• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৫৬ | মার্চ ২০১৪ | গল্প
    Share
  • প্রায়শ্চিত্ত : অরুণ কাঞ্জিলাল


    মাবস্যার রাত। আমি আর বাঁটুল দাঁড়িয়ে আছি চোদ্দবিঘা মাঠের পাশে বুড়ো বটটার নিচে। আকাশে মেঘ থাকায় নক্ষত্রের আলোও নেই। খুন করার জন্য সময়টা ভাল নয়। এরকম অমানিশিতে ভুলভ্রান্তি হয়। ভুল লোক মারা পড়ে। জায়গাটা অবশ্য বেশ সুবিধাজনক। গ্রামের শেষপ্রান্তে ঝোপজঙ্গল আর গাছগাছালিতে ভরা ধূলিধূসরিত রাস্তা, মাঝে-মাঝে খোয়া বিছানো। সাইকেল আর রিক্সা ছাড়া কোন গাড়ি যায় না। রাস্তার পশ্চিম দিকে বিস্তৃত বাঁশবন, তারপরে ফাঁকা জমি। জায়গাটা চোদ্দবিঘা মাঠ বলে খ্যাত। সামনেও দিগন্তবিস্তৃত মাঠ। রাস্তার ধারে গাছগাছড়ায় ঝুপড়ির মতো হয়ে আছে। হাতের আঙুলে আড়াল করে বিড়ি ধরাল বাঁটুল। রুমাল দিয়ে ঘাম মুছল। তার গা দিয়ে টপটপ করে ঘাম ঝরছে। বড়ো ধরনের কাজের আগে তার এমন হয় শুনেছি। সে অন্ধকার জগতের লোক। কিন্তু তা সত্ত্বেও তার গা অসম্ভব ঘামছে — আসলে খুন করা সহজ কাজ নয়।

    পায়ের কাছে মড়মড় শব্দ হল। আমি চমকে সরে গেলাম। সাপ-খোপ হতে পারে। সামনে ঝোপঝাড়। টর্চ জ্বালতে গেলাম। বাঁটুল মানা করল। বলল, 'সাবধানের মার নেই। হাতের আড়াল করে আবার বিড়িতে অগ্নিসংযোগ করল সে। বিড়ি বড়ো অভিমানী, মনঃসংযোগ না থাকলে আগুন নিভে যায়। অন্যমনস্কভাবে রাস্তার দিকে চোখ তুলে সে বলল,
    'মতিলাল লোকটা প্রতিদিন দশটার ট্রেনে বেলঘরিয়া স্টেশনে নামে। লোকাল ট্রেনের আসা-যাওয়ার ঠিক নেই। আজ এত দেরি করছে কেন কে জানে!'

    আমি বললাম, 'পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ধরে গেছে। যদি না আসে!'

    বাঁটুল প্রত্যয়ের সাথে বলল,
    'আসবেই। না আসলে আরও একটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। এইসব কাজে অপেক্ষা এক যন্ত্রণা। একবার পার্টির কাছে সুপারি নিয়ে নিলে মান-সম্মানের প্রশ্ন। বিরাটিতে এক ঝোপের আড়ালে গতবছর এগারো দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অতি সাবধানী শিকার কিছুতেই একে পাওয়া যায় না। তবে সাবধান হয়েও লাভ হল না। মরণ কপালে থাকলে কে ঠেকায়! লখিন্দর লোহার ঘর বানিয়েও বাঁচাতে পারেনি।'

    সুপারি শব্দটা আমার শব্দভাণ্ডারে নতুন। বললাম, 'এই লোক কেমন?'

    'এই লোক অবশ্য অত সাবধানী নয়। রেল-গুদামের মালবাবু। মোটা উপরি। রোজ পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে একা একাই ফেরে। তবে তার যে এত বড়ো একজন শত্রু আছে তা বোধহয় সে জানেও না।'

    সুপারি নেওয়ার পর শিকার সম্বন্ধে খোঁজখবর নেওয়া বাঁটুলের দীর্ঘদিনের অভ্যাস। কাজকর্ম করার আগে মানুষটার আর্থিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া এই কাজের প্রাথমিক শর্ত। চুক্তি অনুসারে যা পাওয়ার কথা। কাজের সময় হয়ত শিকারের ট্যাঁকে তার থেকে বেশি টাকাও পাওয়া যেতে পারে। তবে এই সব ব্যাপারে সাধারণত কেউ ঝামেলা করে না। বললাম,
    'লোকটা তা হলে ভালো নয়!'

    'ভালো না হলেও কিছু আসে যায় না। কাজটা করতে পারলে পার্টি কুড়ি হাজার টাকা দেবে এটাই আসল কথা।'

    'বাড়িতে কে কে আছে; খোঁজ নিয়েছো?'

