হিংসে
ওর কথা বলিস না প্লিজ! না! না! শুনলেই আমার
খাওয়া ঘুম নষ্ট হয়। ওর গল্প বন্ধই থাকুক।
একটু বোকাবোকা, মানে ইন্নোসেন্ট, সেই ছেলেটাকে
না-দেখতে পেলেই তোর মাইগ্রেন শুরু হয়ে যেত!
না, ওকে চিনি না আমি। বন্ধু-টন্ধু কেউ নই।
ঝড়ে বা বন্যায় মারী কিংবা মড়কে গেছে। যাক!
হিংসে? তা হিংসেই হবে! ও আমার (রোজ ভুলতে চাই)
সতেরো, আঠারো-প্লাস, ও আমারই চটিছেঁড়া
ফার্স্ট ইয়ার? না! না!
খনি দুর্ঘটনার রাত
আজ ঝর্না হয়ে গেল খনি গহ্বরের জলরাশি।
কেরানি, টাইমবাবু, গাঁইতি হাতে ঘর্মাক্ত মজুর
জল হয়ে ছিটকে গেল হেড লাইনে, টিভির খবরে।
সিরিয়াল দেখে ক্লান্ত রাত আটটার বাঙালি পাবলিক
দমবন্ধ দেখতে চায় আপডেট —— খনি দুর্ঘটনা।
এদিকে আমরাও টিভি বন্ধ করে ট্র্যাজিক রাত্রিতে
বাস বন্ধ, পা ভেঙেছে, উথাল পাতাল বুকে হেঁটে
যেখানে পথের প্রান্ত শেষ হয়ে তৃণভূমি শুরু,
টিভি বা রেডিয়ো নেই, আছে যুগ্ম নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস-ই
আত্রেয়ী নদীতে শুধু জল দেখতে আসি!
(পরবাস-৫৪, জুন ২০১৩)