারদ পুরস্কার পেয়েছেন। প্রকাশিত বই 'এই সব নিষিদ্ধ গান', 'রক্তগন্ধার লিপি'।
নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।
পলাশ রায় -- বাঁকুড়ার ছেলে পলাশ কর্মসূত্রে এখন কলকাতায় থাকেন। একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ান। ঘুরতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে হিমালয়। ছবি তোলা প্রিয় শখ।
পল্লববরণ পাল--শিবপুর বি,ই কলেজের স্নাতক স্থপতি। গান, আবৃত্তি, ছবি-আঁকা, লেখালেখি আকৈশোর। সঙ্গীত ও নাটকে বহুপুরস্কারে সম্মানিত। লিখিত উপন্যাস (২টি), অন্যধারার নাটকও (২টি), এবং কবিতা। 'তিন নম্বর চোখ' পত্রিকার ধুন্ধুমার সম্পাদক। অজস্র বই ও পত্রিকার মলাট ও অলংকরণশিল্পী। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দশটি।
পার্থজ্যোতি বিশ্বাস মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে থাকেন।
পিনাকী ঠাকুর সম্প্রতি
চুম্বনের ক্ষত কাব্যগ্রন্থটির জন্য 'আনন্দ পুরস্কার' পেয়েছেন। এই বছর (২০১৫) বইমেলায় পিনাকীর
কবিতা সমগ্র (১) আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
পূর্ণিমা সিংহ পদার্থবিজ্ঞানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা পি,এইচ,ডি--গবেষণা করেছেন সত্যেন বোস-এর কাছে। উনি আবার জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের প্রথম মহিলা তবলা শিক্ষার্থীও।
প্রচেত গুপ্তর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছেঃ
পঞ্চাশটি গল্প, ঝিলডাঙার কন্যা, আশ্চর্য পুকুর, চাঁদের বাড়ি, জলে আঁকা ইত্যাদি।
প্রবুদ্ধ বাগচী : জন্ম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮, বর্ধমানে। স্কুলশিক্ষা সুরেন্দ্রনাথ বিদ্যানিকেতন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই লেখালিখির শুরু। একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্রে কিছুদিন যুক্ত ছিলেন সাংবাদিক ও সম্পাদকীয় কাজকর্মে। এরই পাশাপাশি নিয়মিত লিখে আসছেন কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, পুস্তক-সমালোচনা, ইত্যাদি। বিভিন্ন বিষয়ে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নটি। সবথেকে পছন্দের কাজ নানারকম বই পড়া ও গান শোনা।
প্রভাত কুমার দাস -- বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। বাংলা পেশাদার যাত্রাগান বিষয়ে গবেষণা করে ডক্টরেট উপাধি প্রাপ্ত। জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু প্রমুখ কবিদের বিষয়ে তাঁর
একাধিক গ্রন্থ আছে। জীবনানন্দ দাশ-এর জীবনীকার হিসাবে দুই বাংলায় তাঁর খ্যাতি বহু বিদিত। বহুরূপী পত্রিকার সঙ্গে গত প্রায় ২৫ বছর যুক্ত থাকার পর, বহুরূপীর নির্দেশক কুমার রায়ের প্রয়াণের পরে তিনি এককভাবে সম্পাদক। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থগুলির মধ্যে আছে—বঙ্গীয় নাট্যশালার ইতিহাস, সুবর্ণ সুন্দরম, সমান্তরাল থিয়েটারের ছয় ব্যক্তিত্ত্ব, যামিনী রায়ের শতাধিক চিঠিপত্র। অন্যান্য গ্রন্থগুলি হল—'যাত্রার সঙ্গে বেড়ে ওঠা' ও 'বাংলা যাত্রাপালার গান'। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির প্রাক্তন প্রকাশন সম্পাদক এই মানুষটি এ প্রতিষ্ঠানের একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পত্রিকা মাঝে কিছুদিন সম্পাদনা করেছিলেন। ২০১৫ সালের সাধন ভট্টাচার্য স্মারক সম্মান প্রাপক। বর্তমানে বেলুড়মঠ রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অতিথি অধ্যাপক। অন্যতম প্রকাশিতব্য গ্রন্থ - 'পত্রালাপ' (জীবনানন্দ দাশের লেখা শতাধিক চিঠিপত্র)।
ইঞ্জিনিয়রিং ও ম্যানেজমেন্ট-এ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশোনার পর প্রিয়াঙ্কা ঘোষকে কর্মসূত্রে ভারত ও পৃথিবীর নানা জায়গায়
ঘুরতে হয়। প্রথম উপন্যাস
সাগরবেলার ঘর সম্প্রতি স্মৃতি পাবিলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
ফারহানা আফরোজ ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকেন।
বনানী দাস -- বর্তমাকে কাটোয়ার বাসিন্দা। পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর। সমবায় দপ্তরের আধিকারিক। কবিতা লিখতে ভালোবাসেন। গল্প-ও বেশ কিছু লিখেছেন। প্রকাশিত কবিতার বই -- 'গুল্মকথা', 'গর্ভঋণ' (২০০১)। নাটকের বই -- 'আকা দাশরথি কথা'। উপন্যাস-- 'আড়ালপর্ব' (২০১২)। গান গাইতে ভালোবাসেন। নিজের লেখা গান বহু অনুষ্ঠানে পরিবেশন করেন।
বিনোদ ঘোষাল--গল্পকার। ঔপন্যাসিক। সাংবাদিক। জুনিয়ার সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।
থাকেন কোন্নগরে। প্রকাশিত বই -- নতুন গল্প ২৫, এছাড়াও আরো অনেক বই আছে।
বিপ্লব সমাজদ্বার কলকাতায় থাকেন। একটি উন্নয়নমূলক ট্রাস্ট বোর্ডের ট্রাস্টি। আনন্দবাজার ও অন্যান্য পত্রিকায় লেখালেখি করে থাকেন।
বিভাস রায়চৌধুরী কলকাতায় থাকেন।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ:অনন্ত আশ্রম, শিমূলভাষা, পলাশভাষা, জীবনানন্দের মেয়ে, চণ্ডালিকাগাছ, পরজন্মের জন্য স্বীকারোক্তি, যখন ব্রিজ পেরোচ্ছে বনগাঁ লোকাল ও সমস্ত দুঃখীকে আজ। সম্প্রতি 'বাইশে শ্রাবণ' নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বিভাস রায়চৌধুরির 'শ্রেষ্ঠ কবিতা' ১৪১৯ সালের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছে।
বিশ্বদীপের জন্ম (১৯৮০) কলকাতায়। বাংলা সাহিত্যে এম. এ.। একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত। একসময় গল্প-কবিতা দুই-ই লিখতেন। বর্তমানে মূলত গদ্যই লিখছেন। লেখা প্রকাশিত হয়েছে ভাষাবন্ধন, সানন্দা, খবর ৩৬৫ দিনের সাপ্তাহিকী রবি, বিজল্প প্রভৃতি পত্রিকায়। একটি লিটিল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেন। নাম 'মেঘজন্ম'। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ - 'বিশ্বদীপ দে-র ছোটগল্প'।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। বাল্যশিক্ষা কলকাতায়। এক দৈনিক-এর সাংবাদিকতায় কর্মপ্রবেশ করলেও অনেকদিন হলো আপাতত পাটনায় এক আধা-সরকারি সংস্থায় কর্মরত। লেখার শখ আবাল্য -- গল্প, কবিতা, ফীচার, নাটক লিখলেও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র -- এছাড়াও 'পাক্কা গানা' শোনা ও জাপানি ভাষার অধ্যয়ন করে থাকেন।
মফিজুল ইসলাম খান-এর জন্ম ১৯৫৪ সালে, কুমিল্লায়। বর্তমানে ঢাকায় একটি ব্যাঙ্কে কর্মরত। প্রকাশিত বইঃ
আন্দোলিত প্রান্তরে আহত চিৎকার (কবিতা),
জোস্নার ফুল (কবিতা),
যন্ত্রণার অনুলিপি (কবিতা),
তাক ডুমাডুম ঢোল বাজে (ছড়া),
মিসকল মফিজ (উপন্যাস)।
মনোরঞ্জন সাঁতরা (জ. ১৯৭৪) সরকারি কর্মী। হুগলী জেলায় গোঘাট গ্রামে পঞ্চায়েত সমিতিতে সচিবের পদে কাজ করেন। নেশা কবিতা লেখা--আঞ্চলিক দুটি সংবাদ পত্রের সঙ্গে যুক্ত।
মশিউল চৌধুরীঃ
এখানে দেখুন ।
মহুল বসুর জন্ম ১-৯-৭৫, মধ্যমগ্রামে বেড়ে ওঠা। বারাসাত গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে ইংরাজিতে স্নাতক। পেশা - স্কুল শিক্ষক। নেশা - ছবি তোলা ...রক্তদান আন্দলনের কর্মী ...লেট আস কেয়ার ফর ইউ [লুসি] সংগঠনের সাথে যুক্ত।
মায়া সেনগুপ্ত: জন্ম ১৯৪০। বহুরকমের সামাজিক কাজে জড়িত থাকা সত্বেও লিখতে ভালোবাসেন বলে, তার মধ্যে থেকেই লেখার সময় বার করে নেন। গল্প ও কবিতা লেখেন, মাঝে মাঝে প্রবন্ধও লেখেন। সবচেয়ে ভালোবাসেন ছোটদের জন্য লিখতে। নানা পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়।
ড। মাহফুজ পারভেজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ "আমার সামনে নেই মহুয়ার বন", "স্নানঘর ভেঙে পড়ে অরণ্যের অন্ধকারে"।
মিহির সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৭। লেখক জীবনের সূত্রপাত ঘটে ১৯৯৩ সাল থেকে
নাইয়া পত্রিকার মাধ্যমে।
প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে : বিদুর, সিদ্ধিগঞ্জের মোকাম, বিষাদবৃক্ষ, উজানিখালের সোঁতা, টাঁড় পাহাড়ের পদাবলি, নিষ্পাদপ অরণ্যে, ধানসিদ্ধির পরণকথা, একুশবিঘার বসত, সংস্কৃতির দক্ষিণায়ন প্রভৃতি। তিনি বাংলাদেশের শ্রুতি অ্যাকাডেমি ও 'বিষাদবৃক্ষের' জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন।
