ISSN 1563-8685




লেখক ও শিল্পী পরিচিতি





পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ।



অশোককুমার মুখোপাধ্যায়ের জন্ম, পড়াশোনা কলকাতায়। পেশা জনসংযোগ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অতিথি অধ্যাপক। গত দু'দশক ধরে প্রধানত দেশ-আনন্দবাজারে অপ্রকাশিত-তথ্যনির্ভর প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রাক্‌-স্বাধীনতা পর্বের সশস্ত্র জাতীয় বিপ্লবীদের কার্যকলাপ, রবীন্দ্রনাথের ছবি এবং কলকাতার সমাজচিত্র নিয়ে ছ'টি গবেষণামূলক বই লিখেছেন। প্রবন্ধের জন্য পেয়েছেন 'আনন্দ-স্নোসেম' পুরস্কার। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে অগ্নিপুরুষ, সোজা কথায়, কালি-মায়ের বোমা, The Naxalites through the eyes of the police ইত্যাদি।



ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। বাল্যশিক্ষা কলকাতায়। এক দৈনিক-এর সাংবাদিকতায় কর্মপ্রবেশ করলেও অনেকদিন হলো আপাতত পাটনায় এক আধা-সরকারি সংস্থায় কর্মরত। লেখার শখ আবাল্য -- গল্প, কবিতা, ফীচার, নাটক লিখলেও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র -- এছাড়াও 'পাক্‌কা গানা' শোনা ও জাপানি ভাষার অধ্যয়ন করে থাকেন।



বিভাস রায়চৌধুরী কলকাতায় থাকেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: শিমূলভাষা, পলাশভাষা, জীবনানন্দের মেয়ে, চণ্ডালিকাগাছ, পরজন্মের জন্য স্বীকারোক্তি ও যখন ব্রিজ পেরোচ্ছে বনগাঁ লোকাল। সম্প্রতি 'বাইশে শ্রাবণ' নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।



ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া।



দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য-এর জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা - উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। স্ট্যাটিসটিকস-এর ছাত্র। এখন কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করেন। প্রকাশিত বই - ইলাটিন বিলাটিন (ছড়া), বনপাহাড়ি গল্পকথা, কল্পলোকের গল্পকথা ও দোর্দোবুরুর বাক্সজয়ঢাক নামে ছোটোদের জন্য একটি পত্রিকা (ত্রৈমাসিক) চালান বন্ধুদের সঙ্গে মিলে। আপাতত চাকরিসূত্রে ভূপাল-এ।



দেবদত্ত জোয়ারদার কোলকাতায় থাকেন। সাহিত্যে উৎসাহী।



দিব্যেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের ছাত্র। স্নাতকোত্তর পড়াশোনার পরে Jerzy Grotowski-র "Theatre of Sources" প্রোজেক্ট-এ "co-realisator" হিসেবে পোল্যাণ্ড ও ইটালি-তে আমন্ত্রিত। দেশে ফিরে সাংবাদিক ও নাট্যসমালোচক হিসেবে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন। বর্তমানে সুইডেন-এ ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত। স্টকহোল্‌ম-এ বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন ও ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন-এ কর্মকর্তা। অনুবাদক ও ইন্‌টারপ্রিটর হিসেবেও নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।



হারিস মাহমুদ-এর জন্ম ১৯৬২ সালে বাংলাদেশের সিলেট জেলায়। সিলেট সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি নেন। ১৯৮৬ সন থেকে আমেরিকায় বসবাসরত। কবিতা লেখেন অনবরত, কখনো সুখে, কখনো অসুখে, কখনও উদাসীন অবস্থায়। প্রকাশিত কবিতার বই দুর্গত সন্ধ্যার চাঁদ



কালীকৃষ্ণ গুহ-র জন্ম ১৯৪৩ সাল। পূর্ববঙ্গের (এখন বাংলাদেশ) রাজবাড়ি জেলার ছাইবাড়িয়া গ্রাম। ১৯৫৭ সালে, ছাত্রাবস্থা থেকে, কলকাতা শহরে। সাহিত্য ও আইনে স্নাতক। ১৯৬৫ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাকরি। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ। বাল্যকাল থেকেই সাহিত্যপাঠে উৎসাহী ও কবিতা লেখা শুরু। প্রথম কবিতার বই 'রক্তাক্ত বেদীর পাশে' ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত। তারপর থেকে বহু বই নিজের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি: হস্টেল থেকে লেখা কবিতা ...., পথনাটকের আসরে স্তব্ধতা। দুটি প্রবন্ধের বই: নির্বাচিত গদ্য ও মলিন পাঠগ্রহণ। উল্লেখযোগ্য কোনো বলার মতো ঘটনা নেই, বিশেষ কোনো গৌরব নেই। ভালোবাসেন শুয়ে থেকে জীবন কাটাতে। শুয়ে শুয়েই বইপড়া, (সামান্য) লেখার চেষ্টা করা, গান শোনা - উচ্চাঙ্গ সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত।



