Parabaas Moviestore




Parabaas Musicstore




Subscribe to Magazines






পরবাসে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের

লেখা



ISSN 1563-8685




ব্যোমকেশ কে?

যাকে চিনি মনে হয়, অনেক চেনা যিনি, ইতিহাস যে তাকে মুখোশ ও পরচুলা পরিয়ে রেখেছিল, বুঝতেই পারি নি। কুয়াশার ঘেরাটোপ থেকে প্রকাশ্য দিনে দেখলে মনে হয় রাতের পাহারায় ছিলেন হয়তো কিন্তু ইনি দিনের দেবতা। এমন একজন শ্রী ব্যোমকেশ বক্সী, একমেবাদ্বিতীয়ম ও ঘটনাক্রমে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সত্যান্বেষী; আটপৌরে ভাষায় বঙ্গ সংস্কৃতির প্রধান গোয়েন্দা। কিন্তু কৌতূহল জাগে যে গত প্রায় পঁচিশ বছর জুড়ে বাঙালীর বিনোদনের মঞ্চে তিনি প্রায় অপরিহার্য, প্রায় পরিত্রাতা হয়ে উঠলেন কেন? বাংলা বইয়ের ব্যবসা যত পড়ন্তই হোক কলেজ স্ট্রীটে, জেলা শহরে ও মফস্বলে ব্যোমকেশ মুসকিল আসান। সমস্যা হল ব্যোমকেশ কে? কি তবে ব্যোমকেশ রহস্য?

সময়ের মুখে কিছু ব্রণর দাগ থাকে। এমন নয় যে নিসর্গ, নারী বা ইতিহাসের দিকে তাকাতে গেলে আমাদের বস্তুর হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করতেই হবে। এই ধারণাটাও একদিক থেকে যেন কুসংস্কার। বাস্তবতা এত রহস্যে রহস্যে মোড়া যে অনেকসময় মনে হয় সে পেঁয়াজের খোসা। তাকে যতই পরতে পরতে খুলে দেওয়া যাক, কেন্দ্র আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই মুখের দিকে তাকানো, এই তাকানো বস্তুত আধুনিকদের ক্ষেত্রে একটি বাধ্যতামূলক শর্ত হয়ে রয়েছে কম-বেশি দেড়শো বছর ধরে। একটা সভ্যতার গায়ে ফুটে ওঠে নানা চিহ্ন যা দিয়ে আমরা সেই সভ্যতার আধ্যাত্মিক মাপজোক করতে পারি। জার্মান দার্শনিক জিগফ্রিড ক্রাকাওয়ের এই ধরনের অবলোকনকে বলেন — 'ফেনোমেনোলজি অফ দি সারফেস'। আর তার অবিস্মরণীয় বন্ধু ও সহকর্মী ওয়াল্টার বেঞ্জামিন সভ্যতার পরিত্যক্ত জঞ্জাল সমূহের মধ্যে দিয়ে একধরনের ইতিহাস রচনার প্রকল্প নির্মাণ করেন। আমরা সেই ঘুঁটে-কুড়ুনিদের উপনিষদে একটু ঢুকতে চাই। আর তাহলে আমাদের খেয়াল করতে হবে এমন কিছু সাংস্কৃতিক রোডম্যাপ যেখানে উত্তর কলকাতার মেসবাড়ি, ট্রামলাইন, গোপন চাউনি ও অপরাধ, গোয়েন্দা ও বেকার, তাসের আড্ডা, বৈঠকখানার তালিকা তৈরি করি তবে দেখব যে আমরা এক স্বর্গীয় তদন্তে নিযুক্ত রয়েছি যার ফাঁকফোকর থেকে বেরিয়ে আসছে সমকালীন জীবনের নিষিদ্ধ দ্যুতি।

ওয়াল্টার বেঞ্জামিন উনিশ শতকের মাঝামাঝি প্যারিস শহরের পালটে যাওয়ার কথকতার লিপিচিত্র এঁকেছেন বোদলেয়ার নামের কবির মধ্যে। বোদলেয়ারের প্যারিস কি ধরনের জনপদ? প্যারিসে তখন সম্রাট ও সৈনিক, নিতান্ত ভবঘুরে, লম্পট ও বেশ্যা, ভিখিরি আর নানাধরনের আগন্তুক সমাবেশে উত্তর-শিল্পবিপ্লব সমাজে লুম্পেন প্রোলেতারিয়েতের একটি নতুন ছবি রচিত হয়েছে যা গতিশীল, পরিবর্তমান। যা ছিল কমিউনিটি বা গোষ্ঠী তা রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে জনতা বা 'মাস'-এ। জন্ম নেবে ক্রমশ — হেবারমাস যাকে বলেন পাবলিক স্ফিয়ার — জনপরিসর আর সঙ্গে সঙ্গে কবির সঙ্গে নির্জনতার যে যোগাযোগ - ধরণীর এক কোণে রচিব আপন মনে - তাও ভিড়ের ষড়যন্ত্রের দ্বারা পরিচালিত হবে, ইতিহাস কেড়ে নেবে নির্জনতার সঙ্গে কবির সহবাসের অনন্য অধিকার। অপরদিকে জনতার বিশাল সমুদ্রে কবির পাশাপাশি হাঁটবেন আরেক প্রজাতির সদস্য যিনি বিলীয়মান ঈশ্বরের প্রতিনিধি বলে আইন অতিরিক্ত; তিনিই গোয়েন্দা। ওয়াল্টার বেঞ্জামিন বোদলেয়ারের উপর তার অবিস্মরণীয় রচনায় দেখিয়েছেন কীভাবে নৈশ পরিব্রাজনারত কবি আর আড়ালে থাকা গোয়েন্দা রক্তের সম্পর্কেই আত্মীয়। এই যুক্তিকে আরেকটু উসকে দিলেই জীবনানন্দ ও শরদিন্দু একই বন্ধনীভুক্ত হতে পারেন। জীবনানন্দ পরবর্তীকালে বোঝেন, 'মানুষ কাউকে চায় তার সেই নিহত উজ্জ্বল/ ঈশ্বরের পরিবর্তে অন্য কোন কামনার ফল।' সুতরাং যদি ধরে নিই অনুপস্থিত ঈশ্বরের সঙ্গে নশ্বর মানুষের সমঝোতার জন্য একজন মধ্যস্থতাকারীর দরকার, তবে সেই অনামী রহস্যের উন্মোচনের জন্য কবির কাঁধে হাত রেখে গোয়েন্দাও রাস্তায় এসে দাঁড়ায়। ইতিহাস নিজেই যেন দায় নিয়েছিল জীবনানন্দ আর শরদিন্দুকে প্রতিবেশী করার। দুজনেই জনতার মানুষ কিন্তু জনতা তাদের দখলদারি নিতে পারেনি।

প্যারিস কিরকম ছিল বোদলেয়ারের সময়ে? শিকড়শূন্য এক জনসমাজ, যারা গৃহস্থ নয়, যারা সরাইখানায় মদ, উকুন ও সর্বনাশে মজে আছে — এরাই নতুন সভ্যতার ষড়যন্ত্রী, গন্ধর্ব ও কিন্নর। মার্কস এদের কথাই লিখে গেছেন, দেবতার মতো প্রতিভায়, 'লুই বোনাদার্তের অষ্টাদশ ব্রুমেয়ার' নামের রচনায়। এই প্যারিসের সঙ্গে চল্লিশ দশকের কলকাতার বেশ কিছু সাদৃশ্য আছে। কলকাতা তখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় নগরী ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সুযোগে কসমোপলিটান।

প্রেসিডেন্সি বোর্ডিং হাউস
কিছু উজবুক ভাগ্যান্বেষী, কতিপয় সন্দেহভাজন অন্যদেশী, বেশ কিছু মার্কিন সেনা, প্রচুর পল্লীবাসী সহসা কলকাতা শহরকে একটি শান্ত নগরছন্দ থেকে ভীতিতরঙ্গ উপহার দিল। আমরা মেনে নিলাম হ্যারিসন রোডে আরো গভীর অসুখ। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার চামড়ায় যে উলকির দাগগুলি ছিল তার অন্যতম হল মেসবাড়ি। এক অস্থায়ী, অন্তবর্তী, নিরুপায় নাগরিক ঠিকানা। ইতিহাসের কি অপার কৌতুক যে আমার চোখ পড়ে ৬৬নং হ্যারিসন রোডের মেসবাড়িটি — প্রেসিডেন্সি বোর্ডিং হাউস — যার বাসিন্দা কাছাকাছি সময়ে ছিলেন জীবনানন্দ দাশ ও শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। শরদিন্দু একদম ছাদের ওপরে তিননম্বর ঘরে থাকতেন ১৯১৯ - ২১; এই দু'বছর। সেখান থেকে হাওড়া ব্রিজ দেখা যেত। শেয়ালদা স্টেশন দেখা যেত। ছাদের আলসে দিয়ে ঝুঁকলে একদিকে হ্যারিসন রোড; পাশ দিয়ে সরু গলি রমানাথ মজুমদার স্ট্রীট। তিনতলায় সিঁড়ি দিয়ে উঠেই ষোল নম্বর ঘর। এখানে জীবনানন্দ থাকতেন

সেই বিখ্যাত ট্রামলাইন
১৯৩০ - ৩৮ এই আটবছর। লম্বাটে ঘর, পুরোন। দরজা খুলে দিলেই মহাত্মা গান্ধী রোডের সেই বিখ্যাত ট্রামলাইন নজরে আসে, চোখে পড়ে চলমান জনতার অশেষ যাতায়াত। এখান থেকেই তিনি লিখেছিলেন 'সাতটি তারার তিমির'; সেইসব বিখ্যাত চরণ : 'বিকেলের বারান্দার থেকে সব জীর্ণ নরনারী/ চেয়ে আছে পড়ন্ত রোদের পাড়ে সূর্যের দিকে;/ খণ্ডহীন মণ্ডলের মতো বেলোয়ারি'। দূর থেকে, বারান্দার থেকে, দেখার একটা নিরাসক্ত, গোয়েন্দাপ্রতিম চলন না থাকলে 'রাত্রি' বা এই কাব্যগ্রন্থের পাতায় যেমন দৃষ্টির কোলাজ তা গড়ে তোলা যায় না। প্রকৃত প্রস্তাবে, এডগার অ্যালান পো-র 'ভিড়ের মানুষ'ই বোদলেয়ারকে প্ররোচনা দেয় ডিটেকটিভের খুব গা ঘেঁসে দাঁড়িয়ে থাকা কবির ছবি আঁকতে। কবি গোয়েন্দার মতো নিজেকেই যদি অদৃশ্য না করতে পারেন তবে অন্যকে দৃশ্য ভাবতে পারবেন না। জীবনানন্দের নগরীর মহৎ রাত্রিতে যেরকম সন্দেহভাজনদের আনাগোনা — ভিখিরি, লোল নিগ্রো, ল্যাম্পপোস্ট, চুরুট তা গোয়েন্দা কাহিনীর মেজাজের কাছাকাছি। প্যারিসে মধ্য-উনিশ শতকে যা ঘটেছিল, চল্লিশ দশকের শুরু থেকেই কলকাতায় অপরাধের চরিত্র পালটাতে থাকে। জীবনানন্দ নরকের সরাই চিনতেন। কিন্তু রহস্যোপন্যাস লেখেননি।

কিন্তু শরদিন্দু তুলনায় পার্থিব সভ্যতার জীব বলেই তার দায় ছিল আপাত বিশৃঙ্খলার একটি যুক্তি নির্মাণ। হয়তো পরিবেশ তাঁকে সুযোগও দিয়েছিল। তিনি প্রবাসী বাঙালী ফলে কলকাতাকে নিরুত্তাপ ভাবে দেখার শিক্ষা তার রক্তে ছিল। একটি আধুনিক পুঁজিবাদী শহর কীভাবে নতুন নতুন অপরাধের জন্ম দেয় আর অপরাধ মাত্রই যে পাপ নয় এসব কথা বলার জন্য শরদিন্দু ব্যোমকেশের বয়ানই বেছে নেন। ব্যোমকেশও, কৌতূহলভরে খেয়াল করি, কলকাতার বাসিন্দা নন। ব্যোমকেশ বক্সী যুক্তির ধারটুকু পেয়েছেন তার মফস্বল নিবাসী অঙ্ক শিক্ষক বাবার থেকে। স্বভাবে ক্ষমার গুণটুকু পেয়েছেন মা বৈষ্ণব বংশের মেয়ে বলে। আর একটু বলা যায়, শরদিন্দু একধরনের হিন্দু রাজনীতির সমর্থক বলেই বঙ্গশাসনে সুরাবর্দির ভূমিকা তাঁকে সংশয়ান্বিত করে তুলেছিল। অগত্যা একটি আদর্শ যুক্তির প্রকল্প গড়ে তুলতে শরদিন্দু হ্যারিসন রোডের সন্নিকটে তার তথাকথিত প্রথম গল্প 'সত্যান্বেষী' তে একটি অলীক কলকাতার জন্ম দেন: 'যাঁহারা কলিকাতা শহরের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত, তাঁহাদের মধ্যেও অনেকে হয়তো জানেন না যে এই শহরের কেন্দ্রস্থলে এমন একটি পল্লী আছে, যাহার এক দিকে দুঃস্থ ভাটিয়া-মাড়োয়ারী সম্প্রদায়ের বাস, অন্য দিকে খোলার বস্তি এবং তৃতীয় দিকে তীর্যক্‌চক্ষু পীতবর্ণ চীনাদের উপনিবেশ। এই ত্রিবেণী সঙ্গমের মধ্যস্থলে যে 'ব'-দ্বীপটি সৃষ্টি হইয়াছে, দিনের কর্ম-কোলাহলে তাহাকে দেখিয়া একবারও মনে হয় না যে, ইহার কোন অসাধারণত্ব বা অস্বাভাবিক বিশিষ্টতা আছে।' কলকাতা শহর যে বদলে যাচ্ছে তা শরদিন্দু অনুভব করেন কিন্তু জীবনানন্দের থেকে ভিন্ন চালে।

ব্যোমকেশের চরিত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য শরদিন্দুকে 'সত্যান্বেষী' গল্পের অপরিচয়ের দায় নিতে হয়েছে। কেননা ব্যোমকেশের স্রষ্টা নানাভাবে বোঝানোর দায় নেন যে গোয়েন্দা গল্প জীবনযাপনের এক ধরনের অনুবাদ। শরদিন্দুর গোয়েন্দা শেষপর্যন্ত ইউরোপীয় যুক্তিবাদের প্রতিনিধি। ব্যোমকেশ বক্সী একটি উন্মোচনকারী চরিত্র যে নিম্নবর্গীয় বাসনা ও উচ্চবর্গীয় জীবনচর্যায় সেতুবন্ধ বিশেষ। 'আদিম রিপু' গল্পের মিস ননীবালা রায় অথবা 'রক্তের দাগ' উপন্যাসে সত্যকাম চরিত্রটি আমার এ যুক্তিকে সমর্থন করবে। ব্যোমকেশ পেশাগত গোয়েন্দা এবং শরদিন্দুর যুক্তি অনুযায়ী ঈশ্বরের অনুপস্থিতিতে এই পাপগ্রস্ত নগরীতে পরিচালনার সূত্র। তিনিই একমাত্র অন্যের কাছে যা গোপন, তা প্রকাশ্যে টেনে আনেন। অধঃপতনের সীমাহীন রেখাচিত্রে গোয়েন্দা যুক্তিপরায়ণতার অন্তিম প্রতিনিধি। সুতরাং প্রায় নিয়তিনির্দিষ্ট ভাবে তিনি-ই বিশ্বাস করতে বাধ্য যে বিশ্ব-প্রকৃতি যুক্তির দ্বারা শাসিত ও যুক্তি-ই অপরাধ থেকে পরিত্রাণের উপায়স্বরূপ। সভ্যতার প্রতি এক গভীর আস্তিক্যবোধ থেকেই শরদিন্দুর ব্যোমকেশ বিধাতার দূত কারণ সে সব রহস্যের অন্ত দেখতে পায়। বস্তুত, বিশ্বরূপদর্শন তার ভাগ্যে থাকে না কেননা পেশার শর্ত হিসেবে অপরাধের আদিটুকু তাকে জানানো হয় না, মধ্যভাগে সে অবতীর্ণ হয়, শুধু অন্তিমে যথাযথ নিষ্পত্তি করবে বলেই। সে জন্যই সে সত্যান্বেষী আর পুলিশ রাষ্ট্রের প্রতিনিধি বলেই নেহাত আইনের রচনা, অর্থশূন্য। পুলিশের কর্তব্য শুধু নবজাত সামাজিক পরিসরে শিষ্টতা বজায় রাখা। ব্যোমকেশ গোয়েন্দা হিসেবে এমন মান্য পরিধিতে বিচরণ করতে চায় না। একটু তলিয়ে দেখলেই দেখা যাবে মানুষ হিসেবে ব্যোমকেশ ততটা মরালিস্ট নন, যতটা এথিক্যাল। শরদিন্দু একটি আইন-অতিরিক্ত পরিসরে ওকালতি চালিয়ে যান; অপরাধ-মৃগয়া মোটেও ব্যোমকেশের মূল কাজ নয়। বরং ব্যোমকেশ পতনের নন্দনতত্ত্বকে যুক্তিসমর্থিত ভাবে ব্যবহার করে; সে সমাজদিশারী কিন্তু কোনক্রমেই চূড়ান্ত দণ্ডাদেশ দেওয়া তার কাজ নয়। গোয়েন্দা হিসেবে সে বাস্তবিক অসময়ের দেবদূত ও বিধিবহির্ভূত।

শহরের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার একটি বিশেষ মুহূর্তে শরদিন্দু ব্যোমকেশ কাহিনীর অবতারণা করেন। এই জন্যেই ব্যোমকেশ আমাদের অপরাধ প্রবণতা চিহ্নিত করার এক শিখর প্রদেশ। আজ যে বাংলা সিনেমায় তার বিপুল জনপ্রিয়তা তাও হিসেবে দেখা যাবে কলকাতার ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক মলাট বদলে যাওয়ার চাহিদা। পাপাতুর সমাজ অবদমিত অপরাধবোধ কাউকে সমর্পণ করে প্রায়শ্চিত্ত করতে চায়। সে প্রায়শই ডিটেকটিভ। আর কলকাতা বারে বারেই তাকে ব্যোমকেশ বক্সী হিসেবে আবিষ্কার করতে চায়।



(পরবাস-৬৬, মার্চ ২০১৭)