কস্তুরী কথামৃত্যুর ইশারা ব্যর্থ ফিরেছে--
তার দীর্ঘ হাত যতটা যায়
তারও কিছুটা বাইরে নদী ও গাছের কোরক
আমাদের ধারণ করেছে। জোড়াবাড়ি, সেও
কৃপণ হয় নি। নিকট সরণি ধরে কতবার
জন্মে ও জন্মান্তরে হেঁটে যাই বাতাস মাড়িয়ে,
আমি ও মধুরা—
সাহচর্য দিয়েছে বলে প্রকৃতিই জানে
সুগন্ধ লুকিয়ে রাখা কোন সে ভাঁড়ারে,
বুনো ঘাসে ঢেকে রেখে তাহার শরীর
যে কথা জেনেছে নদী, রুমাল, জোড়াবাড়ি
সে কথা জানেনি রয়টার—সংবাদ মাধ্যম।
‘কস্তুরী কথা’ প্রকাশ পাবে না কোনদিন...
শিরোনামনির্বোধ মেঘেরা ঘুরে মরে— একা একা
আমরা ছড়াই রাঙা ফল...
তোমাদের দরজায় ঘন্টি বাজালো বুঝি কেঊ
কেউ বুঝি তির্যক তাকালো ?
রাত হ'লে, একা হ'লে, ভেদ ক'রে দৃষ্টি ঢুকে যায়
ভিজে যায় শুকনো চাতাল— ঘরে কেন শাঁখ বাজে,
গোপন বীজের কথা আর গোপনে থাকে না
রাত হ'লে ঘুমোনোর কথা—লক্ষ্মী মানুষের
তবে, সহবাসে কিছু শয়তানও থাকে—
তারা বেশ সুযোগ্য ও সন্ধানী...
মাধ্যাকর্ষের বাইরে ব'লে
আমাদের পিংপং খেলায় বিঘ্ন ঘটে না—
সংবাদের এটাই শিরোনাম।
নজরে রেখোইত্যবসরে দু'একটা কথা বলে যাই—
ঈশান কোণে যে কৃষ্ণচূড়া-রাধাচূড়া দম্পতি,
আমার বাবার হাতে পোঁতা, এনেছিলাম আমিই—
তাই সাবলীল বলা যায় ওর জানা আছে
এ বাড়ির দু'পুরুষের কথা
ওর ডাল ভেঙে কোন পাখি মরে নি কখনও।
পেছনের বাড়িটায় ১০x৩০ ফুট চোরাই জমি আছে
একথা সেটলমেন্ট অফিসের বুড়ো রেকর্ডকিপার জানে
কর ফাঁকা দিয়ে এক মক্কেল দখল করেছে অন্য দিক
আর ফাঁকা পাশে যমের দুয়ার...
ছবি দেখছি এখন
কালোর ওপর কালো চাপিয়ে
একটা সিঁড়ি ওপরে উঠে যাচ্ছে
— সে শুধু রাতকে ধরবে বলে
ব'লে গেলাম,
নজরে রেখো
(পরবাস-৬৪, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬)