লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
অংকুর সাহা: কবিতা শ্রমিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক। গ্রন্থের সংখ্যা সাত।
অংশুমান অনেক বছর কর্পোরেট পরিবেশে প্রোগ্রামিং ক’রে এখন নিজের 'প্রারম্ভিক’ সংস্থার উদ্যোগে ব্যস্ত। সেটাই পেশা। তার সাথে নেশা বিচিত্র ও বহুমুখী।
অতনু দে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। জন্মসূত্রে কলকাতার, কর্মসূত্রে প্রায় পনেরো বছর কলকাতার বাইরে। কিন্তু অবসর
সময় মন ঘুরে বেড়ায় সাহিত্যের খোলা আলো-ঝলমল বারান্দায়। নানান সময় নানান লেখালেখি করেছেন –
কবিতা, প্রবন্ধ, কিন্তু গল্প লেখা এই প্রথম। সাহিত্য ছাড়া চলচ্চিত্র নিয়ে লেখালেখি করেছেন একসময়।
অদ্রিজা চক্রবর্তী দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বহড়ুতে থাকে। ক্লাস থ্রি-তে পড়ে। গান করতে, আঁকতে আর বেড়াতে ভালোবাসে।
অমিতাভ প্রামাণিক বেঙ্গালুরুতে থাকেন।
অমিতাভ সেন পরবাস-এর শুরু থেকেই নানা কার্টুন, স্কেচ ও লেখা (ইংরেজিতে, যা বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে) দিয়ে আসছেন। শিকাগোর 'Spinor Capital LLC' নামের আর্থিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে অনেকদিন ধরে একটি সুইস ব্যাংকে কাজ করেছেন। তারও আগে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের উপরে তাঁর গবেষণা কোয়ান্টাম মহাকর্ষের এক মৌলিক তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)
অঞ্জলি দাশের জন্ম বাংলাদেশে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজি-তে মাস্টার্সের পরে কলকাতায় চলে আসেন ১৯৭৮ সালে। কিশোর বয়েস থেলে লেখালিখি করলেও এ-পারে আসার পরে সিরিয়াসলি কবিতা লেখা শুরু করেন, ছোটো বড়ো নানা পত্রিকায়, পাশাপাশি গত কয়েক বছর গল্প-উপন্যাসও। 'বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পুরস্কার' ও 'পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার' পেয়েছেন। ৫-টি কবিতা বই; দে'জ থেকে 'শ্রেষ্ঠ কবিতা'ও আছে তার মধ্যে।
অর্পিতা ঘোষের জন্ম নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর শহরে, ছোট থেকেই সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ। স্কুলে পড়াশোনা করার পাশাপাশি লেখারও ঝোঁক ছিল, ছোট থেকেই গল্প ও কবিতা লেখেন। বিভিন্ন কাব্য গ্রন্থে, সাহিত্য পত্রিকায় ও দৈনিক খবরের কাগজে লেখা প্রকাশিত, বাংলাদেশের পত্রিকা ও দৈনিক কাগজেও লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা।
আনন্দ সেন মিশিগানের অ্যান আরবার শহরের বাসিন্দা এবং পেশায় ইউনিভার্সিটি অফ্ মিশিগানে বায়োস্ট্যাটিস্টিক্সের অধ্যাপক। কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্স্টিটিউটের স্নাতক আনন্দ পি এইচ ডি করতে আমেরিকাতে আসেন তিরিশ বছরেরও
বেশী আগে। ছাত্র পড়ানো এবং পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষণার সাথে সাথে শখ লেখালেখি আর অভিনয়। মূলতঃ কবিতা লেখেন। পেশাগত কাজ এবং প্রাত্যহিকতায় নুয়ে যেতে যেতেও হঠাৎ করেই দ্বারস্থ হন অভ্র কিবোর্ডের। দর্শক এবং পাঠকের মন ভরাতে পারুক বা না পারুক, নাটক এবং লেখা তাঁকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। প্রতিদিন।
অনুষ্টুপ শেঠ--কলকাতায় বড় হওয়া, কর্মসূত্রে বহুকাল মুম্বাই প্রবাসী। বই, বাংলা সাহিত্য হল ভালবাসা। মূলত কবিতা লেখার শখ, টুকটাক গদ্য লেখারও চেষ্টা চলে। প্রকাশিত ছেলেদের ছড়ার বইঃ
'ভূতোর বই' (ঋতবাক্, ২০১৭)।
অরণি বসুর জন্ম ১৯৫১ সালে। সত্তর দশকের বিশিষ্ট কবি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ -- খেলা চলে, শুভেচ্ছা সফর, লঘু মুহূর্ত এবং ভাঙা অক্ষরের রামধনু।
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম বর্ধমানে। পড়াশোনা বর্ধমান, নরেন্দ্রপুর, ও শিবপুর বি,ই কলেজে। কবিতা ছাড়াও বিশেষ ভালোবাসার বিষয় হলো গানঃ রবীন্দ্রসঙ্গীত, হিন্দুস্থানী ও কর্নাটকী ক্লাসিকাল। প্রকাশিত কবিতার বই
আপাত সুখের দৃশ্য।
আজহার উদ্দিন সাহাজীর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা উত্তর চব্বিশ পরগানায়। এমএ করতে দিল্লী আসা, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়। এমফিল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে। সবই ইংলিশে। এখন যাকির হুসাইন দিল্লি কলেজ (সকাল)-এ অধ্যাপনায় যুক্ত, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোফেসর (এড-হক)। বাংলায় এবং ইংলিশে লেখালেখি করা দারুণ নেশা। বেশিরভাগ লেখাই প্রবাসের সুখ-দুঃখের উপর।
চৈতালি সরকার বর্ধমান জেলার বিল্বেশ্বর বিনোদলাল বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স করেছেন।
ভাস্কর বসুর জন্ম কলকাতায়, বেড়ে ওঠা দক্ষিণ চব্বিশ-পরগনার রাজপুর-সোনারপুর অঞ্চলে। ১৯৮৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং পাস করে কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে। শখের মধ্যে অল্প-বিস্তর বাংলাতে লেখা - অল্প কিছু লেখা রবিবাসরীয় আনন্দবাজার, উনিশ-কুড়ি, নির্ণয়, দেশ, ইত্যাদি পত্রিকায় এবং বিভিন্ন ওয়েব ম্যাগাজিন (সৃষ্টি, অবসর, অন্যদেশ, ইত্যাদিতে) প্রকাশিত।
সম্প্রতি একটি ব্লগ শুরু করেছেন,
ভাবনা আমার পথ খুঁজে চলে।
ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত আমেরিকায় থাকেন।
কমলিকা চক্রবর্তী কলকাতায় থাকেন। 'পরবাস'-এর পুরোনো পাঠিকা, শখের লেখিকা। একটি স্কুলে ইংরেজি পড়ান।
কালীকৃষ্ণ গুহর জন্ম ১৯৪৩ সাল। পূর্ববঙ্গের (এখন বাংলাদেশ) রাজবাড়ি জেলার ছাইবাড়িয়া গ্রাম। ১৯৫৭ সালে, ছাত্রাবস্থা থেকে, কলকাতা শহরে। সাহিত্য ও আইনে স্নাতক। ১৯৬৫ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাকরি। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ। বাল্যকাল থেকেই সাহিত্যপাঠে উৎসাহী ও কবিতা লেখা শুরু। প্রথম কবিতার বই 'রক্তাক্ত বেদীর পাশে' ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত। তারপর থেকে বহু বই নিজের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি: হস্টেল থেকে লেখা কবিতা ...., পথনাটকের আসরে স্তব্ধতা। তিনটি প্রবন্ধের বই: পাঠবৃত্তে কালযাপন (২০১৩), নির্বাচিত গদ্য ও মলিন পাঠগ্রহণ। উল্লেখযোগ্য কোনো বলার মতো ঘটনা নেই, বিশেষ কোনো গৌরব নেই। ভালোবাসেন শুয়ে থেকে জীবন কাটাতে। শুয়ে শুয়েই বইপড়া, (সামান্য) লেখার চেষ্টা করা, গান শোনা - উচ্চাঙ্গ সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত।
কৌশিক ভট্টাচার্য আই এস আই কলকাতা-র ছাত্র। একসময়ে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে আই আই এম লখনৌ-য়ে অর্থনীতির অধ্যাপক। কবিতা লেখা এবং ইংরেজি কবিতার বাংলা অনুবাদ করা কৌশিকের শখ।
কৌশিক সেন--কর্কট রোগ বিশেষজ্ঞ; সহ অধ্যাপক, চিকিৎসাবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়, চ্যাপেল হিল। নাটকের দল--ক্যারোলিনা লিটল থিয়েটার ওয়ার্কশপ, উদ্দেশ্য--অভিবাসী অভিজ্ঞতার ওপর মৌলিক নাটক রচনা ও অভিনয়।
নিয়মিত লেখক--দেশ, আনন্দবাজার, সানন্দা, পরবাস, নতুন কৃত্তিবাস এবং বিভিন্ন অণুপত্রিকা ও পূজাবার্ষিকী।
প্রকাশিত বই: ১) চোর ও অন্যান্য নাটিকা (প্রতিভাস), ২) তালপাতার দ্বীপ (উপন্যাস, আনন্দ), ৩) মাঝবয়েস (কবিতা সংকলন, প্রতিভাস), ৪) কবরখানার চাবি (গল্প সংকলন, প্রতিভাস), ৫) মনের বাগান (উপন্যাস, আনন্দ), ৬) আয়নার ভেতরে (উপন্যাস, প্রতিভাস), ৭) ক্যানসার একটি রোগের নাম নয় (প্রবন্ধ সংকলন, প্রতিভাস), ৮) তৃণা ফিরে এসো (উপন্যাস, আনন্দ)।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।
ঝর্ণা বিশ্বাসঃ পেশা শিক্ষকতা। বর্তমানে মুম্বই প্রবাসী।
দেবাশিস গোস্বামী গণিতের অধ্যাপক ও গবেষক। অবসরে অল্পবিস্তর লেখালিখি ও ছবি আঁকার চেষ্টা করে থাকেন। কবিতা, অনুবাদ ও টুকিটাকি নিবন্ধ দু একটি লিটল ম্যাগাজিনে ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি। ২০২০ বইমেলায় দিবাকর ভট্টাচর্যের 'গল্প সংগ্রহ' প্রকাশিত হয়েছে।
দীপঙ্কর ঘোষ কোনদিন ছবি আঁকা শেখেননি গুরুর পাঠশালায় । ছবি লেখেন মনের আনন্দে। ছোটবেলা থেকে।
স্ট্যাটিসটিক্স, ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার নিয়ে পড়াশুনা করে জীবিকা জগতের গুরু দায়িত্বে থেমে যায় সেই শখ!
অবসর জীবনে আবার ধরেছেন পেন্সিল তুলি। পোর্ট্রেট বানান চারকোল পেন্সিলে। কখনো বা ছবিতে ব্যবহার করেন নানা ধরনের রং, এমনকি কাপের তলানিতে পড়ে থাকা কফি।
ওনার নিজের কথায়:
ইচ্ছে পূরণ হয়না কোন লেখায়,
শব্দগুলো খেই হারিয়ে মনের মাঝে কাঁদে।
কলম ছোটে ব্যর্থ সরল রেখায়,
ছন্দকে তাই বন্দি করি তুলির টানের ফাঁদে।
সমরেন্দ্র নারায়ণ রায়ের Memories of Madhupur / Mid-Century Vignettes from East of India বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ তাঁর।
দেবদত্ত জোয়ারদার কলকাতায় থাকেন। ভাষাবিষয়ে আগ্রহী।
দেবায়ন চৌধুরীর আশৈশব বড়ো হয়ে ওঠা কোচবিহারে। আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পাঠ। বর্তমানে শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরা গভর্নমেন্ট কলেজ ফর উইমেন-এ কর্মরত। কবিতার বই--‘যা কিছু আজ ব্যক্তিগত’। সম্পাদিত গ্রন্থ--‘দুর্গামঙ্গল’, ‘কোচবিহার দর্পণ: নির্বাচিত প্রবন্ধ ১’, ‘কোচবিহার: ইতিহাস ও সাহিত্য’, ‘কোচবিহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ’ ইত্যাদি।
আমি নাহার তৃণা। জন্ম ঢাকায়। বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় বসবাস করছি।
নানান ধরনের বই পড়তে ভীষণ ভালোবাসি।
সামান্য লেখালেখির চেষ্টা করি। খুব ইচ্ছে করে যে জীবন আমার নয়, কিন্তু হতেও তো পারতো,
এমন মানুষের পাশে নিজেকে দাঁড় করিয়ে সে জীবনটা দেখি।
পলাশ দাস--এর প্রথম কবিতা প্রকাশ ২০১৮ সালে। প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সাত্যকি নামে (পরিবার প্রদত্ত নাম পলাশ দাস)। পরবর্তীতে কবিকথা, কাগজের ঠোঙা, বিবস্বান, কালধ্বনি, ষোলোআনা, নৌকা, সাগ্নিক, আকর প্রভৃতি। শিক্ষাঃ বাংলায় এম.এ.। শখঃ প্রধানত কবিতা পড়া। গান শোনা ও অভিনয় দেখা।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। পড়াশুনো কলকাতায়। এক
আধা-সরকারী সংস্থায় চাকুরিসূত্রে বহু বৎসর ছিলেন উত্তরভারতের
গোরক্ষপুর, পাটনা প্রভৃতি স্থানে, এখন কলিকাতায়। নানান বিষয়ে পড়তে
ভালোবাসেন, ও তা পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা লিখে
থাকেন, ভূতের গল্প লিখতে ভালোবাসেন খুব, যদিও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের
গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র। আর ভক্ত 'পাক্কা গানা'-র। প্রকাশিত
গ্রন্থ : 'ডাইনি ও অন্যান্য গল্প', 'মায়াতোরঙ্গ' এবং 'কলোনিয়াল কলকাতার ফুটবলঃ স্বরূপের সন্ধান' (অনুবাদ; প্রবন্ধ)।
মিহির সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৭। লেখক জীবনের সূত্রপাত ঘটে ১৯৯৩ সাল থেকে
নাইয়া পত্রিকার মাধ্যমে।
প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে : বিদুর, সিদ্ধিগঞ্জের মোকাম, বিষাদবৃক্ষ, উজানিখালের সোঁতা, টাঁড় পাহাড়ের পদাবলি, নিষ্পাদপ অরণ্যে, ধানসিদ্ধির পরণকথা, একুশবিঘার বসত, সংস্কৃতির দক্ষিণায়ন প্রভৃতি। তিনি বাংলাদেশের শ্রুতি অ্যাকাডেমি ও 'বিষাদবৃক্ষের' জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন।
পেশায় শিক্ষিকা ফাল্গুনী ঘোষ বীরভূমের বাসিন্দা। প্রবন্ধ জাতীয় লেখালিখির সুত্রপাত ছাত্রাবস্থা থেকেই। প্রথম প্রকাশিত বই একটি প্রবন্ধ সংকলন, ‘প্রবন্ধে চেতনা ও চিন্তাচর্চা’। পরবর্তীতে রম্যরচনা ও অন্যান্য গল্প লেখালিখি করছেন। বিভিন্ন ওয়েবজিন ও প্রিন্টেড ম্যগাজিনে লেখেন। ২০১৯ কলকাতা বইমেলায় সৃষ্টিসুখ প্রকাশনী থেকে তাঁর প্রকাশিত রম্য গদ্য সংকলন ‘বকবকম’। লোকজ সংস্কৃতি, লোকজীবনের উপর আগ্রহ থেকেই একটু অন্যধরনের গল্প লেখার প্রচেষ্টা তাঁর। সম্প্রতি একটু অন্যধারার লেখালিখির প্রতি আগ্রহ রাখছেন।
জয়দীপ মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ১৯৬৩) দীর্ঘদিন যাবৎ তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য তথ্যচিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে 'গগনেন্দ্রনাথ' (ইন্ডিয়ান প্যানোরামা), 'পথের পাঁচালী - এ লিভিং রেসোনান্স', 'নবনীতা দেব সেন', স্ট্রিংস অব মেলোডি - ওস্তাদ আলি আকবর খান' প্রভৃতি। কিশোর বয়স থেকেই লেখালিখিতে ঝোঁক ছিল। তিনি আনন্দবাজার, যুগান্তর, আজকাল সহ বেশ কিছু পত্রপত্রিকায় লিখেছেন। তাঁর ছবি নিয়ে লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল আর্ট গ্যালারী ও কলকাতার নন্দনে রেট্রোসপেকটিভ হয়েছে। গুয়াংঝাউ, এডিনবার্গ, সিনেমা পেনিশে (প্যারিস), ঢাকা প্রভৃতি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। তুর্কমেনিস্তানের আসগামাৎ চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর ছবিকে 'Merit Plague' দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে।
কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। প্রকাশিত বই 'তৃণা ফিরে এসো', 'মনের বাগান', 'আয়নার ভিতরে' প্রভৃতি।
নিবেদিতা দত্তঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম,এ,। লেখালিখি, সেতার বাজানো এবং ছবি আঁকায় শখ। আই,আই,টি, খড়গপুরে থাকেন।
নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।
নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন, সম্প্রতি প্রবাসে দুবছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন সমাপ্ত করে আপাতত তিনি স্বস্থানে স্থিত। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ--
'নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়!' ও কিছু নির্বাচিত কবিতার ইংরিজি ও ফিনিশ ভাষায় অনুবাদ: Enchantress.
মানসী ভট্টাচার্যর জন্ম হাওড়ায়| পড়াশুনা কলকাতা এবং হেগ (নেদারল্যান্ডস)-এ। গত সতের বছর দেশের বাইরে। ইউনাইটেড নেশনস-এর বিভিন্ন সংস্থার হয়ে কাজ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে বর্তমানে রোম, ইতালির বাসিন্দা।
প্রণব বসু রায় এখন অবসৃত। লেখালিখির শুরু ১৯৬২-৬৩ থেকে, প্রথম মুদ্রিত হয় ১৯৬৪ সালে। প্রথমে "কন্ঠস্বর", পরে "শীর্ষবিন্দু" পত্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। "শীর্ষবিন্দু"-র সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে ২০০১ অবধি, পরে একক সম্পাদনায় ঐ পত্রিকা ২০০৮ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। ২০১৮ সালে, পত্রিকার ৫০ বছরে, স্মারক কাব্যগ্রন্থ "শীর্ষবিন্দু--৫০ বছরের কবিতা" প্রকাশ করেন, যুগ্ম সম্পাদনায়। নামী-দামি পত্রিকার সঙ্গে লিখেছেন প্রচুর লিটল ম্যাগে। কলম এখনও সচল, তবে মাঝে ৩৫ বছর তা নীরব ছিলো। এ পর্যন্ত ৪টি কাব্যগ্রন্থ, যথাক্রমে ১) প্রণয়রাংতা, ২) এবাড়িতে রান্নাঘর নেই, ৩) ফ্রেডরিক নগরের বাসিন্দা ৪) মাইনাস ডেসিবল প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্য ও সমাজ-কল্যাণ মূলক কাজেও যুক্ত--"শ্রীরামপুর স্বর বর্ণ"নামক রেজিস্টার্ড সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক হিসেবে।
প্রীতম মুখোপাধ্যায়ের জন্ম – ১৯৫২। যুবককাল থেকেই ‘উলুখড়’ লিটল ম্যাগাজিনের সঙ্গে যুক্ত। ছোটগল্প লেখক। সেই সঙ্গে কয়েকটি একাঙ্ক ও পূর্ণাঙ্গ নাটকের রচনাকার। ব্যাঙ্ক থেকে স্বেচ্ছাবসর গ্রহণ ১৯৯৭ সালে। তারপর পূর্ণ সময়ের জন্য চিত্রনাট্য রচনার কাজে নিযুক্ত। ‘আনন্দলোক’ পত্রিকা আয়োজিত উৎসবে পরপর তিনবছর শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের পুরষ্কার লাভ। প্রকাশিত পুস্তক তিনটি। গল্প সংকলন — সম্পূর্ণ রঙীন এবং ভুলভুলাইয়া। উপন্যাস — আকাশী। বর্তমানে অনিয়মিত কিছু লেখালিখি ও নিয়মিত বেড়াতে যেতে আগ্রহী।
রাজীব চক্রবর্তী 'পরবাস'-এর একজন অন্যতম সদস্য।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রুমঝুম ভট্টাচার্য পেশায় মনোবিদ। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতা লিখে থাকেন।
রঞ্জন রায় (১৯৫০); এম এ (অর্থনীতি); এল এল বি ও সিএআই আইবি (মুম্বাই)। জন্ম--কোলকাতা। তিনটি স্কুল পেরিয়ে হায়ার সেকন্ডারি পাশ। কলেজ কোলকাতার দুটো ও ছত্তিশগড়ের তিনটে। গ্রামীণ ব্যাংকে ৩৪ বছর চাকরির সুবাদে ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে-গঞ্জের আনাচে কানাচে ঘোরাঘুরি। বর্তমানে কোলকাতায়। বুড়ো বয়সে বাংলালেখা শুরু ওয়েব ম্যাগাজিনে। বাংলা লাইভ, গুরুচণ্ডালি ও অবশেষে পরবাসে। প্রকাশিত বই "বাঙাল জীবনের চালচিত্র" (গাঙচিল); "ছত্তিশগড়ের চালচিত্র (সুন্দরবন প্রকাশন); নকশাল আন্দোলনের নারীবাদী দৃষ্টিকোণের উপন্যাস "বেঁচে আছি, প্রেমে -অপ্রেমে" (পান্ডুলিপি)। হিন্দি থেকে অনুবাদঃ কুরু কুরু স্বাহা (পাণ্ডুলিপি); রাগ দরবারী (পাণ্ডুলিপি)।
ঋতা বসুর শিক্ষা শান্তিনিকেতন ও প্রেসিডেন্সি কলেজে। ছোটদের বড়দের সব রকম লেখাতেই সমান স্বচ্ছন্দ। কিশোর সাহিত্যের প্রিয় চরিত্র বাঘা ও পিন্টু মামা। ছোটদের গল্প উপন্যাসের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের মেয়ে হোস্টেল নিয়ে তার রম্য রচনা পাঠকসমাজের বিপুল সমাদর লাভ করেছে। প্রিয় বিষয় সিনেমা-নাটক রহস্য ও ইতিহাস। ছোট-বড় যেকোন ভ্রমণে সমান আগ্রহী। লেখালেখির পাশাপাশি শিক্ষা জগতের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত। ছোটদের জন্য ইংরেজি বাংলা পাঠ্যপুস্তকও রচনা করেছেন।
রোদ্দুর মিত্র উত্তর ২৪ পরগনার পলতা-তে থাকেন।
শতরূপা মুখার্জী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যের এম এ, থাকেন যাদবপুরে।
পেশায় শিক্ষিকা। লেখালেখি একেবারেই সখের জায়গা। শিশুসাহিত্যের প্রতি বিশেষ একটি প্রাণের টান। অনুপ্রেরণা অবশ্যই লীলা মজুমদার, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় এবং ছোটোদের সত্যজিৎ রায়। আর জীবনের প্রিয়তম সময় হলো নতুন বই-এর পাতার ভেতরে ডুব মারা।
সাবর্ণি চক্রবর্তী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাংকের NABARD বিভাগ থেকে বছর তিনেক আগে অবসর নিয়েছেন। কলকাতায় থাকেন। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ -
পালান ফিরিওয়ালার বিক্রির বৃত্তান্ত, বনের ভিতর বাড়ি, দৃষ্টিকোণ ও অন্যান্য, Moonstruck and Other Short Stories।
সাগরিকা দাস। আজন্মকাল এই শহরের বাসিন্দা। ছোট থেকেই বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা। স্কুলে পড়ার সময় থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে লেখালেখি শুরু (কাউকে দেখানোর সাহস হয়নি)। গত দুবছর আগে হঠাৎই একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রথম প্রকাশিত লেখা। তারপর থেকে 'দেশ', 'আনন্দবাজার পত্রিকা' সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও লিটলম্যাগে টুকটাক লেখালেখি চলছে।
সমরেন্দ্র নারায়ণ রায়ের বাল্যজীবন একেবারে অন্যরকম। মধুপুরে (এখনকার ঝাড়খণ্ডে) দাদুর (ব্রিটিশ আমলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) কাছে ইংরেজি, সংস্কৃত আর অঙ্ক শিখেছেন। বারো বছর বয়েস অবধি কোনো ইস্কুলে যাননি। পরে প্রেসিডেন্সি কলেজ, পুনের ফার্গুসন কলেজ, দিল্লীর আইআইটি, এবং আমেরিকার রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা। ছেলেবেলার স্বাধীনতা ও বিচরণক্ষেত্র ছিল অবাধ -- মধুপুরের আদিবাসী ও সাধারণ লোকজনেদের সঙ্গে। সেইসব বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর বই
Memories of Madhupur / Mid-Century Vignettes from East of India ২০১৮-সালে প্রকাশিত হয়েছে।
সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।
সঞ্চারী মুখার্জী সিটি সাউথ কলেজ থেকে বি. কম. (একাউন্টেন্সি) করে এখন কোম্পানি সেক্রেটারিশিপ পড়ছেন। ফাইন আর্টস-এ ডিপ্লোমা করেছেন। সম্প্রতি তাঁর আঁকা ছবি 'শ্রী' গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে।
অত্যন্ত দুঃখের কথা সন্ধ্যা ভট্টাচার্য আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। তাঁর ছেলে
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের কথায়ঃ "মা একেবারে পরিণত বয়সে, যখন আমি শিলং-এ পোস্টিং পেলাম ১৯৯৪ সালে, সেই তখন আমার কাছে থাকতে এসে যখন সংসারের সব কাজ থেকে নিস্তার পেলেন তখন এ ডায়েরিগুলো লিখতে শুরু করেন। তারপর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে সুদীর্ঘ কয়েক দশকের ইতিকথা লিখেছেন ব্যক্তি-সমাজ ও চেতনার বিবর্তনের ছবি দিয়ে চারটি ডায়েরিতে।"
সূর্য মণ্ডলের জন্ম পূর্ব বর্ধমান জেলায় কুমারগজ্ঞ গ্রামে, বর্তমানে বর্ধমান শহরে স্থায়ী বসবাস। বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয় বর্ধমান থেকে উচ্চশিক্ষা। কৃত্তিবাস, কবি সম্মেলন, কবিতা পাক্ষিক, আরম্ভ, ইত্যাদি বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখেন। বাংলাদেশে আমন্ত্রিত হয়েছেন কবিতা পড়ার জন্য। তাঁর প্রকাশিত বই 'তুমি সমাহিত হও এবং জ্বর একশ এক'।
সুগত মুখোপাধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রযুক্তিবিদ্যায় প্রশিক্ষিত হয়ে অনতিঅধিক তিনদশক প্রাসঙ্গিক পেশায় যুক্ত। নানা বিষয়ের পল্লবগ্রাহী পাঠক তবে তার মধ্যে সমকালীন ইতিহাস, আন্তর্জাতিক সমাজের ফুটন্ত কটাহের বিষয়ে সমধিক আগ্রহী। কবিতার একজন অশিক্ষিত গুণগ্রাহী। গড়পড়তা স্বাক্ষর মানুষের মতো কবিতা লিখবার ঝোঁকের কদাচিৎ শিকার, যদিও সৃষ্টিগুলি কবিতা হয়ে ওঠে কিনা এ ব্যাপারে তাঁরও অনেকের যুক্তিগ্রাহ্য সংশয় আছে। ছন্দ মেলানো লেখার প্রবণতা সবিশেষ।
সুতপা দাশ ভৌমিক উত্তর ২৪ পরগনার কয়াডাঙা-তে থাকেন।
সুনন্দন চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৫৭। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সম্প্রতি আচার্য গিরিশ চন্দ্র বসু কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। লেখালিখি বিক্ষিপ্তভাবে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে।
শ্রেয়া ঘোষের জন্ম, শিক্ষা, যাপনের পঁচানব্বই শতাংশই কলকাতায়। ইলেক্ট্রিকাল এঞ্জিনিয়ারং-এ স্নাতক। সংক্ষিপ্ত চাকুরিজীবন। স্বভাবতঃ নির্জনতাপ্রিয়। শৈশব থেকেই বইয়ের সান্নিধ্য মানসিক আশ্রয়। নিজের লেখা শুরু বছর বারো। তবে লেখক সত্তা বরাবরই পাঠকসত্তার ছায়াতে। এ যাবৎ প্রকাশিত বই তিনটি (দুটি গল্প সংকলন - কামিনী কাঞ্চন, আলো আঁধারির কাটাকুটি। একটি উপন্যাস - তন্তু)
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। শিবপুরে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বম্বে আই আই টি থেকে এম টেক এবং পরে হোমি ভাবা থেকে পি এইচ ডি। গবেষণার বিষয় সিগ্ন্যাল/ সিস্টেম মডেলিং। ছেলে মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত সংসার।
লেখালেখি মোটামুটি নিজস্ব তাড়নায়। কেউ ভাল বললে ভাল লাগে, না বল্লেও ক্ষতি নেই। অহংকার, দীপন, অববাহিকা, “কফিহাউস”, “এ মাসের কবিতা” ইত্যাদি নানা পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। অনেকদিন পরে আবার লেখা শুরু করেছেন।
সিদ্ধার্থ সেন হাওড়ার একটি কলেজে বাংলার বিভাগীয় প্রধান। প্রাবন্ধিক।
সুবীর বোস পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইটি ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন।
দেশ-এ একাধিকবার, এবং
কবিসম্মেলন ও বিভিন্ন ওয়েবজিন-এ তাঁর
কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইঃ
আঙুলের সংলাপ (সপ্তর্ষি প্রকাশনা),
ভাঙা কলমের আন্তরিকে (গল্প; সৃষ্টি)।
শুভময় রায় (জন্ম: ১৯৬৪) আজন্ম কলকাতাবাসী। মৌলানা আজাদ কলেজ, প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জনপালন কৃত্যক (নির্বাহী)-তে আট বছর চাকরির পরে ২০০২ থেকে অনুবাদই পেশা। বাংলা ইংরেজি, ফরাসি, উর্দু এবং হিন্দি ভাষা ও সাহিত্যের উৎসাহী ছাত্র ও আগ্রহী পাঠক।
সুদীপ্ত বিশ্বাস, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, রাণাঘাট, নদিয়া। অনেকদিন ধরে কবিতা লিখছেন, বাণিজ্যিক পত্রিকাতে প্রকাশিতও হয়েছে। বই আছে সাতটি।
স্বরূপ মণ্ডলের জন্ম মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহর। বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর। কবিতা লেখা শুরু ছেলেবেলাতেই। প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় "দুন্দুভি" পত্রিকায় [নয়ের দশকে কান্দি থেকে প্রকাশিত হতো।] পরবর্তীতে "অঙ্গাঙ্গি"-র সঙ্গে যোগাযোগ এবং কবিতা প্রকাশ। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা, গল্প প্রকাশিত হয়েছে।
স্বর্ভানু সান্যালের জন্ম হাওড়ার রামরাজাতলায়। ছাত্রজীবন কেটেছে খড়গপুর, পুরুলিয়া, হাওড়া ও দূর্গাপুরে। কর্মজীবন শুরু বেসরকারি সংস্থায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। তারপর চাকরিসূত্রে কখনো মুম্বাই, বেঙ্গালুরু কখনো বা সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। গত সাত আট বছর ধরে আমেরিকার শিকাগোয় কর্মরত। পেশাদারি এবং পারিবারিক জীবন বাদ দিলে, তার অনেকটা সময় কাটে সাহিত্যচর্চা করে। সব রকমের লেখা পড়তে ভালোবাসেন। অনুগল্প, রম্যরচনা, কবিতা নিয়মিত লিখে থাকেন। "যযাতির ঝুলি"(http://jojatirjhuli.blogspot.com/search/label/bangla) নামে তার ব্যক্তিগত ব্লগ আছে এবং সেই ব্লগ এর মাধ্যমে তার লেখা নিয়মিত পাঠকদের সাথে ভাগ করে নেন। অন্য শখের মধ্যে আছে বেড়ানো, ফটোগ্রাফি, গান শোনা। ২০১৯ সালে পত্রভারতী প্রকাশনী থেকে মুদ্রিত মাধ্যমে এসেছে স্বর্ভানু সান্যালের প্রথম ছোট গল্প সংস্করণ "যযাতির ঝুলি - এক ডজন গপ্পো"।
স্বপ্না রায় বস্টনে থাকেন।