সরস্বতী মানে এক রোগা কোমর বেঁকিয়ে থাকা মেয়ে। যার জমাট নিতম্বের লাস্য মেয়েটার মুখের সুন্দর অসহায়তার সঙ্গে মোটে খাপ খায় না। বাধ্য হয়েই মূর্তি-বানানো শম্ভু পাল নিতম্বের ব্যালান্স করতে ওই বীণার লাউখানি দিয়ে কাজ সারেন।
প্রকৃত অর্থে সরস্বতী বলতে পম্পুর ধারণায় বিদ্যা বুদ্ধি বা সংস্কৃতির আধার-কার্ড হেন কোন ভাবমূর্তি বসিয়ে দেননি বাবা বসন্তকুমার। তাদের বাড়িতে পড়াশুনোর ঘনঘটা তবে সরস্বতী-পুজোর প্রস্তাব কেউ তোলেনি। নেহাত হাঁসকে কেন ওই দেবীর বাহন কল্পনা করা হোল তার একটি বাস্তবসম্মত ও মিথে হেলান দেওয়া গল্প সে শুনেছিল বাবার মুখে। তাতে দেবীর লৌকিক ভিত্তি জানা হলেও তাকে কেন্দ্র করে যে আবেগায়ন তার অ আ ক খ জানা হয় না।
তাছাড়া সরস্বতী-পুজোর দিন মামাবাড়ির দালানে হাতেখড়ির জন্য তিনজন পুঁচকের সঙ্গে লাইনে দাঁড়ানোর আগেই সকাল সকাল ওর মুখে খা খা বলে ঘি-ভাত-আলুসেদ্ধ মায়ের নির্দেশে ঠুসে দিয়েছে যে সে তো সরস্বতী। টাইটেল পাড়ুই। মামাবাড়ির গ্রামের নাপিত পাড়ার মেয়ে। কি দীঘল সেই কালো দাঁতউঁচু মেয়ে! কোন্ অধিকারে মাসি, পিসি, দিদি সম্বোধনের বাংলা বাতাসে পাঁচ বছরের পম্পু তাকে স্রেফ সরস্বতী বলে ডাকত কে জানে। সরস্বতী কখনো সম্বন্ধে বাঁধা থাকে না তাই!
হাতেখড়ি কথাটাকে পম্পু ভাবত হাতে ঘড়ি। ঘড়ি তো চিনেছিল চারবছর বয়সে, সময়ের নীরব কর্তা। সেদিন সরস্বতীর থানের ধারে একটি নড়বড়ে দোয়াতে খাগের ফোপড়া কলম ডুবিয়ে যখন অ আ লিখিয়ে দিল পুরুতমশাই দুই সরস্বতী তখন সাক্ষী। সামনেরটা চুপচাপ সুন্দরী, গোমড়ামুখী, পিছনেরটা উঁচু দাঁতে কি কৌতুকে হাস্যরতা। ততক্ষণে হাতে দুটো সাদাসাদা মত জিনিস দিয়ে পর্ব শেষ হল। তখন বোঝা গেল কথাটা আসলে হাতে খড়ি। হায় আল্লা! খড়ি তো চক্! সেই সি. এইচ. এ. এল. কে!
২
মামাবাড়িতে দাদু ভানুজভূষণ মনসা বা শীতলার নয় তার খামারবাড়ি মেসে তৈরি করেছিলেন সরস্বতীর থান সেই ত্রিশের দশকে। কথাটা আসলে স্থান হলেও তাতে থান-এ ভয় ছমছম ভাব নেই মোটেই। তখন স্বদেশী আমল। আশপাশের অনেক বাড়িতেই নতুন শিশুদের নাম স্বরাজ, স্বাধীন, স্বদেশী, শান্তি, মৈত্রী, বিপ্লব ইত্যাদি। এই আবহে একেবারেই কৃষিকাজ করা ভানুজবাবু আংশিক স্বদেশী করেন এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যুগের পক্ষে আলোময়ী এক দেবীকে বেছে নেন গৃহদেবী হিসেবে। কিভাবে নিয়তির মত তিনি এই দেবী নির্বাচন করেন, যিনি বিদ্যা ও সংস্কৃতির প্রতীক, তা ভেবে মিলবে না। তার সাত সাতটি সন্তানের প্রত্যেকেই গ্রামীণ কুসংস্কারের খুব পোষক নন, অর্থাৎ পড়াশুনোর জন্য পরিশ্রম করেছেন। বাড়ি থেকে দু মাইল রাস্তা হেঁটে চামারু নদীর সাঁকো পেরিয়ে তাদের পৌঁছতে হয়েছে গঞ্জবাজার ইটাহারের স্কুলে। আর পম্পুর মা এ-বাড়ির বড়মেয়ে কিন্তু রবীন্দ্রনাথের বড়দিদির মতো খানিক অন্তরালে থাকেননি, তাকে ক্লাশ ফাইভেই গ্রাম ছেড়ে যেতে হয় রায়গঞ্জে জ্যাঠামশাই-এর বাড়িতে। সে তো উত্তরবাংলার নিরিখে বড় টাউন, আসলে পশ্চিম দিনাজপুরের জেলাসদর।
তো পম্পুর বাবা মায়ের কাছে এই হাতেখড়ি নেহাতই রিচ্যুয়াল। তার তো অক্ষর-টক্ষর অনেক আগেই কমপ্লিট। বসন্তকুমারের এই ফুলকুমারীটিকে ঘিরে দুরন্ত প্রশ্রয় ও প্রশিক্ষণ। তা না হলে বয়স বাড়িয়ে এই কন্যাকে ক্লাশ টু'তে ভর্তি করানোর মহাযুদ্ধ জিতে তিনি আনন্দিত হন। একবারও ভেবেও দেখেন না যে কন্যাটির এমত অগ্রসরতা ওই সরস্বতীর থানের জাদু ছোঁয়াতে। উল্টে পুজোর সময় কঠিন অঙ্কবং দেবীর পায়ে জমা দিতে গেলে মেয়েকে বলেন, যার পায়ে বই দিচ্ছ, মনে রেখ, তুমিই সে।
এই স্টেটমেন্টে খুব বেশি আশ্চর্য না হয়ে পম্পু তার ঘরের সরস্বতীকে অ আ ক খ শেখায়। একবার শেখালেই মুড়িঘন্ট পারে অথচ পনের বছরের মেয়ে পেনসিল ঘুরিয়ে ‘গ’ লিখতে নাকাল! সরস্বতীর এমন মোটা মাথা দেখে দেখেই বড় হল সে।
প্রায় দশ বছর বয়স হলে মামারবাড়ির সরস্বতী-পুজোয় পম্পু একটা মেজর রোল প্লে করে। ছোটমামা এবং আরো কিছু বন্ধুর মাধ্যমে গ্রামে সরস্বতী-পুজোর অনুষঙ্গগুলোকে চিনতে থাকে।
প্রথমত: নারকেল কুল সরস্বতী-পুজোর আগে খাওয়া একদম মানা।
দ্বিতীয়ত: পুজোর আগের রাত জাগতে হয় কারণ ফুলচোরদের হাত থেকে গাঁদাফুল বাঁচানো চাই এবং সুযোগ সন্ধান করে ফুলচুরি করা চাই।
