মায়া সভ্যতা
অনন্ত বাদাম যখন ভাঙছিল
পুকুরের একেবারে প্রান্তিক ভূখণ্ডে
সূর্য এসে বসে, তখুনি চলে যাবে
যাওয়ার আগে যুবা ও যুবতীর কোলে
রেখে যায় শেষ আলোর মহিমা
যুবা ও যুবতী রাঙা আলোয় দেখে
দু'জনের প্রতিভাস, পড়ে আছে
কোল ছুঁয়ে মাটিতে গড়িয়ে
সামনের বৃক্ষপটে, পুকুরের তটে
আস্তে আস্তে নেমে আসে অন্ধকার
এসবে দিশেহারা হয়ে, যুবা ও যুবতী দু'জনে
বিহ্বলতায় জাপটে ধরে দু'জনের শরীর
কূট অন্ধকার তাদের সব সাহায্য দেয়
মায়া সভ্যতা ঘনিয়ে আসে।
মরণ, তুহুঁ মম শ্যাম
নিঃশেষের আগে আরেকবার জেগে উঠি
বৈভবের প্রান্তে মায়া ও শূন্যতার দাম্পত্য শূন্যস্থান
তুমি যাও তাই আমিও যাই
জলপ্রান্তে জেগে উঠেছে
অবশ্যম্ভাবী চর।
এইমাত্র রাত ফুরিয়ে গেল
নীলিমার শয্যাপ্রান্তে তখনো জ্বলছিল আলো
সে আলোয় তার মুখ ব্যতীত
আর কিছু নেই, অর্থাৎ মুখসর্বস্ব নীলিমা
ঘুমে আছে মনে আত্মস্থ অধিষ্ঠানে
স্বপ্ন ছাড়া আর যা ছিল,
সে শুধু ভাবনা
কী হয় কী হয় আগামীকাল
মরচে পড়া কেশদামে
দারিদ্র্যের নির্লজ্জ উদ্দাম
ভাত না রুটি
কী হয় কী হয় ধ্যান
তুমি যাও, তবে আমাকেও নিরবধিকাল
অপেক্ষায় রেখো না।
(পরবাস-৫২, অক্টোবর, ২০১২)