মীজান রহমান: জন্ম ১৯৩২। পেশায় গণিতজ্ঞ। অটোয়ার কালর্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন পঞ্চাশের দশকে শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক প্রমুখের সঙ্গে লেখালেখিতে হাতেখড়ি হলেও প্রবাসবাসের দরুণ তাতে ছেদ পড়ে। দীর্ঘদিন পর পুনরায় লেখালেখি শুরু করেন কয়েক বছর হলো। ছটি প্রকাশিত গ্রন্থ:
তীর্থ আমার গ্রাম, লাল নদী, প্রসঙ্গ নারী, অ্যালবাম, অনন্যা আমার দেশ, ও ভাবনার আত্মকথন।
মুরাদুল ইসলাম এর জন্ম বাংলাদেশে। সিলেট বিভাগের জগন্নাথপুর উপজেলায়। অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবম্যাগে লিখেই তার লেখালেখির শুরু। প্রকাশিত একমাত্র গল্প সংকলন “মার্চ করে চলে যাওয়া একদল কাঠবিড়ালী” সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। তার আরো কিছু বই - উপন্যাস ‘রাধারমন এবং কিছু বিভ্রান্তি’ ‘কাফকা ক্লাব’ ইত্যাদি।
যশোধরা রায়চৌধুরী আজন্ম কলকাতায় - উচ্চমাধ্যমিক লেডি বেবোর্ন-এ, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন-এ প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ইণ্ডিয়ান অডিট অ্যাণ্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসে সরকারি কাজের সঙ্গে বিরোধহীনভাবে লেখালেখি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে।
প্রকাশিত কবিতার বই:
মাতৃভূমি বাম্পার (সপ্তর্ষি, ২০১৫),
পণ্যসংহিতা (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৬),
পিশাচিনীকাব্য (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৮),
রেডিওবিতান (প্রমা, ১৯৯৯),
চিরন্তন গল্পমালা (কবিকথা, ১৯৯৯),
আবার প্রথম থেকে পড়ো (আনন্দ, ২০০১),
মেয়েদের প্রজাতন্ত্র (সপ্তর্ষি প্রকাশন, ২০০৫),
ভার্চ্যুয়ালের নবীন কিশোর (আনন্দ, ২০১০)। ১৯৯৮ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০০৬ সালে বাংলা আকাদেমির অনিতা-সুনীলকুমার বসু পুরস্কার। প্রকাশিত অন্যান্য বই, ছোটদের জন্য 'বুঞ্চিল্যাণ্ড'। 'মেয়েদের কিছু একটা হয়েছে' (গল্পসংকলন) এবং অনুবাদ করেছেন 'লিওনার্দো দা ভিঞ্চি'। ২০১৪ সালে বেরিয়েছে
সলিটেয়ার নামে গল্প সংকলন।
বই পড়া ও লেখালেখি ছাড়া (যেটা আর শখ নেই, কাজ হয়ে গেছে) অন্য শখ রান্নাবান্না, সেলাই-ফোঁড়াই, ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য লাতিন ভাষা চর্চা।
রঞ্জন ভট্টাচার্য -- পেশায় ডাক্তার রঞ্জন ভট্টাচার্যের বসবাস কলকাতায়। ডাক্তারি ব্যস্ততার ফাঁকে নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন। মহাভারতের একজন নিবিষ্ট পাঠক। ।
রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
রচিত গ্রন্থাদি - কল্লোলিত ছোটগল্প, র্যালফ্ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের বিন্দু বিশ্ব ও উপন্যাস চিন্তা : পাঁচজন আধুনিক কবি । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই - ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।
রমেন্দ্র নারায়ণ দে--পেশা স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা। নেশা--লেখা, নাটক, গান। পঁচিশ বছর ধরে আমেরিকার বাসিন্দা। ছোট বড়ো গল্প প্রবন্ধ উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে আনন্দবাজার, বর্তমান, নবকল্লোল, শুকতারা, প্রথম আলো, জনকন্ঠ (ঢাকা) এবং তার সঙ্গে উত্তর আমেরিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায়। এছাড়া পরবাস, বাংলালাইভ, ইত্যাদি আন্তর্জাল পত্রিকাতেও লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লেখার জন্য ২০০০ সালে কলকাতায় 'উৎসব পুরস্কার' পেয়েছেন। প্রকাশিত বইঃ 'আগামী পৃথিবী' (গল্প, মিত্র ও ঘোষ), 'উপহার' (গল্প, উৎসব), এবং 'মিলি, টুলি ও এমিলি' (শিশু, শিশুমেলা)।
রাজীব চক্রবর্তী 'পরবাস'-এর একজন অন্যতম সদস্য।
রাজীব চৌধুরী -- সেন্টজেভিয়ার্স কলেজের বাংলার অধ্যাপক। মূলত প্রবন্ধ লেখেন। 'ভাষাবন্ধন' পত্রিকার সহ-সম্পাদক। 'দুষ্প্রাপ্য জগদীশ' গুপ্ত' বইয়ের সম্পাদক।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রাহুল রায় বস্টনে থাকেন। "লেখনী" গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত বইঃ
