আমার নিজের ও পরবাসের সকলের পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে নতুন বছরের জন্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। ২০১৮ সকলের আরো অনেক ভালো কাটুক--নানা জায়গায় ২০১৭-র প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বিশেষভাবে মনে পড়ছে এটা লেখার সময়ে।
৬৯-তম সংখ্যা দিয়ে আমরা পরবাস-এর বর্তমান ত্রৈমাসিক প্রকাশনা নিয়মিত ধরে রাখতে পেরেছি তার জন্য আমরা প্রথমত লেখক ও শিল্পীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তার উপর যাঁরা নেপথ্যে থেকে রিভিউ ইত্যাদি দরকারি কাজ করতে নিরন্তর সাহায্য করছেন তাঁদের অকুন্ঠ ধন্যবাদ জানাই।
আর ভুললে চলবে না সহযোগী পাঠক-দের, যাঁদের সাহায্যে আশা করা যায় ভবিষ্যতের পাঠক এবং হয়তো লেখক/শিল্পীরাও গড়ে উঠবেন অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও। এবছরেও আমরা দুঃস্থ/ছাত্রছাত্রীদের কম বেশি আগের মতোই সাহায্য করতে পেরেছি। আশা করি ২০১৮-তেও তা বজায় রাখতে পারব।
পরবাস-এর ৬৫ থেকে ৬৯, এই চারটি সংখ্যাতে প্রায় ৮৮-টি গল্প প্রকাশিত হয়েছে, 'বিশদ' আলোচনা হয়েছে প্রায় ৩৭-টি বইয়ের। কবিতা ইত্যাদি অন্য ধরনের লেখাও নেহাত কম নয়। প্রতি চার-দিনে একটি করে শুধু নতুন গল্প পড়ার জন্যেও parabaas.com কে আপনাদের আন্তর্ব্রাজকের ('ইন্টারনেট ব্রাউজার') পছন্দের তালিকায় ঠাঁই দেবার কথা ভাবতে পারেন!
সন্ধ্যা ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক স্মৃতিকথা 'দেশান্তর'-এর বর্তমান কিস্তিতে রয়েছে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে ৪৩-এর মন্বন্তরের সহজ কিন্তু মনে দাগ রেখে যাওয়া বিবরণ। যাঁরা এখনো পড়েননি তাঁদের বলব লেখাটি একেবারে শুরু থেকে পড়তে। সাবর্ণি চক্রবর্তীর 'ফরিয়াদ' উপন্যাসিকা এই সংখ্যা থেকে শুরু হল। বিখ্যাত চিত্র-পরিচালক ও কবি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের সাক্ষাৎকারটি তৃতীয় কিস্তিতে এই সংখ্যাতে শেষ হল।
অনেকেই হয়তো লক্ষ করবেন এই সংখ্যাতে বেশ কয়েকটি রচনায়--গল্প, নাটক, রম্যরচনায় ভূতের লম্বা হাতের উপস্থিতি--কারণ হিসেবে দ্রঃ এই লেখাটি। পাঠক ও লেখকদের কাছে আবেদন রইল কোনো বিশেষ 'থিম'-এর কথা মনে হলে আমাদের জানাতে।
(পরবাস-৬৯, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭)