বড় ছেলে আরোগ্য বড়ই পেটরোগা হওয়ায় ছোট ছেলের নাম রাখা হয়েছিল স্বাস্থ্য। ওদের টাইটেল কর। সেই স্বাস্থ্য কর এখন ক্লাস এইট। নিজের নামের অমর্যাদা সে করে নি। আকৃতিগত দিক দিয়ে তাই তার সাথে হাঁদাভোঁদার ভোঁদার খানিক মিল পাওয়া যায়। বেশ নাদুসনুদুস, গোলগাল। ওর বন্ধু, ধীমান ওরফে ধুম, বলে ক্লাসরুমে স্বাস্থ্য আসার আগে স্বাস্থোদর আসে, অর্থাৎ স্বাস্থ্যের উদর আসে অর্থাৎ কিনা ভুঁড়ি আসে। এই রকম একটু আধটু ইয়ারকি স্বাস্থ্য গায়ে মাখে না। বিশেষত ধুম-এর কাছ থেকে। কারণ প্রথমত ধুম তার প্রাণের বন্ধু। আর দ্বিতীয়ত স্বাস্থ্যের মস্তিস্কের স্বাস্থ্য সদ্য-ভাজা মুড়ির মতো তেমন কড়ক নয়। তাই অনেক ক্ষেত্রেই চালাক চতুর বুদ্ধিমান ধুমের ওপরে ভরসা করতে হয়।
ধুমের আসল নাম অবিশ্যি ধীমান। কিন্তু সে নাম ক্লাস ফাইভ নাগাদ পরলোক প্রয়াণ করেছে। ধীমানের নাম ধুম হওয়ার ইতিহাস বেশ ইন্টারেস্টিং। ধুমের প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট হচ্ছে তার চামড়া খুব নরম। সব সময় নাকের ডগায় রাগ তার লেগেই আছে। তাকে নিয়ে কিছু একটা ইয়ারকি করলেই সে তেলে-বেগুনে চটে যায়। তাই ক্লাস ফাইভে কে একটা নতুন শব্দ শিখে এসে বলেছিল ওর নাম ধীমান নয়, ধূমায়মান। যদিও তিন বছর পরে ক্লাসে অনেকেই এখন এই নামকরণের কপিরাইট দাবি করে। তাই সেই বিতর্কে যাচ্ছি না। সেই থেকে ওর নাম হয়ে গেলো ধূমায়মান। আর কালের প্রভাবে বড় বড় পাহাড় পর্বত পর্যন্ত ক্ষয়ে গিয়ে হয় ক্ষয়জাত পর্বত, তো মানুষের নামের আর দোষ কি। ধূমায়মান ক্ষয় পেয়ে হল ধুম। প্রথম প্রথম ধীমান ওকে কেউ ধুম বলে ডাকলেই দুম করে দু ঘা দিয়ে দিত। পরে আস্তে আস্তে গা-সওয়া হয়ে গেলো। কিন্তু তাও মাঝে মাঝে মটকা যে গরম হয়ে যায় না, তা নয়। এই সেদিনই একটা ভোলাভালা সাদামাটা ছেলে, ওদেরই ক্লাসে কিন্তু অন্য সেকশান, ওর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় গুনগুন করছিল “ধুম মাচালে, ধুম মাচালে, ধুম” - ছেলেটা বোধ হয় আগের দিনই সিনেমাটা দেখেছে - কিন্তু ধীমানের মনে হল যেন ওকেই ভেংচি কাটতে এইভাবে গান করছে। হাতটাকে কিছুতেই আর নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারল না। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মত সেখান গিয়ে দড়াম করে ছেলেটার পিঠে। সে বেচারি কিছুই বোঝে নি। প্রতিটা ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীতমুখি প্রতিক্রিয়া আছে প্রমাণ করতেই বুঝি বা সে ভ্যাঁ করে কেঁদে উঠল আর অঙ্ক স্যার অনুপবাবুকে নালিশ করে দিল। সেবার হাফ বেলা মত ক্লাসের বাইরে নীল-ডাউন হয়ে থাকতে হয়েছিল। তাতে ধীমানের বিশেষ অসুবিধে অবিশ্যি হয় নি। বিশ্বকর্মা পুজোর আগে তখন আকাশে একটা চঙ ঘুড়ি আর একটা গুড্ডি ঘুড়ির জোর লড়াই চলছিল। সেই দেখেই সময়টা বেশ কেটে গেছিল। ক্লাসের সকলের সাথেই ধীমানের অল্পবিস্তর ঝগড়া মারপিট লেগেই থাকে। শুধু স্বাস্থ্যকে সে বেশ একটু পছন্দ করে ওর নির্ঝঞ্ঝাট স্বভাবের জন্য।
ওর আর একটি প্রাণের বন্ধু পান, সুরজিত পান। কিছু কিছু ছেলের ছোটবেলাতে কোন এক অজ্ঞাত মুহূর্তে তাদের সারনেম অর্থাৎ পদবিটাই নামে পরিণত হয়ে যায়। সুরজিত পান-এরও সেরম হয়েছে। ও নিজেই তাই আসল নামটা বাড়িতে রেখে শুধু পদবিটা নিয়েই স্কুলে আসে। একবার তো ধীমান ওর বাড়িতে ফোন করে সে কি কেলো।
ধীমান ফোন করেই বলে “পান আছে?”
“এ বাড়িতে সকলেই পান। আপনি কোন পান চান বলুন? ছাঁচি না জর্দা?” বিরক্ত সুরে বলেন পানের বাবা, মানে ইয়ে সুরজিতের বাবা। ওয়াকার ইউনিসের ইয়র্কারের মত এই অতর্কিত আক্রমণে ধুম ওরফে ধীমান একেবারে যাকে বলে ক্লীন বোল্ড। কিছুতেই সুরজিত নামটা মনে এলো না। শেষমেশ “ইয়ে, মানে রাখছি, কাকু, রং নাম্বার” বলে ফোনটা কেটে দিল।
আমাদের পান মানে সুরজিত পান একটি উচ্চিংড়ে প্রজাতির প্রাণী। কিছু জেনেটিক ডিসর্ডার নিশ্চয়ই থেকে থাকবে, নয়তো সে কেন ধীমানকে ওদের বাড়িতে সরস্বতী পুজোর নেমন্তন্ন করতে এলে সিঁড়ি দিয়ে না উঠে ওদের জানলার পাশের পেয়ারা গাছ দিয়ে উঠবে? এরম নয় যে ওদের বাড়ি ওর আসা মানা। তবুও। জিগেস করলে বলে, পেয়ারা গাছ দিয়ে উঠে জানলা দিয়ে বন্ধুকে খেলতে ডাকার ব্যাপারটা কোন একটা সিনেমায় দেখেছিল। তখন থেকেই মনে ধরে গেছে আইডিয়াটা।
সে যাক গে যাক। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য, পান আর ধীমান ওরফে ধুম পাশাপাশি এক বেঞ্চে। ক্লাসময় এ আর বি-এর স্কোয়ার আর কিউবরা ভীষণ সিরিয়াস মুখ করে দৃপ্তভঙ্গিতে ফ্ল্যাগ মার্চ করে চলেছে। একটা টানটান নিরুদ্ধ উত্তেজনা। অঙ্ক ক্লাস চলেছে। এ আর বি-কে আলাদা করে কিউব করে জুড়লে, আর এ আর বি-কে জুড়ে কিউব করলে এক উত্তর হয় না, এই ব্যাপারটা বেশ ভোগায় স্বাস্থ্যকে। তাই সে ধীমানের অঙ্ক খাতার উপর ঝুঁকে এক ধরনের “দেখে আঁকো” প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছে ভেবে নিয়ে শক্ত শক্ত চিহ্নগুলো নিপুণ হাতে এঁকে চলেছে। সে লক্ষ করে দেখেছে তাকে কোন অঙ্ক এ, বি, এক্স, ওয়াই দিয়ে দিলে সে যদি বা কিছু কুল কিনারা পায়, একই অঙ্ক আলফা, বিটা, গামা দিয়ে দিলে মাথাটা কেমন ভোঁ ভোঁ করে। তার নিশ্চিত ধারণা সে যেহেতু বাংলা মিডিয়ামে পড়ে, তাই তার এই দুরবস্থা। রোমান ছাত্ররা ছোটবেলা থেকেই আলফা, বিটা, গামা শেখে। তাই অঙ্ক ক্লাসে অ্যাডভান্টেজ পায়। ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেরা এ বি এক্স ওয়াই দিয়ে অংক এক লহমায় নামিয়ে দেয়। বাঙলায় ক, খ, গ, ঘ দিয়ে অঙ্ক কষার উপায় থাকলে সে দেখিয়ে দিত। আবার তার এরমও মনে হয়, ক, খ, গ, ঘ দিয়ে অঙ্ক বানালে সে অঙ্ক গুলো কেমন পানসে হয়ে যাবে। অঙ্কের সেই রাশভারি ব্যাপারটাই থাকবে না।
আজ অনুপবাবু, ক্লাসময় ঘুরে ঘুরে সকলের অঙ্কের খাতা চেক করছেন। আর তারপর হালকা করে খাতাটা সরিয়ে সকলের পায়ের কাছে কি একটা দেখে নিচ্ছেন। স্বাস্থ্যদের বেঞ্চিতে এসেই অনুপ স্যার হঠাৎ থেমে গেলেন। স্যারের হাতটা কান বরাবর উঠতেই তিনজনেই দ্রুত মাথাটাকে হাতের আওতার বাইরে সরাতে চেষ্টা করে। কিন্তু জন্টি রোডসের মত ক্ষিপ্রতায় অনুপ স্যার কানটা ধরে ফেলল। স্বাস্থ্যর নিশ্চিত ধারণা ছিল যে তার কানটাই ধরেছে স্যার। খুব কাঁচুমাচু মুখ করে “স্যার, বিশ্বাস করুন, আমি কপি করি নি” বলতেই যাচ্ছিল কি স্যার বলে উঠল,
“বেরিয়ে আয়। পান বেরিয়ে আয় বলছি। চল, এখুনি আমার সাথে।” স্বাস্থ্য বুঝল পানের কানের মানহানি হয়েছে, তার নয়। বেশ একটু নিশ্চিন্ত হয়ে বসে পড়ল। কিন্তু সেই সুখ অবশ্য তার বেশিক্ষন টিঁকল না। একটু পরেই ডাক পড়ল ধুমের। আর তারও কিছুক্ষন পরে ডাক পড়ল তার।
---
তিনজনেই কাঁচুমাচু মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। হেড স্যার গৌতমবাবু, মুখে গম্ভীর ভাব করলেও মানুষটা আসলে ছোটদের ভালবাসেন। বাচ্চাদের দুষ্টুমিতে কিছুতেই উনি তেমন রেগে উঠতে পারেন না। কেমন একটা অ্যামিউজড বোধ করেন। অনুপ স্যার খুব তড়পাচ্ছেন যেন গোঁসাইপুর সরগরম টাইপের কোন শক্ত রহস্য সমাধান করে দিয়েছেন। পান মনে মনে অনুপ স্যারের সাইকেলের হাওয়া খুলে দেওয়ার সুযোগ্য সময় নির্ধারণ করার চেষ্টা করছে। ধুম ধুমায়িত মনে মনে। তার প্রাণের বন্ধু পান তাকে ধরিয়ে দেওয়ায় শাস্তি স্বরূপ এখান থেকে ছাড়া পেলে পানের চুলের মুঠি ধরে ঘুরিয়ে দেবে নাকি সম্প্রতি শেখা ক্যারাটের প্যাঁচ একটা চালাবে সেইটা মনে মনে বিচার করছে। স্বাস্থ্য লাজুক, নির্ঝঞ্ঝাট। হেড স্যারের মুখোমুখি যে তাকে কোনদিন হতে হবে সেটা সে স্বপ্নেও ভাবে নি। তায় ক্লাস ভর্তি ছেলেদের মধ্যে থেকে এসে তাকে ডেকে নিয়ে গেছে। বেরনোর সময় কে একটা টিপ্পুনিও কাটলো “স্বাস্থ্য তোর স্বাস্থোবনতি হবে। হেড স্যার পিটিয়ে তোকে কাঁঠাল পাকাবে।” তাই বেচারার বুক ভয়ে ঢিপ ঢিপ করছে। কেন যে সে এই পানের ভুলভাল প্ল্যানে সায় দিল কাল কে জানে।
লাষ্ট ক্লাস বাংক করে তোরা সিনেমা যাবি যা না, আমায় লোভ দেবার দরকার কি? সে কিছুতেই যেত না। শুধু ধুম শেষমেশ লোভ দেখাল “এই সময় মেয়েদের স্কুল ছুটি হয়। তোর পিয়ালিকে দেখতে পাবি বেরোলে। রোব্বারে বাংলা ক্লাস ছাড়া আর তো দেখার সুযোগ পাস না। আজকে নিরিবিলিতে হয়তো বলে দিতেও পারবি। দেখ যাবি কিনা?” তবে না সে রাজি হয়েছে। যে পাঁচিলটা টপকে স্কুল থেকে বেরোতে হবে, সেটা অনেকটাই উঁচু ছিল। নেহাত পান পাঁচিলে উঠে কেমন একটা অদ্ভুত দক্ষতায় স্বাস্থ্যকে তুলে ফেলে পাঁচিলের ওপরে। এমনি ওকে উচ্চিংড়ে বলা হয়? নয়তো তো সে ফিরেই যাচ্ছিল। আর তাকে তোলার সময়ই অনুপ বাবুর চোখে পড়ে পাঁচিলের ওপরের কর্মকাণ্ডটা। রে রে করে তেড়ে আসতে আসতেই তারা উলটো দিকে নেমে যায়। তারপর দে দৌড়। কিন্তু ওকে তুলতে গিয়েই পান-এর এক পাটি জুতো সুড়ুৎ করে স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে পড়ে যায়। পান বলল যাকগে যাক, এক পাটি জুতো বই তো নয়। সিনেমা দেখে ফেরার পথে তুলে নিলেই হবে খন। এক পাটি জুতো পরে সিনেমা দেখার ব্যাপারটা কোন এক সিনেমায় ও নাকি দেখেছিল। যত ঢপ। স্বাস্থ্য বারে বারে জিগেস করেছে “স্যার আমাদের দেখে ফেলে নি তো?”
পান বলেছে “আরে না না। পানকে অত সহজে সাজা যায় না।” এই কথাটা ও প্রায়ই ব্যাবহার করে। এর মানে পানকে অত সহজে সাজা দেওয়া যায় না। অসহ্য।
আর অনুপ স্যারও আর এক। সাবধান ইন্ডিয়া, ব্যোমকেশ বকসি, কিরিটি, মিস মার্পল কি কি দেখে কে জানে, নিজেকে পাক্কা গোয়েন্দা মনে করে। বিয়েথা করে নি, সারাদিন ওই করে। ওই এক পাটি জুতোতে যে স্যার লাল ঢেরা দিয়ে রাখবে, সেটা কি ওরা ঘুণাক্ষরেও জানত। পান তো এক পাটি জুতো সিনেমা ফেরতা নিয়ে গেছে। সেই জুতো পরে স্কুলে এসেই যত বিপত্তি। যাকে বলে রেড-হ্যান্ডেড ধরা পড়ে গেছে।
হেড স্যার জিগেস করলেন। “তো কি সিনেমা দেখলে? হিরো কে ছিল?” স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য নয়। টেষ্ট ম্যাচের প্রথম ওভারের মত টুকিয়ে খেলে বলটা কাটিয়ে দেওয়ারই রীতি এ সব প্রশ্নে। এঁর বাংলা ভালো নাম অথবা খারাপ নাম হল রগড়ানো। কিন্তু গোবেচারা স্বাস্থ্য সে রীতি সম্বন্ধে ঠিক অবগত ছিল না। এই “ছাত্রকাটা কথাকলের” সামনে সে এই প্রথম বার দাঁড়িয়েছে। সে বলে ফেলল “দাবাং।”
“কি? কি বললে?”
“স্যার, দাবাং। সিনেমার নাম। হিরো সলমন খান। হিরোইন…”
“বেয়াদপ কোথাকার। মুখে মুখে চোপা হচ্ছে?” বলেই হেডস্যার কানটা কষিয়ে মুলে একশ আশি ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিল। স্বাস্থ্য কিছুতেই বুঝল না সত্যি কথাটা বলে সে কি ভুল করেছে। কিন্তু তার কানের এই অকালবোধন সে মন থেকে মেনে নিতে পারল না। ভ্যাঁ করে কেঁদে উঠল। হেড স্যারের মনটা আদতে নরম। ছেলেটাকে কাঁদতে দেখে তিনি বাকি দুটো মিটমিটে শয়তানকে তাদের প্রাপ্য শাস্তি দেওয়ার কথাটা বেমালুম ভুলে গেলেন।
“আরে কাঁদছিস কেন? বোকা ছেলে কোথাকার। স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখতে যেতে পারলি? আর একটা কানমলাতেই এতো কান্না? পাগল কোথাকার…” ইত্যাদি বলতে লাগলেন। এমনকি স্বাস্থ্য সরলভাবে সিনেমার নামটা বলে দেওয়ায় বাকি দুজনের অপরাধী অপরাধী মুখে যে একটা মুচকি হাসি ফুটে উঠেছিল, সেটার জন্য তাদের এক্সট্রা যে কানমলাটা প্রাপ্য ছিল সেটাও বেমালুম মকুব করে দিলেন।
হেড স্যারের রুম থেকে বেরিয়েই পান স্বাস্থ্যর ভুঁড়িতে একটু হাত বুলিয়ে বলল “তোর জন্যই জোর বেঁচে গেলাম। নয়তো গার্জেন কল নিশ্চিত ছিল। পাড়ার সব দাদাদের একবার করে গার্জেন বানানো হয়ে গেছে। এখন কেউ আর হতে চায় না।” ধুম তখনও মনে মনে গজরাচ্ছে। হাতটা নিশপিশ করছে পানের চুলের মুঠিটা ধরার জন্য। স্বাস্থ্য বলল “আমার জন্যই তোরা বেঁচে গেলি আর তোদের জন্যই আমি ঝামেলায় পড়লাম। সিনেমার শুরুতেই বলা ছিল। আমার তখনই সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।”
“কি কথা রে?” পান আর ধীমান দুজনেই একযোগে।
“ধুম, পান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।”
তিনজনেই হেসে গড়িয়ে পড়ে। ধুম এখন আর পানকে মারার তাগিদটা তেমন বোধ করছে না। পানও ভাবল “নাহ, মার যখন খাইনি, তখন অনুপ স্যারের সাইকেলের হাওয়া খুলে দেওয়াটা অনৈতিক হবে।”
(পরবাস-৭৪, ৩১ মার্চ ২০১৯)