ফলেন কমরেড (গল্প), নেমসেক এবং অন্যান্য গল্প ।
রিমা রায়ের জন্ম নদীয়া জেলায়। এখন থাকেন ভার্জিনিয়াতে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। আগ্রহ নাটক, আবৃত্তি ও গল্প লেখায়।
রুচিরার ছোটোবেলা কেটেছে হাওড়া জেলার এক গ্রামে। পেশায় সফ্টওয়্যার এন্জিনিয়ার। চাকরির খাতিরে দেশ-বিদেশ ঘুরে আপাতত ব্যাঙ্গালোরবাসী। বিভিন্ন ই-ম্যাগাজিনে কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
লুনা রুশদী অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে কিছুদিন কাজ করেছেন নিউ জিল্যাণ্ড-এ। এখন আবার অস্ট্রেলিয়াতে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম. এ শচীন দাশের লেখালেখির শুরু বিগত শতাব্দীর সত্তরের দশকে। সেই ১৯৭৩-এর গোড়ায়। প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় কলকাতা থেকে প্রকাশিত পশ্চিমবঙ্গের অগ্রণী কথাকার প্রয়াত বিমল মিত্র সম্পাদিত 'কালি ও কলম' সাহিত্য পত্রিকায়। প্রথম পুরস্কৃত গল্প 'চোখ'। 'চোখ' ভারতীয় কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়। এখন পর্যন্ত শচীনের প্রকাশিত গল্পের সংখ্যা সাড়ে পাঁচশো। প্রকাশিত হয় 'কালি ও কলম', 'দেশ', 'অমৃত', দৈনিক 'যুগান্তর', দৈনিক 'আজকাল' সহ 'পরিচয়', 'প্রমা', 'বিভাব' 'অনুষ্টুপ' ইত্যাদি অসংখ্য 'লিটল ম্যাগাজিন'- এ। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ৮টি, 'কলকাতার দিকে রাস্তা', 'লখিন্দর', 'পঞ্চাশটি গল্প' ইত্যাদি। প্রকাশিত উপন্যাস ৯টি, তার মধ্যে 'যুদ্ধযাত্রা', 'অন্ধ নদীর উপাখ্যান', 'বর্ডার' ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রবর্তিত কথা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০০৯ সালের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার, ২০০৯ সালের শৈবভারতী পুরস্কার ইত্যাদি পেয়েছেন।
শতভিষা মুখোপাধ্যায় (জন্ম ১৯৭৩)--পদার্থবিদ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সিস্টেমস বায়োলজির গবেষক, কবি ও গল্পকার।
শম্পা ভট্টাচার্য -- জন্ম ১৯৬৩ খ্রীঃ কলকাতায়। অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা কলকাতায়। নাট্য বিষয়ে ডক্টরেট ও নাট্য শোধ ও সংস্থানের পূর্বতন রিসার্চ ফেলো। কলকাতা ও অন্যান্য জায়গার পত্রপত্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে নাট্য ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ লিখছেন। লেখিকার প্রথম গ্রন্থ 'শচীন সেনগুপ্তের নাট্যভাবনা ও সমাজ চিন্তা'।
ব্রাত্য বসু : নাটক থেকে নাট্যে / নতুন শতাব্দীর অন্তর্ঘাত নামে একটি বই এবছর বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে।
শর্মিষ্ঠা নাথ পেশায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ্। এক যুগ আমেরিকা বাসের পর ইদানীং ফিরেছেন কলকাতায়। ভালোবাসেন দেশবিদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে, লেখালিখি করতে, আরো ভালোবাসেন পড়তে। সম্প্রতি কবি পল্লববরণ পাল-এর সঙ্গে যৌথ কলমে 'ডানায় রৌদ্রের গন্ধ' প্রকাশিত হয়েছে পরম্পরা প্রকাশন থেকে।
শংকর চট্টোপাধ্যায় (জন্মঃ মার্চ ১৯৩৪) অর্ধশতকেরও বেশি কাল রবীন্দ্রসংগীতের চর্চায় রয়েছেন। অনেক লেখাও লিখেছেন। সবই লিটল ম্যাগের চেয়েও ছোট পত্রিকায়। 'রবীন্দ্রনাথ ও বাউল' সংকলনে একটি লেখা আছে। কোনো গ্রন্থ নেই। আরও দুতিন বছর সংগীতচর্চা চালাতে চান। জনপ্রিয় লেখক বা গায়ক কোনোটাই নন।
শান্তনু চক্রবর্তী গত শতাব্দীর তৃতীয় পাদে, ১৯৭২ সালে, যাদবপুর থেকে মেকানিকাল এঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি করে, বিলেত কিছু বছর কাটিয়ে (এবং নামের সামনে ডক্টরেট-এর আঁকশি লাগিয়ে) দেশে ফেরেন। ১৯৮৯ সাল থেকে টাটা স্টীল-এ, জামশেদপুর-এ। সম্প্রতি (২০১২) অবসর নিয়েছেন। নানান বিষয়ে আগ্রহ, তবে সবচেয়ে বেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে।
শান্তা নাগ গত ২০ বছর ধরে কানেকটিকাট-এ থাকেন। লেখালেখি ছাড়াও তাঁর দুটি সিডি প্রকাশিত হয়েছে--রবীন্দ্রসঙ্গীতঃ
মধুর তীব্র বড়ো, এবং গীতি-আলেখ্যঃ
