ISSN 1563-8685
পাপ
পাপেরা জমতে থাকে শান্ত জলবিন্দুর মত;
স্যাঁতস্যাঁতে, পিচ্ছিল ছাদের কালচে সবুজ কোণে,
তৈলাক্ত শরীরের আনাচে কানাচে,
বয়সের শীর্ণ গলিতে, ধীর সন্তর্পণে।
রাত ভেঙে দিন আসে, পোস্ট-এ জমে ওঠে লাইক,
কতশত জানা অজানা আঙুল ছুঁয়ে যায় ছবি—
তাও মরদেহ ছুঁয়ে দেখে না কেউ,
কতটা শীতল হতে পারে শরীর;
দূর থেকে প্রণাম জানিয়ে দায় সারে হাত—
পুড়তে পুড়তে চারপাশে থেকে যায় কিছু অস্থায়ী ভিড়,
উড়ে আসা খইয়ের মত আগন্তুক, অগভীর।
ওরা তখন ধোঁয়া হয়ে যায়, কখনও বা মেঘ— -
কোনও এক চৈত্রের ভোরে;
জাতিস্মর হয়ে জন্মায় ভবিষ্যতে অন্য কোনও দেশে; নির্বেদ
আর বোঝা নিয়ে ভেসে থাকে নাগাড়ে—
ভোলে না পুরানো শহর, ধূর্ত গলি, ভেদাভেদ, সামাজিক রীতিনীতি।
একদিন কোনও এক সমাধিস্থ পাহাড়,
তমোঘ্ন হয়ে হাত রাখে ওদের কৃষ্ণকায় কপালে, ভালোবেসে;
নিদারুণ বোঝা টেনে নেয় বুকে—
গলে যায় ওরা—পৃথিবীর মুখে,
বলে যায় সব কষ্টের কথা অনর্গল, অক্লেশে।
তারপর রোদ মেখে রামধনু স্মিত হয়—
ভুলে সব পাপ, পূর্বজন্মের স্মৃতি।