পার্থিবপ্রণয়রাংতা ছিঁড়ে গেলে ক্ষত দেখা যায়--
কুষ্ঠ রোগীর মতো
দরকারি অংশগুলি খসে খসে পড়ে...
মান্যবর বিচারক আইনের বই দেখে
সেগুলি পাঠিয়ে দেন ঠান্ডাঘরে,
ময়নাতদন্তের প্রয়োজন হবে কিনা
পরে জানা যাবে।
এমতাবস্থায় এসো আমরা লু্ডো খেলি
গুনে দেখি ক্যারামের উনিশটি কয়েন ঠিক আছে কিনা।
পিঠে পিঠ দিয়ে বসে থাকি
যতক্ষণ না সান্ত্রী পৃথক করছে
আমাদের দইমাখা ভাত খুঁটে খাচ্ছে কাক...
ধূপকাঠি বসিয়ে দিয়েছি আমাদের মাঝখানে
অসহিষ্ণু হাত দেশলাই জ্বালাতে প্রতিবার ব্যর্থ
--- এই সত্য অবৈজ্ঞানিকও নয়
জোয়ারের শেষ ফিরিয়ে নেবেই মোহনার দিকে
তবু জেনো, যে ফিরে যাবে, সে আমার মৃত দেহখানি
বুনিয়াদী অঙ্কও জানেসাইনবোর্ড থেকে খসে পড়ছে অক্ষরমালা
মেঝেতে গড়িয়ে যাচ্ছে এদিক ওদিক...
শব্দগুলোর ওজন বেশি ছিল হয়ত, ছোট্ট পেরেক
বা রাসায়নিক আঠা তাই ধরে রাখতে পারে নি
এত ভারী কথা ওখানে বসানো খুব ভুল
বুনিয়াদী অঙ্কও জানে কার কত ধারণ ক্ষমতা—
শিক্ষকরা আজ সবাই পুণ্যবান, করতোয়া নদী
মালার আয়োজন রাখি, ফটোতে চড়াই, ধূপ জ্বালি
তিনিও বোঝেন সব—ভড়ংয়ের খাপ, তাঁরই শেখানো
শঙ্কা পান আয়োজনে ত্রুটি নেই দেখে...
আজ খুব জল থৈ থৈ, চতুর্থীর চাঁদ, খুঁজেই পাচ্ছি না
তুমি তো ক্লেদবতী নও, এসো, জলে নামি, খুঁজে দেখি
(পরবাস-৬৬, মার্চ ২০১৭)