আলোছায়ায় ছিন্নপত্র, যাতে অতুলপ্রসাদ, লালন, নজরুল প্রভৃতির গান আছে। বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজ করেন।
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কল্যাণী, নদীয়া) কৃষিবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্রী শ্রীতমা বিশ্বাস সুযোগ পেলেই পরিজনদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন প্রকৃতির হাতছানিতে। তাঁর অবসরের বিনোদন ছবিতোলা, বইপড়া, গানশোনা আর শখের লেখালিখি।
শোভন সান্যাল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেনিশ, পর্তুগিস, ইতালিয়ান ও লাতিন বিভাগের অধ্যাপক।
শ্রাবণী দাশগুপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস-এ এম,এ। জন্ম, স্কুল-কলেজ-পড়াশোনা সব কোলকাতায়। এখন রাঁচিতে একটি স্কুলে পড়ান। গল্প লিখতে ভালোবাসেন। আনন্দবাজার (২০০৬) ও দেশ (২০১১)-এ তার দুটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। এ ছাড়াও কয়েকটি ই-ম্যাগাজিনে কয়েকবার বের হয়েছে লেখা।
শ্রীধর মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৭ই ফেব্রুয়ারী ১৯৬৩ কলকাতায়। একদা ব্যাঙ্কে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। অধুনা সাহিত্যসেবায় নিয়ত-ব্যস্ত। অনুবাদ, সম্পাদনা তাঁর প্রিয় কাজগুলির অন্যতম। নিরোর বেহালা, সালভাদর দালির নীল, নুন সংলাপ, বিদগ্ধ ময়ূর ইত্যাদি ন'টি কবিতার বই রচনা করেছেন। তাঁর রচিত তিনটি গল্পগ্রন্থ ও একটি উপন্যাস। এছাড়া তার দু'টি উচ্চ প্রসংশিত বিশেষ রচনা - কলকাতা : উনিশ শতক ঘটনাক্রম, মহাত্মা ও ক্যালকাটা ম্যিরাকেল। বিভিন্ন বিষয়ে তার অপরিসীম আগ্রহ। তিনি সাহিত্যের একজন তন্বিষ্ঠ পাঠক।
শ্রেয়সী চক্রবর্তী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি স্তরে গবেষণা করছেন। নেশাঃ বই, বই, এবং আরো বই।
সন্দীপন সান্যাল আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে থাকেন।
সঞ্চারী মুখার্জী সবে বাটানগর থেকে ভালোভাবে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এখন অ্যাকাউন্টিং নিয়ে স্নাতক-স্তরে পড়ছেন। নাচতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসেন।
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রযুক্তিবিদ্যার প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমানে চলচ্চিত্রবিদ্যার অধ্যাপক। প্রকাশিত গ্রন্থঃ
স্থানাঙ্ক নির্ণয়,
অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন,
অন্যান্য ও ঋত্বিকতন্ত্র, ইত্যাদি। ইদানীং আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর ব্লগ 'বকম্ বকম্'।
গেষ্টেটনার ইন্ডিয়া-তে সমর চ্যাটার্জির কর্মজীবন শুরু ১৯৬৯-এ। ২০০৬-এ অবসর নিয়ে এখন লোকের পিছনে তাড়া দিয়ে বেড়ান যাতে মুখের কাঠিটা ফেলে দেয় চিরদিনের মতো (Anti-Smoking Campaigner)। লেখা পড়া নিয়ে আপাত নিবাস কলকাতায়।
সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।
সর্বজয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে এম,ফিল স্তরে গবেষণা করছেন।
সংহিতার লেখালেখি ছিলো নিজের খাতায়। প্রথম প্রকাশ "জয়ঢাক"--২০০৩'র পূজা সংখ্যায়। মাস্টারমশাই শ্রীদেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের প্রেরণায় ও প্রশ্রয়ে।
সাবর্ণি চক্রবর্তী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাংকের NABARD বিভাগ থেকে বছর তিনেক আগে অবসর নিয়েছেন। এখন মুম্বই প্রবাসী। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ -
পালান ফিরিওয়ালার বিক্রির বৃত্তান্ত, বনের ভিতর বাড়ি, দৃষ্টিকোণ ও অন্যান্য, Moonstruck and Other Short Stories।
সিক্তা দাস--জন্ম, বর্তমান বাস এবং শিক্ষা কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে সাম্মানিক স্নাতক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতে স্নাতকোত্তর এবং ব্যাচেলর অফ লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্সে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। পূর্বে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। গান শুনতে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে, এবং লেখালেখি করতে ভালোবাসেন। কিছু লেখা ছাপা পত্রিকা ও ওয়েবজিনে প্রকাশিত হয়েছে।
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। শিবপুরে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বম্বে আই আই টি থেকে এম টেক এবং পরে হোমি ভাবা থেকে পি এইচ ডি। গবেষণার বিষয় সিগ্ন্যাল/ সিস্টেম মডেলিং। ছেলে মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত সংসার।
লেখালেখি মোটামুটি নিজস্ব তাড়নায়। কেউ ভাল বললে ভাল লাগে, না বল্লেও ক্ষতি নেই। অহংকার, দীপন, অববাহিকা, “কফিহাউস”, “এ মাসের কবিতা” ইত্যাদি নানা পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। অনেকদিন পরে আবার লেখা শুরু করেছেন।
সীমা ব্যানার্জী টেক্সাসে থাকেন। পেশায় পরিবেশ বিজ্ঞানী, নেশায় লেখিকা। তাঁর লেখা বাংলা ও ইংরেজি কবিতা ও গল্প আমেরিকার বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ওয়েবজিনে প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের সংস্কৃতি ও চিন্তাধারা স্থান পায় তাঁর লেখনীতে। তাঁর লেখার মুখ্য উদ্দেশ্য “অবলা নারীদের অজানা কথা”। লুইজিয়ানার ব্যটনরুজ থেকে তাঁর লেখা রন্ধনপ্রণালী ২০০৫ সালে “Saffron to Sassafras” কুকবুকে প্রকাশিত হয়। ২০০৬ সালে বইটি Community Cookbook হিসেবে National Winner হয়।
20১১ সালে কোলকাতা বইমেলা থেকে প্রকাশিত “তোমারি নাম বোলব” কবিতার বইতে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
তাঁর অবসর কাটে রন্ধনে, সূচিশিল্পে, ডেকোরেশনে, বাগানে ও গীটার বাজিয়ে। সুখি গৃহকোণ।
সুচেতা রায়-এর বড়ো হয়ে ওঠা, স্কুল পাশ, মালদহ-তে। এখন বছর দুই হলো দক্ষিণ ২৪ পরগণার কোদালিয়া-তে আছেন। জুট অ্যাণ্ড ফাইবার টেকনোলজিতে বি,টেক পাঠক্রমের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
সুজাতা কুন্ডু কলকাতায় থাকেন।
সুজাতা হালদার বেহালায় থাকেন। শিক্ষক ও সমাজব্রতী। কবিতা অনুরাগী।
সুদীপ চক্রবর্তী তরুণ কবি ও গদ্যলেখক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের এম. এ.। পেশা সরকারি চাকরি। প্রকাশিত কবিতার বই : সন্ধেবেলার হিন্দি গান ও প্রেমের সাইজ বত্রিশ। ২০১৩ তে পেয়েছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় স্মৃতি কৃত্তিবাস পুরস্কার।
সুদীপ্ত ভৌমিক নিউ জার্সিতে থাকেন, নাটক লেখা, পরিচালনা, ও অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ
নাটক-সমগ্র ।
সুনন্দ কুমার সান্যালের শৈশব কেটেছে বর্ধমান শহরে, বয়ঃসন্ধি থেকে কলেজ জীবনের পরবর্তী কয়েক বছর কলকাতায়। স্নাতকোত্তর-স্তরের ছাত্র হিসেবে আমেরিকায় আসেন আশির দশকের শেষে। এখন আর্ট ইন্স্টিট্যুট অফ বস্টনের শিল্পকলা ইতিহাসের অধ্যাপক। পেশাদারি লেখার সবটাই কলা সমালোচনা ও ইতিহাসের জগতে। গল্প কবিতা ইত্যাদি নেহাৎই অনিয়মের অভ্যাসে। জন্মায় কালেভদ্রে।
সুনন্দন চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৫৭। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আচার্য গিরিশ চন্দ্র বসু কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক। লেখালিখি বিক্ষিপ্তভাবে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে।
সুবীর বোস পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইটি ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন।
দেশ-এ একাধিকবার, এবং
কবিসম্মেলন ও বিভিন্ন ওয়েবজিন-এ তাঁর
কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইঃ
আঙুলের সংলাপ (সপ্তর্ষি প্রকাশনা)।
সুব্রত সরকারের জন্ম ৮ই অক্টোবর, ১৯৬৩ খড়গপুর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বর্তমানে কর্মসূত্রে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের অফিসার। লেখালেখির সূচনা সেই প্রথম যৌবনে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ
আমার উত্তরপুরুষ এবং অন্যান্য গল্প, ১৯৯৭। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ছয়। প্রিয় নেশা ভ্রমণ। প্রিয় সখ অচেনা-অজানা মানুষের সান্নিধ্য। নির্জনতাপ্রিয় এই লেখকের পরমবান্ধব বই গান থিয়েটার।
