• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৮৩ | জুলাই ২০২১ | প্রবন্ধ
    Share
  • হেমন্ত-প্রণাম : প্রদোষ ভট্টাচার্য্য


    ‘সুরেলা কণ্ঠ’, গায়কীতে ‘প্রাণকাড়া রোম্য্যান্টিক আবেগ’ ছাড়াও হেমন্তর গানে, যেখানে তিনি গায়ক ছাড়াও সুরকার, পাই একজন সাহিত্যরসিক, অভিনয়ক্ষমতা-সম্পন্ন কারিগর-স্রষ্টাকে। এই সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে তাঁর শিল্পীসত্তার এই দিকটির খানিকটা আভাস দেবার চেষ্টা করা হলো।



    ৯৬৫ সালের পয়লা অক্টোবর উত্তরা-পূরবী-উজ্জ্বলা ‘চেন’-এ মুক্তি পেল অগ্রদূতের কাহিনী ও পরিচালনায় উত্তমকুমার-সন্ধ্যা রায় অভিনীত সূর্যতপা। সঙ্গীত পরিচালক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু ছবির যে দু’টি গানে তাঁর কণ্ঠ শোনা গেল তার কোনটিই উত্তমের মুখে নয়! প্রথম গান, ‘কে যাবি, কে যাবি কে’, পর্দায় ঠোঁট নাড়ছেন গৃহভৃত্যের ভূমিকায় কৌতুকাভিনেতা জহর রায়, বালক চরিত্রটিকে খেলা করে আনন্দ দিতে! দ্বিতীয় গানটি ছবির শীর্ষবিন্দুর ঠিক আগে শুরু হলো, উত্তম-অভিনীত চরিত্রটি দুই মহিলা, তাঁর বাগদত্তা এবং বাড়ীতে আশ্রয়-পাওয়া সন্ধ্যা রায়কে, নিয়ে রেস্তোরাঁয় গেছেন, সেখানে চরিত্রাভিনেতা আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের মুখে আমরা শুনি নায়িকার অব্যক্ত প্রেমের প্রকাশঃ ‘সব কিছু বোঝানো কি যায়! / মনের গভীরে যে কথা লুকায়ে থাকে, কেউ তারে বোঝে নাকো হায়!’ দু’টি গানে হেমন্তর উচ্চারণ, স্বরক্ষেপ সম্পূর্ণ আলাদা।

    সূর্যতপা-র সাত বছর আগে, ১৯৫৮-তে একই ভাবে সেই জহর রায়ের মুখে ধনী শোষকদের লক্ষ্য করে ‘ওরা তোদের গায়ে মারবে লাথি চিরদিন’ আর অনেক পরে, নায়িকার প্রতি নায়কের না-বলা ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে রেডিওতে ভেসে আসা একেবারে ভিন্ন গায়কীতে ‘তুমি তো জানো না, আমার এ হাসিতে’ গানে।

    সুরকার-গায়ক যে ‘একটু-আধটু অ্যাক্টিংও’ পারতেন, অসংখ্য উদাহরণের মধ্যে এটি একটি। এই উক্তিটি শিল্পীর মুখে শুনেছিলাম বাংলাদেশ টিভিতে সম্ভবত ১৯৮৮ বা ১৯৮৯-তে প্রচারিত তাঁর সাক্ষাৎকারে, হারানো সুর ছবিতে যেভাবে উত্তমের মুখে “রমা, রমা” ডাক হেমন্ত নিজে দিয়েছিলেন, সেই প্রসঙ্গে।

    প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় গানটির প্রথম লাইনের সুর — ‘তুমি তো জানো না, আমার এ হাসি তে’ — সি রামচন্দ্রের করা ১৯৫২ সালের ‘তুম কেয়া জানো তুমহারি ইয়াদ মে’ (শিল্পী লতা মঙ্গেশকর, ছবির নাম শিন শিনা কী বুবলা বু) থেকে নেওয়া। কিন্তু শুধু ঐ একটি লাইনই! আস্থায়ী, অন্তরা আর আভোগ সম্বলিত হিন্দী গানটি বাংলায় রূপান্তরিত হয়ে চারটি ভাগ পেয়েছে, সঞ্চারী সমেত! আর আস্থায়ীর দ্বিতীয় লাইন থেকেই সুর ডানা মেলেছে স্বতন্ত্র দিকে। শুনে দেখুনঃ https://www.youtube.com/watch?v=NBsBNSkiA6U

    এই সুর সম্পর্কে অন্তরা মণ্ডল ও শৌনক গুপ্ত লিখেছেনঃ

    … in Surjatoran (1958), Hemant adopted C Ramachandra’s superhit Lata song Tum kya jaano, tumhari yaad mein (Shin Shinaki Boobla Boo, 1952) into a Bengali solo, Tumi to jaano na, which he sang himself and it turned out to be a massive hit. “What to do, I just fell into love with that composition. What a unique and beautiful tune,” he had said when asked about it.[১]

    হেমন্ত তো টপ্পা গাইতে পারেন না! তবে ১৯৮১-তে সুবর্ণ গোলক ছবিতে দীপঙ্কর দের মুখে ‘আমি আজ ভেবেছি মনে’ কিন্তু তবলা-সহযোগে টপ্পার সুর বলেই মনে হয়।

    আমার এই অশিক্ষিত শ্রবণে ১৯৫৫-র শাপমোচন –এর ‘সুরের আকাশে তুমি যে গো শুকতারা’-য় রবীন্দ্রসঙ্গীতের যে প্রভাব বেজেছিল, আশ্বস্ত হলাম পড়ে যে বিদগ্ধ গীতিকার-সুরকার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও সে কথা বলেছেন। তাঁর ‘সন্ন্যাসী রূপকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়’ লেখাটিতে তিনি বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন গানটির অন্তরার ‘অরুণাচলের বুকে/তুমি জাগালে দীপ্তমুখে’, লিখেছেন যার সুর ‘একেবারে রবীন্দ্রসংগীত আঙ্গিকের স্টাইল-এ নির্মিত’।[২]

    আবার হারানো সুর-এ ‘আজ দুজনার দুটি পথ’ সম্বন্ধে লিখছেন, ‘সৃষ্টিটা মৌলিক অথচ মনে হয় গানটির মধ্যে জড়িয়ে আছে ‘আমার এ পথ তোমার পথের থেকে’ গানটির আবেশ ও অনুভব’ (৬৭) । অবশ্য আমার সেই অশিক্ষিত শ্রবণেন্দ্রিয়ে যখন এই গান প্রথম প্রবেশ করে — ১৯৭৩ সালে, রবীন্দ্র সদনে, শিল্পীর উপস্থিতিতে — আমার কেমন যেন নজরুলগীতির কথা মনে হয়েছিলো।

    ততদিনে আমার গানের গৃহশিক্ষক শ্রীজগৎবন্ধু মোদকের কাছে — যিনি ছিলেন তাঁর ছাত্রের মতোই হেমন্ত-ভক্ত — শিখেছি ‘নয়নভরা জল গো তোমার’, আর তার অন্তরা গাইতে গিয়ে — ‘ফুল যদি নিই তোমার হাতে/ জল রবে গো নয়নপাতে’ — মানসকর্ণে শুনেছি হেমন্তর কণ্ঠ!

    আবার, মন নিয়ে-তে ‘ওগো কাজলনয়না হরিণী’-তে অভিজিৎবাবু দেখিয়েছেন একাধারে রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য থেকে নেওয়া opera style ‘এবং যেখানে দ্রুতগতিতে Double ছন্দে গীত হচ্ছে — সেখানে তালের দ্বিগুণ করার বুদ্ধি আবার ভাষা সাজানোর ব্যঞ্জনায় কিছুটা rap style-এর উচ্চারণ।‘ (‘ সন্ন্যাসী রূপকার…’, ৮৩-৪)

    হেমন্তর সুরসৃষ্টিতে রাগরাগিণীর প্রয়োগ নিয়ে বিনয় চক্রবর্তীর মনোজ্ঞ এবং অবশ্য-শ্রবণীয় আলোচনায় আছে কিভাবে ‘ঝড় উঠেছে, বাউল বাতাস’ গানে সঙ্গীতজ্ঞ শ্রোতা খুঁজে পাবেন ‘নতুন কম্পোজিশন প্রচলিত বাগেশ্রী ব্যবহার করে খানিক ভেঙেচুরে।(২২) ’[৩]

    আবার ‘জীবনপুরের পথিক রে ভাই’ গানের দ্বিতীয় অন্তরায় লোকগানের ‘মেলোডি ভেঙে ‘সা রে গা মা পা’ শুদ্ধ স্বর পর পর ব্যবহার করে ভিন্ন প্যাটার্ন আনলেন’ হেমন্ত (২২)।

    ‘চঞ্চল মন আনমনা হয়’ শুরু হচ্ছে ‘পাশ্চাত্য শাস্ত্রীয় কনচের্টোর কোনো প্রেলিউড যেন … ‘সারাদিন রিমঝিম ঝিম কত বৃষ্টি’ যেই এল, একটা ডিসকর্ড হঠাৎই। তারপর আবার সেই প্রেলিউডে ফিরে আসা।’(২৪)

    আর হিন্দী নাগিন ছবিতে ক্লাভিওলাইনের সঙ্গে হারমোনিয়াম মিশিয়ে সাপুড়ের ‘বীণ’-এর সুর সৃষ্টি, তাও ছবির পরিচালক নন্দলাল-যশবন্তলালের এবং ফিল্মিস্তানের কর্মকর্তা শশধর মুখোপাধ্যায়ের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে, তো আজ ইতিহাস!

    তারও আগে, বোম্বেতে গিয়ে প্রথম হিন্দী ছবিতে সঙ্গীত পরিচালক হয়েঃ

    সংস্কৃত শ্লোক সুর করে গাইবো আমি — ‘জয় জগদীশ হরে’। এটা হবে খাদে। আর গীতা [দত্ত] গাইবে খুব মিহি আর চড়ায়। দূর থেকে ভেসে আসছে যেন — ‘কেশব’ …। আর এই দুদিক থেকে দুটো সুরেলা স্বর, একটা বজ্রগম্ভীর আর একটা কোমল মিহি, মিশছে এসে এক জায়গায়। সুরে সুরে সঙ্গম যাকে বলে।[৪]

    সুরকার হিসেবে তিনি যতটা সফল তা অনেকেরই নজর এড়িয়ে যায় তাঁর গায়ক-সত্তার জন্য। ‘রোমান্টিক গানের রাজা’ বলে যাঁকে সবাই চেনে, তিনিই সলিল চৌধুরীর গানের ভাণ্ডার থেকে বেছে নিয়েছিলেন, ‘বিচারপতি, তোমার বিচার’, ‘ও আলোর পথযাত্রী’, ‘ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে’ ছেড়ে তখনো অসম্পূর্ণ ‘গাঁয়ের বধূ’, এবং রাজনৈতিক কারণে গীতিকার-সুরকার অনুপস্থিত থাকায়, নিজেই করেছিলেন ঐ গানের অর্কেস্ট্রেশন, যা করবেন পরের বছর ‘রানার’-এর ক্ষেত্রেও। ‘গাঁয়ের বধূ’ এখন যতই সমাদৃত হোক, ১৯৪৯ সালে এ গান সকলের মনঃপূত হয় নি, আমার মা’র মুখেই “গান না গদিতা” বলে তাচ্ছিল্য শুনেছি, আর এও কোথাও পড়েছিলাম যে জগন্ময় মিত্র এ গানের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। সময়ের থেকে এগিয়ে থাকার যে মানসিকতা শিল্পীর ছিল তা এখনও প্রকট, যেমন ছিল নাগিন-এর আবহসঙ্গীতের ক্ষেত্রে।


    জয়নগরে জে.এম. ট্রেনিং ইন্সটিট্যুটের শতবার্ষিকীতে

    এবার, হেমন্তর সাহিত্যবোধের একটি উদাহরণ দিই। এ ঘটনা বলেছেন সঙ্গীত পরিচালক নিখিল চট্টোপাধ্যায়, যিনি একাধিক ছবিতে হেমন্তর সহকারী ছিলেন, এবং যাঁর সুরে হেমন্ত একাধিক ছবিতে গেয়েছেন। মণিহার ছবির চিত্রনাট্য শুনে হেমন্ত পরিচালক সলিল সেনকে বলেন নায়িকার (সন্ধ্যা রায়) নেপথ্যে লতা মঙ্গেশকরকে রাখতে আর ক্যাবারে গানের জন্য আশা ভোসলেকে। কিন্তু একদিন পরে হেমন্ত মত পরিবর্তন করে বললেন, “ক্যাবারে গানের জন্য ডাকো সুমন কল্যাণপুরকে!” প্রযোজক গিরীন্দ্র সিংহ, পরিচালক সলিল সেন, আর নিখিল চট্টোপাধ্যায় সবাই আকাশ থেকে পড়লেন। আশার একটা নিজস্ব বাজার আছে, সুমনের সে আবেদন কোথায়? হেমন্ত এবার ব্যাখ্যা করলেন, “ক্যাবারে গানের পরিস্থিতি কি? নায়ক (বিশ্বজিৎ) অসুস্থ নায়িকার চিকিৎসা করছে, আর দার্জিলিঙে নায়ক-নায়িকার বন্ধু-আত্মীয়স্বজন ক্যাবারে নাচ দেখছে। কিন্তু ক্যাবারে গানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে নায়িকার মনের কথা। আর নায়িকার কণ্ঠ কার? লতার। সুমনের গলা লতার সঙ্গে মেলে। দর্শক গানটির সঙ্গে নায়িকার যোগসূত্র বুঝতে পারবে। আশা গাইলে, তা হবে শুধুই ক্যাবারের গান! নায়িকার মনের কথা গানে যে ব্যক্ত হচ্ছে, তা স্পষ্ট হবে না।” ক্যাবারে গানের এই রকম প্রয়োগ যে হতে পারে, তা ছবির সঙ্গে জড়িত আর কেউ ভেবে দেখে নি![৫]

    এ তো গেল চটুল গানের কথা। কণ্ঠ দিয়ে আবহ সঙ্গীত — যা শুরু হয়েছিলো সম্ভবত হারানো সুর থেকে, এক অন্য মাত্রা লাভ করলো রবীন্দ্রকাহিনীর চিত্রায়নে, খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন (১৯৬০) ছবিতে।

    শঙ্করলাল ভট্টাচার্য তাঁর ‘বাঙালী জীবনে হেমন্ত’ প্রবন্ধে লিখেছেন যে হেমন্ত সুর করার অনুপ্রেরণা, শিল্পীর নিজের স্বীকারোক্তিতেই, পেয়েছিলেন শচীনদেব বর্মণ (পল্লিসুরের ঝোঁক), কৃষ্ণচন্দ্র দে (পুরাতনী ও কীর্তন) এবং পঙ্কজ মল্লিকের (রবীন্দ্রসঙ্গীত) থেকে। আর এর ওপর হেমন্তর ছিল নিজস্ব সঙ্গীতদর্শনঃ ‘কবিতা পড়তে হবে, বুঝতে হবে। সেই মানে সুর লাগিয়ে বার করতে হবে। এটা শিল্পীর নিজের কাজ। এ কাউকে শেখানো যায় না।’[৬] এই আপাত-সহজিয়ার পাশাপাশি উদ্ধৃত করি শঙ্করলালেরই আরেকটি মূল্যবান পর্যবেক্ষণঃ ‘তাঁর ছ-সাত হাজার গানের সবই তো আর সরললেখার ওপর দাঁড়িয়ে নয়। কত … কঠিন কঠিন সুরে গেয়ে চলে গেছেন। কিন্তু গেয়েছেন এমন অবলীলায় যে শুনে সেই সুরকে আর তেমন কঠিন মনে হয়নি। আর এটাই হেমন্তর গানের বিরাট সিদ্ধি। যখন যেটা গাইছেন তাই-ই নিজের মতো সরল স্বাভাবিক করে নিচ্ছেন। ‘এই গাইছি! এই গাইলুম!’ এই দাপুটে ভাবটাই তাঁর নিবেদনে নেই … সবই বিন্যস্ত হয়ে আছে এক সহজ লাবণ্যে। যার নাম আধুনিকতা।’ (বাঙালী জীবনে হেমন্ত, ৪০-৪১) দুটি উদাহরণ দিইঃ একটি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথায়, নচিকেতা ঘোষের সুরে ‘মৌ বনে আজ মৌ জমেছে’ (১৯৫৮, বন্ধু ছবিতে উত্তমকুমারের মুখে) আর তার বিশ বছর পরে পরমানন্দ সরস্বতীর কথায়, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে ‘তুমি চলে গেছ, কেউ নেই’ (বেসিক)।

    যা না বললে বক্তব্য অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, তা হলো শিল্পীর নিজের চেহারা, শঙ্করলালের ভাষায় ‘অভিমানী, মধ্যবিত্ত, সরল, সম্ভ্রান্ত প্রতিচ্ছবি। গুটোনো-হাতা সাদা পপলিনের শার্ট আর ধুতিতে জড়ানো যে-কায়াটি কালে কালে বাঙালি মধ্যবিত্ত যুবশ্রেণীর আদর্শ হয়েছিল।’ (বাঙালী জীবনে হেমন্ত, ৪৫)


    তথ্যসূত্র [১] A. N. Mondal & Sounak Gupta, ‘Bengal’s Immortal Singer-Composer: A Study of his Bengali film and non-film music’ in Manek Premchand, The Unforgettable Music of Hemant Kumar (Blue Pencil: New Delhi, 2020), 179.

    [২] অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘সন্ন্যাসী রূপকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়’, সুরের আকাশে হেমন্ত, সংকলক জয়দীপ চক্রবর্তী (সূত্রধরঃ কলকাতা, ২০১৪), পৃঃ ৬২-৮৬। উদ্ধৃত অংশ ৭৩ পৃষ্ঠা থেকে।

    [৩] বিনয় চক্রবর্তী, ‘সুরের স্বরলিপিঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়’, সুরের আকাশে হেমন্ত, পৃঃ ১৭-৩৩। এই এবং এর পরের উদ্ধৃতি ২২ পৃষ্ঠা থেকে।

    —বিনয় চক্রবর্তী, ‘সুরের স্বরলিপিঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়’ (১৭-৩৩)
    — অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘সন্ন্যাসী রূপকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়’ (৬২-৮৬)
    — সলিল চৌধুরী, ‘আমি, হেমন্ত আর গণনাট্যের সেই দিনগুলি’ (১২৮-৩৬)
    [৪] আনন্দধারা, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সম্পাদনা অভীক চট্টোপাধ্যায় ২য় সংস্করণ (২০১৩), pdf ৫৪।

    [৫] Mondal and Gupta in Premchand, (১ নং পাদটীকা দেখুন) 187-88.

    [৬] শঙ্করলাল ভট্টাচার্য, ‘বাঙালি জীবনে হেমন্ত’, হেমন্তকে নিয়ে, শঙ্করলাল ভট্টাচার্য (সুমিত্রা প্রকাশনীঃ কলকাতা ২০২০) পৃঃ ৩৮-৫১। উদ্ধৃত বাক্যগুলি আছে ৪৭ পৃষ্ঠায়।

    The Unforgettable Music of Hemant Kumar, Manek Premchand (Blue Pencil: New Delhi, 2020)


    প্রবন্ধে আলোচিত গান ও আবহসঙ্গীতের তালিকা


    আনন্দ মঠ (১৯৫২)

    জয় জগদীশ হরে

    নাগিন (১৯৫৪)

    আবহসঙ্গীত

    শাপমোচন (১৯৫৫)

    সুরের আকাশে তুমি যে গো শুকতারা
    ঝড় উঠেছে, বাউল বাতাস

    হারানো সুর (১৯৫৭)

    আজ দুজনার দুটি পথ ওগো
    আবহ সঙ্গীতে হেমন্তকণ্ঠ

    বন্ধু (১৯৫৮)

    মৌ বনে আজ মৌ জমেছে

    সূর্যতোরণ (১৯৫৮)

    ওরা তোদের গায়ে মারবে লাথি
    তুমি তো জানো না

    শিন শিনা কি বুবলা বু (১৯৫২)

    তুম কেয়া জানো

    খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন (১৯৬০) আবহ সঙ্গীতে হেমন্তকণ্ঠ

    পলাতক (১৯৬৩)

    জীবনপুরের পথিক রে ভাই

    সূর্যতপা (১৯৬৫)

    কে যাবে, কে যাবে কে
    সব কিছু বোঝানো কি যায়

    মণিহার (১৯৬৬)

    দূরে থেকো না (সুমন কল্যাণপুর)

    অদ্বিতীয়া (১৯৬৮)

    চঞ্চল মন আনমনা হয়

    মন নিয়ে (১৯৬৯)

    ওগো কাজল নয়না হরিণী

    আধুনিক গান

    গাঁয়ের বধূ (১৯৪৯)
    রানার (১৯৫০)
    তুমি চলে গেছো (১৯৭৮)



    অলংকরণ (Artwork) : ছবিঃ রাজীব চক্রবর্তীর সৌজন্যে
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments