যোগাযোগই-বুকের পাহাড় ল্যাপটপে
আর হোয়াট্স-অ্যাপে ভিড় করছে
লক্ষ লক্ষ উপেক্ষিত চিরকুট--
একশো বছর দূরের কোনো
নবীন গবেষকের বিড়ম্বনায়
এখনই যেন কেঁদে উঠছে বুক।
তোমার হাতের দুষ্পাঠ্য চিঠি
না পেলেও হতাশ হই না আর।
সিঙ্গল-রূম রূপকথার দেশ
যে জাহাজে পাড়ি দিচ্ছি রোজ
সে নাইবা করল আদার কারবার!
ক্যাম্পাসঅদ্ভুত বিষন্ন সন্ধ্যে নেমে আসছে পাহাড়ের গায়ে।
গাছের গোড়ায় গোড়ায়, ঘাসের বনের ফাঁকে,
জমাট মাটির ভাঁজে, হলুদ ডাস্টবিনের চূড়ায়
ঘুরেফিরে কেবলই ত্রস্ত কাঠবেড়ালীর উঁকি:
আনমনে ফেলে যাওয়া একখণ্ড পাঁউরুটি
শ্বেতশুভ্র সত্যের রূপ নিয়ে আসে।
আর কিছু প্রহরেই দুঃস্বপ্নের ভিতর
অম্লপোকার বিষাক্ত নিঃশ্বাস বয়ে যাবে।
যাত্রীমোমের ডানায় ভর করে
প্রতিক্ষণেই তীব্রতর
অভ্রংলিহ এই যাত্রার মোহ।
কতদূরে অন্তরীক্ষে
সঙ্গীতখচিত হেমচক্রগাথায়
আমাদের ক্ষুদ্র ইতিহাসের
ক্ষুদ্রতর ভ্রম ভ্রাম্যমান।
নৈবেদ্য সাজিয়ে
কোন কিন্নরদলের অপেক্ষায়,
হে মহাযান?
সূর্যের থেকে কতটা দূরত্বে
আজ তোমার অবস্থান?
একটু একটু দুঃখ থাকা ভালএকটু একটু দুঃখ থাকা ভাল
তোমার আমার বৃত্তটুকুর মাঝে –
আকাশ যেমন নীলাঞ্জনে সাজে,
তেমনি একটু ধূসর থাকা ভাল।
নদীর মতো বইতে থাকি আমি,
আরেকটু পর তুমিও যাবে চলে।
কি লাভ তবে কুশলবাক্য বলে?
কথার চেয়ে নীরবতাই দামী।
খেলার ছলে এই যে পুতুলবাড়ি
গাছের তলায় যত্নে হল তোলা,
তোমার জন্য সে দরজাটি খোলা –
পথ ভুলো না, নইলে হবে আড়ি!
মনের কোণে মেঘের নিকষ কালো
ভিড় করেছে পুতুলবাড়ি ঘিরে।
যাবেই যখন, এসো না আর ফিরে;
একটু একটু দুঃখ থাকা ভাল।