সুরমা ঘটক ছোটোবেলা থেকেই সংগ্রাম করেছেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক আদর্শে চলেছেন। শিলং জেলের ডায়েরি, পদ্মা থেকে তিতাস ইত্যাদি গ্রন্থের প্রণেতা। ঋত্বিক ঘটকের সহধর্মিণী। বিবাহপূর্ব জীবন থেকে আইপিটিএ'র সদস্যা, এবং রাজনৈতিক কারণে প্রায় আঠারো মাস কারাবরণ করতে হয়েছিল।
সোমদত্তা মণ্ডল পেশায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতনে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপিকা। ভারতীয় ভ্রমণ-সাহিত্যের ওপর দুটি সঙ্কলন সম্পাদনা করা ছাড়াও বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনেক ভ্রমণ কথা অনুবাদ করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুর্গাবতী ঘোষের
পশ্চিমযাত্রিকী, কৃষ্ণভাবিনী দাসের
ইংল্যান্ডএ বঙ্গমহিলা, হরিপ্রভা তাকেদার
বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
পথের সঞ্চয় আর ঠাকুরবাড়ির ১৯ জন সদস্যদের নির্বাচিত ভ্রমণ আলেখ্য,
ওয়ান্ডা্রলাস্টঃ ট্র্যাভেলস অফ দি টেগোর ফ্যামিলি।
সোমা ঘোষ বর্তমানে শিক্ষকতার একটা ট্রেনিং-এর সাথে যুক্ত। তাছাড়া এই মুহূর্তে গৃহবধূ বলা চলে। ডাক্তার স্বামীর পেশাগত কারণে ম্যানচেস্টার নিবাসী। পদার্থ বিদ্যায় স্নাতক। বেশ কিছু ওয়েবজিন এবং কিছু কাগুজে পত্রিকায় গল্প ও কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। লেখালিখি বাদে গান, নাচ, রান্না সবই তাঁর শখের মধ্যে পড়ে। দুই পুত্র সন্তানের জননী, এও নিশ্চিতভাবে তাঁর পরিচয়ের অঙ্গ।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: সৌভিক দা'। জন্ম ৪ঠা মে, ঢাকায়। কবিতা আশ্রমের মূল
কর্ণধার। কর্মরত আছেন বিডি টুয়েন্টি-ফোর লাইভের সাহিত্য পাতায়। শিল্পের
কপটতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন বারবার। নিষিদ্ধ হয়েছেন
সাহিত্যের বেশ কিছু অনলাইন কমিউনিটিতে। প্রকাশিত বইসমূহ: (১) শতকসন্ধির কবিতা (ত্রয়ী সংকলন; সঃ মলয় রায়চৌধুরী; ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশ; ২০১৩), (২) প্লিজ কবিগণ ! অফ যান... (কাব্য সংকলন; সঃ সৌভিক দা'; বিভাস; ২০১৩), (৩) ফোকাট (কবিতা; পথি ডট কম; ২০১৩)।
সৌভিক পত্রনবীশ, কলকাতায় জন্ম ১৯৭২, চাকরিসূত্রে বিগত ১০ বছর উত্তর আমেরিকায় আছেন।
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। নেশা ফোটোগ্রাফি। সৌভিক তার বেশ কিছু আলোকচিত্রের জন্য ইউ এস এ তে সম্মানিত ও পুরষ্কৃত হয়েছেন।
সৌভিকের নিজস্ব ওয়েবসাইট: http://goldenlight.zenfolio.com/
সৌরীন ভট্টাচার্যের জন্ম ২২ অক্টোবর ১৯৩৭, বর্তমান বাংলাদেশের যশোহর-এ। যাদবপুর থেকে অর্থনীতির স্নাতকোত্তর। কলকাতা আর দিল্লির কয়েকটি কলেজে এবং উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন অধ্যাপনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির বিভাগে যোগ দেন। সেখান থেকেই অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯৭ সালে। ১৯৭৯ সালে জার্মানিতে গিয়েছিলেন ইউ জি সি-র পক্ষ থেকে এক সমাজতন্ত্র সম্মেলনে। তাঁর বইগুলির নাম চাহিদাতত্ত্ব (১৯৮১), পরিবর্তনের ভাষা (১৯৯৩), গ্রামশি পরিচয় (১৯৯৩), মার্ক্স (১৯৯৩), উন্নয়ন : অন্য বিচার (১৯৯৫), রাজনীতির বয়ান ও স্বচ্ছতার সংস্কৃতি (১৯৯৮), পদ্ধতির পাঁচালি (২০০২), সময় সংস্কৃতির তত্ত্বতালাশ (২০০৪), পাঠকের গরজ (২০০৫)। শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন গ্রামশির নির্বাচিত রচনা। এছাড়াও অনুবাদ করেছেন কিশোর যোদ্ধা (১৯৮৭) ও ফেরাই (১৯৯৬)। 'কেন আমরা রবীন্দ্রনাথকে চাই এবং কীভাবে' এই বইটির জন্য ২০০৯ সালের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন।
স্বপন কুমার ঘোষ : জন্ম কাশীধাম (অগস্ত্যকুণ্ড) ৭ নভেম্বর, ১৯৫০। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে 'কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়' থেকে স্নাতকোত্তর উপাধি (১৯৭৩)।