তৃতীয়ত: সরস্বতী-পুজোর আগের কয় রাত জুড়ে খেজুর রস চুরির হিড়িক পড়ে। ধুপধুপ করে খেজুর গাছ থেকে রস চুরি করে নেমে আসা ছোটমামার বন্ধু হারু, মলয়, অনিমেষ বা বুবলাকে দেখে রীতিমত শ্রদ্ধা হতো পম্পুর। তবে একবার এদের কেউ রস খেয়ে মূত্র প্রতিস্থাপিত করায় ছোটমামার সহাস্য বর্ণনা ঠিক হজম হয়নি।
চতুর্থত: শাড়ি বা বেডকভার মিলিয়ে বাঁশের ফ্রেমে আটকে সরস্বতীর ঘর বানাতে হয়। মাথায় একটা প্রাচীন চাঁদোয়া আছে, যা পুরনো শাড়ির পাড় ও লাল ঝালর লাগিয়ে তৈরি করেছে পুরনো দিনের বৌরা।
পঞ্চমত: ঠাকুর কেনার কথা বললে গ্রামের শম্ভু পালই ভাল। কারণ কোন এক অজ্ঞাত কারণে ইটাহারের পনব (প্রণব কি আসলে!) পালের ঠাকুর ভুরু-উঁচকি। অর্থাৎ ভ্রূ দুটো মাঝখানে চূড়ার মতো উঁচানো। যদিও একবার শম্ভু পালের সব ঠাকুর বিক্রি হয়ে যাওয়ায় পনবের ভুরু-উঁচকি প্রতিমাই আনা হয়। আশ্চর্য এই যে প্রহরে প্রহরে পম্পুর চোখে সেই ঠাকুরের মুখটি আরো আরো সুন্দর হয়ে উঠছিল, ভ্রূ-র ত্রুটি বোঝাই যাচ্ছিল না... ইত্যাদি।
ষষ্ঠত: এই পয়েন্ট খুব ইম্পর্টান্ট। পম্পুর সরস্বতী-পুজোয় সবচেয়ে ভাল লাগে দু রকমের খিচুড়ি। কলাই-এর ডালে মৌরি ফোড়ন আর মুগডালের খিচুড়িতে জিরে, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন। আর এই বিপুল যজ্ঞ সামলাতে মামাবাড়িতে আসে সরস্বতীর বাবা, ফণী পাড়ুই। সকলের ফণীদা। পাঁচ মেয়ে আর চার ছেলের স্থিতধী, মোটাসোটা, সিরিয়াস বাবা সে। সাদা ধুতি ভাঁজ করে পরা ফণীদাকে তার তৃতীয় বা পঞ্চমকন্যা সরস্বতীর দিকে চোখ তুলে খেয়াল করতেও দেখেনি পম্পু। মনে হোত যেন বাবা মেয়ে পরস্পরের অচেনা।
মামাবাড়ির গ্রামের প্রান্তে নাপিত পাড়ায় খালধারে সরস্বতীর বাড়ি কয়েকবার গেছে পম্পু। শহরে বাড়ি ছেড়ে কাজ করলেও বাড়িতে তেমন আদর ছিলনা সরস্বতীর। একবার পম্পুকে নারকেল পাতলা করে কেটে একটা বাটিতে দিয়েছিল সরস্বতীর মা। তারও দাঁত উঁচু। তবে সে কুঁজো ও অসুন্দরী। সরস্বতীর মতো নজরকাড়া নয়।
সপ্তমত: সরস্বতীদের নাপিত পাড়ায় পূজিত দেবী মনসা। একবার মনসাপুজোর সময় নাপিতপাড়ায় মনসার গান শোনারও সৌভাগ্য হয় পম্পুর। রাতজেগে যথারীতি। দেবী মনসাকে তার বেশ মানানসই এবং উজ্জ্বল মনে হয়। লোকাল মানুষদের মধ্যে যেন তার নিত্য ওঠাবসা। সরস্বতীর মতো গোমড়ামুখো নয় সে। সরস্বতীও বেশ মেতে যায় দেখা গেল মনসাপুজোয়। দেবী সরস্বতী-পুজোয় তাকে হলুদ শাড়ি পরানোই কষ্ট, অথচ মনসাপুজোয় সারাদিন উপোস এবং সাদা বা কোরা লালপেড়ে শাড়ি পরে সে দিব্যি ছুটে ছুটে কাজ করছিল। তাকে যে দেখতে কি সুন্দরী ও মাধুর্যময়ী হয়েছে তা সে বাড়ির কারো চোখে পড়ে না। বরঞ্চ তার পরের বোন ফ্যাটফেটে ফর্সা, বেঁটে, লক্ষ্মীর কদর আছে।
৩
যাইহোক, দেবী সরস্বতী পম্পুর জীবনে একটা ছোট অংশ বই নন। বরঞ্চ কিশোরীবেলায় বাড়ির সরস্বতী তাকে অনেকভাবে সাহায্য করেছে। বাবু বসন্তকুমারের ব্যবস্থাপনায় মাত্র চৌদ্দবছর বয়সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় পম্পু। তার অগোছালো টেবিল গোছানো থেকে পরীক্ষা দিতে যাবার সময় মায়ের হাতে দইয়ের বাটি জুগিয়ে দেওয়া, যাতে মা মেয়ের কপালে, দই-এর ফোঁটা দিতে পারে, সব ব্যাপারেই সরস্বতী ছিল এক্সপার্ট। সেই মারাত্মক বয়:সন্ধিতে যতই মা ও বাবার সঙ্গে বাড়ত তার দূরত্ব, সরস্বতী সামাল দিত। সরস্বতী খুব ভাল শ্রোতা। এগারো ক্লাসের নতুন ছেলেবন্ধু বা স্কুলের পুজোয় বাঁধাকপির তরকারির অসাধারণ স্বাদ সব গল্পই সরস্বতী শুনত। তার মাথা অক্ষরজ্ঞানে বেশ কাঁচা। একমাত্র বাংলা চ্যানেলের পর্দায় ‘পরবর্তী সংবাদ একটু পরেই’কে সে প্রায় রোজ কুঁথে কুঁথে পুরাবর্তী সংবাদ... ইত্যাদি পড়ত। বকুনি খাবার ক্ষেত্রে তার আর একটা অপারগতা ছিল পাত্রপক্ষদের বার বার তাকে নাকচ করা। যদিও কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে শান্তিনিকেতন ঘুরে এসে পম্পু তাকে উৎসাহ দিয়েছিল,
—তোর মতো স্লিম, শ্যামলা মেয়েগুলো কানের পাশে ডালিয়া ফুল লাগিয়ে চোখে গাঢ় কাজল পরে সাইকেল নিয়ে সাঁই করে যখন যায়না কি বলব।
তারপরেই সরস্বতীকে জড়িয়ে ধরে বলত, —যে তোকে পাবে না একেবারে গুগলি! সরস্বতীর এই কথায় কিছুতেই আড় ভাঙ্গত না। বলতো,
—ধুর! কালো বেশি বয়স! আমার আবার ...
পম্পু বুঝত এর সঙ্গে যুক্ত ছিল বাবার পয়সাহীনতা, লেখাপড়ায় শূন্যতা।
এরপর সত্যিই একদিন সরস্বতীর বর জোটে। কাজ ছেড়ে চলে যায় ও। পম্পুর বেশ ফাঁকা লাগত। কারণ ও ছিল এ বাড়ির তিন জন মুডি মানুষের লিংক-সুতো। মানুষ তিনটে অন্তত: কিছুকাল একটু দিশেহারা হবেই। পরবর্তী সরস্বতী-পুজোয় মামারবাড়িতে কমলা তাঁতের শাড়ি পরা মোটা করে সিঁদুর পরা সরস্বতী কাজে সাহায্য করছিল ওর বাবাকে। পম্পু অনেক খুঁজেও ওদের বাড়িতে থাকাকালীন সেই স্মার্ট, সব দিক সামলানোর মর্যাদাটুকু তার মধ্যে খুঁজে পেল না। সরস্বতীর বর দোজবরে। সেবার ছিল শম্ভু পালের ছেলে সুভাষ পালের প্রতিমা। বেশ বড় আর সুন্দর!
৪
জীবনের রীল খুব দ্রুত সরে যায়। পম্পু তার জীবন-চলচ্চিত্রে পৌঁছে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে সরস্বতী-পুজোর জন্য তার একমাস ধরে খাটুনি। একপাল মেয়ে নিয়ে অজস্র ছবি, কোলাজ, ইত্যাদির মাধ্যমে ‘কলকাতার তিনশ বছর’ প্রদর্শনীর নেত্রী সে। পুজোর আগের দিন সারারাত জেগেও বেলা দশটার মধ্যে পুজোর দিন সাতজন সঙ্গীনীসহ পম্পু সিলেক্টেড শাড়ি, কানের দুল, আর বিশেষ টিপ পরে সুগন্ধ ছড়ানো পলাশ শাখার মতো নিজেকে দোলাতে যায় ঠাকুর দেখার উদ্দেশে। বিশেষ গন্তব্য ছেলেদের হোষ্টেলগুলো!
সরস্বতীর কথা ভাবতে ভালো লাগে না আর পম্পুর। সরস্বতী-পুজোয় মামারবাড়ি গিয়েছিল। খুব বিষণ্ণ আনমনা সরস্বতী দাঁড়িয়েছিল একটা বাচ্চা কোলে নিয়ে। সামনে তুমুল খেলতে থাকা দুটো ছেলেকে দেখিয়ে বলেছিল,
—আমার দুটো ছেলে আর কোলেরটা নাতি।
—নাতি!
—হ্যাঁ আমার সতীনের বড় মেয়ের বাচ্চা।
ছেলেদের মেয়েদের মিলিয়ে মোট নটা হোষ্টেল। ঠাকুর দেখে ফিরতে ফিরতে সন্ধেই হয়ে গেল। মাঝে শুভ্রজিৎদের হোষ্টেলে তরিবৎ করে পোলাও-খিচুড়ি ইত্যাদি খ্যাটনও হয়ে গেছে। জামা কাপড় ছাড়তে গিয়ে মোবাইলটাতে দেখল মায়ের মিস্ড কল্। অত মাইক আর আড্ডার মাঝে শুনতেও পায়নি। অসম্ভব ক্লান্ত শরীরে ভেবে নেয় মা আর একটু রেগে থাকুক, একেবারে বিছানায় শুয়ে ফোন করা যাবে।
বাথরুম থেকে ফিরে আসতেই আবার মায়ের ফোন। ও: কি জরুরী দরকার কে জানে!
—বল মা!
—জানিস সরস্বতী কি করেছে!
—না তো!
—ওর চ্যাংড়া দেওরটার সঙ্গে পালিয়েছে। সরস্বতীর থেকে ছ’বছরের ছোট। ছেলে দুটোকে ছেড়ে... সংসার ছেড়ে... কোথায় নাকি নেপালের দিকে চলে গেছে ওরা...
পম্পুর চোখে হাসি খেলা করে।
এতদিনে ঠান্ডা বোধহীন চারপাশের চোখ এড়িয়ে সরস্বতী জাগিয়ে তুলেছে তার তীব্র অবিদ্যার চোখ। পড়ে আছে তার খেলনাপাতি ঘরসংসার। হংস-পুলকে সে উড়ে গেছে সেই আদিম ঝোড়ো চাহিদার দিকে। হয়ত স্বস্তি পুড়িয়ে এবার সে শুরু করেছে অন্য সাধনা। জেনেছে সে নিজেই প্রকৃতি, ঢোকে ঢোকে পান করতে পারে প্রার্থিত পুরুষ।
পম্পু বহু দূরে তাকাতে চায়, উচ্চতম পর্বতের দিকে। নেপালের দিকে একজন সরস্বতী পূজিত হন, তিনি মাতঙ্গী, সবুজ বা কৃষ্ণবর্ণা, মহাযোগিনী!
(পরবাস-৬৫, ডিসেম্বর ২০১৬)