বাঁধনবার বার চলে যাই
তোমার চম্পক বনে,
হে রাজন! নগরনটীর
সাথে --সেই যে
সেদিন তুমি এসেছিলে,
ক্রীড়ামত্ত অনন্ত কৌতুকে--
বৎসরাধিক কাল গত
হলো। প্রতিরাত্রে তবু--
প্রত্যেক প্রত্যূষে আসি,
খুঁজে ফিরি দলিত কুসুম--
প্রেঙ্খায় মিশে থাকা
ঘ্রাণ-ঘাম ও চন্দন;
কানে বাজে বিলোলিত
হাস্য ও শীৎকারের রেশ।
প্রতিদিন পরাবাস্তবের
সুখে দুখ পেতে চলে
আসি--জ্বলে যেতে
ঈর্ষার অনলে।
এই এক মায়াসুতো--
কী প্রবল আলিঙ্গনে
বেঁধে রাখে
তোমাকে-আমাকে!
ডেকেছো তেমন করেডেকেছো তেমন করে--ভোরের
বিছানা রাতভোর অনিদ্রার পরে--যেমন
শরীর টেনে ধরে। ডেকেছো তেমন করে--
গাভীরা যেমন করে শাবককে আকুলিত
ডাক দেয়-–প্রলয় আভাস নিয়ে প্রবল
ঝঞ্ঝার মেঘ হঠাৎ আক্রোশে যদি আকাশের
টুঁটি টিপে ধরে। ডেকেছো তেমন করে--যেমন
বাঁশরী শুনে শ্রীরাধিকা গভীর নীলাভ প্রেমে
সাপের বিস্তৃত ফণা দুই হাতে--দূরগামী
প্রাণ যেন--বুকে চেপে বৃষ্টির তুমুল রাতে
অভিসারে চলে। ডেকেছো তেমন করে--
যেমন ডাকের পরে, ভালোবেসে মরে যেতে
তীব্র ইচ্ছা করে।।
এলোমেলো...দূরে চলে যাবে।
একদিন চলে যাবে দূরে--
প্রথম দেখার দিনে
লেখা ছিলো বাতাস
অক্ষরে।…
পরিযায়ী পাখিরা
যেমন--বসন্ত বাতাস ছুঁলে
ভিন্নতায় উড়ে চলে যায়।...
নিয়তি যেমন গোটাগোটা
অদৃশ্য সংকেতে রেখে যায়
জীবন মেয়াদ।
ক্ষয়াটে আঙুল জুড়ে, তবু
কিছু থেকে যায়...
বিখরিত গতকাল--রেণু রেণু
হরিদ্রাভ স্মৃতিসুখ...
ভালোবাসা নাম ছিল
যার।।