বাংলা ভাষা-সাহিত্যের অধ্যাপক রূপে 'চিন্তামণি মুখোপাধ্যায় এংলো বেঙ্গলী কলেজ' (বারাণসী)-তে যোগদান (১৯৭৩)। 'কেরল বিশ্ববিদ্যালয়'-এর 'বাংলা বিভাগ'-এর দায়িত্ব (১৯৮২-৮৩)। 'কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়' এবং 'কেরল বিশ্ববিদ্যালয়'-এর একদা বাংলা ভাষা-সাহিত্যের পরীক্ষক। ১৯৮৭ সাল থেকে কলকাতায় রাজ্যের সর্ব্বোচ্চ আদালতের আদিভাগে ভাষান্তরণ আধিকারিক। অনুবাদ-সাহিত্যে প্রথম প্রেরণাদাতা এংলো বেঙ্গলী কলেজে তাঁর ইংরাজী ভাষাসাহিত্যের অধ্যাপক, পরে অগ্রজ সহকর্মী শ্রদ্ধেয় গোপালচন্দ্র দাস। যিনি 'রসিকবিহারী' ছদ্মনামে 'কেন্দ্রীয় সাহিত্য আকাদেমি'-র অনুবাদক ছিলেন। তাঁরই অনুপ্রেরণায় কাশীর হিন্দী সাপ্তাহিক 'অবকাশ'-এ প্রথম প্রকাশিত বাংলা থেকে হিন্দীতে অনূদিত গল্প 'নদী' (মূল রচনা বনফুল) ক্রমশ বাংলা, হিন্দী, ওড়িয়া, ইংরাজীতে পরস্পর অনুবাদ। সম্পাদনা ও প্রকাশনা 'স্বপনতরী' (শিশু-কিশোর মাসিক পত্রিকা)।
প্রথম প্রকাশিত একক গল্পগ্রন্থ 'এই বইটা আমার'। 'অয়নান্ত' নামে একটি ওড়িয়া উপন্যাস বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন।
স্বপন রায়-এর জন্ম ১৯৫৬; পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী; পত্রিকা সংপৃক্তিঃ "নতুন কবিতা"। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছে--গদ্যঃ
স্বর্গের ফোকাস, রুয়ামের সঙ্গে, একশো সূর্যে; -- কবিতাঃ
আমি আসছি, চে, লেনিন নগরী, কুয়াশা কেবিন, ডুরে কমনরুম, মেঘান্তারা, হ থেকে হরিণ, স্বপনে বানানো একা (সংকলন),
দেশরাগ।
স্বপ্নময় চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৫২ সালে, কলকাতায়। রসায়নের ছাত্র। দেশলাইয়ের সেল্সম্যান, মেডিকেল রেপ্রেসেনটেটিভ, ল্যান্ড-রিফর্ম অফিসার, আবহাওয়া দপ্তরের রাডার চালনা, দূরদর্শনের ফ্লোর ম্যানেজারি, আকাশবাণীর অনুষ্ঠান প্রযোজনা ইত্যাদি অভিজ্ঞতা বিভিন্ন ধরনের লেখার রসদ জুগিয়েছে। প্রথম গল্প সংকলন
ভূমিসূত্র।
অষ্টচরণ ষোল হাঁটু, ভিডিও ভগবান নকুলদানা, জার্সি গরুর উলটো বাচ্চা, সতর্কতামূলক রূপকথা, ইত্যাদি প্রায় দশটি ছোটোগল্পের বই ও সংকলন; এবং
চতুষ্পাঠী, নবম পর্ব, বাস্তুকথা, কম্পিউটার গেম্স, চলো দুবাই, অবন্তীনগর ইত্যাদি উপন্যাস লিখেছেন।
হারিস মাহমুদ-এর জন্ম ১৯৬২ সালে বাংলাদেশের সিলেট জেলায়। সিলেট সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি নেন। ১৯৮৬ সন থেকে আমেরিকায় বসবাসরত। কবিতা লেখেন অনবরত, কখনো সুখে, কখনো অসুখে, কখনও উদাসীন অবস্থায়। প্রকাশিত কবিতার বই
দুর্গত সন্ধ্যার চাঁদ।
হাসান জাহিদের গল্প এবং বাংলা/ইংরেজিতে অসংখ্য প্রবন্ধ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রপত্রিকায়, সাপ্তাহিক পত্রিকা/সাহিত্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা, কোলকাতা ও টরোন্টোর পত্রপত্রিকায় লিখেছেন। পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে কয়েকটি গ্রন্থের প্রণেতা তিনি। প্রথম গল্পগ্রন্থ `প্রত্নপ্রাচীন দেবী’ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে।
জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫, ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে সম্মানসহ এমএ। বর্তমানে কানাডার টরোন্টো শহরে স্থায়িভাবে বাস করছেন। তিনি বাংলাদেশ ও কানাডার নাগরিক। সাংবাদিকতার পেশায় কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি সরকারের পরিবেশ দপ্তরে যোগ দেন, ও পৃথিবীর নানা দেশে আন্তর্জাতিক সেমিনারে বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
হাসান জাহিদ টরোন্টো-ভিত্তিক ওয়েব ম্যাগাজিন 'উত্তরাধুনিক'-এর সম্পাদক ও প্রকাশক। ২০১৪ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'জাদুবাস্তবের পদাবলি' ব্যাপক প্রসংশা লাভ করে। হাসান জাহিদ কথাসাহিত্যে (গল্পগ্রন্থঃ বোরোফেগাস ও আধুনিক আদম মানব) দেশ-প্রকাশনী পুরস্কার-২০১৪ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে আশির দশকের গল্পকার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন।
হিন্দোল ভট্টাচার্যের প্রকাশিত কবিতার বই
তারামনির হার এবং জগৎগৌরী কাব্য।