পৃষ্ঠা
আপাতত পৃষ্ঠা শাদা তবুও উন্মুখ হোয়ে থাকা
কোনোদিন, কোনোদিন, কোনোদিন, যদি কিছু ঘটে
শাদা পাতা ফুঁড়ে দিয়ে ফুটে ওঠে গোলাপের ক্লিশে
বালখিল্য মুনিকুল কবিতার কাদা ছোঁড়ে
ঘনীভূত হয় তীব্র শ্লেষ
মলিন শহরে দিন শেষ হোলে
মহাভারতের কান্না রামায়ণে হোয়ে যায় লীন
অলৌকিক তির্যক আকাশ,
যুক্ত হোয়ে যায় বুঝি আরও কিছু বেয়াড়া আখ্যান:
প্রেমিক ঘটোৎকচ হেঁটে যায় বুকে বেঁধা
কবিতার শব্দভেদী বাণ;
(কে জানে কে ছুঁড়েছিলো!)
শুধু জানি এইসব ঘটে যেতে পারে বুঝি কোনোদিন, কোনোদিন, কোনোদিন যাতে
যে পৃষ্ঠা এখনও শাদা কোনোদিন, কোনোদিন, কোনোদিন তাতে
ভীষণ ঝড়ের রাতে শোনা যাবে হিংস্র কণ্ঠস্বর
মৃত পাখী উড়ে যাবে
ঠোঁটে নিয়ে কবিতার শতচ্ছিন্ন জন্মান্ধ অক্ষর।
দোকান কিংবা শীতের পোল্যান্ড
চেয়েছো আশ্চর্য ফুল অতএব হেঁটে যেতে হবে
গভীর তুষারে ঢাকা নীলরঙা পাহাড় পেরিয়ে।
পেরোলে দুরন্ত হাওয়া বয়ে যাওয়া উপত্যকাটিকে
দেখবে তোমারই নাম লেখা আছে অন্তহীন ক্রন্দসীকে ঘিরে
ছিমছাম অচেনা অক্ষরে
যা তুমি পড়তে পারো অথচ তা কখনো দ্যাখোনি;
সে পাহাড়ে যেও তুমি ভোর হোলে মৃত্যুভয় ভুলে।
শীতের হাঁসের দল পথ কেটে চলে গেলে আগে
তুমি যেও তাদের পেছনে।
তাদের পায়ের চিহ্ন, তোমার জুতোর দাগ
দিগন্তের দিকে ভেসে গেলে
জেনে যাবে বহুদূরে হেঁটে এলে তুমি
সূর্যের আলোর মতো মৃদু পায়ে যেন এক অলীক দোকানে
সাজানো পশরা দ্যাখো থরে থরে: হরিণের শিং পাবে
পেয়ে যাবে ভালুকের ছাল,
কান-ঢাকা টুপি পাবে, কফি পাবে শীতের সকালে;
কৌটোয় খাবার আছে র্যাক ভরে, নিসর্গে নিহিত আছে
অনাবিল কবিতার ঘ্রাণ;
মৃত কবিটির দেহ শুয়ে আছে তার পাশে
নীল পাহাড়ের গায়ে এ দোকানে সেই ফুল কখনো পাবেনা।
(পরবাস-৬৬, মার্চ ২০১৭)