    'মতিলালের দুই মেয়ে। বড়টি সুন্দরী, বিবাহযোগ্যা। তার জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে। মনমতো পাত্র পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া লোকটা কঞ্জুষ প্রকৃতির। পণের টাকা দিতে রাজি নয়।'

    'এমন সংসারী লোককে মেরে লাভ আছে?'

    বাঁটুলের ব্যক্তিত্ত্বে রূপান্তর হল। গম্ভীর গলায় ধার করা একটা চীনা প্রবাদ আওড়ালো,
    'কোনো কোনো মৃত্যু পাখির পালকের মত হালকা, কোনোটা আবার পাথরের চেয়ে ভারি--তাছাড়া আমি কাজটা না করলে অন্য কেউ করবে। এ লাইনে এখন অনেক লোক। পাঁচ টাকায় বন্দুক ভাড়া পাওয়া যায়।'

    আমার একটা জিজ্ঞাস্য ছিল। বললাম, 'কাজের পর কোথায় যাব?'

    'সোজা স্টেশন। সেখান থেকে ভোরের গাড়ি ধরে লালগোলা, সামনেই বর্ডার। ওখানে একটা পোড়ো বাড়িতে আশ্রয় নেব। থানা থেকে পুলিশ এসে চারিদিকে শোরগোল তুলবে। একে ধমকাবে, ওকে ধমকাবে! দশ বারো জনকে হাজতে পুরে হয়রানি করবে। মিথ্যে মামলায় ঝোলাবে। তারপর সব ঠাণ্ডা।'

    আমি তখন জীবনের ঘোলা জল ঘেঁটে রসদ যোগাড় করার তাগিদে ছিলাম। সেই সময় পশ্চিমবাংলায় বিশেষ করে কলকাতার কাছে মফঃস্বল শহরগুলোতে মানুষের জীবনের মূল্য খুবই কমে গিয়েছিল। মুঙ্গেরে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র জলের দরে বিকোত। রাস্তায় ঘাটে দু-চারটে রক্তাক্ত মৃতদেহ প্রায়শই পড়ে থাকতে দেখা যেত। কার দেহ — কারা মেরেছে জানা যাবে না। একদিন গভীর রাতে বাঁটুল আমার কাছে এসে হাজির। তাকে আমি চিনতাম স্কুলজীবন থেকে। বলল, 'ব্যবসা করবি? খুব লাভের ব্যবসা। তবে এ ব্যবসা একহাতে হয় না - একজন দোসর লাগে।' আমার তখন এমন দুরবস্থা যে দাড়ি কামানোর পয়সাটি পর্যন্ত হাতে নেই। এরপর এক সপ্তাহ আর তার দেখা নেই। একদিন সন্ধ্যার মুখে বেলঘরিয়ার রেল-পুলে আচমকা তার সাথে দেখা হয়ে গেল। সেখানে বাঁটুল আমাকে সব কথা খুলে বলল। বলল, 'একজনকে খুন করতে হবে।' আমি রাজি হলাম। কিন্তু তখনও বুঝিনি — পূর্বপুরুষের রক্তে না থাকলে খুন-জখম-রাহাজানি করা যায় না। আমি অদ্বৈত বংশের সন্তান। কি করে যে এই জঘন্য কাজে লিপ্ত হলাম — জানি না!

    বাঁটুল হাতের আড়াল করে আবার বিড়ি ধরাল। প্রায় তার সঙ্গে-সঙ্গেই দেখা গেল মতিলাল আসছে! নেশাগ্রস্ত -- পা টলছে। নেশাখোর লোকরা সাধারণত রেলস্টেশন থেকে একটা রিক্সা ভাড়া নেয়। তাতে অন্ধকারে একটা সঙ্গী হয়। বাঁটুল ঠিক খবরই নিয়েছে এ লোক মহা কঞ্জুষ। আমরা ঝোপের আড়াল থেকে বেরিয়ে এলাম -- আমার হাতে লোহার ডাণ্ডা; বাঁটুলের কোমরে ভোজালি। কথা ছিল আমি ডাণ্ডা দিয়ে মাথায় মারবো, বাঁটুল চালাবে ভোজালি। কিন্তু অনভিজ্ঞতায় সব ওলোট-পালট হয়ে গেল। ডাণ্ডা ঠিক মত মাথায় পড়লো না, পড়লো কাঁধে। বাঁটুল ভোজালি চালালো পেটে -- লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ঢুকে গেল পায়ের উপরে, উরুতে। বিপদের সময় সম্ভবত মানুষের শরীরে কিছু একটা প্রতিরোধশক্তি জেগে ওঠে। লোকটা প্রথমে ছিটকে পড়ল। এরপর উঠে দাঁড়িয়ে ভোজালি-বেঁধা অবস্থায় ছুটতে লাগল। দূর থেকে একজন সাইকেল আরোহী টর্চের আলো ফেললো। বে-আক্কেলে লোক! আর সময় পেল না! আমরা পাশের ঝোপে অদৃশ্য হলাম। বাঁটুলের শিকার লক্ষ্যভ্রষ্ট হলো, সম্ভবত প্রথম! শেষ রাতে বেলঘরিয়া স্টেশনে গিয়ে লালগোলা লোকাল ধরলাম। বাঁটুল বললো,
    'তুই এক কামরায় ওঠ, আমি অন্য কামরায়। এক কামরায় দুজনে উঠলে লোকের সন্দেহ হতে পারে! পরের স্টেশনে দেখা হবে!'

    আমি একটা কামরায় উঠে পড়লাম। কিন্তু বাঁটুল উঠলো না। স্পষ্ট দেখলাম সে স্টেশনে দাঁড়িয়ে রইল। কেন উঠল না, সে প্রশ্ন সেদিন তাকে করার সুযোগ হয়নি।


    সেইদিন থেকে আমি ফেরার। সকালবেলা জানা নেই রাতে কোথায় থাকবো! রাতে হয়ত কোথাও একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই মিলল, সকাল থেকে উপবাস। বাউল সম্প্রদায়ের সাধনার একটা বড় অঙ্গ ভিক্ষাবৃত্তি -- পৃথিবীর আদিম পেশা। ওরা বলে মাধুকরী। ওদের সঙ্গে মিশে গেরুয়া ধরলাম। রানাঘাট, শান্তিপুর, নবদ্বীপ -- শ্রীচৈতন্যের চারণভূমি। যে বাড়িতে খুশি উঠোনে গিয়ে দাঁড়াও, বলো -- হরেকৃষ্ণ। এইভাবে তিন বছর অতিবাহিত হল। তবে এ কি জীবন! চোখ বুজলেই এখনও দেখতে পাই, বাঁটুল আর আমি দাঁড়িয়ে আছি চোদ্দবিঘা মাঠের পাশে বুড়ো বট গাছটার নিচে মতিলাল নামে একজনকে খুন করার জন্য। আমি জানি খুনের মামলা তামাদি হয় না!

    বাউলের আখড়ায় আমার দিন কাটছিল বেশ। কিন্তু আমার প্রিয় জায়গা ছিল রানাঘাট রেলস্টেশন। একটু ইতিহাস ঘেঁটে দেখেছি আজ থেকে প্রায় দুশো বছর আগে এ অঞ্চলে রণা নামে এক দস্যু-সর্দারের ঘাঁটি ছিল। রণা চাকদায় মা গঙ্গার পাড় ধরে ডাকাতি করে বেড়াত। আবার সুযোগ বুঝে শাখানদী চূর্ণীর তীরে নিজের ঘাঁটিতে লুকিয়ে থাকত। রণা ডাকাতের ঘাঁটি থেকেই জায়গার নাম রানাঘাট। স্টেশনের বাঁ দিক ছাড়িয়ে রেলগাড়ির ইঞ্জিনের চালা -- লোকমুখে লোকোশেড।

    এই রানাঘাট স্টেশনে হঠাৎই একদিন চোখ গেল প্লাটফর্মে। আমার রিফ্লেক্স অ্যাকশন খুব ভাল। একসময় ভাল ফুটবল খেলতাম। চট করে একটা দোকানের আড়ালে চলে গেলাম। তখন আকাশ ঘনঘটাচ্ছন্ন, জোরে বাতাস বইছে। আকাশের এপার থেকে ওপারের বুক চিরে বিদ্যুতের ঝলকানি। কড়কড় করে একটা বাজ স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকোমোটিভ ইঞ্জিনটার পেন্টোগ্রাফ ছুঁয়ে গেল। শুরু হল মুষলধারে বৃষ্টি।

    আমার সামনে এক অপ্রত্যাশিত দৃশ্য। এক পলিতকেশ মধ্যবয়স্ক মানুষ, অক্ষৌরিত মুখে কাঁচা পাকা দাড়ি কন্টকিত হয়ে আছে, ডান বগলে একটা ক্রাচ। শরীরের সমস্ত ভারটা বাঁদিকে নিক্ষেপ করে ধীরলয়ে প্লাটফর্মের শেষপ্রান্তে এগিয়ে চলেছে। এ যেন এক গরুর গাড়ি। তার জোয়ালের বাঁদিকে মানুষ টানছে। আমার মাথার মধ্য দিয়ে বিদ্যুত চমকিয়ে গেল -- মতিলালবাবু না! রেলের পদস্থ চাকুরে। আর যার শরীরে ভর দিয়ে প্রতিবন্ধী মানুষটা এগিয়ে চলেছেন সে আর কেউ নয় -- বাঁটুল।

    দীর্ঘ প্লাটফর্ম হিসাবে রানাঘাটের সুখ্যাতি আছে। প্লাটফর্মের শেষপ্রান্তে অপেক্ষাকৃত জনমানবহীন জায়গায় রেলের বেঞ্চে আধশোয়া করে মানুষটাকে শোয়ালো বাঁটুল। ক্রাচটা একইভাবে হেলানো। মানুষটার মুখ দিয়ে এখন লালা গড়াচ্ছে। আমি আশ্চর্য হচ্ছিলাম মতিলালবাবুর সঙ্গে বাঁটুলের সখ্যতা হল কি করে! ফর্টিসিক্স ক্রোমোজোমে মানুষের স্মৃতিশক্তি জমা থাকে -- মনে পড়ে গেল। বাঁটুলের সঙ্গে আমার একটা বোঝাপড়া বাকি ছিল, এজন্মে এ সুযোগ হয়ত আর পাব না। পাগড়ি খুলে বাঁটুলের সামনে এসে দাঁড়ালাম। সে আমাকে চিনতে পারল। কিন্তু তার চোখমুখ অদ্ভুত রকমের নির্লিপ্ত। সেদিনের খুনে-বাঁটুলের সঙ্গে আজকের বাঁটুলের কোনো মিল নেই।

    প্রচণ্ড শব্দে স্টেশন কাঁপিয়ে বাজ পড়ল। বাজের শব্দে মতিলালবাবু রেলের বেঞ্চ থেকে গড়িয়ে গেলেন। ক্রাচটা হেলে পড়লো। বাঁটুল ওর কাছেই ছিল। ওকে সোজা করে বসালো। এরপর রুমাল দিয়ে লালা মুছিয়ে দিল। মতিলালবাবু চোখ বড়ো বড়ো করে বাঁটুলের দিকে তাকাল। কিছু একটা বলতে চাইছিল, কিন্তু অসংবদ্ধ বাক্যবহুল ভাষা -- আমার কাছে শুধু গোঙানির আওয়াজ এল। আমি আশ্চর্য হচ্ছিলাম, একটা পিশাচ শ্রেণীর ভাড়াটিয়া গুণ্ডার মধ্যে এই মানবিক গুণ কোথা থেকে এল! ট্রেনের ঘোষণা হল। আমি বললাম,
    'সেদিনের কথা ভুলে গেছ বাঁটুল?'

    বাঁটুল বলল, 'না'।

    'সেদিন আমাকে ট্রেনে উঠিয়ে নিজে উঠলে না কেন?'

    বাঁটুল একটু থম মেরে রইল। তারপর বলল,
    'সে দিন কাজ শেষ করার পরপরই বেলঘরিয়া ছেড়ে চলে যেতে মন করল না। জীবনে প্রথম শিকার লক্ষভ্রষ্ট হল। খোঁজ নিলাম -- মতিলালবাবু হাসপাতালে। সে রাতেই তার স্ট্রোক হয় -- প্রাণসংশয়। কঞ্জুষ ধরনের মানুষের বন্ধুবান্ধব কম হয় জান? মেয়ে দুটোও দিশেহারা। আমার মন খারাপ হল। ঘটনা ঘটে গেলে এই মেয়েরা পথে বসবে। হলও তাই। সেই রাতে ভয়ঙ্কর ঝড় হল। সেটা ভয়ঙ্কর কিছু নয় -- ভয়ঙ্কর হল ঝড়ের ঠিক আগে বড়ো মেয়েটা গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করল ....।

    সব শুনে বাঁটুলকে জিজ্ঞাসা করলাম,
    'তাহলে তুমি এখন মতিলাল পরিবারের একজন সদস্য, বল?

    বাঁটুল বলল,
    'আমার সে যোগ্যতা কোথায়?'

    'তবে তুমি এই পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোকটাকে নিয়ে, এত দূরে, এই রানাঘাট স্টেশনে কি করছ?'

    বাঁটুল বলল, তুমি তো জান মতিলালবাবু রেলের চাকুরে। এখনও ওর ছ-মাস চাকরি আছে। লোকোশেডে পোস্টিং। রেলের বড়কর্তারা বলেছেন মাঝে মাঝে সঙ্গে করে নিয়ে এসে হস্তাক্ষরটা করিয়ে নিতে পারলেই চাকরিটা বজায় থাকে। এরপর পেনশনটা চালু হয়ে গেলে আর চিন্তা নেই, আমার ছুটি।

    আমি তাকিয়ে আছি। অবাক হয়ে এমন একজনকে দেখছি যে রক্তে দস্যুবৃত্তির বীজ বহন করেও শুদ্ধ হবার সাধনায় প্রায়শ্চিত্ত করে যাচ্ছে।



    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণঃ অনন্যা দাশ
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments