Click below to read comments on other sections:
|
অপূর্ব! যাদঃপতেঃ রোধঃ শব্দদুটির অর্থ সার্চ করতে গিয়ে এই লেখাটি পেলাম। বিষয়বস্তু বেশিটাই জানা। কিন্তু বিষয়বস্তুটিকে সরস অথচ প্রাঞ্জলভাবে উদাহরণ সহ লেখক এত সুন্দরভাবে উপস্থাপিত করেছেন যার জন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। অজস্র ধন্যবাদ।
পার্থ ভট্টাচার্য (২৬শে মার্চ, ২০২১; pbcha...@gmail...)
দেবদত্ত জোয়ারদারের 'বিবিধ পাণিনীয় প্রসঙ্গ' (পরবাস-৮০, অক্টোবর ২০২০) আপনাদের ওয়েবজিনে চাক্ষুষ করে স্বভাবতই কৌতূহলী হয়ে প্রবেশের চেষ্টা করি এবং এরকম একটি প্রসঙ্গে লেখকের বাংলা বাকক্ষেপণের সারল্য লক্ষ করে চমৎকৃতও হই। বিষয়টিকে বোধগম্য করার জন্য, অন্তত আগ্রহী ধৈর্যশীল পাঠকের কাছে, লেখকের সহজাত ক্ষমতা যথেষ্ট প্রশংসনীয়।
একটানা পড়ার চেষ্টা করে এগোনো মুশকিল, অন্তত এ বিষয়ে আমার মতো আনপড় পাঠকের পক্ষে। কিন্তু একটু রয়ে-সয়ে পড়লে বোঝাবুঝির পক্ষে হয়তো সহজ হয়। জলভাত না হোক, একটা ঝাপসামতো ধারণা বা আন্দাজের দিকে হয়তো পা টিপে টিপে এগোনোর চেষ্টা করা যায়। আজ প্রতিনিয়ত আমরা যেভাবে শব্দগুচ্ছকে আমরা সংক্ষিপ্ত করে নতুন নতুন শব্দও সৃষ্টি করে চলেছি, যেমন এই 'ওয়েবজিন' শব্দটাই ধরুন, বা কোনো বড়ো সংস্থার নাম, কি বিশেষ কোনো রোগের নাম, যা-ই হোক, আমরা ক্রমশ যেভাবে এই সংক্ষেপীকরণে অভ্যস্ত হয়ে উঠছি, এটা ভাবলেও তো বিস্ময় জাগে, সেই কোন যুগে পাণিনির মতো বৈয়াকরণিক তাঁর ভাবনাগুলিকে প্রকাশের জন্য ওইরকম ভেবেছিলেন। মাথা নত হয়ে আসে সেই বিস্ময়কর প্রতিভাধর মানুষটির জন্য। আরও একটা কথা, 'সংকেত'এর আশ্রয় যে মানুষ কতভাবে নিয়েছে সভ্যতার আদিকাল থেকে, তা ভাবলেও তো অবাক হতে হয়।
ধ্বনি এবং তার প্রকাশে লিপি বা চিহ্নর মাধ্যম ছাড়াও, কোনো বস্তু বা কিছুর প্রতিরূপ বা প্রতিনিধি হিসেবে প্রতীকী ধ্বনিচিহ্নর (মন্ত্রেও যেমন ওঁ হ্রিং ইত্যাদি) ব্যবহারও কী অদ্ভুতভাবেই করে এসেছে। যাই হোক, এইসব কিছু নিয়ে ভাবার মতো জীবনে কোনো অবকাশ থাকলে, তখনই হয়তো উপলব্ধি করা সম্ভব চিন্তাজগতে উৎকর্ষের ক্ষেত্রে ভারতীয় প্রাচীন মনীষা অতুলনীয়ই ছিল। আজকের চিন্তকরা যে সেই ইতিহাসকে জানার চেষ্টাও করে চলেছেন এবং মানুষের কাছে তাঁদের প্রাপ্ত উপলব্ধিকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টাও করছেন, স্বভাবতই তাঁরা আমাদের কাছে সম্মাননীয়ও হয়ে উঠছেন তার দরুন।
শুভেচ্ছান্তে,
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় (১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১; rbanu...@gmail...)
অত্যন্ত ভালো লেগেছে এবং তথ্যসমৃদ্ধ একটি লেখা।
রাজনন্দিনী চেট্টাপাধ্যায় (২০শে মার্চ, ২০২১; ranughosh...@gmail...)
Fantastic. Corona can't suppress our spirit. Thanks for such an article.
Nupur Raychaudhuri (19th March, 2021; raychaud...@gmail...)
ভীষণ ভালো লাগল পড়ে।
ঝর্ণা বিশ্বাস (১২ই মার্চ, ২০২১; jharna...@gmail...)
ভীষণ ভালো গল্প। একটা নির্ভেজাল আনন্দ পুরো গল্প জুড়ে। খুব ভালো লাগল পড়ে।
ঝর্ণা বিশ্বাস (১২ই মার্চ, ২০২১; jharna...@gmail...)
ছবি কথা বলে। এখানে একটি ছবি অনেক কিছু বলে দিয়েছে। সত্যিই অনবদ্য উপস্থাপন।
স্বরূপ মণ্ডল (২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১; biva...@gmail...)
বইটা সবে পড়েছি। সমালোচনাটা খুব সুন্দর।
অংশুমান গুহ (১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১; angshuman...@gmail...)
গল্পের শুরুটা কিছুদূর পর্যন্ত বর্ণনাধর্মী মনে হলেও, শিল্প উঁকি দেয় ঠিক জায়গায়। অন্বেষণ, প্রেম, মায়া, দর্শনের, মন ছুঁয়ে যাওয়া সংমিশ্রণ পরিবেশিত হতে থাকে। মানুষের মধ্য থেকে মানুষ বেরিয়ে আসে, প্রাচুর্যকে হেলায় সরিয়ে সাধারণ অতি সাধারণ থেকে মাটি ধুলো হয়ে যেতে চায় সে। এক মহামানব-মানবীর প্রেম এবং দর্শনের গল্প নিপুণ শৈলিতে পাঠকের অন্তরে সেঁধিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন লেখক।
নীলিম গঙ্গোপাধ্যায় (১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১; nilimgan...@gmail...)
অন্য স্বাদের গল্প। লেখকের কাছে আরও ছোট গল্প আশা করি।
বিপুল জ্যোতি গুপ্ত (২৯শে জানুয়ারি, ২০২১; bipuljyoti...@yahoo...)
যে লেখা শেষ হওয়ার পরেও আরও কিছুর যেন অপেক্ষা থেকে যায়।
শক্তিব্রত দাশগুপ্ত (২৮শে জানুয়ারি, ২০২১; Sakti...@yahoo...)
জীবনানন্দ দাশ বলেছিলেন যে প্রত্যেকটা সময়ের একটা গভীর গভীরতর অসুখ আছে। কিন্তু অসুখ সমাজব্যবস্থার স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারলেও, সৃষ্টিশীল স্রষ্টার কলমকে থামিয়ে দিতে পারে না। সৃজনপ্রিয় মানুষেরা সর্বদাই মেতে উঠেন সৃষ্টিসুখের উল্লাসে। ব্যতিক্রম নয় বলা চলে গল্পকার উত্তম বিশ্বাস, তাঁর ভাবনার ভাস্কর্যে বর্তমান সময়ের এক দীপ্ত দর্পণ তিনি যেন তুলে ধরেছেন পাঠকদের সামনে এই গল্পের মধ্যে দিয়ে।
সাম্প্রতিকতম ঘটনার এমন অভিঘাতকে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তিনি যেভাবে উপস্থাপিত করেছেন--তা এক কথায় অনবদ্য। বৃহত্তর সমাজের অসুস্থতার আসুরিক রূপ ও ভয়ংকর ভাবনাস্ফীতি দেখাতে দেখাতে খুব কৌশলেই প্রবেশ করেছেন দীপ্তরূপ-কুহেলির পরিবারের অন্দরমহলে অন্য এক আতস কাঁচ নিয়ে। সূক্ষ্ম মনস্তত্ত্ব, সম্পর্কের রসায়ন সম্বন্ধিত তীর্যক তীরন্দাজি, সঙ্গে অন্তর্লীন ফল্গুধারার মতো বয়ে চলা সমাজ, দেশ ও বিদেশ বিষয়ক আপডেট গল্পের কাহিনি কায়াকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
সমগ্র মানব সভ্যতার এত বহুমুখী প্রবাহকে তিনি যেভাবে গল্পের মধ্যে একসূত্রে গেঁথে তুলতে চেয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আর অন্ধকারের অজয় নদ পেরিয়ে মানব সভ্যতাকে তো হাজার হাজার বছরের পথ হাঁটতেই হবে, কারণ লেখকের মতো আমাদেরও পরম বিশ্বাস যে অন্ধকারের অদম্যতাকে ঘুচিয়ে নতুন উৎসারিত আলো অবশ্যই আসবে, আর সেটাই হবে আসল আলো।
সঞ্জু প্রামাণিক (২৫শে জানুয়ারি, ২০২১; 123sanju...@gmail...)
খুব সুন্দর গল্প। যা ভাবায়, আসলে অসুখটা শরীরের না মনের..... খুব ভালো লেগেছে।
ঝর্না বিশ্বাস (২৩শে জানুয়ারি ২০২১; jharna...@gmail...)
গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। দরজা খোলা পেয়েও যে খাঁচার পাখি উড়ে যেতে পারে না, এই বর্ণনার মধ্যে ফুটে উঠলো তার অসহায় বিপন্নতা: যেন সে নিমিত্তমাত্র, নিজের নিয়ন্তা সে নিজে নয়।
নিরুপম চক্রবর্তী (২৫শে জানুয়ারি ২০২১; nchak...@gmail...)
অসাধারণ রচনা। তুষার রায়ের কথা মনে পড়িয়ে দেয়।
দত্তাত্রেয় দত্ত (১৯শে জানুয়ারি, ২০২১; dattatreya...@gmail...)
হাঁক দিয়ে বলি, এমন কবিতা আরও লেখা হোক।
সম্বিৎ বসু (২০শে ডিসেম্বর ২০২০; sambit...@gmail...)
সমস্ত কিছুই খারাপ না। এই লকডাউন যেমন তা শিখিয়ে গেল, শেখালো গল্পটাও...একজন একাকী মানুষের ভালো থাকার সঙ্গী খুঁজে পাওয়া এই লকডাউনে... ছোট ছোট অনেক ভালোলাগা মুহূর্ত পুরো গল্প জুড়ে...অসম্ভব ভালো লাগা একখানি গল্প হয়ে থাকল সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের গল্প "পাপড়ি সান্যালের শাশুড়ি"...ধন্যবাদ "পরবাস"। ধন্যবাদ সিদ্ধার্থদা। প্রতিবার আপনার গল্প মুগ্ধ করে, এবারও। পরবাসের একজন পাঠিকা হতে পেরে আমি গর্বিত।
ঝর্ণা বিশ্বাস (২১শে জানুয়ারি ২০২১; jharna...@gmail...)
খুব ভালো লাগল।
গোরাচাঁদ চক্রবর্তী (১৮ই জানুয়ারি ২০২১; gchak...@yahoo...)
ভালো লাগলো।
রুচিরা (২২শে জানুয়ারি ২০২১; ruchrir...@gmail...)
ভালো লাগলো সব কটা কবিতা।
রুচিরা (২২শে জানুয়ারি ২০২১; ruchrir...@gmail...)
অসাধারণ।
জয়শ্রী ব্যানার্জী (২০শে জানুয়ারি ২০২১; j_banerji...@yahoo...)
কবিতাটি চোখের সামনে শান্ত সুন্দর এক ছবি আঁকে। ছন্দের দোলা মনের ভেতরে অনুরণন তোলে। সমুদ্র পেতে চেয়েছিল কিশোরী, সে কথা জানতো কেবল পারিপার্শ্বিক। দুরের সে সমুদ্র তার অধরা থাকে। কিন্তু তার ক্ষোভ হয় কি? সমুদ্রের আগেই সে পায় নিরালা স্তব্ধ পুকুর। সংসারের নিত্য নৈমিত্তিকতায় হারিয়েও সে হারায় না।
সুচরিতা (২১শে মার্চ ২০২১; bisuc...@gmail...)
এ কবির হাত ধরে বাংলা ভিলানেলের সঙ্গে পরিচয়।
বালিকাটির জীবনটির কি অন্য পরিণতি হতে পারতো? হয়ত হতে পারতো সমুদ্রের মত বিশাল বা মহান কিছু। তার বিশ্বস্ত সঙ্গীর কানে হয়ত সে বলেছিল। কিন্তু বাড়ির পুকুরের মত দৈনন্দিনতায় তার জীবন রয়ে গেল। আর পাঁচটা কাজকর্ম, সন্তান পালনে কেটে যায় জীবন। সমুদ্রের স্বপ্নটা থেকে গেল মনে।
সুচিত্রা (১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২১; bisuc...@gmail...)
খুবই মায়াময় লাগল নিরুপমের এই সাম্প্রতিকতম কবিতাটি। ভিলানেল বাংলায় বিশেষ পরিচিত বা চর্চিত নয়। পর পর অনেকগুলো ভিলানেল উপহার দিয়ে নিরুপম আমার মতো অনেক পাঠককে ঋদ্ধ করলেন।
উদয় চট্টোপাধ্যায় (২১শে জানুয়ারি ২০২১; ukc@met...iitkgp...)
পরবাস ৮১তে কবি নিরুপম চক্রবর্তীর' এস্কেপিপিং ভিলানেল' কবিতাটি অনবদ্য! একবার নয়, এটি বারবার পড়তে হয়।
একই শব্দ বারবার ঘুরে ঘুরে এসে এক আশ্চর্য স্পাইরাল এফেক্ট তৈরি করে। কবিতার ভেতরে কোথায় যেন অন্তর্লীন, জীবনানন্দীয় ভাবনা।
কবির ভিলানেল নির্মাণ করতে না পারার আক্ষেপ শুধু নয়, কবিতাটি এই ব্যক্তিগত ভাবনাকে ছাড়িয়ে অন্য এক মোহময় পৃথিবীতে পাঠককে হাত ধরে নিয়ে যায়।
আর্যা ভট্টাচার্য (২০শে জানুয়ারি ২০২১; ary...@gmail...)
এক গভীর অনুভবের জায়গা থেকে লেখা এই কবিতাটি, খুব ভালো লাগল।
সৌমনা দাশগুপ্ত (১৯শে জানুয়ারি ২০২১; dasgupta...@gmail...)
বাঃ এটিও খুব ভালো। এই ফর্মের লেখা আগেও পড়েছি। বেশ মায়াময় অন্যরকম সুরে বাজে এই ধারার কবিতা।
একটা প্রশ্ন। কখন ভিলানেল type এর কবিতা লেখে? মানে সচেতন ভাবে এই ফর্মে লেখাটি এগোয়? না কি লিখতে লিখতে বোঝা যায় এটা এই ফর্মে গাঁথা সঠিক হবে? ... জানি না খুব বোকা বোকা প্রশ্ন হল কি না!
সিদ্ধার্থ মজুমদার (১৯শে জানুয়ারি ২০২১; siddhartha...@gmail...)
সুবীরদার প্রায় সব কবিতাই আমার পড়া। ভালো লাগে সেটা বলাই বাহুল্য। তবে ওনার কবিতার ঘরে ছন্দের থেকে জীবনবোধ বেশি বাসা বাঁধে। যেটা আমাকে মুগ্ধ করে। ওনার কলমে তাই কবি শঙ্খ ঘোষের বিশ্লেষণ পড়ে আমি আপ্লুত। বেশ গবেষণা ভিত্তিক কর্মপ্রচেষ্টা। তার প্রতিফলন প্রতি ছত্রেই। ধন্যবাদ। ধন্যবাদ পরবাসকেও, এই মধুর পরিকল্পনার জন্য।
বাণীব্রত গোস্বামী (২০শে জানুয়ারি, ২০২১; goswamib...@gmail...)
পাশ্চাত্য কবিতার পটভূমিতে সেস্টিনা একটি অতিদুরূহ ছন্দ বিস্তারের নাম। এর জটিল চলন স্বচ্ছন্দে একটি অ্যালগোরিদমের জন্ম দিতে পারে। আমার জ্ঞাতসারে বাংলা ভাষায় সেস্টিনার প্রথম পদার্পণ ঘটালেন দত্তাত্রেয় দত্ত, অবশ্যই যন্ত্রগণকের প্রয়োগ ব্যতিরেকে, পরবাস পত্রিকায় অতি সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর এই সেস্টিনাটির মাধ্যমে। বাংলা কবিতার ইতিহাসে এটি পরবাস পত্রিকাকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে অন্বিত করলো। প্রকৃত গুণীর হাতে এই ছন্দ যে কোন পর্যায়ের অশ্রুত মাধুরীর জন্ম দিতে পারে দত্তাত্রেয় দত্তর এই সেস্টিনাটি বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে তার প্যারাডাইম নিদর্শন হয়ে থাকবে। তবে, সেস্টিনার দুরূহতম অংশ তার শেষ স্তবকটি। সেখানে তিনি কিঞ্চিৎ স্বাধীনতা নিয়েছেন বলে প্রত্যয় হল। আশা করবো পরবাসের পাতায় দত্তাত্রেয় দত্তর আরও সেস্টিনা ভবিষ্যতে আস্বাদন করা যাবে।
নিরুপম চক্রবর্তী (১৮ই জানুয়ারি, ২০২১; nchak...@gmail...)
(পরবাস-৮১, ১২ জানুয়ারি, ২০২১)