লীলা মজুমদারের লঙ্কাদহন পালার সেই নাটকের ডায়ালগ মনে আছে তো? “বুঝতে পারছি তুমি রামের লোক, নইলে ইঁদুর বাঁদর নিয়ে লঙ্কা আক্রমণ করার সাহস আর কার হবে!” তা আমি ভাই লঙ্কা ক্যাপসিকাম কিছুই আক্রমণ করতে যাচ্ছি না, কিন্তু ঐ ইঁদুর আর বাঁদর আমাদের নিত্যসঙ্গী।
আমাদের, মানে বোম্বেওলাদের কথা বলছি। আরো ঠিক করে বলতে গেলে বোম্বেতে আমি যে জায়গাটায় থাকি সেখানকার কথা। ইঁদুর তো বোম্বের সর্বত্র; আহা গণপতি বাপ্পার রাজ্যের রাজধানী বলে কথা - গণেশের বাহনও যে সেখানে রাজত্ব করবে এ আর বেশি কথা কি! আর আমি যেখানে থাকি সেখানে পাহাড় গাছপালা সেমি জঙ্গল থাকার ফলে বাঁদর ও পালে পালে চরে বেড়ায়।
এখন তবু কম, আগে যে ফ্ল্যাটটায় ছিলুম সেখানে যে কি উৎপাত ছিল কি বলব! উরেব্বাবা! প্রথমে দূর থেকে দৃষ্টিপাত চলছিল। কিছুদিন পর পাইপ বেয়ে, বারান্দা থেকে বারান্দায় ঝুল খেয়ে খেয়ে গাঁজাখুরি সিনেমার সুপারহিরোর মত তারা নির্ভীক দৃঢ় পদক্ষেপে উঠে এল আমাদের বারান্দায়। দুদিকেই বারান্দা ছিল সে ফ্ল্যাটের, একদিকে টানা কমন প্যাসেজ, তাতে রান্নাঘর আর বসার ঘরের জানলা খোলে। অন্যটা ছোট ঘরোয়া বারান্দা, তাতে ঘরের জানলা দরজা দুই খোলে।
একদিন বসার ঘরের সোফায় লম্বমান হয়ে বই পড়তে পড়তে চোখ তুলতেই দেখি, সেই পালকি-চড়া মায়ের মত জানলার কাঁচের পাল্লা একটুকু ফাঁক করে একজোড়া গুল্লি গুল্লি চোখ আমায় ভারি কৌতূহল নিয়ে দেখছে। চারচক্ষুর মিলন হতেই ঠাস করে পাল্লা বন্ধ, বারান্দায় ধুপধাপ দুর্দুর্ জলের পাইপ বেয়ে সর্সর্ ধাঁ।
ওই যে শুভদৃষ্টিটা হয়ে গেল, তারপর তাদের সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব ব্রীড়া সংকোচ ঘুচে গিয়ে আমার জীবন একেবারে শাখামৃগময় হয়ে উঠল। রান্নাঘরের জানলা ভুলে পুরো বন্ধ না করে হয়তো বেরিয়ে গেছি, এসে দেখা গেল ঘরের মেঝে জুড়ে শরৎকালের শিউলির মত শ্বেতশুভ্র আলপনা, মুড়ির কৌটো হৃতসম্পদ হয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে। কিংবা শখ করে মহাবলেশ্বরের মিষ্টি গাজর এনে রেখেছিলুম, সেগুলো চিবিয়ে ছিবড়ে দাঁতন বানিয়ে রেখে গেছে। আস্ত কলার ছড়া হাপিশ। লাউয়ের গায়ে সারি সারি ডেন্টিস্টের চেম্বারের পোস্টারের মত দাঁতের ছবি। এমনকি ফ্রিজ খুলে ডিম খেয়ে খোলা ছড়িয়ে যাওয়াও হয়েছে বার দুই।
