১. জাদুকর রবীন্দ্রনাথ
দু’ দুখানা ভক্তপাখি ঢুকিয়েছো জোব্বার পকেটে
জাদুদণ্ড হাতে নেই, শুধু বলো হিং টিং ছট্
গুরুদেব গুরুদেব বলে ডাকে একখানি,
দ্বিতীয়টি দিয়েছে চম্পট।
২. ব্লাইন্ড স্কুলের রবীন্দ্রনাথ
কেহ তব স্পর্শ পায়, কেহ তব সংগীত শুনেছে
রক্তাক্ত বিক্ষত হাতে সকলেই খুঁজিছে তোমায়।
৩. নীল সমুদ্রের রবীন্দ্রনাথ
বড় মনোরম হাওয়া, শ্বেত শ্মশ্রু বাতাসেতে ওড়ে
প্রতিটি হাঙর গায় সুমধুর গান তব
মৃত মৎস্য, গাঢ় রক্ত নীলাভ সমুদ্রে ভেসে যায়।
৪. নিরুদ্দিষ্ট রবীন্দ্রনাথ
বড় যন্ত্রণায় আমি ফিরে এসো ফিরে এসো বলে
আর্তনাদ করে ডাকি:
ঘাতকের খড়গ দেখে যেন পশু আকাশে তাকায়
দূর ছায়াপথে তুমি ছাতা হাতে হেঁটে যাও
আমার ক্রন্দন ঝরে বৃষ্টিপাতে মগ্ন পৃথিবীতে।
৫. সংগীতের রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রসংগীত বলে কিছু নেই, শুধু আছে
আনন্দ ও যন্ত্রণার একরাশ বয়ে যাওয়া
যা তোমাকে বারবার মারে ও বাঁচায়।
৬. হিসেবী রবীন্দ্রনাথ
ফেল কড়ি মাখো তেল, এই বলে রবীন্দ্র ঠাকুর
ট্রাফিক লাইট থেকে মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
৭. হরিৎ নগরের রবীন্দ্রনাথ
হরিৎ নগরে আসেনাই আর কেহ
হরিৎ নগরে অহেতুক সন্দেহ
হরিৎ নগর সকলে গিয়াছে ভুলি
হরিৎ নগরে হরিৎ বৃক্ষশাখে
একাকী ঝরিছে তোমার চরণগুলি।
৮. পীতাভ নগরের রবীন্দ্রনাথ
পীতাভ নগরে পীতাভ বৃষ্টিপাত
পীতাভ নগরে রক্তচঞ্চু পাখি
নখরে ছিঁড়িয়া তব কলুষিত দেহ
নীরবে পড়িছে তোমার কবিতাখানি।
পরবাস, অগস্ট ২০১৬ (বাইশে শ্রাবণ)