বৃষ্টি - ১
একটুখানি
ছন্দ বাহার
একটুখানি
ঝর্ণা পাহাড়
এমন করে
বর্ষা কালে
সবুজ ভ্যালি
ডাক পাঠালে
কু ঝিকঝিক
ট্রেনের চাকায়
নির্জনতা
মুচকি তাকায়
ছোট্ট হোটেল
হলুদ বাড়ি
বৃষ্টি জলে
সতেজ ভারি
মেঘবাদলে
বাজের ডাকে
ছাঁট আসবেই
জানলাফাঁকে
সাইটসিয়িং
শিকেয় তুলে
ভিজতে যাবি
দরজা খুলে?
বৃষ্টি নামুক
মাথায়, পিঠে
বাতাস উড়ুক
হালকা মিঠে
উড়ুক আঁচল
উড়ুক আড়াল
ঝর্ণা ভাসাক
পাহাড়ী ঢাল
জামার গায়ে
কাজলরেখা,
ভিজলি কি তুই
এমন একা--
পালাই তবে
পালাই ঘরে
তুইও আসিস
একটু পরে
জ্বর বাধাবো
সন্ধেরাতে
জড়িয়ে রাখিস
তোর দুহাতে
জড়িয়ে রাখিস
আগলে বুকে
সময় ঘুমোক
অথৈ সুখে।
ঠোঁটের কোলে
ঠোঁট ঘুমোবে।
বৃষ্টি আবার
ভাসিয়ে নেবে।
বৃষ্টি আবার ভাসিয়ে নেবে।
বৃষ্টি - ২
এহাতে আগুন নিলাম,
ও হাতও আলোয় আলো।
আলো তুই ছুঁসনে আমায়, ছুঁসনে যেন!
(একথা লিখব?
কেন?)
খুঁজছি তো বাজপাখিকে,
মেঘে আর বজ্র কোথা!
এই বুঝি বৈধমিলন?
এই বুঝি অবৈধতা?
খুঁজে খুঁজে দুহাত জুড়ে নিকষ কালো।
আজ তবে বৃষ্টি আসুক,
এর চেয়ে বৃষ্টি ভালো।
বৃষ্টি - ৩
আজ একটু, অন্যরকম
হোক তাহলে?
হোক তাহলে
ভীড়ের মাঝে
সবার চোখের সামনে দিয়ে
সবার চোখের আড়াল দিয়ে
অন্যরকম
চোখের পাতায় চোখ নামিয়ে
দৃষ্টিছোঁয়া
আদরছোঁয়া
অন্যরকম, কাজ-অকাজে
অন্য ছলে...
খুব কি বিপদ,
তেমন হলে?
খুব কি বিপদ
বৃষ্টি হলে,
শরীর জুড়ে বৃষ্টি হলে?
(পরবাস-৬৭, জুন ২০১৭)