এইসব বেজায় বেড়ে গেল আমার মেয়ে হবার আগের সময়টায়। কিংবা কি জানি, সেই সময়ে ডাক্তারবাবু আমায় বেড রেস্টে রেখে দেবার ফলে সারাদিন ঘরে থাকতুম, তাই হয়তো বেশি চোখে পড়ত।
একদিন বারান্দায় দাঁড়িয়ে পুরো একটা নাটক দেখে ফেললুম। সামনের বাড়িগুলো ছিল ছোট, চারতলা। তার ই কোন একটায় কোন দুর্ভাগা রান্নাঘরের জানলা হাট করে খোলা রেখে দিয়েছিল। এক দঙ্গল বাঁদর এসে জড়ো হল সেই রান্নাঘরের সামনে। তারপর দলের নেতা (বা নেত্রী, বাঁদরদের এটা আমি এক্কেরে বুঝতে পারি না নেহাত কোলে মা-আঁকড়ানো ন্যাংলা ছানা না থাকলে) বেশ খানিকক্ষণ ধরে চেষ্টা করল সেই জানলা দিয়ে গলে ঢুকতে। ঘনসন্নিবিষ্ট রড, আর তার স্থূলদেহ, দুই মিলে সে চেষ্টা ব্যর্থ হল।
তখন একটা মাঝারি মাপের ছানা বাঁদরকে ডাকা হল। দশতলা থেকেও পষ্ট দেখতে পেলুম, নেতা আর আরো একটা বাঁদর, হয়তো তার মা হবে, দুজনে মিলে খুব হাত পা নেড়ে দাঁত খিঁচিয়ে তাকে কিসব শেখাল। তারপর ছানা সুড়ুৎ করে জানলা দিয়ে ভিতরে চলে গেল। বাইরে পুরো দল অ্যাটেনশনের মত খাড়া। খানিক পরে একটা গোল মুণ্ড উঁকি মারল, বিজয়ী বীরের উল্লাসে তিনি বেরিয়ে এলেন,হাতে আস্ত এক পাউন্ড পাউরুটি। পুরো দল কার্নিশে পা এবং ল্যাজ দোলাতে দোলাতে বসে পাউরুটি সাবাড় করে মুখ টুখ মুছে চলে গেল।
(এতক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে হেসে কুটিপাটি হবার ফলে ওদিকে যে গ্যাসে দুধ উথলে পড়ে পুড়ে টুড়ে একাকার হয়ে গেছিল সে কথা নাহয় উহ্য থাক।)
আরেকদিন সোফায় আধশোয়া হয়ে কার্টুন দেখছি। হঠাৎ কেমন অস্বস্তি হতে মুখ ঘুরিয়ে দেখি সোফার ঠিক পাশে মাটিতে একটা ল্যাজ শোয়ানো; ল্যাজের মালিকও তন্ময় হয়ে কার্টুন দেখছে। আমি তাকিয়েছি বুঝতে পেরে সেও ফিরে তাকাল, তারপর, বিশ্বাস করুন সত্যি বলছি, ফিক করে হেসে দিয়ে গুটগুট করে দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল। যাবার আগে আমার বিস্কুটের প্যাকেটটা তুলে নিয়ে গেল অবশ্য।
এরকম চলছিলই। শেষে যেদিন অনৈসর্গিক আওয়াজ পেয়ে বারান্দার জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখলুম এক অসম্ভব রকমের দশাসই চেহারার গোদা বাঁদর, দরজা জানলা বন্ধ বলে ঢুকতে না পেরে রেগেমেগে আমার সব টবের গাছ তুলে তুলে আছড়াচ্ছে, সেদিন সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে গেছিলুম। কিন্তু গণেশের প্যান্ডেলের লাড্ডু আর নকুলদানা আমি খুব ভালবেসে খাই তো, তাই গনুবাবা বোধহয় আমার ওপর প্রসন্ন ছিলেন। টবের গাছের মধ্যে একটা ছিল কাঁটাসর্বস্ব ক্যাকটাস। সেটা লাউ-গড়গড় স্টাইলে গড়িয়ে দিতে গিয়ে গোদার হাতে কাঁটা ফুটে গেল, হাঁউমাউ করে চিল্লাতে চিল্লাতে সে পগারপার হল।
বাঁদরের বাঁদরামিতে নাজেহাল হয়ে হয়ে অবশেষে একদিন ফ্ল্যাট পালটানোর ডেট এসে গেল। নতুন বাড়িতে এসে দেখি ইন্দুররাজত্ব। সে আবার আমাদের লিকপিকে ল্যাজ চকচকে চোখ নেংটি নয়, রীতিমত হট্টাকট্টা বর্গী মার্কা ধেড়ে মারাঠী ইঁদুর। তারা পালে পালে নর্দমায় চরে বেড়ায়, জলের পাইপ বেয়ে উঠে আসে, জানলা খোলা পেলেই ঢুকে পড়ে কলাটা ভুট্টাটা আটার প্যাকেটটায় শিল্পকর্ম করে দেয়, আর নেহাত অন্য কিছু না পেলে দরজার কাঠ বা জমানো খবরের কাগজের ভুষ্টিনাশ করে যায়।
বাধ্য হয়েই, ঝামার মত দেখতে ইঁদুরমারা বিষ এনে ছড়িয়ে রাখতে হয়। তারপর গোয়েন্দার মত তদন্ত করে সেই লাশের গতি করতে হয়। নাহ্, সংসার করা কি চাড্ডিখানি কথা! ইঁদুরভীত কন্যাকে ট্যাঁকে নিয়ে ঘোরা গণেশজননী থেকে খ্যাংরা হস্তে মুদ্দোফরাশিনী, কত ভূমিকাই না পালন করতে হয়!
তো, কিছুকাল অবজার্ভ করে, তাদের চলাফেরার হালহকিকত বুঝে নিয়ে, বারান্দায় জাল লাগিয়ে, নর্দমার পাইপের মুখে পাথর চাপা দিয়ে, ওয়াশিং মেশিনের জল ফেলার গর্তে ঢাকনা ফিট করিয়ে, সর্বোপরি কয়েকটা বিশেষ জানলা বন্ধ রেখে বাড়িটা ইঁদুরপ্রুফ করা গেল।
কিন্তু এ তো বাড়ি!
এর কিছুকাল পর, অফিসে মগ্ন হয়ে কাজ করছি, হঠাৎ ফায়ার অ্যালার্মের মত তীব্র তীক্ষ্ণ নারীকণ্ঠের আর্তনাদ এবং ধুপ করে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ। সে শক সামলাতে না সামলাতে দ্রুত পরম্পরায় আরো চারটে সমমানের আর্তনাদ পিছন থেকে। এবং সেই সাথে কাংস্য পরুষ কণ্ঠে ঘোষণা – র্যাট্টট্টট্টট্টট!
শোনামাত্র লম্ফ মেরে চেয়ারে উঠে বসি। বোঁ করে চেয়ার ঘুরিয়ে চেয়ে দেখি আশে পাশে সব্বাই আমার মতই চেয়ারে উটকো হয়ে বসে আছে। কিন্তু, আপিশটা নির্ঘাত একচোখো, আমায় বেছে বেছে একটা লিলিপুট মার্কা চেয়ার দিয়েছে। নইলে সবাই দিব্যি সহজে বসে আর আমি কিনা উপচে পড়ছি! দেখে তো একই রকম লাগে, তাই বুঝিনি আগে! কালই কমপ্লেন করছি দাঁড়াও।
চেয়ার চর্চায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে ঠিক সামনে মেঝে দিয়ে কালোপানা কি একটা চলে যায়। আবার সেই আর্তনাদের সুর খেলে যায়, তবে এবার ডানদিক থেকে বাঁদিকে। উলটোবাগে বসা আহ্লাদী কন্যাটি তৎক্ষণাৎ হাত পা এলিয়ে মুচ্ছো যায়।
অতঃপর কিছুদিন ধরে এই মূষিকপ্রবর গোটা ফ্লোর জুড়ে ‘যাকে পাবি তাকে ছোঁ’ খেলে বেড়ায়। আমরা পার্মানেন্টলি চেয়ারে পা তুলে বাবু হয়ে বসে কাজকর্ম করা অভ্যেস করে ফেলি। (না আমার চেয়ার পালটায়নি। কমপ্লেন করতে গিয়ে দেখি এইচ আর নন্দিনীটি আমার চেয়েও বেশি কষ্ট করে পা তুলে বসে আছে, আমার চেয়েও বেশি উপচে পড়ছে দুপাশে। কাজেই মায়াবশত আর কিছু না বলে চলে এসেছি। ) মেইলে রাশি রাশি অফিসিয়াল ও আন-অফিসিয়াল সতর্কতাবাণী আসতে থাকে, ‘ইঁদুর হইতে সাবধান থাকিবার সহস্র এক উপায়’ গোছের। আমি আর সেই ছায়ামূর্তির দর্শন পাই না, কিন্তু দিনের বিভিন্ন সময়, ফ্লোরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে “আঁইইইই” করে বিভিন্ন কণ্ঠের চীৎকার তার উপস্থিতি জানান দেয়। তারপর আপৎকালীন জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে আমাদের ডেস্কে বসে খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, ফলে আমাদের নিপুণভাই বড়ই মনঃক্ষুণ্ণ হন ও দিনের বেশির ভাগ সময় ক্যান্টিনে কাটানোই উচিত বিবেচনা করেন।
উইকেণ্ডের পর ফিরে এসে সবে ব্যাগ ট্যাগ রেখে হাত পা ছড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙছি, প্যাচাং করে জুতোর তলায় কিসব চিটচিটে আটকে গেল। আমি তো ভেবেছি ইঁদুরের নাদি বুঝি, প্রবল হাঁউ মাউ কান্না লাগিয়ে দিয়েছি, ওমা সামনের বে থেকে আরো চারজন ছেলে মেয়ে দেখি একই রকম চিক্কুর জুড়েছে। এক দামড়া ভদ্রলোক তো উঠে দাঁড়িয়ে ধেই ধেই করে স্পট জাম্পের মত লাফাতেও লাগল। চেয়ে দেখি তার ধুমসো বুটের নিচে সবুজপানা কাগজের মত কি লেটকে আছে। তখন নিজের জুতোর দিকে চেয়ে দেখি সেখানেও অনুরূপ বস্তু বিদ্যমান।
পার্শ্ববর্তিনী মেইল চেক করে জানালেন, ওগুলো ইঁদুর ধরা কল এর আধুনিক ভার্সান, ইঁদুর আটকানো কাগজের ফাঁদ। ইঁদুর ওর ওপর দিয়ে গেলে আটকে যাবে নাকি, তাই সারা ফ্লোর জুড়ে এগুলো ছড়ানো হয়েছে।
আমাদের ফাজিল বস টিপ্পনী কাটল “হ্যাঁ, এবার খোঁজ নিতে বল ওদের আজ কটা বড় সাইজের ইঁদুর ফাঁদে পা দিল।“
বলে আমার দিকে চেয়ে মুচকি হাসল। ব্যাটা মূষিকবৃদ্ধির গল্পটা জেনেশুনে বলল কিনা বুঝলাম না বলে ছেড়ে দিলুম এবারের মত।
তবে আমার পড়শিনী খুব হ্যা হ্যা করে হাসছিল বসের কথা শুনে। বেখেয়ালে যেই না পা বাড়িয়েছে, অমনি! পচাং! উচিত শাস্তি!
তারপর অনেক ঝঞ্ঝাট করে সেসব ছাড়ানো হল। এদিকে এগুলো ছড়ানো যার বা যাদের কাজ সে বা তারা খুবই পরিবর্তনপন্থী, প্রতিদিন এগুলোর জায়গা পালটাতে লাগল, আজ আমাদের রোয়ের ধার ঘেঁষে তো কাল কমন পথের দুপাশে। ফলে চেয়ারে বাবু হয়ে বসার মত সন্তর্পণে ক্যাটওয়াক করে হাঁটাচলা করাও আমাদের অভ্যাস হয়ে গেল। তবে তাতেও রোজ কারো জুতো, কারো লুটন্ত ওড়না, কারো ট্রাউজারের কানা (মেঝেতে ট্রাউজারের কানা ঘষে কি করছিল লোকটা আমায় জিগাবেন না) সেই মাউস-ট্র্যাপে অতর্কিত আটকে যেতে লাগল। পুরো যাকে বলে “প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কখন কে ধরা পড়ে কে জানে!”
তার সঙ্গে সঙ্গে হাত ফস্কে পড়ে যাওয়া চুলের ক্লিপ, বীনে ফেলতে গিয়ে তাক ফস্কানো চুইং গামের র্যাপার, উড়ে পড়া পেপার ন্যাপকিন, এরকম সব সম্ভব অসম্ভব জিনিস ধরা পড়তে লাগল, শুধু ইঁদুর বাদে। ইঁদুর এসব ধরাকরা দেখেই ঝানু দুষ্কৃতকারীর মত গা ঢাকা দিয়েছে, এই কদিন তার কোনই দেখা নেই।
তারপর যেদিন বস এসে দেখল এই ফাঁদ পাতার দল তার বসার জায়গার চারদিকে গোল করে এই চ্যাটচ্যাটে কাগজ বিছিয়ে দিয়ে গেছে, সেদিন মহা গোল হল। অমায়িক লোকটা যে খেপে গেলে এমন অ-মাইক চিল্লাতে পারে কে জানত!
তো সে বসের অগ্নিবর্ষী ফোনালাপের ফলেই হোক, কিংবা ইঁদুর দু সপ্তাহ ধরে লাগাতার গায়েব দেখেই হোক, সেদিন দুপুরে দুজন গার্ড এসে কুড়িয়ে বাড়িয়ে সব চ্যাটচেটে কাগজ নিয়ে চলে গেল। আমরাও পা নামিয়ে বসে, সহজে চলাফেরা করে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলুম।
মুকেশ হতভাগা আবার এর মধ্যে বসকে গায়ে পড়ে বলতে গেছিল, কোম্পানি আপনাকে কত ভালবাসে দেখুন,আমাদের সবাইকে অনাথ করে আপনার বসার জায়গায় সীতামাঈকি লছমণরেখার মত গণ্ডী দিয়ে দিয়েছে যাতে ইঁদুর কে বাচ্চা আপনাকে জ্বালাতে না পারে। তারপর থেকে বস থেকে থেকে জ্বালাময়ী চোখে মুকেশের দিকে চেয়ে বিড়বিড় করে কাকে যেন সীতার মত অগ্নিপরীক্ষায় ফেলে দেওয়া দরকার বলে যাচ্ছে।
আমার অবশ্য কেমন কেমন সন্দেহ হচ্ছে জানেন! মানে, মুকেশ বেশ কদিন ধরেই বসের ওপর নানা কারণে খাপ্পা। আর অন্যান্যদিন পরে এলেও আজ আমাদের সবার আগে এসে বসে ছিল কিনা। তবে সন্দেহটাকে মনের মধ্যে ঝাঁক বেঁধে থাকতেই দিলুম বুঝলেন, মুখে আর কিছু বললুম না। আমারও তো কবে থেকেই এই ফাজিলস্য ফাজিল লোকটার চেয়ারের নীচে চীনে পটকা ফাটানোর শখ আছে, নেহাত মিহিদানার হাঁড়িটা পাচ্ছি না তাই!