সবুজ ভালোবাসা
তীর্থের কাকের মতো বসেছিলাম ঋষির মগ্নতায়
অমাবস্যার পরে প্রতিপদের চাঁদ উঁকি দেয়।
আমার দুচোখ মোলায়েম স্বপ্ন দেখে...
আসন পেতে রাখি বনবীথির ছায়ায়,
সব গ্লানি ধুয়ে তুমি বসবে বলে।
গাছেরা অবাক হয়ে ফুলপাতা দিয়ে বরণ করে,
তোমার পিপাসার্ত মনে আসে বৃষ্টির উৎসব।
মাটির বুকে ঘাসের বীজ পুঁতে দেও তুমি
আগামীর জন্য দিয়ে যাও সবুজ ভালোবাসা
আমি বরণ করবো তাকে...
স্বপ্নের কৌটো
স্বপ্ন ভর্তি কৌটোটা
পাথর চাপা হয়ে আছে বুকের বাঁদিকে,
মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে দু একটা
ফসকে বেরিয়ে আসে বাইরে।
হাতছাড়া হয়ে জনারণ্যে হারিয়ে যায়...
খোলা আকাশের নিচে দুহাত বাড়িয়ে তাকে খুঁজি,
হঠাৎ দেখি দূর আকাশে
দূর থেকে আরও দূরে যেতে যেতে
আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে।
আবার নতুন স্বপ্ন ভর্তি করে রাখি...
নিঃসঙ্গ
সকালের তেরছা রোদে ওম নিতে ব্যালকনিতে দাঁড়ায়
নিচে সবজিওয়ালা হাঁক দেয়,
দোতলার মাসিমা চিৎকার করে বলেন–-
কপি কতো করে দিচ্ছ?
সবজিওয়ালা দেখেও দেখেনা তাকে
অন্য তিনতলার বউদির দিকে মন দেয়,
মাসিমা থাকেন অপেক্ষায়
সময় পেরিয়ে যায়...
বেচাকেনা করে সবজিওয়ালা ঠ্যালা নিয়ে
ফিরতে উদ্যত হয়
মাসিমা আবার বলেন...
আপনি তো কিছু নেবেন না, শুধু ডাকেন কেন?
মাসিমা আস্তে করে বলেন–-
কথা বলার একটু অজুহাত খুঁজি ডাকি তাই...
ঠিক তার ওপরে দাঁড়িয়ে আমি শুনতে পাই।
(পরবাস-৭৮, ৮ই এপ্রিল, ২০২০)