কৌশিক ভাদুড়ীর জন্ম- ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৫৮। দাদামশাই-এর বাসা বাড়ির অঞ্চলে, কোলকাতার বাগবাজারে। শৈশব কৈশোর কাটে পৈতৃক ভিটেতে। হাওড়া সাঁত্রাগাছিতে। পড়াশুনো মাতৃভাষা মাধ্যমে। B.Sc. কোলকাতা St. Xavier's থেকে। চাকরির শুরু marine engineer হিসেবে জাহাজে। অনতিবিলম্বে ছেড়ে দিয়ে, mehanical engineering stream-এ A.M.I.E(India) বলে কিছু পরীক্ষা পাস করা, চাকরি করতে করতে। ১৯৮৬ সাল থেকে অনুগুল বলে উড়িষ্যার একটি জায়গায় National Aluminium Co. বলে একটি কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগে কর্মরত। ১৯৭৭ সালে বন্ধুদের সঙ্গে একটি লিট্‌ল ম্যাগাজিন বার করেছিলেন (সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি)। প্রকাশিত লেখা বলতে তখনই যা হয়েছিল। ১৯৭৭-এর পর থেকে নিয়মিত কবিতা পড়া ও লেখা নিয়ে আছেন, যদিও কিছুটা আলস্য কিছুটা জীবিকা বিষয়ক কারণে, লেখা প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনি।



মহুল বসুর জন্ম ১-৯-৭৫, মধ্যমগ্রামে বেড়ে ওঠা। বারাসাত গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে ইংরাজিতে স্নাতক। পেশা - স্কুল শিক্ষক। নেশা - ছবি তোলা ...রক্তদান আন্দলনের কর্মী ...লেট আস কেয়ার ফর ইউ [লুসি] সংগঠনের সাথে যুক্ত।



মায়া সেনগুপ্ত: জন্ম ১৯৪০। বহুরকমের সামাজিক কাজে জড়িত থাকা সত্বেও লিখতে ভালোবাসেন বলে, তার মধ্যে থেকেই লেখার সময় বার করে নেন। গল্প ও কবিতা লেখেন, মাঝে মাঝে প্রবন্ধও লেখেন। সবচেয়ে ভালোবাসেন ছোটদের জন্য লিখতে। নানা পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়।



মীজান রহমান: জন্ম ১৯৩২। পেশায় গণিতজ্ঞ। অটোয়ার কালর্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন পঞ্চাশের দশকে শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক প্রমুখের সঙ্গে লেখালেখিতে হাতেখড়ি হলেও প্রবাসবাসের দরুণ তাতে ছেদ পড়ে। দীর্ঘদিন পর পুনরায় লেখালেখি শুরু করেন কয়েক বছর হলো। ছটি প্রকাশিত গ্রন্থ: তীর্থ আমার গ্রাম, লাল নদী, প্রসঙ্গ নারী, অ্যালবাম, অনন্যা আমার দেশ, ও ভাবনার আত্মকথন



নভোনীল চট্টোপাধ্যায় শূন্য দশকের কবি। উনি দুর্গাপুরের বাসিন্দা।



নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।



নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন।



রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে: হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ



রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। রচিত গ্রন্থাদি - কল্লোলিত ছোটগল্প, র‍্যালফ্‌ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ও বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্‌ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই - ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।



কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম. এ শচীন দাশের লেখালেখির শুরু বিগত শতাব্দীর সত্তরের দশকে। সেই ১৯৭৩-এর গোড়ায়। প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় কলকাতা থেকে প্রকাশিত পশ্চিমবঙ্গের অগ্রণী কথাকার প্রয়াত বিমল মিত্র সম্পাদিত 'কালি ও কলম' সাহিত্য পত্রিকায়। প্রথম পুরস্কৃত গল্প 'চোখ'। 'চোখ' ভারতীয় কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়। এখন পর্যন্ত শচীনের প্রকাশিত গল্পের সংখ্যা সাড়ে পাঁচশো। প্রকাশিত হয় 'কালি ও কলম', 'দেশ', 'অমৃত', দৈনিক 'যুগান্তর', দৈনিক 'আজকাল' সহ 'পরিচয়', 'প্রমা', 'বিভাব' 'অনুষ্টুপ' ইত্যাদি অসংখ্য 'লিটল ম্যাগাজিন'- এ। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ৮টি, 'কলকাতার দিকে রাস্তা', 'লখিন্দর', 'পঞ্চাশটি গল্প' ইত্যাদি। প্রকাশিত উপন্যাস ৯টি, তার মধ্যে 'যুদ্ধযাত্রা', 'অন্ধ নদীর উপাখ্যান', 'বর্ডার' ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রবর্তিত কথা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০০৯ সালের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার, ২০০৯ সালের শৈবভারতী পুরস্কার ইত্যাদি পেয়েছেন।



সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।



সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রযুক্তিবিদ্যার প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমানে চলচ্চিত্রবিদ্যার অধ্যাপক। প্রকাশিত গ্রন্থঃ স্থানাঙ্ক নির্ণয়, অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন, অন্যান্য ও ঋত্বিকতন্ত্র, ইত্যাদি। ইদানীং আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর ব্লগ 'বকম্‌ বকম্‌'।



শান্তনু চক্রবর্তী গত শতাব্দীর তৃতীয় পাদে, ১৯৭২ সালে, যাদবপুর থেকে মেকানিকাল এঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি করে, বিলেত কিছু বছর কাটিয়ে (এবং নামের সামনে ডক্টরেট-এর আঁকশি লাগিয়ে) দেশে ফেরেন। ১৯৮৯ সাল থেকে টাটা স্টীল-এ, জামশেদপুর-এ। নানান বিষয়ে আগ্রহ, তবে সবচেয়ে বেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে।



সর্বজয়া মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পিএইচডি স্তরে গবেষণা করছেন।



শোভন সান্যাল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেনিশ, পর্তুগিস, ইতালিয়ান ও লাতিন বিভাগের অধ্যাপক।



সুকৃতি সিকদার শূন্য দশকের কবি। উত্তর চব্বিশ পরগণার ঠাকুরনগরে থাকেন।



সুনীল সোনার আসল নাম সুনীল বিশ্বাস। ৯০ দশকের কবি। উত্তর চব্বিশ পরগণার এক সীমান্তবর্তী গ্রামে থাকেন এবং সরাসরি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত।



সুমিতা চক্রবর্তী (জন্ম ১৯৪৬) বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাক্তন অধ্যাপক। বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন দিকে তাঁর আগ্রহ। পরিচিত প্রাবন্ধিক। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ: আমার রবীন্দ্রনাথ: গ্রহণে বর্জনে, সৃষ্টিস্বাতন্ত্র্যে নজরুল, নাট্যকলায় জীবন-শিল্প, ছোটোগল্পের বিষয়-আশয়, কালবেলার কবিতা: জীবনানন্দ ও সুধীন্দ্রনাথ, আধুনিক কবিতার চালচিত্র, জীবনানন্দ: সমাজ ও সমকাল, বাংলা কাব্যপরিচয় -- সম্পা. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভূমিকা - সুমিতা চক্রবর্তী তিনি ২০০৭ সালে নজরুল পুরস্কার পান।



উদয় চট্টোপাধ্যায় খড়গপুর আই. আই. টি. থেকে মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর স্নাতক এবং ডক্টরেট, এবং সেখানেই বিগত চারদশক অধ্যাপনার পর সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেছেন। ছাত্র এবং কর্মজীবনে তাঁর সাহিত্যচর্চা চলেছে সমান্তরালভাবে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা তিন, এবং একটি রম্যরচনা ও প্রবন্ধ সংকলন। পেশাগত বিষয়ে তাঁর লেখা বই 'Environmental Degradation of Metals' (Marcel Dekker Inc, 2001) এবং সম্প্রতি প্রকাশিত 'ধাতুর কথা'।



যশোধরা রায়চৌধুরী আজন্ম কলকাতায় - উচ্চমাধ্যমিক লেডি বেবোর্ন-এ, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন-এ প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ইণ্ডিয়ান অডিট অ্যাণ্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসে সরকারি কাজের সঙ্গে বিরোধহীনভাবে লেখালেখি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। প্রকাশিত কবিতার বই: পণ্যসংহিতা (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৬), পিশাচিনীকাব্য (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৮), রেডিওবিতান (প্রমা, ১৯৯৯), চিরন্তন গল্পমালা (কবিকথা, ১৯৯৯), আবার প্রথম থেকে পড়ো (আনন্দ, ২০০১), মেয়েদের প্রজাতন্ত্র (সপ্তর্ষি প্রকাশন, ২০০৫), ভার্চ্যুয়ালের নবীন কিশোর (আনন্দ, ২০১০)। ১৯৯৮ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০০৬ সালে বাংলা আকাদেমির অনিতা-সুনীলকুমার বসু পুরস্কার। প্রকাশিত অন্যান্য বই, ছোটদের জন্য 'বুঞ্চিল্যাণ্ড'। 'মেয়েদের কিছু একটা হয়েছে' (গল্পসংকলন) এবং অনুবাদ করেছেন 'লিওনার্দো দা ভিঞ্চি'। বই পড়া ও লেখালেখি ছাড়া (যেটা আর শখ নেই, কাজ হয়ে গেছে) অন্য শখ রান্নাবান্না, সেলাই-ফোঁড়াই, ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য লাতিন ভাষা চর্চা।



(পরবাস-৪৮, মে, ২০১১)